অনুসরন করুন :
আল-কুরআন

আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯

আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...

বিস্তারিত
আল-হাদীস

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...

বিস্তারিত
সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...

বিস্তারিত

বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরকার, অথবা আরও এগিয়ে বললে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বিপ্লবী সরকার। প্রধান উপদেষ্টাসহ এই সরকারে ২১ জন উপদেষ্টা রয়েছেন। প্রথমত উপদেষ্টা নির্বাচন দেখে স্বাভাবিক ভাবেই এটা চিন্তা করা যায় যে, এটি একটি নিরপেক্ষ সরকার হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও যে কথাটি সত্য তা হচ্ছে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ অনেকেই নেই। ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলাফল হিসেবে এই সরকারে দুজন ছাত্র নেতাকে উপদেষ্টা নির্বাচন করা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে একটি ভালো দিক। সরকারে তারুণ্য ধরে রাখার জন্য এই জাতীয় সিদ্ধান্ত অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু যে কোন বিপ্লবেরই যেমন প্রতি বিপ্লব হয়, যে কোন গণঅভ্যুত্থানেরই যেমন প্রতিঅভ্যুত্থানের আশঙ্কা থাকে, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় নি। যদিও প্রতি বিপ্লবীরা সফলকাম হতে পারেনি, তবুও সরকার গঠন করার পর থেকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে বিভিন্নভাবে প্রতি বিপ্লবের বেশ কয়েকটি চেষ্টা করা হয়েছিল। জাগ্রত ছাত্রছাত্রীবৃন্দ তাদের শারীরিক এবং মানসিক শক্তি ব্যয়ের মাধ্যমে, সেই প্রতি বিপ্লব ঠেকিয়ে দিয়েছে। এই ক্ষেত্রে কখনোই আমরা এ কথা বলবো না যে, এই গণঅভ্যুত্থান এবং বিপ্লব শুধুমাত্র ছাত্রদের দ্বারাই সংগঠিত হয়েছে। হ্যঁা ছাত্রছাত্রীরা রাজপথে বুক টান করে দাঁড়িয়েছে, পাশাপাশি তাদের পিতামাতা, অভিভাবক তথা আপামর জনসাধারণ তাদের প্রতি আকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে এইসব প্রতি বিপ্লবকে ঠেকিয়ে দিয়েছে। আমরা তাই এ দেশের ছাত্র জনতার এই বিপ্লবকে কখনোই একটি গোষ্ঠীর চাওয়া বা পাওয়া হিসেবে বিচার করব না। এই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরী করতে রক্ত ঢেলেছে শিশুকিশোর, ছাত্র, জনতা, সাংবাদিক, শ্রমিক সাধারণ দেশপ্রেমিক জনতা, তথা সমাজের প্রত্যেকটি স্তর থেকে রাজপথে নামা দেশপ্রেমিক জনগোষ্ঠী। এই অর্জন শুধুমাত্র ছাত্রদের নয়। তবে প্রতিটি প্রতি বিপ্লব ঠেকিয়ে দেয়ার জন্য ছাত্রদেরকে থাকতে হয়েছে সদা জাগ্রত, অকুতোভয়, লোভলালসার ওপর, হুমকিধমকির ওপর। আমরা ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে এই অর্জনকে চিরদিন মনে রাখব। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সম্বলিত সমৃদ্ধ ব্যক্তিদের অনুপস্থিতির কারণে কেউ কেউ এই অন্তর্বতীর্কালীন সরকারকে একটি এনজিও সরকার হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ একটি বিশেষ অঞ্চলের সরকার হিসেবেও এই সরকারকে আখ্যা দিয়েছেন। যে যাই বলুন না কেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ভাবতে হবেকথাগুলোর সত্যতা কতটুকু। কারণ একটি দেশ পরিচালনার জন্য যে অভিজ্ঞতা দরকার সেটা না থাকার ফলে ধীরে ধীরে, দিনরাত, সপ্তাহমাস অতিক্রমের পর অনেক দুর্বলতাই ফুটে উঠেছে। এই দুর্বলতাগুলো এভাবে ফুটে উঠত না যদি সার্বিকভাবে চিন্তা ভাবনা করে সরকারের সদস্যদেরকে নির্বাচন করা হতো। সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব দেশের পচন ধরা সেক্টরগুলোতে সংস্কার কার্য পরিচালনা করা। দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, আইনের শাসন, বিচার বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সর্বোপরি নির্বাচন কমিশন সহ প্রশাসন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঘৃণ্য এক দলীয় অক্টোপাসের হাত থেকে উদ্ধার করে প্রকৃত অর্থে সংস্কার করা। কমপক্ষে এই সংস্কার সম্পন্ন না হলে ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয় এমন একটি নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়। যদি কেউ মনে করেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে একটি যেন তেন নির্বাচন দিয়ে নতুন একটি গোষ্ঠীকে, অথবা জনগণের রায় নিয়ে কোন একটি গোষ্ঠীকে মসনদে বসানোর জন্যতাহলে আমাদের কোথাও ভুল হচ্ছে। এই সংস্কার কার্য সম্পাদন করা আমাদের পক্ষে এখনো সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি প্রতি বিপ্লব বা প্রতি বিপ্লবের ষড়যন্ত্র মোটেই থেমে থাকেনি। এই গণঅভ্যুত্থান এবং গণ বিপ্লবের পেছনে গত প্রায় ১৬ বছর ধরে যারা ইতিবাচকভাবে দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে, এ দেশের মানুষকে একটি পরাধীনতার শৃংখল মুক্ত হওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেছেন, সেই সব সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, ইউটিউবার বন্ধুদেরকে ভুলে গেলে চলবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রতিটি মুহূর্তে গাইডলাইন দেয়ার জন্য তারা নিরলস ভাবে এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি পদক্ষেপের পরপর কোথায় তারা ভুল করছেন, কোন লোকটি নির্বাচনে তাদের ভুল হচ্ছে, কোন কথা বলতে গিয়ে তাদের ভুল হচ্ছে — এই বিষয়গুলো এখনো সেই সকল সাংবাদিক এবং বিশ্লেষকরা কোনরকম কৃপণতা ছাড়াই সরকারকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সরকার অথবা সরকার যন্ত্রের যে কেউই, যে কোন ভাবেই এইসব বিষয়গুলোকে নিন না কেন, দেশের জাগ্রত প্রতিটি মানুষ দিবালোকের মতোই তা অবলোকন করছে। আমরা সেই সব সাংবাদিক, বিশ্লেষক বন্ধুদেরকে কখনোই ভুলবো না। যারা প্রতিটি মুহূর্ত ছায়ার মত গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্রজনতার পিছনে সাহস যুগিয়েছেন, উদ্দীপিত করে তুলেছেন, সর্বোপরি তাদের গবেষণালব্ধ তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে যেভাবে প্রতিটি মুহূর্ত সকলের পাশে রয়েছেন, জাতি তাদেরকে কখনোই ভুলবেনা। প্রায় ১৬ বছরের জগদ্দল পাথর সরে গেছে, আর এই থেকে নতুন যারা ক্ষমতায় আসবেন তাদের প্রত্যেককে প্রতিটি বিষয়ে অভিজ্ঞতা নিতে হবে, শিক্ষা নিতে হবে — কি করলে ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়, কি করলে মানুষের ঘৃণা পাওয়া যায়, কি করলে একটি জাতিকে ধ্বংস করা যায়, কি করলে একটি দেশের অর্থনীতিকে ভেঙে চুরমার করে দেয়া যায়, কি করলে একটি দেশের শিক্ষাকে ধ্বংস করে নতজানু পদলেহি শিক্ষা ব্যবস্থা আমদানি করা যায়, যার ফল হিসেবে ১৬ বছর ক্ষমতার দাপটে বিচরণ করা সরকারের মাথা থেকে পা পর্যন্ত সকলকে পালিয়ে বেড়াতে হয়? এসব নিয়ে চিন্তা না করে যদি কেউ তাদের মতোই হয়, তাহলে পরিণতি তাদের জন্য ভয়াবহভাবে অপেক্ষা করবেএতে সন্দেহ নেই। আমাদের একটি কথা মনে রাখা দরকার, আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সেই স্বাধীনতা কখনোই যেন অরক্ষিত না হয়। কারণ এ দেশের সূর্য সন্তানেরা বলে গেছেন, ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা। আমরা যেন সেই পরাধীনতার শৃংখল আবার পড়তে বাধ্য না হই। সময় খুব বেশি নেই। আমাদের প্রতিটি মুহূর্তকে অনেক অনেক মূল্য দিয়ে সুচিন্তিতভাবে পরামর্শের ভিত্তিতে দেশ গঠনমূলক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ব্যাংকিং সেক্টরের কথা, অর্থ পাচারের কথা, বস্তায় বস্তায় টাকার পাহাড় গড়ে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করার যে কাজটি বিগত সরকারের তল্পিবাহকেরা করেছে তা থেকে উত্তরণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ সমস্যা একবার নেমে যায়, আবার উদ্ধার হয়, আবার নেমে যায়, আবার ঘুরে দাঁড়ায়; এভাবেই চলে আসছে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী দিনগুলোতে। এই ক্ষেত্রে দেশের রেমিটেন্স যোদ্ধারা যে ভূমিকাটি দেশের জন্য রাখছেন তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। প্রতিটি বিপর্যয়ের সময় রেমিটেন্স যোদ্ধারা তাদের দুঃসাহসিক ভূমিকার মাধ্যমে তাদের ঘামঝরা, রক্তঝরা অর্জনের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে চাঙ্গা করে তুলেছেন। তাদের অবদান এ জাতি কখনোই ভুলতে পারে না। কখনোই তাদেরকে অবমূল্যায়ন করতে পারে না। তাদের পাশাপাশি ব্যাংক লুটেরা, ঋণ খেলাপিরা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম তৈরী করার প্রবক্তারা যে অন্যায়গুলো করেছে সেগুলো আমাদের স্মরণ রাখতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আর্থিক খাতে যেসব অর্থনীতিবিদ কাজ করে যাচ্ছেন, তারা সব সময় চিন্তা করছেন, প্রায় দু লাখকোটি টাকা যা দেশের বাইরে চলে গেছে, সেই টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য। আমরা জানি এ কাজটি যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তারপরও তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকতে হবে। সেই ক্ষেত্রে যে যেখান থেকেই সম্ভব তাদেরকে সমর্থন দিয়ে, সহযোগিতা দিয়ে, বুদ্ধিপরামর্শ দিয়ে, উজ্জীবিত করে রাখতে হবে। পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে, বৈদেশিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে, যেসব দেশে আমাদের এই প্রায় দু লাখ কোটি টাকা গেছে, সেই টাকা ফেরত আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। কমিশনভোগী স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে, কোন ধরনের আবেগ অথবা অনুরাগের কারণে এই স্বৈরশাসনের পুনর্বাসন কেউ আশা করে না। এ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেশ কয়েকটি সংস্কার কার্য পরিচালনার জন্য কমিটি গঠন করেছেন, ইতিমধ্যে এইসব কমিটির সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে প্রতিটি ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক এবং স¦স¦ সংস্কার পটভূমির সংশ্লিষ্টতা লক্ষ করে সঠিক লোক নির্বাচনের জন্য দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিটি দায়িত্বশীল, বিষয়গুলোকে শুধু কথার কথা না ভেবে, এই পরামর্শ গুলোকে মনিটরিং করে, এ থেকে উপকারী বিষয়গুলোকে গ্রহণ করবেন বলে আমরা আশা করছি। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি গোষ্ঠীকে অনুরোধ জানাবো ‘নহে সমাপ্ত কর্ম মোদের অবসর কোথা বিশ্রামের কবি ফররুখ আহমদের সেই চির অম্লান কথার মত এ দেশ গঠনের সফল পর্যায়ে না যেতে, আমরা বিশ্রামের কথা ভাববো না। এ ক্ষেত্রে তারুণ্যে দীপ্ত ছাত্রছাত্রী সমাজ সব সময় অতন্দ্র প্রহরীর মত জাগ্রত থাকবে এটাই প্রত্যাশা। বিগত সরকারের দলীয় নিয়োগের ফলে, আমাদের পুলিশ বাহিনী, আনসার বাহিনীসহ প্রত্যেকটি বাহিনীতে যে সমস্যা তৈরী হয়েছে, তার ফলাফল আমরা এখনো পাচ্ছি, হয়তো আরো পেতে হবে। দলীয় অন্ধত্ব নয়, মেধার বিচারে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যাতে কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করে সামনের দিনগুলোতে আমাদের এগোতে হবে। এই ক্ষেত্রে দলান্ধ যত মেধাবী হোক না কেন, তাদেরকে পরিহার করতে হবে, বয়কট করতে হবে। তাদের সাহায্য নিয়ে এই দেশ গঠন করা সম্ভব নয়, তা রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রমাণীত হয়েছে বিগত দিনগুলোতে। ‘কোন মুমিন ব্যক্তি একই গর্ত থেকে দুবার দংশিত হয় না’— মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই মহা মূল্যবান বাণীর দিকে তাকিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা শিক্ষা নিব, একটি সুন্দর দেশ উপহার দেয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালাবো। কাউকে আক্রমণ না করে, সুন্দর সুন্দর পরামর্শ দেবো। তাহলে আমাদের বিজয় নিশ্চিত ভাবে স্থায়ী রূপ নিবে। দেশের আইন শৃঙ্খলা বিপ্লবোর সরকারের প্রথম দিন থেকেই অনেকটা এলোমেলো ছিল। পুলিশ প্রশাসন নির্বাক ছিল। দলীয় অন্ধ অনুকরণশীল সেই পুলিশ, জনতার পরিবর্তে একটি দলের হয়ে কাজ করেছিল। আনসাররা সুযোগ বুঝে বিপ্লব করেছিল। ধীরে ধীরে সেই কালো মেঘ সরে গেছে। এ দেশের সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দেশ আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা পরিচালনা করা দরকার। বিজিবিসহ তিন বাহিনীর প্রচেষ্টায় র‌্যাবপুলিশসহ যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে, বিষয়টি কাল বিলম্ব না করে বাস্তবায়ন করা দরকার। আমরা যেন কেউ আইন নিজের হাতে তুলে না নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রে অপরাধীদেরকে আইনের হাতে তুলে দেই। প্রতিহিংসা ভুলে যাই। একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে যাতে আমাদের পরিচয় দিতে কোন ধরনের কুন্ঠা বোধ জাগ্রত না হয়, সেই দিকে নজর রাখি। দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করি। মহান স্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সহায়।

0 | দেখেছেন : 20 |

সম্পর্কিত খবর

আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা

প্রাণের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভ করেছিলাম। উদিত হয়েছিল বাংলাদেশের সূর্য। বিগত প্রায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলাম। মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমা-ার বলেছিলেন ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা’। আমরা স্বাধীনতা পেলাম, সদ্য-ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট সরকারের শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার স্বাধীনতা। আ

রমজান আসে রমজান যায়

১.রমজান আসে রমজান যায়। বিশ্ব মুসলিমের মুক্তির বারতা নিয়ে প্রতি বছর রমজান আসে প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে। কিন্তু কম সংখ্যকই এই রমজানের মুক্তির বারতা গ্রহণ করতে পারে। খুব কম সংখ্যকই এই সুয়োগ কাজে লাগায়। শয়তানের কুটচালে বন্দী হয়ে মানুষ নামী শয়তানগুলো এই রমজানের স্রষ্টার সাথে নানা ধরনের হঠকারিতার আশ্রয় নেয়। আমাদের বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক না কেনো? রমজান আসতে দু’মাস কিংবা দেড় মাস বাকী। এরি মধ্যে মজুদদাররা নব নব পন্থায় তাদের অসাধু ব্যবসায়িক হিসেব কষতে শুরু করেছেন। রমজানে দ্রবমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে। তাই তারা রমজানের দু’মাস আগে থেকেই বাজার গরম করে ফেলে। এবারও তাই হলো। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হুহু করে বাড়িয়ে দিল। যে চাল গত রমজানে মানুষ ৪৫/৪৬ টাকা করে খেয়েছে, সে চাল ব্যবসায়ীদের কারসাজীতে ৫৯/৬০ টাকা করে কিনতে হবে কেন? ফলন ভালো, আমদানী-রপ্তানী ভালো, তাহলে কি কারণে চালের দাম ১০/১৫ টাকা বেশী হবে এক বছরের মাথায়।?

মানুষ আল্লাহর সেরা জীব

মানুষ আল্লাহর সেরা জীব। আশরাফুল মাখলুকাত। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি জীন ও ইনসানকে আমার ইবাদত করার জন্যেই শুধূমাত্র সৃষ্টি করেছি’। মানুষের আদি সৃষ্টি মাটি হতে আর জীন জাতির সৃষ্টি আগুন হতে। এই বিশ্বে যত প্রাণী বা সৃষ্টি রয়েছে তার মধ্যে মানুষ ও জীন জাতির বিবেক রয়েছে। আর তাই এদেরকে সৃষ্টি করা

আজ ১৪ এপ্রিল

আজ ১৪ এপ্রিল। বাংলা সনের প্রথম দিন। পহেলা বৈশাখ। পৃথিবীর কোন বাংলা ভাষাভাষি সমাজে কিছু ঘটুক বা না ঘটুক বাংলাদেশে কিন্তু আজ ঘটবে মহাযজ্ঞ। এই দিনের জন্যে চৈত্রের আগমনের সাথে সাথেই শুরু হয় এই মহা আয়োজন। এই মহাযজ্ঞের প্রস্তুতি। শতকরা ৮৫ ভাগ মুসলিমের দেশে হিন্দুয়ানী কায়দায়, হিন্দু ধর্মীয় আচার-আচরণ নির্ভর কিছু অনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে, হিন্দু ধর্মীয় আক্বিদাহ বিশ্বাসকে উপজীব্য করে আজ পালিত হবে পহেলা বৈশাখ। ১৯৮৫ সালে যশোরে শুরু হয়েছিল নববর্ষ উপলক্ষে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা। তখন এই শোভাযাত্রার উদ্দেশ্য ছিল একরকম। কালক্রমে এখন তা মঙ্গল শোভাযাত্রা। একজন সুশীলের বক্তব্য অনুযায়ী প্রথমেই মঙ্গল শোভাযাত্রা তাদের মাথায় ছিল, কিন্তু কেউ আবার “ভুল বুঝবে” তাই তারা প্রথমে এ নামটি দেয়নি। ১৯৮৯ সালে এ শোভাযাত্রা ঢাকার চারুকলায় আমদানি করা হয়।