আল কুরআন : আল- আম্বিয়া : ৪৪ থেকে ৬৪
বরং আমরাই তাদের এবং তাদের পূর্ব পুরুষদের ভোগবিলাসের উপকরণ দিয়েছি, তাছাড়া তাদের বয়সকালও হয়েছিল দীর্ঘ। তারা কি দেখেনা, আমরা তাদের দেশকে চারদিক থেকে সংকু...
বিস্তারিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
আবু আইয়ুব রা. বলেন, আমি যখনি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পিছনে নামায পড়েছি, তাকে নামায শেষ করে এই দোয়া পড়তে শুনেছি। (যার অর্থ:) হে...
বিস্তারিতআমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা
প্রাণের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ৭১ সা...
বিস্তারিত1. রমজান আসে রমজান যায়। বিশ্ব মুসলিমের মুক্তির বারতা নিয়ে প্রতি বছর রমজান আসে প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে। কিন্তু কম সংখ্যকই এই রমজানের মুক্তির বারতা গ্রহণ করতে পারে। খুব কম সংখ্যকই এই সুয়োগ কাজে লাগায়। শয়তানের কুটচালে বন্দী হয়ে মানুষ নামী শয়তানগুলো এই রমজানের স্রষ্টার সাথে নানধরনের হঠকারিতার আশ্রয় নেয়। আমাদের বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক না কেনো? রমজান আসতে দু’মাস কিংবা দেড় মাস বাকী। এরি মধ্যে মজুদদাররা নব নব পন্থায় তাদের অসাধু ব্যবসায়িক হিসেব কষতে শুরু করেছেন। রমজানে দ্রবমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে। তাই তারা রমজানের দু’মাস আগে থেকেই বাজার গরম করে ফেলে। এবারও তাই হলো। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হুহু করে বাড়িয়ে দিল। যে চাল গত রমজানে মানুষ ৪৫/৪৬ টাকা করে খেয়েছে, সে চাল ব্যবসায়ীদের কারসাজীতে ৫৯/৬০ টাকা করে কিনতে হবে কেন? ফলন ভালো, আমদানী-রপ্তানী ভালো, তাহলে কি কারণে চালের দাম ১০/১৫ টাকা বেশী হবে এক বছরের মাথায়।? এর কোনো ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারবে না। কারণ আমরা জিম্মি এক সিন্ডিকেটের হাতে। যেখানে রোজাদারদের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কমমূল্যে সরবরাহ করার কথা। কম ব্যবসায় বেশী কেনা-বেচা করার কথা, সেখানে এক দেড় মাস আগে থেকে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে প্রকারান্তের রোজাদারদের পীড়া দেয়ার জন্যেই এমনটা করা হল। এসব দুঃখজনক। আল্লাহ যদি এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের হেদায়াত দেন। তবে এ ব্যাপারে দেশের সরকারেরও যথেষ্ঠ ভূমিকা থাকা দরকার ছিল। কিন্তু হায়। সরকারের বহু মন্ত্রী, মিনিষ্টার, এমপি, নেতা থেকে শুরু করে বিরোধী দলীয় প্রভাবশালীরাই যে বাজারের নিয়ন্ত্রক। তারা যদি সিদ্ধান্ত দেয়, বা তাদের ইশারায় যদি দ্রব্যমূল্য বাড়ে তা হলে সরকার কি করবে? কারণ সর্ষের মধ্যে ভুত থাকলে-কি ভুত তাড়ানো যায়? দেশের প্রভাবশালীরাই এসব নিয়ন্ত্রণ করছে। আবার একটি উপহাসের উদাহরণ না দিয়ে পারছি না। দোকানের সাইন বোর্ডে লেখা আছে, এখানে জাকাতের কাপড় পাওয়া যায়। জাকাতের আবার কাপড় কি? জাকাত তো জাকাতই। তারপরের বাস্তবতা বোধ করি সবাই জানেন। জাকাতের কাপড় বড় বড় অভিজাত শপিং মলে পাওয়া যায় না। কারণ এটা নীতিগত ভাবেই কম মূল্যের হয়। ফকির মিসকিনের পোষাক বলে কথা! কিন্তু জাকাত তো আপনার সম্পদ পরিচ্ছন্ন, পবিত্র করার একটি মাধ্যম মাত্র। সেক্ষেত্রে বাজারের সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানের কাপড় দিয়ে জাকাত দিতে কে বলেছে আপনাকে?! আল্লাহ এসব প্রতারণার বিষয় কি অবহিত নন? আর মিল ফ্যাষ্টরী ওয়ালারাই বা কেমন করে জাকাতের কাপড় বানায়? জাকাত কি বাজারের ৪ বা ৫ নম্বরী খারাপ কাপড়টা দিয়েই আদায় করতে হবে? এটা কি গরীব মিসকিনের প্রতি আপনার করুণা?! এসব প্রতারকদের আল্লাহ বুঝ দিক্, হেদায়াত দান করুন। আবার দেখুন গরীব মিসকিনদের হক হচ্ছে ফিতরাহ পাওয়ার। সেই ফিতরার সর্বনিম্ন মানটিই ধর্মীয় অথরিটি থেকে ঘোষণা দেয়া হয়। এবারের ফিতরা ছিল মাথা পিচু পয়ষট্রি টাকা করে। তো এই পয়ষট্রি টাকা দিয়ে আপনি যে চালের ভাত খান সে চাল কতটুকু পাওয়া যাবে? ফিতরার পরিমাণই বা কত ? সেই পরিমাণ যব, খেজুর, আঙ্গুর দিয়ে কি আমরা ফিতরা দেই? তা হলে এটা কি গরীব মিসকিনদের হক নিয়ে খেল-তামাসা নয়? ফিতরার পরিমাণ ঘোষণা দেয়ার সময় মুফতি বা ওলামায়ে কেরামদের ভাবা উচিত। সে ক্ষেত্রে যব, গম, খেজুর, আঙ্গুর ইত্যাদির পরিমাণে ফিতরাহ নির্ধারণ হওয়া উচিৎ। একজন কৃষকের বছরে আয় যদি হয় তিন লাখ টাকা তার ফিতরা যদি হয় পয়ষট্রি টাকা তাহলে যে ব্যক্তির বছরে আয় হয় বার কোটি টাকা তার ফিতরাও কি পয়ষট্রি টাকা হওয়াই যুক্তিযুক্ত? বিষয়গুলো চিন্তা করা দরকার। তো যেখানে সব ক্ষেত্রেই ফাঁকি দেয়ার প্রবনতা, সেখানে এটাতো কোন বিষয়ই নয়। মহিলাদের স্বর্ণের সাড়ে সাত তোলা থাকলেই জাকাত দিতে হয়। কিছু কিছু প্রতারক বা আত্ম প্রবঞ্চক মহিলা আধা তোলা বিক্রী করে সাত তোলায় এনে ঠেকায়। আর জাকাত না দিয়ে বলে আমার তো জাকাত ই হয় নি। মনে রাখতে হবে যে যত ধরনের প্রবঞ্চনার পথই খুলুক না কেন আল্লাহ তার মনের খবর জানেন। কারণ আল্লাহর কাছে এসব প্রতারণার সবই অক্ষরে অক্ষরে স্পষ্ট। আর যে যত ধরনের প্রতারণাই করুক না কেন তার দুই কাধে দু’জন ফেরেস্তা বসে আছে। কিরামান কাতেবিন। তাদের কাজ লিখে যাওয়া। তারা লিখে যাচ্ছেন। এ লেখার ওপর ভিত্তি করেই আপনাকে আমল নামা দেয়া হবে। ডান হাতে আমল নামা পাওয়া মানে সৌভাগ্যশীল। আর বাম হাতে আমল নামা পাওয়া কঠিনতর ভয়াবহতার সম্মূখীন হওয়া। যদি এসবে বিশ্বাস না করে শুধুই নামাজ আদায়, রোজা পালন, ইত্যাদি আনুষ্ঠানিকতার কি প্রয়োজন? যেহেতু আপনি রোজা রাখেন। রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করার চেষ্টা করছেন, সেহেতু এই রমজানকে নিয়ে, এই ইবাদত নিয়ে, এই রোজাদারকে নিয়ে উপহাস করেন কেন? এই উপহাসের ব্যাখ্যা আপনার যা খুশী তাই দিতে পারেন। কিন্তু মহান আল্লাহ কি আপনার ওই ব্যাখ্যার জন্য মুখাপেক্ষী? বরং ব্যাখ্যা করার তাওফীক তো তিনিই আপনাকে দিয়েছেন। অতএব সময় থাকতে তওবা করুন।
২. এ মাসের ২৬ তারিখে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল হিসেবে পরের দিনও হতে পারে। এই ঈদ যারা রোজা বা সিয়াম সাধনা করেনি তাদের জন্য নয়। অথচ সারা মাস যারা রোজা না রেখে ফাঁকি দিয়েছে-দেখা যায় ঈদে সবার আগেই তিনিও দৌড়াচ্ছেন ঈদ শুভেচ্ছা দিতে। ঈদ উল ফিতর- শাওয়ালের প্রথম দিন। এর পরে আমাদের করণীয় অনেক কিছু রয়েছে। শাওয়ালের ছয় রোজার কথা মনে রাখতে হবে। রাসূল সা. বলেছেন রমজানের রোজার পর যে ব্যক্তি এ ছয়টি রোজা রাখবে, যেনো সে সারা বছর রোজা রাখলো। আমলটি করার চেষ্টা করা দরকার। তাছাড়া রোজার পুরো মাস আমরা যে যে বিষয়ের ট্রেনিং নিলাম তার আলোকে আগামী এগারো মাস যেনো চলতে পারি সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। শুধু লক্ষ্য নয় বরং তাই আমাদের করা উচিৎ। ঈদ যেনো আমাদের সকলের ঘরে হয়। পৃথিবীর নির্যাতিত, নিগৃহীত সকলের ঘরে। সকলের জন্যে ঈদের শুভেচ্ছা।
প্রাণের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভ করেছিলাম। উদিত হয়েছিল বাংলাদেশের সূর্য। বিগত প্রায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলাম। মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমা-ার বলেছিলেন ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা’। আমরা স্বাধীনতা পেলাম, সদ্য-ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট সরকারের শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার স্বাধীনতা। আ
মানুষ আল্লাহর সেরা জীব। আশরাফুল মাখলুকাত। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি জীন ও ইনসানকে আমার ইবাদত করার জন্যেই শুধূমাত্র সৃষ্টি করেছি’। মানুষের আদি সৃষ্টি মাটি হতে আর জীন জাতির সৃষ্টি আগুন হতে। এই বিশ্বে যত প্রাণী বা সৃষ্টি রয়েছে তার মধ্যে মানুষ ও জীন জাতির বিবেক রয়েছে। আর তাই এদেরকে সৃষ্টি করা
আজ ১৪ এপ্রিল। বাংলা সনের প্রথম দিন। পহেলা বৈশাখ। পৃথিবীর কোন বাংলা ভাষাভাষি সমাজে কিছু ঘটুক বা না ঘটুক বাংলাদেশে কিন্তু আজ ঘটবে মহাযজ্ঞ। এই দিনের জন্যে চৈত্রের আগমনের সাথে সাথেই শুরু হয় এই মহা আয়োজন। এই মহাযজ্ঞের প্রস্তুতি। শতকরা ৮৫ ভাগ মুসলিমের দেশে হিন্দুয়ানী কায়দায়, হিন্দু ধর্মীয় আচার-আচরণ নির্ভর কিছু অনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে, হিন্দু ধর্মীয় আক্বিদাহ বিশ্বাসকে উপজীব্য করে আজ পালিত হবে পহেলা বৈশাখ। ১৯৮৫ সালে যশোরে শুরু হয়েছিল নববর্ষ উপলক্ষে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা। তখন এই শোভাযাত্রার উদ্দেশ্য ছিল একরকম। কালক্রমে এখন তা মঙ্গল শোভাযাত্রা। একজন সুশীলের বক্তব্য অনুযায়ী প্রথমেই মঙ্গল শোভাযাত্রা তাদের মাথায় ছিল, কিন্তু কেউ আবার “ভুল বুঝবে” তাই তারা প্রথমে এ নামটি দেয়নি। ১৯৮৯ সালে এ শোভাযাত্রা ঢাকার চারুকলায় আমদানি করা হয়।
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, (হে রাসুল!) "আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে যথার্থই ভালবেসে থাকো, তাহলে আমাকে অনুসরণ করো, তবেই আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন।" (আল-ইমরান : ৩১) এটি হচ্ছে মহান আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে মহানবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ভালোবাসা বহিঃপ্রকাশের ঘোষণা।