আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯
আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...
বিস্তারিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...
বিস্তারিতবাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...
বিস্তারিত
ছবি : সংগৃহীত
সংস্কার ১৬ নভেম্বর ২০২৫ : কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের বা অমুসলিম ঘোষণাসহ ছয় দফা দাবি পেশ করেছে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদ। সৌদি আরব, মিসর, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখ ও ধর্মীয় স্কলারদের উপস্থিতিতে গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো দ্বীনী ও তৌহিদী জনতার ঢলে সংগঠনটি এই দাবি জানায়। খতমে নবুওয়তের এই মহাসম্মেলনে বক্তারা বলেন, ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের অংশ হিসেবে খতমে নবুওয়তের আকীদা গুরুত্বপূর্ণ। যারা তা মানে না, তাদের ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী পরিচিত করা উচিত। কাদিয়ানীরা ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়তের ধারাকে গ্রহণ করে না। তাই কাদিয়ানীদের আর মুসলমান বলা যায় না। তাদের কাফের বা অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। কাদিয়ানীরা বাংলাদেশে সম্প্রতি বিভিন্ন নতুন আস্তানা তৈরি করেছে এবং এদের কার্যক্রম দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিতর্ক ও উদ্বেগের সৃষ্টি করছে। আলেম-উলামারা বলেন, দেশের সংবিধান ও সেক্যুলার রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে এ ধরনের ধর্মীয় দাবিগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে খতমে নবুওয়তের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য বাস্তবায়ন এবং কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা এই আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোসহ সবাইকে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সমর্থন করতে হবে। খাতমে নবুওয়ত আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই দাবিটি তাদের দীর্ঘদিনের নীতিগত অবস্থান এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের অংশ। সরকার এটিকে অবশ্যই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্য সংখ্যালঘুরা যেভাবে শান্তিতে বসবাস করছে, কাদিয়ানীরাও অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে এদেশে বসবাস করবে। মুসলমানরা তাদের নিরাপত্তা দেবে। সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের মহাসম্মেলনকে ঘিরে সকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো তৌহিদী জনতার ঢল নামে। সারাদেশ থেকে বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র ও পীর-মাশায়েখদের ভক্ত আশেকানরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশে এসে খুব সকালেই জড়ো হন। সমাবেশ সকাল নয়টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই গোটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশ এলাকা, রাজপথ সবই জনস্রোতে মুখর হয়ে ওঠে। মৎস্য ভবনের সামনে থেকে শাহবাগ মোড় পর্যন্ত রাস্তায় জনতার ঢল নামে। তবে সর্বত্রই ছিল শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। বিভিন্ন গ্রামের মাদ্রাসা থেকে আসা ছাত্ররা ছিল নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে পরিচালিত। লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতির মধ্যে ছিল না কোনো বিশৃঙ্খলা। এমন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ দেখে সাধারণ মানুষ অভিভূত। অনেকে এই সমাবেশের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মন্তব্য করেছেন যে, আমাদের দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর এদের কাছ থেকে নিয়ম শৃঙ্খলা শিক্ষা করা দরকার। লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে কিভাবে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা যায় তা তারা দেখিয়ে দিয়েছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবিধানে মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস সংযোজন করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস তুলে ফেলেছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা হবে। বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আল্লাহ রাসূল সা.-কে গোটা বিশ্বে রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন। রাসূল সা. নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন আমার পর আর কোনো নবী আসবে না। তিনি বলেন, আমরা আখেরি নবী সা.-এর কালেমা পড়েই মুসলমান হয়েছি। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইনশা আল্লাহ আল্লাহর রহমতে এবং জনগণের সমর্থনে বিএনপি যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় সকলের সহযোগিতায় জাতীয় সংসদে খতমে নবুওয়তের প্রস্তাবনা আইনিভাবে মেনে নেব। তিনি বলেন, যারা রাসূল সা.-কে শেষ নবী মানে না তারা মুসলমান নয়। বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মুসলিম জাতির মধ্যে বিভক্তির কারণেই ফিলিস্তিন, গাজা ও মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা এবং খতমে নবুওয়তের পবিত্র আকিদা রক্ষার দাবি নিয়ে আয়োজিত এ মহাসম্মেলনে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শীর্ষ আলেমরা। বিদেশি অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি প্রখ্যাত স্কলার মাওলানা ফজলুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের (ভারত) সভাপতি মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ মাদানি,বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তানের মহাসচিব মাওলানা হানিফ জালন্দরি, ইন্টারন্যাশনাল খতমে নবুওয়ত মুভমেন্টের ওয়ার্ল্ড নায়েবে আমির শায়খ আব্দুর রউফ মক্কি, পাকিস্তানের টাউন মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম ড. আহমাদ ইউসুফ বিন্নুরী, পাকিস্তানের মাওলানা ইলিয়াছ গুম্মান, মাওলানা এরফানুল হাক্কানী, মাওলানা আব্দুল গফুর হায়দারী, মাওলানা সৈয়দ মো. কাফিল বোখারী, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী, মাওলানা সাঈদ ইউসুফ আজাদ
কাশ্মির এবং মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শায়খ মুসআব নাবীল ইবরাহিম। সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের উদ্যোগে এবং খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত মহাসম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত খতমে নবুয়ত পরিষদের আহ্বায়ক ও খতমে নবুয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমির মাওলানা আবদুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর। মহাসম্মেলনে ঘোষণা পাঠ করেন মাওলানা মাহফুজুল হক এবং কর্মসূচি ঘোষণা করেন মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী। মহাসম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ মুহিববুল্লাহ বাবুনগরী, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফী, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ আল হাবিব, ড. মুফতি সৈয়দ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব শাইখুল হাদিস ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, মাওলানা হাসান জামিল, মুফতি জসিম উদ্দিন, মাওলানা সালাহ উদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা আবু তাহের নদভী, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা খালেদ ছাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মুফতি মোবারক উল্লাহ, মাওলানা রশিদুর রহমান ফারুক, হেফাজতে ইসলামের আমীরের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা শাব্বির আহমেদ রশিদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, শায়খুল হাদিস মুফতি মুহাম্মদ রশীদুর রহমান ফারুক বর্ণভী (পীর সাহেব বরুণা), জামায়াতে ইসলামীর নেতা প্রিন্সিপাল খলিলুর রহমান মাদানী, মাওলানা আব্দুল বাসেত খান, যাদুরচর মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আলী আকবার কাসেমী, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা জাবের কাসেমী, মুফতি নেয়াতম উল্লাহ আল ফরিদী, মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, জাতীয় ইমাম পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহহিয়া, মুফতি নুর হোসেন নূরানী, মাওলানা রেজাউল করীম আবরার, ড. শোয়াইব আহমদ ইউকে, বেফাক পটুয়াখালীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো. আব্দুল হক কাওসারী, মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হান্নান আল হাদী। সঞ্চালনায় ছিলেন মাওলানা আবুল কাশেম আশরাফ, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আজহারী ও মাওলানা আহমাদ উল্লাহ। মহাসমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম খান বক্তব্য দেয়া শুরু করলে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে হৈ চৈ শুরু হয়। একপর্যায়ে জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম খান কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করা হবে।
ঐতিহাসিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে দেশি-বিদেশি অতিথিবৃন্দের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মুবারকবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, খতমে নবুওয়ত মুসলমানদের ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমগ্র মানবজাতির শেষ নবী ও রাসূল। তাঁর পরে আর কোনো নবীর আগমন ঘটবে না এ বিশ্বাসই ঈমানের মূল ভিত্তি। উনবিংশ শতাব্দীতে ইংরেজ শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নামের এক ব্যক্তি নবুওয়তের মিথ্যা দাবি করে ইসলামের মৌলিক আকীদা বিকৃত করার অপচেষ্টা চালায়। এর ফলেই মূলত ‘কাদিয়ানী মতবাদ’ নামে একটি ভ্রান্ত সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটে। কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াস দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, হযরত মুহাম্মদ সা.-ই সর্বশেষ নবী। বিশ্বের সকল আলেম-উলামা, মুফতি ও ইসলামি চিন্তাবিদগণ সর্বসম্মতিক্রমে কাদিয়ানী মতবাদকে ইসলামবিরোধী ও ভ্রান্ত হিসেবে ঘোষণা করেছেন। পৃথিবীর বহু মুসলিম রাষ্ট্র যেমন, পাকিস্তান, সিরিয়া, মিসর ও আযাদ কাশ্মীর রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করেছে। এছাড়া রাবেতায়ে আ‘লমে ইসলামির সম্মেলনে ১০৪টি দেশের প্রতিনিধিরাও কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করেছেন। এমনকি ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশের হাইকোর্টের এক রায়েও কাদিয়ানীদের আইনের দৃষ্টিতে অমুসলিম বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লামা বাবুনগরী বলেন, মুসলমানদের ঈমান আকীদা হেফাজত রাখতে এবং তাদের ধোঁকাবাজি ও অপতৎপরতা রোধে এখনই কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। এটি হেফাজতের ১৩ দফা দাবির অন্যতম এক দাবি। আমরা আকীদায়ে খতমে নবুওয়তের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবো না। আমরা এ ব্যাপারে দৃঢ়তার সঙ্গে অটল এবং ঐক্যবদ্ধ আছি ইনশা আল্লাহ।
ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব বলেন, কাদিয়ানী সম্প্রদায় মিথ্যা নবুওয়তের দাবিদার। এরা ইসলামের কোনো পরিভাষা ব্যবহার করতে পারবে না। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, কাদিয়ানীরা কাফের। জাতীয় সংসদে আইন পাস করে কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, আল্লাহ পবিত্র কোরআনে রাসূল সা.-কে শেষ নবী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। কাদিয়ানীরা ব্রিটিশদের তৈরিকৃত মিথ্যা নবীর দাবিদার। তারা ইসলামের পরিভাষা ব্যবহার করে প্রতারণা করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, আমরা শাপলা চত্বরে রক্ত দিয়েছি, ২০২৪-এ জুলাই অভ্যুথানে রক্ত দিয়েছি। কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামীর বর্তমান আমির আল্লামা মুহিববুল্লাহ বাবুনগরী ও মধুপুর পীর সাহেব ডাক দিলে আবার ৫ মে হবে। ঢাকা ঘেরাও, জাতীয় সংসদ ঘেরাও হবে। কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে বাংলাদেশ থমকে দাঁড়াবে। প্রয়োজনে আমরা রক্ত দেবো তবু জাতীয় সংসদে আইন পাস করে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর বলেন,নবীর পরে নবী নাই, বেদায়াতের হেদায়েত নাই। কাদিয়ানীরা কাফের। যারা এদের কাফের মনে করবে না তারাও কাফের। মধুপুর পীর সাহেব বলেন, যারা কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের প্রতি ভালোবাসা দেখাবে তাদের তওবা করে ফিরে আসতে হবে। অবিলম্বে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করুন। না হয়, খুনি হাসিনার মতো পালাতে হবে। পাকিস্তান জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, আজকের এই ঐতিহাসিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের বরেণ্য উলামায়ে কেরামের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এই উপমহাদেশের সকল স্তরের সকল ঘরানার মুসলমানগণ এই বিষয়ে একমত যে, শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরে আর কোনো নবী থাকতে পারে না। যদি কেউ এমন নবী হওয়ার দাবি করে, তাহলে সে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যায়। তিনি বলেন,বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলনপ্রিয়। এখানে মানুষ স্রোতের মতো ধেয়ে চলে,সাইক্লোনের মতো আছড়ে পড়ে। তবে আমি বলতে চাই আন্দোলন কঠোরতার নাম নয়। আন্দোলন ধারাবাহিক কর্মসূচি পালনের নাম। খতমে নবুওয়ত প্রশ্নে আজ ঐক্যের যে নজিরবিহীন দৃশ্য আমরা দেখতে পাচ্ছি, ভবিষ্যতে তার সুফল অবশ্যই পাওয়া যাবে। প্রিয় বন্ধুগণ, পাকিস্তান থেকে যেসব উলামায়ে কেরাম এখানে যোগদান করেছেন, তারা শুধু হাজিরা দেওয়ার জন্য আসেন নি। বরং আপনাদের প্রতি মুসলিমপ্রধান পাকিস্তানি জনগণের ভ্রাতৃত্ববোধ ও গভীর ভালোবাসার পয়গাম নিয়ে এসেছেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান দু’টি দেশ নিজ নিজ নীতিতে চললেও মুসলমানিত্ব ও ইসলামের পরিচয়ে আমরা সকলে এক ও অভিন্ন। আমরা এক উম্মত। এক সমাজ। আমরা আজ এক আকীদা নিয়ে কথা বলতে এসেছি। যে বিষয়ে আমরা অত্যন্ত দৃঢ় ও মজবুত বন্ধনে আবদ্ধ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত খতমে নবুওয়ত মহাসমাবেশের উদ্যোক্তাদের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, আপনাদের বার্তা আমরা পাকিস্তানের মুসলমানদের জন্য বহন করে নিয়ে যাব। আমরা আশাবাদী, আমাদের দুই দেশের জনগণের ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ এই সুসম্পর্ক আরো দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হবে ইনশা আল্লাহ। মহাসম্মেলন থেকে সর্বসম্মতভাবে ছয় দফা দাবি সংবলিত একটি ঘোষণাপত্র পেশ করা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে,
অমুসলিম ঘোষণা : আহমদিয়া সম্প্রদায় ইসলামের দৃষ্টিতে কাফের সংখ্যালঘু অমুসলিম। তারা ‘আহমদিয়া মুসলিম জামাত’ নামে নিজেদের পরিচয় দিতে পারবে না এবং সব ক্ষেত্রে ‘কাদিয়ানী সম্প্রদায়’ নামে পরিচিত হবে।
ইসলামী পরিভাষা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা: কাদিয়ানীরা তাদের ধর্মকে ইসলাম আখ্যায়িত করতে পারবে না এবং কালিমা, নামাজ, রোজা, জাকাত, আজান, ঈদ, কোরবানি ইত্যাদি কোনো ইসলামী পরিভাষা ব্যবহার করতে পারবে না।
উপাসনালয় ও নিদর্শন : কাদিয়ানীরা তাদের উপাসনালয়কে মসজিদ নামকরণ করতে পারবে না। সেটি ‘কাদিয়ানী উপাসনালয়’ হিসেবে পরিচিত হবে। এছাড়া সাহাবি, উম্মুল মুমিনিনের মতো কোনো ইসলামী বিশেষ নিদর্শন তারা ব্যবহার করতে পারবে না।
বিয়ে সম্পূর্ণ হারাম : কাদিয়ানীদের সঙ্গে মুসলমানের বিয়ে ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণরূপে হারাম। পরিচয় গোপন করে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানাজা ও উত্তরাধিকার: কাদিয়ানীদের জানাজা পড়া যাবে না এবং কবরস্থানে তাদের লাশ দাফন করা যাবে না। কাদিয়ানী ও অমুসলমানের মাঝে কোনো উত্তরাধিকারের বিধান প্রযোজ্য হবে না।
প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা : কাদিয়ানীরা ইসলাম প্রচারের নামে কুরআনের বিকৃত অনুবাদ কিংবা কোনো বই, পুস্তিকা, লিফলেট ইত্যাদি ছাপতে বা প্রচার করতে পারবে না।
ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকের ধর্ম ইসলামের সুরক্ষা, কাদিয়ানীদের সংখ্যালঘু অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখার স্বার্থে অবিলম্বে উপরোক্ত ঘোষণা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে।
কর্মসূচি : মহাসম্মেলনে চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়, কর্মসূচি হচ্ছে, ১. আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গণস্বাক্ষর, ২. মে ও জুন মাসে প্রতি জেলায় ডিসির কাছে স্মারকলিপি পেশ, ৩.আগামী জুলাই থেকে নভেম্বর বিভাগীয় খতমে নবুওয়ত সম্মেলন ও ৪. আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সংস্কার/ইএফহ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই নানা মহল থেকে ভোটপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কিছু প্রচেষ্টা দৃশ্যমান হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তার ভাষায়, নির্দিষ্ট কিছু গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য স্পষ্ট নির্বাচনের গতি থামিয়ে দেওয়া। আজ সোমবার ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দ
২০২৪ এর ঐতিহাসিক জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামীর বাংলাদেশ চলবে। ২৪-এর জুলাই সনদের সাথেই আগামী দিনের বাঁচা-মরার প্রশ্ন জড়িত। জুলাই সনদের আইনী ভিত্তির মাধ্যমেই ত্রয়োদশ নির্বাচন দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। ক্ষমতার লোভে যারা পূজামন্ডপে গিয়ে রাম কৃষ্ণের জয়-গান গেয়েছেন আগামী নির
ভারতের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে বিএনপি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, ভারতীয় মিডিয়া ‘এই সময়’-এ প্রকাশিত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাক্ষাৎকারটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মনগড়া। আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া অন্য কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন উপলক্ষ্যে অস্ত্র বহন করতে পারবেন না বলে ডিএমপি জানিয়েছে। আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) থেকে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী