আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯
আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...
বিস্তারিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...
বিস্তারিতবাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...
বিস্তারিতআজ ১৪ এপ্রিল। বাংলা সনের প্রথম দিন। পহেলা বৈশাখ। পৃথিবীর
কোন বাংলা ভাষাভাষি সমাজে কিছু ঘটুক বা না ঘটুক বাংলাদেশে কিন্তু আজ ঘটবে মহাযজ্ঞ।
এই দিনের জন্যে চৈত্রের আগমনের সাথে সাথেই শুরু হয় এই মহা আয়োজন। এই মহাযজ্ঞের
প্রস্তুতি। শতকরা ৮৫ ভাগ মুসলিমের দেশে হিন্দুয়ানী কায়দায়, হিন্দু ধর্মীয় আচার-আচরণ নির্ভর কিছু অনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে, হিন্দু ধর্মীয় আক্বিদাহ বিশ্বাসকে উপজীব্য করে আজ পালিত হবে
পহেলা বৈশাখ। ১৯৮৫ সালে যশোরে শুরু হয়েছিল নববর্ষ উপলক্ষে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা। তখন
এই শোভাযাত্রার উদ্দেশ্য ছিল একরকম। কালক্রমে এখন তা মঙ্গল শোভাযাত্রা। একজন
সুশীলের বক্তব্য অনুযায়ী প্রথমেই মঙ্গল শোভাযাত্রা তাদের মাথায় ছিল, কিন্তু কেউ আবার “ভুল বুঝবে” তাই তারা প্রথমে এ নামটি দেয়নি। ১৯৮৯ সালে এ শোভাযাত্রা
ঢাকার চারুকলায় আমদানি করা হয়। তখনো শোভাযাত্রার আগে “মঙ্গল” বসেনি। ধীরে ধীরে
সময়ের ব্যবধানে আজ তা পূর্ণতা পেয়েছে। মঙ্গল যাত্রা হিন্দুদের একটি বিশেষ পার্বন।
১৯৮৯ সালেও ঢাকার শোভাযাত্রার নাম ছিল “আনন্দ শোভাযাত্রা”। ১৯৯৩ সাল থেকে এর নামকরণ করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই
মঙ্গল শোভাযাত্রায় কি করা হয়? কিছু জীব-জন্তুর
মুখোশ ব্যবহার করা হয়। পেঁচা, ময়ূর, বাঘ, ইত্যাদি। হিন্দুদের
কাছে পেঁচা মঙ্গলের প্রতীক। তারপরও আমরা দেখি মঙ্গল শোভাযাত্রায় সূর্য, ইঁদুর, হনুমান, গাভী, ক্ষ্যাপা ষাঁড়, ইগল, পেঁচা, রাজহাঁস, সিংহ, বাঘ, হাঁস, ময়ূর, মহিষ বহন করা হয়, সেগুলো হিন্দুদের বিভিন্ন বিশ্বাসেরই উপাত্ত। দৃষ্টান্ত
স্বরূপ, ইঁদুর গণেশের বাহন, ঈগল বিষ্ণুর বাহন,
সিংহ, বাঘ দুর্গার যানবাহন,
হাঁস
ব্রহ্মা ও স্বরস্বতীর বাহন, মহিষ মৃত্যু দেবীর
যানবাহন, ক্ষ্যাপা ঘাঁড় শিবের যানবাহন, পেঁচা মঙ্গলের প্রতীক ও ল²ীর বাহন, ময়ূর কার্তিকের বাহন ইত্যাদি। যদি তাই না হয় শোভাযাত্রায়
জন্তু জানোয়ারের মুখোশ কেন? উদ্যোক্তারা তাহলে কী
সারা বছর জনগণের সাথে পশুর মতো আচরণ করবে?
মঙ্গল
শোভাযাত্রার সমগ্র চিত্রই হচ্ছে হিন্দুতত্তে¡র উৎস ও ভিত্তিভূমি। গণেশ মঙ্গল ও সিদ্ধির জনক বলে সবার আগে
পূজিত হন। পুরাণমতে শিব পার্বতীর কণিষ্ঠ সন্তান গণেশ সাফল্য ও সমৃদ্ধি বয়ে আনে।
গণেশের উপাসনা করলে সব বাঁধা ও অশুভ প্রভাব কেটে যায় বলে হিন্দুদের বিশ্বাস।
পাশাপাশি তিনি জ্ঞানের দেবতাও। হিন্দুধর্মে পাঁচ দেবতার অত্যতম হলো গণপতি পান্না।
এই পাঁচ প্রধান দেবতা হলো ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, দূর্গা, ও গণেশ। হিন্দুমতে গণেশের হাতির মাথা আত্মাকে প্রতিফলিত করে, যা কিনা মানুষের অন্তিত্বের চরম রূপ। গণেশের মাথা জ্ঞানের
প্রতীক। আর শুড় বোঝায় হিন্দুুধর্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘ওম’ কে । এই গণেশই মঙ্গল
শোভাযাত্রার প্রধান আকর্ষণ।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় সূর্যের প্রতিকৃতি দেখা যায়। এটা হচ্ছে
হিন্দুদের সূর্য দেবতার প্রতিকৃতি। সূর্য আর্যদের উপাস্য দেবতা। উইকিপিডিয়ায় বলা
হয়েছে, হিন্দুধর্মের প্রধান সৌর
দেবতা সূর্য। তিনি আদিত্যগণের অন্যতম এবং কশ্যপ ও তার অন্যতম পতœী অদিতির পুত্র। কোনো
কোনো মতে, তিনি ইন্দ্রের পুত্র।
হিন্দুধর্মীয় সাহিত্যে সূর্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। কারণ এটাই
একমাত্র দেবতা যাকে মানুষ প্রতিদিন প্রত্যক্ষ করতে পারে। বৈষ্ণবেরা সূর্যকে সূর্য
নারায়ণ বলে থাকেন। শৈব ধর্মতত্তে¡ শিবের অষ্টমূর্তি
রূপের অন্যতম হলেন সূর্য। আসলে শোভাযাত্রায় বহনকৃত সকল মুখোশ-ফটোই যে হিন্দুধর্ম
থেকে গ্রহণ করা হয়েছে এটা সর্বজন স্বীকৃত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন জনৈক অধ্যাপাক এক
সাক্ষাৎকারে বলেন, বিগত বছরগুলোয় যেসব
শিল্প-কাঠামো মঙ্গল শোভাযাত্রার সম্মুখভাগে ছিল, সেগুলো ফিরিয়ে আনা হবে। যেমন ১৯৮৯ সালের প্রথম শোভাযাত্রার ঘোড়া ও বিশাল বাঘের
মুখ শোভাযাত্রায় থাকছে। থাকছে সমৃদ্ধির প্রতীক
হাতি। শ্রী অন্নদা শংকর রায়ের মতে “মুসলিম তবে মস্তিস্ক হিন্দুর” কথাটা এতোটাই বাস্তবিক যা বুঝতে খুব গভীরে ঢুকতে হয় না। ৮৫ ভাগ মুসলিমের এই
দেশে “ধর্ম যার যার উৎসব সবার, শ্লোগানের আড়ালে বিজাতীয় সংস্কৃতি ঢুকিয়ে দেয়া হল শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানেও ।
২০১৭ সাল থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলা নববর্ষ
১৪২৪ উদযাপন হিসেবে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা বাধ্যতামূলক করা হয়। সে
বারের শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য ছিল,
আনন্দলোকে
মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর, এই বাক্যাটি কবি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্র্র্তৃক রচিত দুর্গাদেবীর প্রশংসামূলক একটি কবিতার
অন্তর্ভুক্ত। কবিতাটি মন্দিরে পুরোহিতদের প্রার্থনা সঙ্গীতও বটে।
অথচ ইসলামের নবী মুহাম্মাদ সা. বলেন যে ব্যক্তি বাহ্যিকভাবে
কোনো স¤প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য রাখাবে সে তাদেরই একজন (আবু দাউদ) কোন ব্যক্তি যদি
অনারবীয় দেশে বসবাস করে সে যদি সে দেশের নববর্ষ, মেহেরজান উদযাপন করে এবং বাহ্যিকভাবে তাদের সাদৃশ্য রাখে এমনকি এ অবস্থায় সে
মৃত্যুবরণ করে তবে কিয়ামতের দিন তাকে তাদের (কাফের) সাথে হাশর করা হবে (বায়হাকি)
তাহলে সব মিলিয়ে আমরা কি পেলাম? পহেলা বৈশাখের পান্তা
ইঁলিশ, রমনা বটমূলের বর্ষবরণ, নানা সাজে নারী-পুরুষের পর্দাহীনভাবে রাস্তা, ঘাট, পার্ক ও জনসমাবেশে
একত্রিত হওয়া-কোনটার সাথে ইসলামের সম্পর্ক রয়েছে। আর মঙ্গল শোভাযাত্রা তো দেখলামই।
অথচ এই সব কিছুতে অংশ নেয়া বিশাল জনগোষ্ঠীর ৮৫ থেকে নব্বই ভাগই মুসিলম। সময় থাকতে
আমাদের এসব বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ দুনিয়াটাই সব কিছু নয়।
আমরা মৃত্যুর স্বাদ অবশ্যই গ্রহণ করবো। তাই মহান আল্লাহর দরবারে আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের ঈমানের সাথে মৃত্যু দাও। আমীন।
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরকার, অথবা আরও এগিয়ে বললে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বিপ্লবী সরকার। প্রধান উপদেষ্টাসহ এই সরকারে ২১ জন উপদেষ্টা রয়েছেন। প্রথমত উপদেষ্টা নির্বাচন দেখে স্বাভাবিক ভাবেই এটা চিন্তা করা যায় যে, এটি একটি নিরপেক্ষ সরকার হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও যে কথাটি সত্য তা হচ্ছে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ অনেকেই নেই। ছাত্র—জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলাফল হিসেবে এই সরকারে দু’জন ছাত্র নেতাকে উপদেষ্টা নির্বাচন করা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে একটি ভালো দিক।
প্রাণের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভ করেছিলাম। উদিত হয়েছিল বাংলাদেশের সূর্য। বিগত প্রায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলাম। মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমা-ার বলেছিলেন ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা’। আমরা স্বাধীনতা পেলাম, সদ্য-ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট সরকারের শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার স্বাধীনতা। আ
১.রমজান আসে রমজান যায়। বিশ্ব মুসলিমের মুক্তির বারতা নিয়ে প্রতি বছর রমজান আসে প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে। কিন্তু কম সংখ্যকই এই রমজানের মুক্তির বারতা গ্রহণ করতে পারে। খুব কম সংখ্যকই এই সুয়োগ কাজে লাগায়। শয়তানের কুটচালে বন্দী হয়ে মানুষ নামী শয়তানগুলো এই রমজানের স্রষ্টার সাথে নানা ধরনের হঠকারিতার আশ্রয় নেয়। আমাদের বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক না কেনো? রমজান আসতে দু’মাস কিংবা দেড় মাস বাকী। এরি মধ্যে মজুদদাররা নব নব পন্থায় তাদের অসাধু ব্যবসায়িক হিসেব কষতে শুরু করেছেন। রমজানে দ্রবমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে। তাই তারা রমজানের দু’মাস আগে থেকেই বাজার গরম করে ফেলে। এবারও তাই হলো। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হুহু করে বাড়িয়ে দিল। যে চাল গত রমজানে মানুষ ৪৫/৪৬ টাকা করে খেয়েছে, সে চাল ব্যবসায়ীদের কারসাজীতে ৫৯/৬০ টাকা করে কিনতে হবে কেন? ফলন ভালো, আমদানী-রপ্তানী ভালো, তাহলে কি কারণে চালের দাম ১০/১৫ টাকা বেশী হবে এক বছরের মাথায়।?
মানুষ আল্লাহর সেরা জীব। আশরাফুল মাখলুকাত। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি জীন ও ইনসানকে আমার ইবাদত করার জন্যেই শুধূমাত্র সৃষ্টি করেছি’। মানুষের আদি সৃষ্টি মাটি হতে আর জীন জাতির সৃষ্টি আগুন হতে। এই বিশ্বে যত প্রাণী বা সৃষ্টি রয়েছে তার মধ্যে মানুষ ও জীন জাতির বিবেক রয়েছে। আর তাই এদেরকে সৃষ্টি করা