অনুসরন করুন :
আল-কুরআন

আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯

আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...

বিস্তারিত
আল-হাদীস

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...

বিস্তারিত
সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...

বিস্তারিত

আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা

প্রাণের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভ করেছিলাম। উদিত হয়েছিল বাংলাদেশের সূর্য। বিগত প্রায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলাম। মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমা-ার বলেছিলেন ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা। আমরা স্বাধীনতা পেলাম, সদ্য-ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট সরকারের শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার স্বাধীনতা। আবার মুক্ত হাওয়ায় নিঃশ্বাস নেয়ার স্বাধীনতা। আমাদের বাক স্বাধীনতা ছিল না। গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরা হয়েছিল। নির্বাহী বিভাগকে নির্লজ্জভাবে দলীয় বিভাগে পরিণত করা হয়েছিল। বিচার বিভাগ পরিণত হয়েছিল দলীয় আজ্ঞাবহ এক কেন্দ্রিক অন্ধ বিভাগে। বিচারের রায় লেখা হতো অন্য কোথাও। আর্থিক ব্যবস্থাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়া হয়েছিল। ব্যাংকিং খাতকে দলীয় প্রভাবে দেউলিয়া হতে হয়েছিল। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে যারা ছিলেন তাদের আজ্ঞাবহ হয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য সিন্ডিকেটের হাতে শৃংখলিত হয়ে পড়েছিল। সিন্ডিকেটের যাঁতাকলে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে নিষ্পেষিত আমরা। দলীয় ক্যাডারদের জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলাম আমরা। আয়না ঘর তৈরী করা হয়েছিল অমানবিক নির্যাতন পরিচালনা করার জন্য। গুম-খুন বাস্তবায়ন করার জন্য। নিয়োগ বাণিজ্য করা হয়েছিল। সেখানে কোন বিচার-বিশ্লেষণ ছিল না। মেধার বিচার গৌণ, দলীয় পরিচয় পেলে তাকেই বিবেচনা করা হতো সবচেয়ে যোগ্য হিসেবে। তারপরও নিয়োগে চলতো বাণিজ্য। জোর করে ব্যাংকগুলোকে দখল করে নেয়া হয়েছিল। গণমাধ্যমের টিভি চ্যানেলগুলোকে দখল করা হয়েছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের মতো করে চলতে দেয়া হয়নি। ভালো ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চর দখলের মতো দখল করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনকে দলীয় প্রশাসনে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। ছাত্রাবাসগুলোর টর্চার সেলগুলো সাধারণ ছাত্রদেরকে জুলুম-নির্যাতনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হয়েছিল। আর নির্বাচন ব্যবস্থা! প্রতি পাঁচ বছর পর পর যে নির্বাচন হতো, তা ছিল ড্যামি নির্বাচন। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে রাতের বেলার ভোট, ভাগ-বাটোয়ারার ভোট, মনোনয়ন বাণিজ্যের ভোট। এই কি দেশ!? এই কি আমরা চেয়েছিলাম! শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে কর্মমুখীতার নামে শিক্ষার্থীদের মেধা-মনন ধ্বংস করে, নোট গাইডে অভ্যস্ত করে তোলা, কোচিং বাণিজ্য শুরু করা, পড়াশোনা বিমুখ করে একটা অথর্ব জাতি উপহার দেয়ার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে দেশের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়া, মেধা পাচার হতে উৎসাহিত করা, কিংবা বাধ্য করা, ইত্যাদির মাধ্যমে দেশকে মেধাশূন্য জনপদে পরিণত করা, এই সবই হয়েছিল শিক্ষার অগ্রগতির নামে। যা ছিল চরম অবনতি। এমতাবস্থায় সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন শুরু হলো নতুন করে। ২০২৪ সালের পহেলা জুলাই থেকে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে ছাত্রদের স্বতঃস্ফূর্ত একটি সংগঠনের ডাকে শুরু হয় আন্দোলন। কোটা সংস্কারের দাবি যেভাবে উঠেছিল সময়মত সেভাবে আর মানা হলো না, বরং ছাত্রদেরকে অভিহিত করা হলো ‘রাজাকারের নাতিপুতি হিসেবে। ফুঁসে উঠল ছাত্র আন্দোলন। গায়ের জোরে দমন-পিড়ণে সামনে এগুলো সরকার। ঘোষণা এলো- এদেরকে প্রতিহত করতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট। ছাত্র-যুব-স্বেচ্ছাসেবক তথা লীগের পেটোয়া বাহিনীর আক্রমণে ছাত্রছাত্রীরা হলো নির্যাতিত। হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে বিতাড়িত। ফুসে উঠল ছাত্ররা। পাশে দাঁড়ালো তাদের অভিভাবক-অভিভাবিকারা, শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ছুটে এলো সংস্কৃতিসেবিরা, শ্রমিকরা, ব্যবসায়ীরা, সাংবাদিকরা। দিনে দিনে ভারী হলো ছাত্র-জনতার আন্দোলন। প্রথমে কোটা সংস্কারের দাবি, এরপর ৮ দফা দাবি, এরপর ৯ দফা দাবি, আবার ৪ দফা দাবি, কমতে কমতে হলো ১ দফা দাবি। শ্লোগান উঠলো ‘দফা ১ দাবি ১, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ। অন্যদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন রূপ নিল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। ছাত্রজনতার আন্দোলন দমাতে শুরু হল লীগের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তা-ব। গুলি করে হত্যা। শিশু হত্যা, কিশোর হত্যা, নারী-পুরুষ, সাংবাদিক, সাধারণ জনতার হত্যা। বন্ধ করা হলো ইন্টারনেট। এল কারফিউ। ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এলো ‘কমপ্লিট শাটডাউন। এরপর অসহযোগ আন্দোলন। মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০০ ছুঁই ছুঁই। এরপর ফুসে ওঠা ছাত্রজনতার কারফিউ অবজ্ঞা করে শাহবাগ যাত্রা। ৫ আগস্ট বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত চেষ্টা করা হলো ছাত্র-জনতাকে আটকে রাখার। কিন্তু সম্ভব হলো না। দেশের সেনাবাহিনী ছাত্র-জনতার বুকে গুলি করতে রাজি হলো না। আর যায় কোথায়!? শুরু হলো ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান। উপায় না দেখে অহংকারী, দাম্ভিক, স্বৈরাচার পালিয়ে গেল। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে গণভবন হল ছাত্র-জনতার। এত অল্প সময়ে এতগুলো তাজা প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ হল স্বৈরাচার মুক্ত। পরিবেশ হলো ঈদের খুশির মতো বিজয়ের আনন্দে আনন্দিত। ফিরে এলো দ্বিতীয় স্বাধীনতা! এই স্বাধীনতা এলো অনেক তাজা প্রাণের বিনিময়ে। একে জলাঞ্জলি দেয়া চলবে না। এই স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত রাখার জন্য অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে চলতে হবে। দেশটাকে সেই ভাবে গড়তে হবে। এ বিজয় যেন কেউ ছিনিয়ে নিতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আল্লাহ বলেছেন “আমি যাকে চাই তাকে রাজ্য দেই, আর যার কাছ থেকে চাই তার কাছ থেকে রাজ্য ছিনিয়ে নেই ঠিক যেন তাই হলো। হে আল্লাহ! আমাদের সকলকে মানবীয় গুণে গুণান্বিত হবার তাওফিক দিন। এ স্বাধীনতা যাতে না হারাতে হয়, সেভাবে চলতে এবং চালাতে শেখান। আমিন।

0 | দেখেছেন : 99 |

সম্পর্কিত খবর

বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরকার, অথবা আরও এগিয়ে বললে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বিপ্লবী সরকার। প্রধান উপদেষ্টাসহ এই সরকারে ২১ জন উপদেষ্টা রয়েছেন। প্রথমত উপদেষ্টা নির্বাচন দেখে স্বাভাবিক ভাবেই এটা চিন্তা করা যায় যে, এটি একটি নিরপেক্ষ সরকার হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও যে কথাটি সত্য তা হচ্ছে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ অনেকেই নেই। ছাত্র—জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলাফল হিসেবে এই সরকারে দু’জন ছাত্র নেতাকে উপদেষ্টা নির্বাচন করা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে একটি ভালো দিক।

রমজান আসে রমজান যায়

১.রমজান আসে রমজান যায়। বিশ্ব মুসলিমের মুক্তির বারতা নিয়ে প্রতি বছর রমজান আসে প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে। কিন্তু কম সংখ্যকই এই রমজানের মুক্তির বারতা গ্রহণ করতে পারে। খুব কম সংখ্যকই এই সুয়োগ কাজে লাগায়। শয়তানের কুটচালে বন্দী হয়ে মানুষ নামী শয়তানগুলো এই রমজানের স্রষ্টার সাথে নানা ধরনের হঠকারিতার আশ্রয় নেয়। আমাদের বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক না কেনো? রমজান আসতে দু’মাস কিংবা দেড় মাস বাকী। এরি মধ্যে মজুদদাররা নব নব পন্থায় তাদের অসাধু ব্যবসায়িক হিসেব কষতে শুরু করেছেন। রমজানে দ্রবমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে। তাই তারা রমজানের দু’মাস আগে থেকেই বাজার গরম করে ফেলে। এবারও তাই হলো। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হুহু করে বাড়িয়ে দিল। যে চাল গত রমজানে মানুষ ৪৫/৪৬ টাকা করে খেয়েছে, সে চাল ব্যবসায়ীদের কারসাজীতে ৫৯/৬০ টাকা করে কিনতে হবে কেন? ফলন ভালো, আমদানী-রপ্তানী ভালো, তাহলে কি কারণে চালের দাম ১০/১৫ টাকা বেশী হবে এক বছরের মাথায়।?

মানুষ আল্লাহর সেরা জীব

মানুষ আল্লাহর সেরা জীব। আশরাফুল মাখলুকাত। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি জীন ও ইনসানকে আমার ইবাদত করার জন্যেই শুধূমাত্র সৃষ্টি করেছি’। মানুষের আদি সৃষ্টি মাটি হতে আর জীন জাতির সৃষ্টি আগুন হতে। এই বিশ্বে যত প্রাণী বা সৃষ্টি রয়েছে তার মধ্যে মানুষ ও জীন জাতির বিবেক রয়েছে। আর তাই এদেরকে সৃষ্টি করা

আজ ১৪ এপ্রিল

আজ ১৪ এপ্রিল। বাংলা সনের প্রথম দিন। পহেলা বৈশাখ। পৃথিবীর কোন বাংলা ভাষাভাষি সমাজে কিছু ঘটুক বা না ঘটুক বাংলাদেশে কিন্তু আজ ঘটবে মহাযজ্ঞ। এই দিনের জন্যে চৈত্রের আগমনের সাথে সাথেই শুরু হয় এই মহা আয়োজন। এই মহাযজ্ঞের প্রস্তুতি। শতকরা ৮৫ ভাগ মুসলিমের দেশে হিন্দুয়ানী কায়দায়, হিন্দু ধর্মীয় আচার-আচরণ নির্ভর কিছু অনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে, হিন্দু ধর্মীয় আক্বিদাহ বিশ্বাসকে উপজীব্য করে আজ পালিত হবে পহেলা বৈশাখ। ১৯৮৫ সালে যশোরে শুরু হয়েছিল নববর্ষ উপলক্ষে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা। তখন এই শোভাযাত্রার উদ্দেশ্য ছিল একরকম। কালক্রমে এখন তা মঙ্গল শোভাযাত্রা। একজন সুশীলের বক্তব্য অনুযায়ী প্রথমেই মঙ্গল শোভাযাত্রা তাদের মাথায় ছিল, কিন্তু কেউ আবার “ভুল বুঝবে” তাই তারা প্রথমে এ নামটি দেয়নি। ১৯৮৯ সালে এ শোভাযাত্রা ঢাকার চারুকলায় আমদানি করা হয়।