অনুসরন করুন :
আল-কুরআন

আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯

আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...

বিস্তারিত
আল-হাদীস

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...

বিস্তারিত
সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...

বিস্তারিত

অন্তর্বতীকালীন সরকার : উপদেষ্টাদের পরিচয়

১. ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা তিনি ২৮ জুন, ১৯৪০ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শুরুতে তিনি তার গ্রামের মহাজন ফকিরের স্কুল নামে একটি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৪৪ সালে লামাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটসে যোগদান করেন এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। ১৯৫৭ সালে মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিএ এবং এমএ সম্পন্ন করেন। স্নাতকের পর কর্মজীবনের শুরুতেই মুহাম্মদ ইউনূস ব্যুরো অব ইকোনমিক্স - এ গবেষণা সহকারী হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।

১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এই পদে কর্মত ছিলেন। ১৯৭৬ সালে মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৬ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করা হয়। ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে তিনি অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

অন্তর্বতীকালীন নতুন সরকারের

উপদেষ্টা হিসেবে যারা রয়েছেন

তাদের পরিচয় উল্লেখ করা হলো।

এরা গত ৮ আগস্ট শপথ

গ্রহণ করেছিলেন:

২. ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর। ২০০৫ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হন তিনি, ২০০৯ সাল পযন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান (সিএসপি) ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি প্রসাসনিক জীবন শুরু করেন। দেশ-বিদেশে অর্থনীতির পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তিনি মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ একাডেমি অব রুরাল ডেভেলপমেন্ট (বার্ড) এর। দীর্ঘদিন ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অফিসের এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর মহাপরিচালক পদেও। গত কয়েক বছর ধরে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৬৩ সালে এসএসসি এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পাস করার পর ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে বিএ অনার্স ও পরের বছরের মাস্টার্স পরীক্ষা পাস করে ১৯৭০ সালে সেই বিভাগেই অর্থনীতির শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন । ১৯৭৮ সালে কানাডার হ্যামিল্টন শহরের ‘ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতির উপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর (দরিশ্রীরামপুর) গ্রামে।

৩. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত ) এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নিরাপত্তা বিশ্লেষক, গবেষক ও কলামিস্ট হিসেবেও পরিচিত। ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান     সেনাবাহিনীতে কমিশনড লাভ করেন তিনি। পরে দেশ স্বাধীন হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।

৪. অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবেও তিনি পরিচিত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সময় অধ্যাপক নজরুলকে বেশ সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেছে। তিনি লেখক, ও কলামিস্ট। পড়াশুনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে তিনি তার পিএইচডি সম্পন্ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের আগে ১৯৯১ সালে সাপ্তাহিক পত্রিকা বিচিত্রায় কাজ করেছেন তিনি। কিছুদিন তিনি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবেও কাজ করেছেন। ১৯৬৬ সালের ১২ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া আসিফ নজরুল আইন, সংবিধান ও মানবাধিকার বিষয়ে কয়েকটি বই লিখেছেন। কিছু নন-ফিকশনও লিখেছেন তিনি। ২০১১ সাল থেকে ছয় বছর মানবাধিকার সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ফর হিউম্যান রাইটস-এর ব্যুরো সদস্য ছিলেন আসিফ নজরুল।

৫. আদিলুর রহমান খান।

তিনি একজন সুপরিচিত মানবাধিকারকর্মী। মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। সুপ্রিম কোর্টের আইন পেশায় থাকার সময় ১৯৯৪ সালে তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার অভিযানে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে ‘বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। এরপর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারার মামলায় তাকে দুই বছরের কারাদ- দেয় আদালত। তিনি ১৯৬১ সালের ২ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করে ‘ভ্রিজ    ইউনিভার্সিটি ব্রাসেলস থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৪ সালে তিনি রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। একই বছর তিনি মানবাধিকারের জন্য গোয়াংজু পুরস্কারও জিতেছিলেন;

০৬. এ এফ হাসান আরিফ।

তিনি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। তিনি ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৮২ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৮৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল; ১৯৮৫ সালের অগাস্ট থেকে ১৯৯৬ সালের মার্চ পর্যন্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্ম নেন। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি পাস করেন। ১৯৬৭ সালে কলকাতা হাই কোর্টে আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হওয়ার পর তিনি সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন। ১৯৭০ সালে ঢাকা হাই কোর্টে আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হন। তিনি ‘এএফ হাসান আরিফ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস চেম্বারের প্রধান। তিনি বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের একজন প্যানেল সদস্য। 

০৭.  ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমীর।তিনি  একজন ইসলামি প-িত। ১৯৫৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নে জন্ম নেওয়া এই ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব চরমোনাইয়ের পীরের নেতৃত্বাধীন দল ইসলামী আন্দোলনের শিক্ষা উপদেষ্টা ও মাসিক আত তাওহীদের সম্পাদক। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে তার শিক্ষা জীবন শেষ করেন। ২০০৬ সালে ‘হজরত মুহাম্মদ সা. এর খুতবা: একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক গবেষণা বিষয়ের উপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

৮. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার প্রধান নির্বাহী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে বেশ সরব। পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ২০১২ সালে ‘রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার পান তিনি। তা ছাড়া ‘গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ, টাইম ম্যাগাজিনের ‘হিরোজ অব এনভায়রনমেন্ট এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন তিনি। তার জন্ম ১৯৬৮ সালের ১৫ জানুয়ারি ঢাকার ধানমন্ডিতে। তার পৈত্রিক বাড়ি হবিগঞ্জে। ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও হলিক্রস কলেজের পড়াশুনা শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। পাস করার পর তিনি ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতিতে (বেলা) যোগ দেন। জাহাজভাঙা শিল্পের মাধ্যমে পরিবেশ বিপর্যয় রোধ, শ্রমিকদের নিরাপত্তা, জলাশয় ভরাট করে আবাসন তৈরি, পাহাড় কাটা, বন ধ্বংস, পলিথিনের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধ, চিড়িং ঘেরের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে কাজ করে গেছেন রিজওয়ানা।

৯. মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি সাবেক পররাষ্ট্রসচিব। এছাড়া পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট হিসেবেও তিনি পরিচিত। তার জন্ম ১৯৫৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে স্নাতকোত্তর শেষ করার পর ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি এবং ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত দুই মেয়াদে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এই কূটনীতিক। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এবং ২০১২ সালের জুনে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকার হাইকমিশনার করা হয়।

১০. নূরজাহান বেগম।

তিনি ২০১০ সালে গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। তিনি নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে এই দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তিনি গ্রামীণ পরিবারের একটি অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ শিক্ষার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৭৬ সালে যখন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রকল্প শুরু হয়, তখন তিনি ড. ইউনূসের প্রথম সারির সহযোগীদের একজন ছিলেন। তিনি অনেক দেশে ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের পরামর্শদাতা, প্রশিক্ষক এবং মূল্যায়নকারী হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি ওয়ার্ল্ড সামিট মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস অ্যাওয়ার্ড ২০০৯ এবং ভিশন অ্যাওয়ার্ড ২০০৯-এ ভূষিত হন। তিনি ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ‘ফরচুন মোস্ট পাওয়ারফুল উইমেন সামিটে অংশ নেন। একই বছর স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিস পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতি হন।

১১. সুপ্রদীপ চাকমা।

তিনি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি ২০২৩ সালে ২৪ জুলাই ওই বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি মেক্সিকো এবং ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাবাত, ব্রাসেলস, আঙ্কারা এবং কলম্বোতে বাংলাদেশ মিশনেও তিনি বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। তার জন্ম ১৯৬১ সালে খাগড়াছড়ির কমলছড়িতে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ১৯৮৫ সালে সপ্তম বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন তিনি।

১২. শারমিন মুর্শিদ।

তিনি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ব্রতীর প্রধান নির্বাহী। নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী হিসাবেও কাজ করে এই সংস্থা।  ভোটাধিকার ও বাক-স্বাধীনতার বিষয়ে তিনি বেশ আগে থেকেই সরব। এছাড়া তিনি নির্বাচন ব্যবস্থা বিষয়ক বিশ্লেষক হিসেবেও পরিচিত। তার বাবা খান সারওয়ার মুরশিদ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন। তার মা নূরজাহান মুরশিদ ১৯৫৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হন।

১৩. ফরিদা আখতার।

তিনি উন্নয়ন ও মানবাধিকারকর্মী । তিনি বেসরকারি সংস্থা ‘উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণার (উবিনীগ) নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মানবাধিকার, বিকল্প কৃষি উৎপাদন ও গবেষণা এবং নারী অধিকার বিষয়ক একজন কর্মী। তার স্বামী ফরহাদ মাজহার বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য লেখক ও কলামিস্ট। ফরিদা আখতারের জন্ম চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার হারলা গ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে পড়াশোনা করেছেন তিনি। বর্তমানে কাজ করছেন আর্থসামাজিক গবেষণার নানা ক্ষেত্রে। বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের অবস্থা জানা এবং পরিবর্তনের জন্য নীতিনির্ধারণী গবেষণা ও লেখালেখিই তার কাজের প্রধান জায়গা। নারী উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্যসম্পদ, তাঁত শিল্প, গার্মেন্টস শিল্প ও শ্রমিক, জনসংখ্যা এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক বিষয়ে তিন দশক ধরে কাজ করেছেন। সম্মিলিত নারী সমাজের সদস্য তিনি। লেখক ও কলামিস্ট হিসেবেও তার পরিচিতি আছে।

১৪. ফারুক-ই-আজম।

তিনি সাবেক নৌকমান্ডার ও মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি ‘অপারেশন জ্যাকপট অভিযানের উপ-অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাকে 'বীর প্রতীক' খেতাব দেয় বাংলাদেশ সরকার। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বছরে উচ্চমাধ্যমিক পাস করা ফারুক সে সময় খুলনায় ছিলেন। পরে অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে চট্টগ্রামে পৌঁছান। তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের হরিণা ইয়ুথ ক্যাম্পে আশ্রয় নেন ৬ মে। পরে নৌবাহিনীর জন্য মুক্তিযোদ্ধা রিক্রুট করা হবে শুনলে তিনি সেখানে যোগ দেন।

১৫. ডা. বিধান রঞ্জন রায়।

তিনি বাংলাদেশের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক। মানসিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে অবদান রাখার পাশাপাশি তিনি মনোচিকিৎসার উপর বেশ কিছু বইও লিখেছেন। মনোরোগ বিজ্ঞানে এমবিবিএস, ডিপিএম, ও এমফিল ডিগ্রি নেওয়া এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধানও ছিলেন। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহের ইউনিয়ন স্পেশালাইজড হাসপাতালে কাজ করছেন।

১৬. নাহিদ ইসলাম।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ (শিক্ষাবর্ষ-২০১৬-১৭) থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। এর আগে তিনি সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের ডাক দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের একজন তিনি।

১৭. আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ (শিক্ষাবর্ষ- ২০১৭-১৮) থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেছেন তিনি।  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের একজন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও কলেজটির বিএনসিসি ক্লাবের প্লাটুন সার্জেন্ট আসিফের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায়।

১৬ আগস্ট ২০২৪ যারা শপথ গ্রহণ করেছিলেন:

১৮. ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ। ১৯৪৮ সালের পহেলা জুলাই নোয়াখালী জেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। পরে ১৯৬৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে বিএ (অনার্স) ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপরের বছর তিনি তৎকালীন পাকিস্তানের ইসলামাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমএসসি (মাস্টার্স) ডিগ্রি অর্জন করেন। সে বছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি আরও উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য ইংল্যান্ড যান। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সাল, এই সময়ের মাঝে তিনি ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে দেশে ফিরে আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন এবং ২০১১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি  ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার, জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (ইউএন-সিডিপি) সদস্য। তিনি সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অব ইকোনমিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসএএনইআই) চেয়ারম্যান। নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিনি পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তিনি দীর্ঘ সময় এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন।

১৯. আলী ইমাম মজুমদার।

তার জন্ম ১৯৫০ সালে কুমিল্লায়। তিনি ২০০৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৮ সালের নভেম্বরে অবসরের আগ পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি  অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে মুখ্য সচিবের দায়িত্বও পালন করেন। তার আগে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। ১৯৭৭ সালে প্রশাসন ক্যাডারের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। তিনি পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) বিভিন্ন প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবেও কাজ করছেন। তিনি চাকরি জীবনে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে সহকারী কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ উপজেলা ও জেলায় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন।

২০. ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি একজন সুপরিচিত অর্থনীতিবিদ। তিনি ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ১৯৯৮ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড-এর (ইডকল) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস অ্যাট বোস্টন, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে পার্ট-টাইম ও ফুলটাইম ফ্যাকাল্টি হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা, ইউএনডিপি, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের একজন শীর্ষ পরামর্শক। তার বাড়ি সন্দ্বীপের হরিশপুরে।

২১. লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি মুন্সিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি  ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ রাইফেলসের (বর্তমান বিজিবি) মহাপরিচালক ছিলেন। এরপর ২০০৬ সালের জুন থেকে ২০০৭ সালের জুন পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের পর সেনাবাহিনীর গঠিত তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন তিনি। তখন তিনি কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) ছিলেন। পরে তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। ২০১০ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশন করেন। একজন গানার হিসেবে কর্মজীবনের শুরুতে তিনি কমান্ডিং টু আর্টিলারি ব্রিগেডসসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। (লেখাটি তৈরীতে উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সনের সাহায্য নেয়া হয়েছে।)

0 | দেখেছেন : 90 |

সম্পর্কিত খবর

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরিচিতি বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন হচ্ছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ । ২০২৪ সালে বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এটি গঠিত হয় এবং এটি কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তীতে অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ২০২৪ সালের ১ জুলাই সংগঠনটি সৃষ্টি হয় এবং সৃষ্টির পরপরই আন্দোলন সফল করার জন্য ৮ জুলাই সংগঠনটি ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করে, যার মধ্যে ২৩ জন সমন্বয়ক ও ৪২ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। আন্দোলনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার পর ৩ আগস্টে সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক দল গঠন করে, যার মধ্যে ৪৯ জন সমন্বয়ক ও ১০৯ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে একাধিক সমন্বয়ককে এই সংগঠনের নেতৃত্বে দেখা গেছে। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত রশিদ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সারজিস আলম,

স্নায়ুযুদ্ধের শিকার মুসলিম বিশ্ব :কারণ ও করণীয়

স্নায়ুযুদ্ধ কী ও কেন? স্নায়ুযুদ্ধ হচ্ছে যার আরবী হচ্ছে ; ‘আল গাযউল ফিকরী’ বা বুদ্ধি ও কৌশলের যুদ্ধ। পরিভাষায় বলা যায়-স্নায়ুযুদ্ধ এমন যুদ্ধ যাতে সৈন্যবাহিনী ও অস্ত্র-শস্ত্রের প্রয়োজন হয় না। কোনো ধরনের রক্তপাত হয় না । অর্থাৎ এমন প্লান ও পরিকল্পিত কাজ যা মানবজীবনে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও চারিত্রিক জীবনে প্রভাব ফেলে। এ কাজে ইসলামের শত্রুরা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রগুলোতে মুসলিমদেরকে তাদের দীন থেকে দূরে সরিয়ে রাখে, মুসলিমদের ঐক্য বিনষ্ট করে, তাদের সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করে এবং তাদের শক্তিকে দুর্বল করে তাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে, চাই সেটি সরাসরি হোক কিংবা গোপনীয়ভাবে হোক; রাজনৈতিকভাবে হোক কিংবা অরাজনৈতিকভাবে হোক; সেটি মিলেটারি দিয়ে হোক কিংবা মিলেটারি ছাড়া হোক। বর্তমান মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেয়া স্নায়ুযুদ্ধ।

বাংলা নববর্ষের শুরুর কথা

ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মানুষ কিছু আনন্দ এবং স্মৃতিকে আপন করে নেয়। আর এ আপন করে নেয়ার বিভিন্ন স্তর এবং সময়ের পথ ধরে সংস্কৃতির বিকাশ। প্রতিটি জাতি ও সভ্যতা সংস্কৃতির মাধ্যমে খুঁজে পায় তার নিজস্ব অনুভূতি এবং স্বকীয় বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশী ও বাঙালী জাতি হিসেবে, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আমাদের এমন একটি উৎসব হল পহেলা বৈশাখ। স্বাগতম, সুস্বাগতম বাংলা নববর্ষ। আমরা সবাই প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল ১ বৈশাখের এই দিনটি পালন করে থাকি। কিন্তু আমরা সবাই কি জানি বা কেউ জানার চেষ্টাও করেছি-কি এই পহেলা বৈশাখের ইতিহাস।

সাসপেনশন চা-কফি-লাঞ্চ: নতুন কনসেপ্ট! নতুন কিছু: এমন করা কি সম্ভব!

ইউরোপের একটি দেশ যেখানে এই দৃশ্য অহরহ দেখতে পাবেন -একটি রেস্তোরা। ঐ রেস্তোরার ক্যাশ কাউন্টারে এক ভদ্র মহিলা এলেন আর বললেন ৫ টা কফি আর একটা সাসপেনশন। তারপর উনি পাঁচটি কফির বিল মেটালেন আর চার কাপ কফি নিয়ে চলে গেলেন।