অনুসরন করুন :
আল-কুরআন

আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯

আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...

বিস্তারিত
আল-হাদীস

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...

বিস্তারিত
সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...

বিস্তারিত

কিছু প্রসঙ্গ কিছু কথা

মো. সাগর

পার্বত্য অঞ্চলে বাঙ্গালীদের অসহায়ত্ব এবং যখন তখন হত্যাকান্ড হওয়া নিয়ে প্রায়ই টুকটাক খবর শোনা যায়। আবার হাতে-গনা সামান্য কিছু পত্র-পত্রিকাও নিয়ে কিছুটা সরব থাকে। এই ঘটনাগুলোকে আমরা হয়ত আইসোলেটেড কোন ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করি। এরই মধ্যে রাতে নওমুসলিম ইমামকে সন্তু লারমার জেএসএস বাহিনী কর্তৃক নির্মমভাবে গুলি করে হত্যার ঘটনাকে যদি শুধুই মুসলিমদের প্রতি হুমকি স্বরূপ দেখি, তাহলে আমরা বড্ড বেশী ভুল করব।

হয়ত আমরা অনেকেই জানি না, বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিম জেলাগুলো নিয়েবঙ্গভূমিনামে বাংলাদেশের ভেতর আরেকটা স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়েছিল ১৯৮২ সালের ২৫শে মার্চ। কি! খুব অবাক হচ্ছেন? বিশ্বাস হচ্ছেনা? এই তথ্যটিবাংলাদেশেনামক বইটিতে উল্লেখ করেছেন সাবেক ডিজিএফআই-এর মহাপরিচালক লে. (অব) আবু রুশদ। এখন আরেকটা তথ্য দিচ্ছি, বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলগুলো নিয়েজুম্মল্যান্ডনামে বাংলাদেশের ভেতর আরেকটা স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন বুনছেন সন্তু লারমারা। দেশের রাজধানীনিউ রাঙ্গামাটি জাতীয় সঙ্গীত- “আমা দেশ শান আদক কি দোল, নিত্যয়ো অগোং মুঁই জাতীয় পতাকা-চারটি রংয়ের উপরে একটি স্টার। জাতীয় ফুল- “রক্ত জবা জাতীয় পাখী- “মনা পেক প্রেসিডেন্ট-“সন্তু লারমা প্রাইম মিনিস্টার- “প্রতিমা খিসা তো, এই কারণেই আমি বললাম নওমুসলিম ইমাম ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যা করাটা শুধু মুসলিমদের প্রতি হুমকি নয়, বরং বাংলাদেশের ভূখন্ডকে থ্রেট করা। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে থ্রেট করা।

বাংলাদেশকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করার নেপথ্যে কারা এদেরকে অস্ত্রসস্ত্র দিচ্ছে, কারা এদেরকে ট্রেনিং দিচ্ছে? কারা মদদ দিচ্ছেএই প্রশ্নগুলোর এক কথায় উত্তর হচ্ছে- এই অঞ্চলে যাদের স্বার্থ আছে, তারাই এদেরকে মদদ দিচ্ছে।  মুসলিম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব তিমুরকে বিচ্ছিন্ন এবং সুদান থেকে দক্ষিণ সুদানের বিচ্ছিন্ন হওয়ার ইতিহাস আমাদের সবার জানার কথা। তবুও সংক্ষেপে একটু বলি- ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুর ছিল অস্ট্রেলিয়ার নিকটতম দ্বীপ। মুসলিম অধ্যুষিত এবং কৌশলগত কারণে অস্ট্রেলিয়া এই দ্বীপকে হুমকি মনে করত। তাই ইউরোপীয় মিশনারীদের মাধ্যমে প্রথমে এই দ্বীপের জনগণকে খৃস্টান বানিয়ে ফেলে তারা। এরপর জিও পলিটিকসের মাধ্যমে এই দ্বীপের মানুষকে বিদ্রোহে উস্কে দিয়ে পশ্চিমাদের সাহায্যে পূর্ব তিমুর নামে একটি স্বাধীন খৃস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু সে রাষ্ট্র এখনো পাহাড়া দেয় অস্ট্রেলিয়ান সেনাবাহিনী। খেয়াল করুন, এখানে নৃতাত্বিক কারণের চেয়ে ভূরাজনৈতিক কারণ বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। ঠিক একইভাবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আফ্রিকার একটি দেশ হচ্ছে সুদান। দক্ষিণের অ্যাবে অঞ্চলে রয়েছে প্রচুর তেল। তাই সিআইএ এবং মোসাদ উপজাতি ভিত্তিতে বিভাজন উস্কে দেয়, এবং আশপাশের খৃস্ট রাষ্ট্রগুলো অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে গণভোটের নাটক মঞ্চস্থ করে স্বাধীন রাষ্ট্র তৈরীর নামে বিচ্ছিন্ন করে দেয় তাদেরকে।

খেয়াল করলে দেখা যায়, দুটি ঘটনার সাথে আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের চলমান ঘটনাগুলোর সাথে যথেষ্ট মিল রয়েছে। প্রথমত, বিচ্ছিন্নতাবাদ উস্কে দিতে অস্ত্রসস্ত্র, ট্রেনিং এবং কু-পরিকল্পনা দিয়ে সাহায্য করছে ভারত। দ্বিতীয়ত, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি অনুযায়ী এই অঞ্চলে আমেরিকার প্রয়োজন একটি খৃস্টান রাষ্ট্র, সামরিক ঘাটি, নৌ ঘাটি। আর এই পরিকল্পনার ফিডব্যাক হিসেবে বিভিন্ন এনজিও এবং খৃস্টান মিশনারীরা পার্বত্য অঞ্চলে ছলে বলে কৌশলে, টাকা দিয়ে, পয়সা দিয়ে, বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার নামে অসহায় পাহাড়ী জনগণকে বানাচ্ছে খৃস্টান (অবশ্য এই ব্যাপারটা নিয়ে ২০১৪ সালে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে একটি অভিযোগও পেশ করেছিল)

তো, পশ্চিমারা পার্বত্য অঞ্চলকে খৃস্টান রাষ্ট্র বানাতে চাচ্ছে, ভারত বাংলাদেশকে দূর্বল করতে চাচ্ছে, সন্তু লারমার জেএসএস বাহিনীজুম্মল্যান্ডনামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র চাচ্ছে। এত এত পরিকল্পনার ভিতর যখন  ওমর ফারুক নামে একজন নও মুসলিম অঞ্চলে মসজিদ তৈরী করে দিবে, ইমামতি করবে, ইসলাম প্রচার করবে, আবার অমুসলিমদেরকে মুসলিম বানিয়ে ফেলবে, তখন ডেফিনেটলি তাদের পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটানো একজনকে গুলি করে হত্যা করা তাদের জন্য বৈধ হয়ে যায়। কারণ তাদের নৈতিকতার মানদন্ড সৃষ্টিকর্তার নয়, বরং তাদের নৈতিকতার মানদন্ড হচ্ছে ইবলিসের। (ইন্টারনেট)

0 | দেখেছেন : 75 |

সম্পর্কিত খবর

অন্তর্বতীকালীন সরকার : উপদেষ্টাদের পরিচয়

ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা তিনি ২৮ জুন, ১৯৪০ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শুরুতে তিনি তার গ্রামের মহাজন ফকিরের স্কুল নামে একটি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৪৪ সালে লামাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটসে যোগদান করেন এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। ১৯৫৭ সালে মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিএ এবং এমএ সম্পন্ন করেন। স্নাতকের পর কর্মজীবনের শুরুতেই মুহাম্মদ ইউনূস ব্যুরো অব ইকোনমিক্স - এ গবেষণা সহকারী হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরিচিতি বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন হচ্ছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ । ২০২৪ সালে বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এটি গঠিত হয় এবং এটি কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তীতে অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ২০২৪ সালের ১ জুলাই সংগঠনটি সৃষ্টি হয় এবং সৃষ্টির পরপরই আন্দোলন সফল করার জন্য ৮ জুলাই সংগঠনটি ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করে, যার মধ্যে ২৩ জন সমন্বয়ক ও ৪২ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। আন্দোলনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার পর ৩ আগস্টে সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক দল গঠন করে, যার মধ্যে ৪৯ জন সমন্বয়ক ও ১০৯ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে একাধিক সমন্বয়ককে এই সংগঠনের নেতৃত্বে দেখা গেছে। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত রশিদ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সারজিস আলম,

স্নায়ুযুদ্ধের শিকার মুসলিম বিশ্ব :কারণ ও করণীয়

স্নায়ুযুদ্ধ কী ও কেন? স্নায়ুযুদ্ধ হচ্ছে যার আরবী হচ্ছে ; ‘আল গাযউল ফিকরী’ বা বুদ্ধি ও কৌশলের যুদ্ধ। পরিভাষায় বলা যায়-স্নায়ুযুদ্ধ এমন যুদ্ধ যাতে সৈন্যবাহিনী ও অস্ত্র-শস্ত্রের প্রয়োজন হয় না। কোনো ধরনের রক্তপাত হয় না । অর্থাৎ এমন প্লান ও পরিকল্পিত কাজ যা মানবজীবনে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও চারিত্রিক জীবনে প্রভাব ফেলে। এ কাজে ইসলামের শত্রুরা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রগুলোতে মুসলিমদেরকে তাদের দীন থেকে দূরে সরিয়ে রাখে, মুসলিমদের ঐক্য বিনষ্ট করে, তাদের সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করে এবং তাদের শক্তিকে দুর্বল করে তাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে, চাই সেটি সরাসরি হোক কিংবা গোপনীয়ভাবে হোক; রাজনৈতিকভাবে হোক কিংবা অরাজনৈতিকভাবে হোক; সেটি মিলেটারি দিয়ে হোক কিংবা মিলেটারি ছাড়া হোক। বর্তমান মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেয়া স্নায়ুযুদ্ধ।

বাংলা নববর্ষের শুরুর কথা

ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মানুষ কিছু আনন্দ এবং স্মৃতিকে আপন করে নেয়। আর এ আপন করে নেয়ার বিভিন্ন স্তর এবং সময়ের পথ ধরে সংস্কৃতির বিকাশ। প্রতিটি জাতি ও সভ্যতা সংস্কৃতির মাধ্যমে খুঁজে পায় তার নিজস্ব অনুভূতি এবং স্বকীয় বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশী ও বাঙালী জাতি হিসেবে, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আমাদের এমন একটি উৎসব হল পহেলা বৈশাখ। স্বাগতম, সুস্বাগতম বাংলা নববর্ষ। আমরা সবাই প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল ১ বৈশাখের এই দিনটি পালন করে থাকি। কিন্তু আমরা সবাই কি জানি বা কেউ জানার চেষ্টাও করেছি-কি এই পহেলা বৈশাখের ইতিহাস।