আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯
আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...
বিস্তারিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...
বিস্তারিতবাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...
বিস্তারিত
ছবি : সংগৃহীত
সংস্কার ১৬ নভেম্বর ২০২৫ : দেশের ব্যাংকিং খাতে নজর কাড়া আলোচিত প্রভিশন ঘাটতির বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের সাম্প্রতিক আবেদন ঘিরে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। ১৫ অক্টোবর ২০২৫, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ব্যাংকটি যে ডেফারাল সুবিধার আবেদন করেছিল, তা ইতোমধ্যে অনুমোদন পেয়েছে। একইসঙ্গে ঘাটতি মোকাবিলায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনাও জমা দেওয়া হয়েছে, যেখানে ধাপে ধাপে সমস্যা সমাধানের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। তবে এই ঘাটতির অঙ্ক এত বৃহৎ যে সহজেই একটি প্রশ্ন সামনে আসে। বিশেষ করে প্রধান ঋণগ্রহীতা এস আলম গ্রুপ থেকে অর্থ পুনরুদ্ধার না হলে, ইসলামী ব্যাংক আদৌ এই সংকট কাটিয়ে উঠতে কত বছর সময় পাবে?
ঋণ ফেরত আদায়ে যে পরিস্থিতি ভালো নয়, তার ইঙ্গিত ইতোমধ্যেই মিলতে শুরু করেছে। এস আলম গ্রুপের বেশ কয়েকটি সম্পদ জব্দ করা হলেও, সেগুলো নিলামে তুলেও কোনো ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বাস্তবতা আরও কঠিন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত কয়েক বছরের আর্থিক বিবরণী পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়-ইসলামী ব্যাংক পরিস্থিতি প্রতিকূল হলেও সামান্য মুনাফা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে নিট মুনাফা ছিল ৬১৬ কোটি টাকা, ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৩৫ কোটি টাকায়। মহামারির আগেও, অর্থাৎ ২০১৮ ও ২০১৯ সালে, ব্যাংকটির বার্ষিক মুনাফা প্রায় ৬০০ কোটি টাকার কাছাকাছি ছিল। এখন যদি ধরে নেওয়া হয়। ব্যাংকটি তাদের সমস্ত মুনাফা বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধিতে না লাগিয়ে, ডিভিডেন্ড বা অন্য কোথাও ব্যয় না করে, পুরোপুরি প্রভিশন ঘাটতি পূরণেই ব্যবহার করবে তাহলে হিসাব দাঁড়ায় ভিন্ন চিত্রে।
এই গড় ৬০০ কোটি টাকার ধারা ধরে এগোলে, ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান প্রভিশন ঘাটতি শোধ করতে সময় লাগবে ১৪৩ বছর যা ব্যাংকের বয়স, এমনকি একটি প্রজন্মের জীবনের তুলনায়ও বহু গুণ বেশি। আরও উদ্বেগজনক হলো চলতি বছরের তথ্য। নয় মাস শেষে ইসলামী ব্যাংকের সমন্বিত নিট মুনাফা মাত্র ৯৯.৭৭ কোটি টাকা। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে বছরের শেষে সম্ভাব্য মুনাফা দাঁড়াবে প্রায় ১৩৩ কোটি টাকায়। সেই হিসাবে ঘাটতি পুষিয়ে উঠতে সময় লাগবে প্রায় ৬৪৫ বছর—যা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অকল্পনীয় সময়সীমা। ধরা যাক, ব্যাংকটি অত্যন্ত আশাবাদী একটি পরিস্থিতি ধরে নেয় ২০২৫ সাল থেকে প্রতিবছর নিট মুনাফা যৌগিক হারে ১৫ শতাংশ করে বাড়বে। তবুও ঘাটতি পূরণ হতে সময় লাগবে প্রায় ৩৫ বছর, শর্ত হলো মাঝপথে আর কোনো নতুন ঝুঁকি বা প্রভিশন প্রয়োজন তৈরি হবে না।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের সাবেক মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলছেন, “এখানে কোনো অলৌকিক সমাধান নেই। শুধু মুনাফা দিয়ে এই বিশাল ঘাটতি পূরণ বাস্তবে সম্ভব নয়।” তার মতে, ব্যাংকটিকে রক্ষা করার উপায় দু’টি ঋণের নামে বেরিয়ে যাওয়া অর্থ ফেরত আনা অথবা নতুন তহবিল যোগ করা, যার দ্বিতীয়টি স্পনসরদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। তাই তার পরামর্শ, সরকারের বাজেট থেকে ব্যাংকটিকে সহায়তা দিতে হবে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন মনে করেন, প্রভিশন ঘাটতির এই অঙ্ক শুধু সংখ্যা নয়—এটি দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা, ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত এবং দুর্বল তদারকির প্রতিফলন, যা ইসলামী ব্যাংকের প্রতি জনগণের আস্থা কমিয়ে দিয়েছে। তিনি মনে করেন, ব্যাংকটিতে নীতিগত হস্তক্ষেপ ও নতুন মূলধন এখন জরুরি হলেও, অতীত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় সরকারি সহায়তার বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। প্রতিবছর ১৫ শতাংশ যৌগিক মুনাফা বৃদ্ধির ধারণাকে তিনি বাস্তবসম্মত মনে করেন না। তার ভাষায়, এমন প্রবৃদ্ধি ধরে রাখলেও ঘাটতি পূরণে ৩৫ বছর লাগবে, যা নিজেই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এদিকে একটি বড় প্রশ্নও উঠছে এত বড় প্রভিশন ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও ইসলামী ব্যাংকের ওপর কেন সেই কঠোর নিয়ন্ত্রণগুলো আরোপ করা হয়নি, যা একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ দুর্বল ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়েছে? ব্যাংকের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, (জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বর) এই নয় মাসে ব্যাংকটি নতুন আমানত পেয়েছে ১৯ হাজার কোটি টাকা। তার দাবি, তারল্য সংকট নেই, আর কোনো আমানতকারীকে এখনো টাকা দিতে ব্যর্থ হতে হয়নি। বিপুল পরিমাণ আমানত আসায় ব্যাংক মুনাফার হারও কমাতে বাধ্য হয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহও বেড়েছে বলে জানান তিনি। তবে তিনি সতর্ক করেন সরকারি সহায়তা না মিললে টিকে থাকা কঠিন হবে। জামানত বিক্রির মাধ্যমে ঋণ সমন্বয়ের কাজ চলছে, কিন্তু তাতেই পুরো ঘাটতি মেটানো সম্ভব নয়। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, প্রভিশন ঘাটতি মূলত ব্যাংকের প্রকৃত অর্থনৈতিক অবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ করে। মন্দ ঋণের সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় যে সংরক্ষণ রাখা হয়, সেটিই হলো প্রভিশন। যথেষ্ট প্রভিশন না থাকলে ব্যাংক কাগজে-কলমে লাভ দেখাতে পারে, কিন্তু বাস্তবে তার সম্পদের মান খারাপ হতে থাকে এবং আমানতকারীরা ভুল ধারণা পায়।
ব্যাংকের এমডির ব্যাখ্যা: ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওমর ফারুক খান স্বীকার করেন শুধু মুনাফা দিয়ে এত বড় ঘাটতি পূরণ সম্ভব নয়। তার মতে, ব্যাংকের প্রভিশন রিকোয়ারমেন্ট কমাতে হবে এবং ধীরে ধীরে খেলাপি ঋণ কমানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি জানান, নিলামে ক্রেতা না পাওয়ায় এস আলম গ্রুপের ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের সম্পত্তি ইতোমধ্যে জব্দ করা হয়েছে। গ্রাহকদের রেটিং পুনর্নির্ধারণের কাজও চলছে। তার দাবি, ২০ বছরের মধ্যেই ঘাটতি সামাল সম্ভব হবে।
একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকের চিত্র : আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত পাঁচ ব্যাংকের সম্মিলিত প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৩,৮৯০ কোটি টাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের। এরপর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক অবস্থান করছে। ইসলামী ব্যাংকের একক প্রভিশন ঘাটতি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পৌঁছেছে ৮৫,৮৮৮ কোটি টাকায়, যার মধ্যে বিনিয়োগ খাতে ৮২,১৮৬ কোটি এবং অফ - ব্যালান্স শিট খাতে ৩,৭০২ কোটি। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরেই এই ঘাটতি আরও ১৬,১২৫ কোটি টাকা বেড়েছে।
২০ বছরের ডেফারাল সুবিধা পেলেও পরিস্থিতি কঠিন : ইসলামী ব্যাংকের পরিচালন আয়ের ৯০ শতাংশ ব্যয় হিসেবে চলে যাচ্ছে, যা স্পষ্টভাবে বলে দেয় এত বিশাল প্রভিশন রাখা ব্যাংকের পক্ষে কঠিন। জানুয়ারি–সেপ্টেম্বর সময়ে পরিচালন আয় ৩,০৭৩ কোটি টাকার বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ২,৭৯৪ কোটি টাকা। ফলে প্রভিশনের আগ পর্যন্ত মুনাফা থাকে মাত্র ২৭৯ কোটি টাকা।
১৫ অক্টোবর ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ২০ বছরের ডেফারাল সুবিধা চেয়ে আবেদন করে, যা অনুমোদনও পেয়েছে। কিন্তু দুই দশকে এত বড় ঘাটতি পূরণ আদৌ কতটা বাস্তবসম্মত, সেটি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের ৯ মাসে প্রভিশনের প্রয়োজন বেড়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি, কিন্তু ব্যাংক রাখতে পেরেছে মাত্র ২৭ কোটি টাকা। বছর শেষে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হওয়ার আশা করা হলেও তা সামগ্রিক চাহিদার তুলনায় অতি সামান্য।
ঘাটতির মূল কারণ : ২০১৬ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ ব্যাংকের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। একই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকজন বড় বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করে ব্যাংক থেকে সরে দাঁড়ান। ২০২৪ সালের প্রতিবেদন বলছে, এস আলম গ্রুপ ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কাছে ইসলামী ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ৭৩ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা ব্যাংকের মোট ঋণ পোর্টফোলিওর প্রায় অর্ধেক। অথচ এর বিপরীতে বন্ধক রাখা সম্পদের মূল্য মাত্র ৪,৩৫৯ কোটি টাকা অর্থাৎ প্রতি ১৭ টাকা ঋণের বিপরীতে জামানত মাত্র ১ টাকা। এসব ঋণের বেশিরভাগই ব্যাংকিং নিয়মবহির্ভূতভাবে বিতরণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের লোকসানী সিলভার ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এর একটি উদাহরণ, ১৮ কোটি টাকায় কিনে নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির নামে মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে ৮৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন হয়, যা পরে ১,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়।
সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংক থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রায় ১০,৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দাখিল হলে এটি হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থ আত্মসাতের মামলা।
সংস্কার/ইএফহ
বোনাস পাওয়ার পর ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে আনন্দ উৎসবের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক এই দু:সময়েও তারা একটি বোনাস পেয়েছে। তারা সকালে উঠে দেখে তাদের মূল বেতনের সমপরিমান টাকা বোনাস হিসাবে তার একাউন্টে জমা হয়েছে। তারা ব্যবস্থাপনা প্রশাসনকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বিশাল এক বহর নিয়ে ঢাকা সফরে এসেছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন ২০০ জনের বিশাল এক প্রতিনিধিদল। শনিবার দুপুরে তারা ঢাকা পৌঁছান। তাদের এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকার দেশের ভোক্তাপর্যায়ে জুন মাসের জন্য জ্বালানি তেলের দাম কমিয়েছে। আজ শনিবার (৩১ মে ২০২৫) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে ডিজেলে ২ টাকা এবং পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটার প্রতি ৩ টাকা কমানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নোট ইস্যু করার ঘোষণা দিয়েছে। ঈদ উল আজ্বহা উপলক্ষে আগামী ১ জুন ২০২৫ থেকে ১,০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নতুন ডিজাইনের ব্যাংক নোট বাজারে ছাড়া হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে।