অনুসরন করুন :
আল-কুরআন

আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯

আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...

বিস্তারিত
আল-হাদীস

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...

বিস্তারিত
সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...

বিস্তারিত

পরিবেশ বাঁচাতে কাগজের রিসাইক্লিং

আশিক মাহমুদ

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর এদেশে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে কাগজ শিল্পের বিকাশ ঘটে বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে ৩টি কাগজ কল ছাড়াও বেসরকারি মালিকানাধীন ছোট-বড় মিলিয়ে ১০৬টি পেপার মিল রয়েছে আর দেশেই উৎপাদন হচ্ছে উন্নত মানের কাগজ দেশীয় চাহিদা পূরণ করে বিদেশে কাগজ রপ্তানিও করছে বাংলাদেশ কাগজ রিসাইক্লিং হচ্ছে কাগজ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রক্রিয়া, যার দ্বারা বর্জ্য কাগজ নতুন কাগজে রূপান্তরিত হয় পুরাতন বা বর্জ্য কাগজকে নতুন কাগজের পালপের সঙ্গে মিশিয়ে নতুন কাগজ উৎপাদন করার প্রক্রিয়াকে কাগজ রিসাইক্লিং বলে ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া ঢেউখেলানো পত্র, পুরাতন ম্যাগাজিন, পুরনো খবরের কাগজ, অফিসের কাগজ এবং বাসায় ব্যবহৃত অন্যান্য কাগজ হতে এই রিসাইক্লিং করা হয়

কম্পিউটারের এই যুগে কাগজের ব্যবহার কমার বদলে বেড়েই চলেছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর হারিয়ে যাচ্ছে বনজঙ্গল, বদলে যাচ্ছে জলবায়ু ১৯৫০ সালের তুলনায় আজ কাগজের ব্যবহার প্রায় গুণ বেড়ে গেছে সেই কাগজের যোগান দিতে প্রতি বছর হারিয়ে যাচ্ছে প্রায় লক্ষ ৬০ হাজার বর্গ কিলোমিটার বনজঙ্গল, যা তিউনিশিয়ার মতো দেশের আয়তনের প্রায় সমান বেড়ে চলেছে এমন সব গাছপালার প্লান্টেশন বা বাগান, যা দিয়ে কাগজের Ð তৈরি করা যায় অথচ গাছের কাঠ থেকে নতুন কাগজ তৈরি না করে পুরনো কাগজের রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহার করলে পরিবেশের অনেক কম ক্ষতি হয় ১৯৮০- দশকে যখন ইন্টারনেট -মেইলের ব্যবহার শুরু হয়েছিল, তখন সবাই মনে করেছিল, এবার হয়তো অফিস-আদালতে কাগজের ব্যবহার অনেক কমে যাবে অথচ বাস্তবে তেমনটা হয়নি

এই পরিস্থিতি যে নিছক আনুমানিক নয়, তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে ইউরোপে চালানো এক সমীক্ষা, যার পোশাকি নামইন পেপার উই ট্রাস্ট অর্থাৎ কাগজের উপরেই আমাদের আস্থা রয়েছে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্য সংরক্ষণ করা সত্তেও অনেকেই পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে তার একটা প্রিন্ট নিয়ে রাখেন আরও দেখা গেছে, যে অর্থনৈতিক সংকট ঘটলে কাগজের চাহিদা কমার বদলে বেড়ে যায় গোটা বিশ্বে ৪টি দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান জার্মানিতে কাগজের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি জার্মানিতে কাগজ ব্যবহারের মাথাপিছু বাৎসরিক হার প্রায় ২৩০ কিলোগ্রাম, যা গোটা বিশ্বের গড় হারের তুলনায় প্রায় গুণ বেশি জনসংখ্যার বিচারেও এই প্রবণতা বিস্ময়কর

বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা জানান, মুদ্রণ প্যাকেজিং শিল্পে ব্যবহৃত উন্নতমানের কাগজ এখন বাংলাদেশেই উৎপাদিত হচ্ছে দেশি কাগজকলগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা দেশের মোট চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি দেশে উৎপাদিত কাগজ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ প্রিন্টং প্রেসসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত দেশগুলোতে রপ্তানি হচ্ছে দেশের কাগজ বিগত অর্থবছরও ১৬৮ কোটি টাকার কাগজ রপ্তানি করেছে মিলগুলো

অপরিকল্পিত লাগামহীন কাগজ উৎপাদনের লাগাম এখনই টেনে ধরতে হবে এবং রিসাইক্লিংয়ের প্রতি উৎসাহী হতে হবে কেননা কাগজ উৎপাদনের জন্য কাঠ বাঁশ প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় এতে সরাসরি পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে কাগজ তৈরির জন্য কাঠের বেড়ে চলা চাহিদার পরিণাম ভয়াবহ কাঠের অন্যান্য ব্যবহারের সঙ্গে এই বাড়তি চাহিদা যোগ হওয়ার ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে হারিয়ে যাচ্ছে বনাঞ্চল তাছাড়া শুধু যে গাছ কাটা হচ্ছে তাই নয়, সেইসঙ্গে জঙ্গলের স্বাভাবিক গাছপালা ধ্বংস করে খালি জায়গায় লাগানো হচ্ছে শুধু এমন সব গাছ, যা দ্রুত বেড়ে উঠবে এবং যা থেকে কাগজ তৈরির উপযোগী তন্তু পাওয়া যাবে তাই কাগজ উৎপাদন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াবে এভাবে চলতে থাকলে বনাঞ্চল থেকে গাছপালা দিন দিন কমতে থাকবে তাই কাগজ রিসাইক্লিংয়ের প্রতি আমাদের মনোযোগ দিতে হবে কেননা কাগজ রিসাইক্লিংয়ের রয়েছে নানা পরিবেশগত উপকারিতা, পাশাপাশি যেহেতু পুরাতন কাগজ থেকে নতুন কাগজ উৎপাদন করা যাচ্ছে সেক্ষেত্রে কাঁচামাল ক্রয়ের খরচ কমে আসবে ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত ৬৫. শতাংশ কাগজ পুনর্ব্যবহারের জন্য উদ্ধার করা হয়, মোট ৫১ মিলিয়ন টন আমেরিকান ফরেস্ট পেপার অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী, ১৯৯০ সাল থেকে পুনরুদ্ধারের হারে ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে

প্রথমত পুরাতন কাগজ সংগ্রহ করা, হতে পারে তা খবরের কাগজ, অফিসের কাগজ, ম্যাগাজিন এবং বাসায় ব্যাবহার করা কাগজ কাগজ রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য কাগজকে প্রকার গ্রেডে পৃথক করা প্রয়োজন পুরনো কাগজকে প্রথমে ডি-ইংকিং বা কালি বিমোচন পদ্ধতি দ্বারা কাগজের কালি বিমুক্ত করা হয় কালি বিমুক্ত কাগজকে পানিসহ chopped করা হয় এবং উক্ত মিশ্রণকে উত্তাপ দেওয়া হয় এতে লিগনিনের গঠন ভেঙে যায় এবং পাল্প তৈরি হয় স্ক্রিন দ্বারা পাল্প থেকে আঠা অথবা প্লাস্টিক অন্যান্য পদার্থ আলাদা করা হয় বিরঞ্জিত করার পর পানিতে মেশানো হয় এবং পরে শুকানো হয় আর এই পাল্প দিয়েই নতুন কাগজ তৈরি করা হয়

প্রথমত কাগজ তৈরি করতে হয় কাঠ থেকে এক টন খবরের কাগজ রিসাইকেল করলে প্রায় এক টন কাঠ বেঁচে যায়, প্রিন্টেড কাগজ রিসাইকেল করলে প্রায় দুই টন কাঠ সাশ্রয় হয় কাগজ তৈরিতে যে পরিমাণ পানি দূষণ ঘটে কাগজ রিসাইক্লিংয়ে অতটা ঘটে না কাঠ হতে কাগজ তৈরি করতে প্রচুর জ্বালানির খরচ হয়, কিন্তু রিসাইক্লিংয়ের ক্ষেত্রে জ্বালানি ৪০-৬০% কম লাগে নতুন কাগজ উৎপাদনের তুলনায় কাগজ রিসাইক্লিংয়ের পানি দূষণ ৩৫% কম এবং বায়ু দূষণ ৭৪% কম ঘটে ইউরোপে ব্যবহৃত কাগজের ৬০% রিসাইকেল হয় পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাগজ প্রাকৃতিক সম্পদগুলি রক্ষা করে, শক্তি সঞ্চয় করে, গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাস করে এক টন পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাগজ ১৭টি গাছ, ,০০০ গ্যালন পানি, ৩৮০ গ্যালন তেল, ৩২ কিউবিক ইয়ার্ড ল্যান্ডফিল স্পেস এবং ,০০০ কিলোওয়াট শক্তি-যথেষ্ট পরিমাণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছয় মাস ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে পারে পৃথিবীর প্রতিটি সভ্য দেশে কাগজের ব্যবহার রয়েছে কাগজ ছাড়া সভ্যতাকে কল্পনাও করা যায় না কাগজ যেমন একটি সম্ভাবনাময় শিল্প তেমনি নষ্ট বা অপচয়ক্রিত কাগজগুলোর রিসাইক্লিং কাগজ শিল্পকে আরও প্রসারিত করবে পাশাপাশি কমিয়ে আনবে কাঁচামাল প্রাপ্যতার চাপ এবং কাগজ উৎপাদনের খরচ সেই সাথে বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়া হ্রাস পাবে(লেখক: শিক্ষার্থী, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ

0 | দেখেছেন : 94 |

সম্পর্কিত খবর

অন্তর্বতীকালীন সরকার : উপদেষ্টাদের পরিচয়

ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা তিনি ২৮ জুন, ১৯৪০ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শুরুতে তিনি তার গ্রামের মহাজন ফকিরের স্কুল নামে একটি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৪৪ সালে লামাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটসে যোগদান করেন এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। ১৯৫৭ সালে মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিএ এবং এমএ সম্পন্ন করেন। স্নাতকের পর কর্মজীবনের শুরুতেই মুহাম্মদ ইউনূস ব্যুরো অব ইকোনমিক্স - এ গবেষণা সহকারী হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরিচিতি বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন হচ্ছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ । ২০২৪ সালে বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এটি গঠিত হয় এবং এটি কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তীতে অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ২০২৪ সালের ১ জুলাই সংগঠনটি সৃষ্টি হয় এবং সৃষ্টির পরপরই আন্দোলন সফল করার জন্য ৮ জুলাই সংগঠনটি ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করে, যার মধ্যে ২৩ জন সমন্বয়ক ও ৪২ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। আন্দোলনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার পর ৩ আগস্টে সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক দল গঠন করে, যার মধ্যে ৪৯ জন সমন্বয়ক ও ১০৯ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে একাধিক সমন্বয়ককে এই সংগঠনের নেতৃত্বে দেখা গেছে। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত রশিদ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সারজিস আলম,

স্নায়ুযুদ্ধের শিকার মুসলিম বিশ্ব :কারণ ও করণীয়

স্নায়ুযুদ্ধ কী ও কেন? স্নায়ুযুদ্ধ হচ্ছে যার আরবী হচ্ছে ; ‘আল গাযউল ফিকরী’ বা বুদ্ধি ও কৌশলের যুদ্ধ। পরিভাষায় বলা যায়-স্নায়ুযুদ্ধ এমন যুদ্ধ যাতে সৈন্যবাহিনী ও অস্ত্র-শস্ত্রের প্রয়োজন হয় না। কোনো ধরনের রক্তপাত হয় না । অর্থাৎ এমন প্লান ও পরিকল্পিত কাজ যা মানবজীবনে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও চারিত্রিক জীবনে প্রভাব ফেলে। এ কাজে ইসলামের শত্রুরা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রগুলোতে মুসলিমদেরকে তাদের দীন থেকে দূরে সরিয়ে রাখে, মুসলিমদের ঐক্য বিনষ্ট করে, তাদের সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করে এবং তাদের শক্তিকে দুর্বল করে তাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে, চাই সেটি সরাসরি হোক কিংবা গোপনীয়ভাবে হোক; রাজনৈতিকভাবে হোক কিংবা অরাজনৈতিকভাবে হোক; সেটি মিলেটারি দিয়ে হোক কিংবা মিলেটারি ছাড়া হোক। বর্তমান মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেয়া স্নায়ুযুদ্ধ।

বাংলা নববর্ষের শুরুর কথা

ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মানুষ কিছু আনন্দ এবং স্মৃতিকে আপন করে নেয়। আর এ আপন করে নেয়ার বিভিন্ন স্তর এবং সময়ের পথ ধরে সংস্কৃতির বিকাশ। প্রতিটি জাতি ও সভ্যতা সংস্কৃতির মাধ্যমে খুঁজে পায় তার নিজস্ব অনুভূতি এবং স্বকীয় বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশী ও বাঙালী জাতি হিসেবে, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আমাদের এমন একটি উৎসব হল পহেলা বৈশাখ। স্বাগতম, সুস্বাগতম বাংলা নববর্ষ। আমরা সবাই প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল ১ বৈশাখের এই দিনটি পালন করে থাকি। কিন্তু আমরা সবাই কি জানি বা কেউ জানার চেষ্টাও করেছি-কি এই পহেলা বৈশাখের ইতিহাস।