আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯
আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...
বিস্তারিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...
বিস্তারিতবাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...
বিস্তারিত(সংস্কার : সংখ্যা :
২৪০, ফেব্রুয়ারী : ২০১৯)
মানুষ আল্লাহর সেরা জীব। আশরাফুল মাখলুকাত। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি জীন ও ইনসানকে আমার ইবাদত করার জন্যেই শুধূমাত্র সৃষ্টি করেছি’। মানুষের আদি সৃষ্টি মাটি হতে আর জীন জাতির সৃষ্টি আগুন হতে। এই বিশ্বে যত প্রাণী বা সৃষ্টি রয়েছে তার মধ্যে মানুষ ও জীন জাতির বিবেক রয়েছে। আর তাই এদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে ভালো-মন্দের মধ্যে একটিকে বাছাই করে গ্রহণ করার জন্য। তাই মানুষ হচ্ছে মুখাইয়ার বা যাকে বাছাই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বাকীসব জীব ও উদ্ভিদ-আল্লাহর সকল সৃষ্টি ‘মুসাইয়ার’ বা পরিচালিত। এদের নিজেদের বাছাই করে চলার ক্ষমতা নেই। আর যেটুকু আছে তা হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে হিদায়াত বা পথ প্রদর্শন। আল্লাহ বলেন, ‘তাসবীহ করো তোমার মহান প্রভুর নামের, যিনি সৃষ্টি করেছেন এবং সুষম করেছেন, যিনি সামঞ্জস্য পূর্ণ অনুপাত নির্ধারণ করেছেন এবং পথ প্রদর্শন করেছেন। (আল আ’লা: ১-৩)। তো-আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে পথ প্রদর্শনও করেছেন এটাই সকল সৃষ্টির ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর প্রকৃতির নিয়ম। মানুষকেও তিনিই হিদায়াত দান করেন। সবচেয়ে বড় যে পার্থক্যটি তা হলো মানুষ বা এই আশরাফুল মাখলুকাতের জন্যে, শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির জন্যে বাকী সৃষ্টিকুল কে নিয়োজিত করে রেখেছেন। একটি গরু বা ছাগল, গাছ-পালা, জীব জন্তুর অন্য কারো কোন বিচার নেই। আল্লাহ বিচার করবেন এই বিবেকবান মানুষ ও জীনদের। মানুষের বিচারের পর তাকে জান্নাত বা জাহান্নামে পাঠানো হবে। এভাবেই বিশ্ব জগতের সৃষ্টির রহস্য একদিন মহাপ্রলয়ের মাধ্যমে শেষ হয়ে, হাশরে বিচার হবে, জান্নাত-জাহান্নামে পুরস্কৃত হবে এই মানুষ। এটা ইসলাম ধর্মীয় আক্বিদা বা বিশ্বাস। এই আক্বীদাহ বা বিশ্বাস যার নেই তার সাথে কথা বলার ভাষাও ভিন্ন। আমরা বলি ঈমানদার, এবং সাধারণ মানুষ। সে বিশ্বাসী হতেও পারে নাও হতে পারে।
যারা এতে বিশ্বাস করেনা-যারা দুনিয়ার জীবনকে কেবলই ভোগ ও তামাশার জীবন হিসেবে মেনে নেয় তারা স্বাধীন। দ্বীন ইসলামের বন্ধনে সে আবদ্ধ নয়। তাকে বলা হয় অবিশ্বাসী, নাস্তিক, বে-ঈমান বা আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসহীন। তো মানুষের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহকে বিশ্বাস করেনা, স্রষ্টায় বিশ্বাস করে না, জীবনই তার কাছে সব, তার মৃত্যুও একটি প্রাকৃতিক ঘটনা ছাড়া কিছুই নয়। সে যা খুশী তাই করতে পারে । আসলে সে না পারলেও চেষ্টা করে। আল্লাহর সৃষ্টিকুলকে ব্যবহার করে অন্যান্য মানুষকে সে কষ্ট দেয়। সে অন্যায় করে। সে অত্যাচার করে। সে অপরাধী। কিন্তু সে তার নিজের অপরাধকে অপরাধ মনে করে না। তার মতো জালিম বা অত্যাচারী এ ধরায় আর কেউ নেই। আমাদের সমাজের একটা রীতিনীতি আছে। আমাদের দেশের একটা নিয়ম আছে। একটা সংবিধান আছে। সেই সংবিধানের নিয়মানুযায়ী যারা চলে না, তারা বাংলাদেশের আইন ও বিচারে অপরাধী। এটা যদি একটা দেশের গন্ডিতে হতে পারে তা হলে বিশ্ব পরিচালকের এই বিশ্ব চরাচরে যে যেভাবে খুশী, স্বেচ্ছাচারী হয়ে চলবে তার কোন অপরাধ হবে না, সে অত্যাচারী নয়, কিংবা অপরাধী নয়, শাস্তি যোগ্য নয়, এটা হতে পারে না।
আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এদেশের মানুষ এক সময় শোষিত ছিল। দু’শো বছর শোষিত ছিল ইংরেজদের ঔপনিবেশিক যাঁতাকলে। তারপর শোষিত ছিল ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর তৎকালীন পশ্চিম
পাকিস্তানী আমলা ও নীতি নির্ধারকদের
দ্বারা। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর
এদেশের মানুষ যদি শোষিত, অত্যাচারিত, নির্যাতিত বা
নিপিড়িত হয়ে থাকে তবে সেটা স্বাধীন বাংলাদেশের, বাংলাদেশীদের
দ্বারা। এই
শোষণ-বঞ্চনার
যারা কর্তা তারাই অপরাধী। আল্লাহর রাসূল সা. বলেন, ‘তোমরা সবাই রাখাল, তোমাদের সকলেই যার যার আওতাধীন (পরিচালনাধীন) দের ব্যাপারে দায়িত্বশীল’। অতএব কেউই নিস্তার পাবে না। প্রতিটি মানুষের সাথে তার পরিচালক যে যে
আচরণ করেছে তার প্রতিটির হিসাব নেয়া হবে। অন্যায়,
অত্যাচার, অপরাধ বা দুর্নীতি করে থাকলে তারও শাস্তি পেতে হবে।
আজকের মহান একুশে ফেব্রুয়ারীর দিন তাই এদেশের দুর্নীতিবাজদের স্মরণ করা উচিৎ, দুনিয়ার মোহে, দুনিয়াবী পুরস্কারের আশায়, পদের আশায়,
প্রভাব-প্রতিপত্তির
আশায়, ক্ষমতার
আশায়, কিংবা নিজেদের মতকে প্রাধান্য দেয়ার জন্যে যারাই, যেখানে দুর্নীতি
করেছে, বা করছে তাদের প্রত্যেকেরই বিচার একদিন হবে। দুনিয়াতে না
হয় পরকালেতো তার বিচার হবেই।
কারণ মহান আল্লাহ তার অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে কেউ কমতি করলে তাকে তাওবার মাধ্যমে ক্ষমা করবেন। কিন্তু মহান আল্লাহ বান্দার হক বিনষ্টকারী ব্যক্তিকে ওই বান্দাহ ক্ষমা করার আগে কখনোই ক্ষমা করবেন না। অতএব দুর্নীতিবাজ, অপরাধীরা বান্দার হক যারা নষ্ট করছে তাদের আল্লাহ কখনোই ক্ষমা করবেন না। আমরা যারা বলছি বা
দাবী করছি যে আমরা আল্লাহকে
বিশ্বাস করি-তাদের প্রত্যেকেরই এ পরিস্থিতিতে আল্লাহর কাছে জবাব দেয়ার জন্য প্রস্ততি নেয়া উচিৎ। হে আল্লাহ
আমাদেরকে বান্দার হক নষ্টকারীদের অন্তর্গত না করে সত্যিকারের
মুমিন হিসেবে কবুল করুন। আমীন।
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরকার, অথবা আরও এগিয়ে বললে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বিপ্লবী সরকার। প্রধান উপদেষ্টাসহ এই সরকারে ২১ জন উপদেষ্টা রয়েছেন। প্রথমত উপদেষ্টা নির্বাচন দেখে স্বাভাবিক ভাবেই এটা চিন্তা করা যায় যে, এটি একটি নিরপেক্ষ সরকার হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও যে কথাটি সত্য তা হচ্ছে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ অনেকেই নেই। ছাত্র—জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলাফল হিসেবে এই সরকারে দু’জন ছাত্র নেতাকে উপদেষ্টা নির্বাচন করা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে একটি ভালো দিক।
প্রাণের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভ করেছিলাম। উদিত হয়েছিল বাংলাদেশের সূর্য। বিগত প্রায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলাম। মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমা-ার বলেছিলেন ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা’। আমরা স্বাধীনতা পেলাম, সদ্য-ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট সরকারের শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার স্বাধীনতা। আ
১.রমজান আসে রমজান যায়। বিশ্ব মুসলিমের মুক্তির বারতা নিয়ে প্রতি বছর রমজান আসে প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে। কিন্তু কম সংখ্যকই এই রমজানের মুক্তির বারতা গ্রহণ করতে পারে। খুব কম সংখ্যকই এই সুয়োগ কাজে লাগায়। শয়তানের কুটচালে বন্দী হয়ে মানুষ নামী শয়তানগুলো এই রমজানের স্রষ্টার সাথে নানা ধরনের হঠকারিতার আশ্রয় নেয়। আমাদের বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক না কেনো? রমজান আসতে দু’মাস কিংবা দেড় মাস বাকী। এরি মধ্যে মজুদদাররা নব নব পন্থায় তাদের অসাধু ব্যবসায়িক হিসেব কষতে শুরু করেছেন। রমজানে দ্রবমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে। তাই তারা রমজানের দু’মাস আগে থেকেই বাজার গরম করে ফেলে। এবারও তাই হলো। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হুহু করে বাড়িয়ে দিল। যে চাল গত রমজানে মানুষ ৪৫/৪৬ টাকা করে খেয়েছে, সে চাল ব্যবসায়ীদের কারসাজীতে ৫৯/৬০ টাকা করে কিনতে হবে কেন? ফলন ভালো, আমদানী-রপ্তানী ভালো, তাহলে কি কারণে চালের দাম ১০/১৫ টাকা বেশী হবে এক বছরের মাথায়।?
আজ ১৪ এপ্রিল। বাংলা সনের প্রথম দিন। পহেলা বৈশাখ। পৃথিবীর কোন বাংলা ভাষাভাষি সমাজে কিছু ঘটুক বা না ঘটুক বাংলাদেশে কিন্তু আজ ঘটবে মহাযজ্ঞ। এই দিনের জন্যে চৈত্রের আগমনের সাথে সাথেই শুরু হয় এই মহা আয়োজন। এই মহাযজ্ঞের প্রস্তুতি। শতকরা ৮৫ ভাগ মুসলিমের দেশে হিন্দুয়ানী কায়দায়, হিন্দু ধর্মীয় আচার-আচরণ নির্ভর কিছু অনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে, হিন্দু ধর্মীয় আক্বিদাহ বিশ্বাসকে উপজীব্য করে আজ পালিত হবে পহেলা বৈশাখ। ১৯৮৫ সালে যশোরে শুরু হয়েছিল নববর্ষ উপলক্ষে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা। তখন এই শোভাযাত্রার উদ্দেশ্য ছিল একরকম। কালক্রমে এখন তা মঙ্গল শোভাযাত্রা। একজন সুশীলের বক্তব্য অনুযায়ী প্রথমেই মঙ্গল শোভাযাত্রা তাদের মাথায় ছিল, কিন্তু কেউ আবার “ভুল বুঝবে” তাই তারা প্রথমে এ নামটি দেয়নি। ১৯৮৯ সালে এ শোভাযাত্রা ঢাকার চারুকলায় আমদানি করা হয়।