আল কুরআন : আল- আম্বিয়া : ৪৪ থেকে ৬৪
বরং আমরাই তাদের এবং তাদের পূর্ব পুরুষদের ভোগবিলাসের উপকরণ দিয়েছি, তাছাড়া তাদের বয়সকালও হয়েছিল দীর্ঘ। তারা কি দেখেনা, আমরা তাদের দেশকে চারদিক থেকে সংকু...
বিস্তারিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
আবু আইয়ুব রা. বলেন, আমি যখনি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পিছনে নামায পড়েছি, তাকে নামায শেষ করে এই দোয়া পড়তে শুনেছি। (যার অর্থ:) হে...
বিস্তারিতআমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা
প্রাণের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ৭১ সা...
বিস্তারিতইউরোপের
একটি দেশ যেখানে এই
দৃশ্য অহরহ দেখতে পাবেন
-একটি রেস্তোরা। ঐ রেস্তোরার ক্যাশ
কাউন্টারে এক ভদ্র মহিলা
এলেন আর বললেন ৫
টা কফি আর একটা
সাসপেনশন। তারপর উনি পাঁচটি কফির
বিল মেটালেন আর চার কাপ
কফি নিয়ে চলে গেলেন।
কিছুক্ষণ
পরে এক ভদ্র লোক
এলেন আর অর্ডার করলেন
দু’টো লাঞ্চ প্যাক
করুন আর দুটো সাসপেনশন
রাখুন। উনি চারটে লাঞ্চের
বিল মেটালেন আর দু’টো লাঞ্চ
প্যাকেট নিয়ে চলে গেলেন।
তার
কিছুক্ষণ পর আরো একজন
এলেন। অর্ডার করলেন দশটা কফি ছটা
সাসপেনশন। উনি দশটা কফির
পেমেন্ট করলেন আর চারটে কফি
নিয়ে গেলেন।
এভাবেই
একের পর এক চলতে
লাগলো। বেশ কিছুক্ষণ পরে
একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি জরসর অবস্থায় কাউন্টারে
গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন: "কোনো সাসপেনশন কফি
আছে"?
কাউন্টার
থেকে জানানো হলো অবশ্যই আছে
এবং এক কাপ গরম
কফি ওনাকে দেওয়া হলো।
তারও
অল্প কিছুক্ষণ পরে এক দাড়িওয়ালা
ভদ্র লোক ভিতরে এসে জিজ্ঞাসা করলেন:
"আজ কি কোনো লাঞ্চ
সাসপেনশনে রাখা আছে"? কাউন্টার
থেকে যথারীতি সম্মতি জানিয়ে তাকে গরম খাবারের
একটি পার্সেল আর এক বোতল
জল দেওয়া হলো।
এই
ব্যাপারটা সারাদিন চলছে তো চলছেই।
কিছু মানুষ নিজেদের পকেট থেকে নিজেদের
অর্জিত রোজগার থেকে কিছু অজানা
মানুষের খাওয়ার জন্যে পেমেন্ট করছেন আর কিছু গরীব
দুস্থ মানুষ বিনা পেমেন্টে নিশ্চিন্তে
খাওয়া দাওয়া করছেন। দিনভর চলছে এই সাসপেনশনের
কান্ড। অথচ কেউ জানেনা
কারোরই পরিচয়। না দাতা জানে
গ্রহীতার পরিচয়, না গ্রহীতা জানে
দাতার পরিচয়।
প্রয়োজন
নেই পরিচয় জানার, প্রয়োজন নেই নিজের নাম
জাহির করার। কিন্তু প্রয়োজন আছে কিছু অভুক্ত
মানুষের মুখে অন্ন তুলে
দেবার এবং সেটা একেবারেই
গোপনে।
মানবিকতার
এই চরম শিখরে পৌঁছানো
দেশটির নাম "নরওয়ে" এবং নরওয়ের দেখা-দেখি এই পরম্পরা
ছড়িয়ে পড়ছে ইউরোপের অন্যান্য
দেশেও।
বিত্তশালীদের
ধন-সম্পদে গরীবের অধিকার: মহান আল্লাহ্ তা'আলা কুরআনুল কারীমে
ঘোষণা দিয়েছেন, "তাদের (বিত্তশালী) ধনসম্পদে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার
রয়েছে। (জারিয়াত: ১৯)৷
খাদ্য
দান করুন: আল-কুরআনে বলা
হচ্ছে, "তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি
তথা তার আহ্বানে সাড়া
দিয়ে দরিদ্র, এতিম ও বঞ্চিতদের
খাদ্য দান করে।" (দাহর:৮)
দান
করলে প্রতিদান নিশ্চিত: মহানবী সা. বলেন, "যে
মুসলমান অপর কোনো মুসলমানকে
বস্ত্রহীন অবস্থায় বস্ত্র দান করবে, আল্লাহ
তাকে জান্নাতে সবুজ বর্ণের পোশাক
পরাবেন, খাদ্য দান করলে তাকে
জান্নাতের ফল খাওয়াবেন, পানি
পান করালে জান্নাতের পানিয় পান করাবেন।" (আবু
দাউদ, হাদীস: ১৭৫২)
সাহায্যের
হাত বাড়িয়ে দাও করুণা করে
নয় বরং দায়িত্ব সহকারে:
মহানবী সা. আরও বলেছেন,
"তোমরা ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, অসুস্থ ব্যক্তির
খোঁজ-খবর নাও, বস্ত্রহীন
লোকদের বস্ত্র দাও এবং বন্দিকে
মুক্ত করে দাও। (বুখারী,
হাদীস: ২৪১৭)
গোপনে
দান করার অভ্যাস করুন:
মহান আল্লাহ্ তা'য়ালা “সূরা
বাকারার ২৬২ ও ২৬৩
নং আয়াতে” বলেছেন, "যারা আল্লাহর পথে
নিজের ধনসম্পদ ব্যয় করে এবং
আর যা ব্যয় করে
তার কথা বলে বেড়ায়
না এবং (ঐ দানের
বদলে কাউকে) কষ্ট দেয় না,
তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের
কাছে পুরস্কার আছে এবং তাদের
জন্য কোন আশঙ্কা নেই
এবং তারা দুঃখিত হবে
না।" (২:২৬২)
দান করার পর গ্রহীতাকে দানের খোটা দিও না:"যে দানের ফলে মানুষকে কষ্ট দেয়া হয়, সেই দানের চেয়ে মিষ্টি কথা বলা এবং ক্ষমা শ্রেয়। আল্লাহ তা'আলা সম্পদশালী, সহিঞ্চু"। (২:২৬৩) (সংগ্রহে ওবাইদুল্লাহ )
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা তিনি ২৮ জুন, ১৯৪০ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শুরুতে তিনি তার গ্রামের মহাজন ফকিরের স্কুল নামে একটি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৪৪ সালে লামাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটসে যোগদান করেন এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। ১৯৫৭ সালে মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিএ এবং এমএ সম্পন্ন করেন। স্নাতকের পর কর্মজীবনের শুরুতেই মুহাম্মদ ইউনূস ব্যুরো অব ইকোনমিক্স - এ গবেষণা সহকারী হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরিচিতি বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন হচ্ছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ । ২০২৪ সালে বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এটি গঠিত হয় এবং এটি কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তীতে অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ২০২৪ সালের ১ জুলাই সংগঠনটি সৃষ্টি হয় এবং সৃষ্টির পরপরই আন্দোলন সফল করার জন্য ৮ জুলাই সংগঠনটি ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করে, যার মধ্যে ২৩ জন সমন্বয়ক ও ৪২ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। আন্দোলনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার পর ৩ আগস্টে সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক দল গঠন করে, যার মধ্যে ৪৯ জন সমন্বয়ক ও ১০৯ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে একাধিক সমন্বয়ককে এই সংগঠনের নেতৃত্বে দেখা গেছে। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত রশিদ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সারজিস আলম,
স্নায়ুযুদ্ধ কী ও কেন? স্নায়ুযুদ্ধ হচ্ছে যার আরবী হচ্ছে ; ‘আল গাযউল ফিকরী’ বা বুদ্ধি ও কৌশলের যুদ্ধ। পরিভাষায় বলা যায়-স্নায়ুযুদ্ধ এমন যুদ্ধ যাতে সৈন্যবাহিনী ও অস্ত্র-শস্ত্রের প্রয়োজন হয় না। কোনো ধরনের রক্তপাত হয় না । অর্থাৎ এমন প্লান ও পরিকল্পিত কাজ যা মানবজীবনে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও চারিত্রিক জীবনে প্রভাব ফেলে। এ কাজে ইসলামের শত্রুরা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রগুলোতে মুসলিমদেরকে তাদের দীন থেকে দূরে সরিয়ে রাখে, মুসলিমদের ঐক্য বিনষ্ট করে, তাদের সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করে এবং তাদের শক্তিকে দুর্বল করে তাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে, চাই সেটি সরাসরি হোক কিংবা গোপনীয়ভাবে হোক; রাজনৈতিকভাবে হোক কিংবা অরাজনৈতিকভাবে হোক; সেটি মিলেটারি দিয়ে হোক কিংবা মিলেটারি ছাড়া হোক। বর্তমান মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেয়া স্নায়ুযুদ্ধ।
ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মানুষ কিছু আনন্দ এবং স্মৃতিকে আপন করে নেয়। আর এ আপন করে নেয়ার বিভিন্ন স্তর এবং সময়ের পথ ধরে সংস্কৃতির বিকাশ। প্রতিটি জাতি ও সভ্যতা সংস্কৃতির মাধ্যমে খুঁজে পায় তার নিজস্ব অনুভূতি এবং স্বকীয় বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশী ও বাঙালী জাতি হিসেবে, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আমাদের এমন একটি উৎসব হল পহেলা বৈশাখ। স্বাগতম, সুস্বাগতম বাংলা নববর্ষ। আমরা সবাই প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল ১ বৈশাখের এই দিনটি পালন করে থাকি। কিন্তু আমরা সবাই কি জানি বা কেউ জানার চেষ্টাও করেছি-কি এই পহেলা বৈশাখের ইতিহাস।