অনুসরন করুন :
আল-কুরআন

আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯

আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...

বিস্তারিত
আল-হাদীস

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...

বিস্তারিত
সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...

বিস্তারিত

ইসলামের দৃষ্টিতে ভালোবাসা দিবসের বিধান

এক: বিশ্ব ভালবাসা দিবস পালন একটি রোমান জাহেলি উৎসব। রোমানরা খৃষ্টান ধর্ম গ্রহণ করার পরেও এ দিবস পালনের প্রথা অব্যাহত রাখে। ১৪ ফেব্রুয়ারী ২৭০ খৃষ্টাব্দে ভ্যালেন্টাইন নামক একজন পাদ্রির মৃত্যুন্ডের সাথে এ উৎসবটি সম্পৃক্ত। বিধর্মীরা এখনো এ দিবসটি পালন করে, ব্যভিচার ও অনাচারের মধ্যে তারা এ দিবসটি কাটিয়ে থাকে।


দুই: কোন মুসলমানের জন্য কাফেরদের কোন উৎসব পালন করা জায়েয নয়। কেননা উৎসব (ঈদ) ধর্মীয় বিষয়। এ ক্ষেত্রে শরয়ী নির্দেশনার এক চুল বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া বলেন: উৎসব (ঈদ) ধর্মীয় অনুশাসন, ইসলামী আদর্শ ও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। যে ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন: “তোমাদের প্রত্যেককে আমি আলাদা শরীয়ত ও মিনহাজ (আদর্শ) দিয়েছি। তিনি আরও বলেন: “প্রত্যেক উম্মতের জন্য রয়েছে আলাদা শরীয়ত; যা তারা পালন করে থাকে যেমন- কিবলা, নামায, রোজা। অতএব, তাদের উৎসব পালন ও তাদের অন্যসব আদর্শ গ্রহণ করার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কারণ তাদের সকল উৎসবকে গ্রহণ করা কুফরকে গ্রহণ করার নামান্তর। তাদের কিছু কিছু জিনিস গ্রহণ করা কিছু কিছু কুফরকে গ্রহণ করার নামান্তর। বরং উৎসবগুলো প্রত্যেক ধর্মের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য এবং ধর্মীয় আলামতগুলোর মধ্যে অন্যতম। অতএব, এটি গ্রহণ করা মানে কুফরের সবিশেষ অনুশাসন ও সবচেয়ে প্রকাশ্য আলামতের ক্ষেত্রে তাদের অনুসরণ করা। কোন সন্দেহ নেই যে, এ ক্ষেত্রে তাদের অনুকরণ করা মানে কুফরের অনুকরণ করা। এর সর্বনিম্ন অবস্থা হচ্ছে- গুনাহ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন: “নিশ্চয়ই প্রত্যেক কওমের উৎসব রয়েছে। এটা হচ্ছে আমাদের ঈদ বা উৎসব। এটি যুনার (জিম্মিদের বিশেষ পোশাক) বা এমনি বিজাতির বিশেষ কোন আলামত গ্রহণ করার চেয়ে অধিক নিকৃষ্ট। কেননা এ ধরনের আলামত কোন ধর্মীয় বিষয় নয়; বরং এ পোশাকের উদ্দেশ্য হচ্ছে- মুমিন ও কাফেরের আলাদা পরিচয় ফুটিয়ে তোলা। পক্ষান্তরে তাদের উৎসব ও উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো একান্ত ধর্মীয়; যে ধর্মকে ও ধর্মাবলম্বীকে লানত করা হয়েছে। সুতরাং এ ধরনের ক্ষেত্রে তাদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করা আল্লাহর আযাব ও গজব নাযিলের কারণ হতে পারে। (ইকতিদাউস সিরাতিল মুস্তাকিম ১/২০৭)

তিনি আরও বলেন: “কোন মুসলমানের জন্য তাদের উৎসবের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন কিছুর ক্ষেত্রে সাদৃশ্য গ্রহণ করা জায়েয নয়। যেমন, খাবার দাবার, পোশাকাদি, গোসল, আগুন জ্বালানো অথবা এ উৎসবের কারণে কোন অভ্যাস বা ইবাদত বর্জন করা ইত্যাদি। এবং কোন ভোজানুষ্ঠান করা, উপহার দেওয়া, অথবা এ উৎসব বাস্তবায়নে সহায়ক এমন কিছু বেচাবিক্রি করা জায়েয নয়। অনুরূপভাবে তাদের উৎসবে শিশুদেরকে খেলতে যেতে দেওয়া এবং সাজসজ্জা প্রকাশ করা জায়েয নয়।

মোদ্দাকথা, বিধর্মীদের উৎসবের নিদর্শন-এমন কিছুতে অংশ নেয়া মুসলমানদের জন্য জায়েয নয়। বরং তাদের উৎসবের দিন মুসলমানদের নিকট অন্য সাধারণ দিনের মতই। মুসলমানেরা এ দিনটিকে কোনভাবে বিশেষত্ব দিবে না। (মাজমুউল ফাতাওয়া (২৯/১৯৩)

হাফেয যাহাবী বলেন: খৃষ্টানদের উৎসব বা ইহুদিদের উৎসব যেটা তাদের সাথে খাস, এমন কোন উৎসবে কোন মুসলমান অংশ গ্রহণ করবে না। যেমনিভাবে কোন মুসলমান তাদের ধর্মীয় অনুশাসনগুলো ও কিবলাকে গ্রহণ করে না। (তাশাব্বুহুল খাসিস বি আহলিল খামিস, মাজাল্লাতুল হিকমা (৪/১৯৩)

শাইখুল ইসলাম যে হাদিসটির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন সে হাদিসটি সহিহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন: একবার আবু বকর রা. আমার ঘরে এলেন। তখন আমার কাছে আনসারদের দুইটি বালিকা ছিল। বুআসের দিন আনসারগণ যে পংক্তিমালা বলেছিল তারা সেগুলো দিয়ে গান গাইছিল। আয়েশা রা. বলেন: মেয়ে দুইটি গায়িকা ছিল না। তা দেখে আবু বকর রা. বললেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘরে শয়তানের বীণা! সেদিন ছিল ঈদের দিন। তাঁর কথা শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: হে আবু বকর, প্রত্যেক জাতির উৎসব থাকে। এটা আমাদের উৎসবের দিন।


সুনানে আবু দাউদ এ আনাস রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদীনায় আগমন করলেন তখন মদীনাবাসী বিশেষ দুইটি দিনে খেলাধুলা করত। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: এ দুইটি দিনের হাকিকত কি? তারা বলল: জাহেলী যুগে আমরা এ দুইটি দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে এ দুইটি দিনের চেয়ে উত্তম দুইটি দিন দিয়েছেন। ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর। এটি প্রমাণ করে ঈদ বা উৎসব প্রত্যেক জাতির একটা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। সুতরাং কোন জাহেলি উৎসব বা মুশরিকদের উৎসব পালন করা জায়েয নয়।


ভালবাসা দিবস পালন করা হারাম হওয়ার ব্যাপারে আলেমগণ ফতোয়া দিয়েছেন:

১. এ বিষয়ে শাইখ উছাইমীনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রশ্নটি নিম্নরূপ:  সম্প্রতি ভালবাসা দিবস উদযাপন করার প্রবণতা বিস্তার লাভ করেছে; বিশেষতঃ ছাত্রীদের মাঝে। এটি একটি খৃষ্টান উৎসব। এ দিনে লাল বেশ ধারণ করা হয়। লাল পোশাক ও লাল জুতা পরিধান করা হয়। লাল ফুল বিনিময় করা হয়। আমরা এ ধরণের উৎসব পালন করার শরয়ী বিধান জানতে চাই এবং এ ধরণের বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে আপনার পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য দিক নির্দেশনা প্রত্যাশা করছি? আল্লাহ আপনাকে হেফাযত করুন।

তিনি উত্তরে বলেন: ভালবাসা দিবস পালন নিম্নোক্ত কারণে জায়েয নয়।

এক. এটি একটি বিদআতি উৎসব; শরয়ীতে এর কোন ভিত্তি নেই। দুই. এটি মানুষকে অবৈধ প্রেম ও ভালবাসার দিকে আহ্বান করে।

তিন. এ ধরনের উৎসব মানুষের মনকে সলফে সালেহিনদের আদর্শের পরিপন্থী অনর্থক কাজে ব্যতিব্যস্ত রাখে।

সুতরাং এ দিনের কোন একটি নিদর্শন ফুটিয়ে তোলা জায়েয হবে না। সে নিদর্শন খাবার-পানীয়, পোশাকাদি, উপহার-উপঢৌকন ইত্যাদি যে কোন কিছুর সাথে সংশ্লিষ্ট হোক না কেন। মুসলমানের উচিৎ তার ধর্ম নিয়ে গর্ববোধ করা। গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে না দেয়া। আমি আল্লাহর কাছে দুয়া করি তিনি যেন মুসলিম উম্মাহকে প্রকাশ্য ও গোপন সকল ফিতনা থেকে হেফাযত করেন এবং তিনি যেন আমাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেন, আমাদের তাওফিক দান করেন। (শাইখ উছাইমীনের ফতোয়াসমগ্র (১৬/১৯৯)



২। ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: কিছু কিছু মানুষ প্রতি বছর ঈসায়ী সনের ১৪ ফেব্রুয়ারী ভালবাসা দিবস (ভ্যালেন্টাইনস ডে) পালন করে থাকে। এ দিনে তারা লাল গোলাপ বিনিময় করে, লাল পোশাক পরিধান করে, একে অপরকে শুভেচ্ছা বিনিময় করে। কিছু কিছু মিষ্টির দোকান লাল রঙের মিষ্টি তৈরী করে, এর উপরে ‘লাভ চিহ্ন অংকন করে। কিছু কিছু দোকান এ দিনের জন্য তৈরী বিশেষ বিশেষ সামগ্রীগুলোর বিজ্ঞাপন প্রচার করে থাকে। সুতরাং নিম্নোক্ত বিষয়ে আপনাদের অভিমত কি?

এক. এ দিনটি পালন করার বিধান কি?

দুই. এ দিন উদযাপনকারী দোকান থেকে কেনাকাটা করার বিধান কি?

তিন. এ দিনে যারা উপহার বিনিময় করে থাকে তাদের কাছে এসব উপকরণ বিক্রি করার

বিধান কি? উত্তরে তারা বলেন: কুরআন-সুন্নাহর সুস্পষ্ট দলিল ও সলফে সালেহিনের ইজমার ভিত্তিতে জানা যায় যে, ইসলামে ঈদ শুধু দুইটি। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। এ ছাড়া যত উৎসব আছে সে উৎসব কোন ব্যক্তিকেন্দ্রিক হোক, দলকেন্দ্রিক হোক, কোন ঘটনাকেন্দ্রিক হোক অথবা বিশেষ কোন ভাবাবেগকেন্দ্রিক হোক সেগুলো বিদআত। মুসলমানদের জন্য সেসব উৎসব পালন করা, তাতে সম্মতি দেয়া, এ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা অথবা এক্ষেত্রে সহযোগিতা করা নাজায়েয। কারণ এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘনের শামিল। যে ব্যক্তি আল্লাহর দেয়া সীমা লঙ্ঘন করে সে নিজ আত্মার উপরই জুলুম করে। এর সাথে এ উৎসব যদি কাফেরদের উৎসব হয়ে থাকে তাহলে এটি এক গুনাহর সাথে আরও একটি গুনাহর সম্মিলন। কারণ এ উৎসব পালনের মধ্যে কাফেরদের সাথে সাদৃশ্য ও তাদের সাথে মিত্রতা গ্রহণের বাস্তবতা পাওয়া যায়। অথচ আল্লাহ তায়ালা তাঁর কিতাবে তাদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ ও তাদের মিত্রতা গ্রহণ থেকে নিষেধ করেছেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি বলেন: “যে ব্যক্তি কোন কওমের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করে সে তাদের দলভুক্ত। ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস সম্পর্কে বলা হয়- এটি পৌত্তলিক ও খৃষ্টান ধর্মের উৎসব। সুতরাং আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোন মুসলমানের জন্য এ দিবস পালন করা, এটাকে সমর্থন করা অথবা এ উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করা জায়েয হবে না। বরং মুসলমানের কর্তব্য হচ্ছে-আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এবং আল্লাহর গজব ও শাস্তির কারণসমূহ থেকে দূরে থাকার নিমিত্তে এটি বর্জন করা এবং এর থেকে দূরে থাকা। অনুরূপভাবে এ গর্হিত দিবস উদযাপনে কোন ধরনের সহযোগিতা করা থেকে বেঁচে থাকা। যেমন-পানাহার, বেচাবিক্রি, কেনাকাটা, পণ্যপ্রস্তুত, উপহার বিনিময়, পত্র বিনিময়, বিজ্ঞাপন প্রদান ইত্যাদি যে কোন প্রকারের সহযোগিতা হোক না কেন সেসব থেকে বেঁচে থাকা। কারণ এ ধরনের সহযোগিতা গুনাহর কাজ এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সীমালঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার নামান্তর। আল্লাহ তাআলা বলেন: “সৎকর্ম ও আল্লাহভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।(মায়িদা: ২) একজন মুসলমানের কর্তব্য হচ্ছে- সর্বাবস্থায় কুরআন ও সুন্নাহ আঁকড়ে থাকা; বিশেষতঃ ফিতনা-ফাসাদের সময়। মুসলমানের উচিত যাদের উপর আল্লাহর লানত পড়েছে, যারা পথভ্রষ্ট, যারা পাপাচারী- আল্লাহকে সম্মান করে না, ইসলামের সম্মান চায় না এ সকল মানুষের বিভ্রান্তির ব্যাপারে সচেতন থাকা। মুসলমানের দায়িত্ব আল্লাহর কাছে ধর্না দিয়ে তাঁর নিকট হেদায়াতের জন্য ও এর উপর অটল থাকার জন্য প্রার্থনা করা। কারণ আল্লাহ ছাড়া কোন হেদায়াতদাতা নেই, তিনি ছাড়া অটল রাখার কেউ নেই। তিনি পবিত্রময়, তিনিই তাওফিকদাতা। আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।


৩। শাইখ জিবরীনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল

আমাদের যুবক-যুবতীর মাঝে ভালবাসা দিবস (ভ্যালেন্টাইন ডে) পালনের রেওয়াজ বিস্তার লাভ করেছে। ভ্যালেন্টাইন হচ্ছে- একজন পাদ্রির নাম। খৃষ্টানেরা এ পাদ্রিকে সম্মান করে থাকে এবং প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারী তারা এ দিবসটি উদযাপন করে, উপহার-উপঢৌকন ও লাল গোলাপ বিনিময় করে থাকে, লাল রঙের পোশাক পরিধান করে থাকে। এ দিবসটি পালন করার শরয়ী বিধান কী? অথবা এ দিনে উপহার বিনিময় ও আনন্দ প্রকাশ করার বিধান কী? জবাবে তিনি বলেন:

এক. এ ধরণের বিদআতি উৎসব পালন করা নাজায়েয। এটি নব উদ্ভাবিত বিদআত। শরিয়তে এর কোন ভিত্তি নেই। এটি আয়েশা রা. কর্তৃক বর্ণিত হাদিসের বিধানের আওতায় পড়বে যে হাদিসে এসেছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীন বা শরীয়তের মধ্যে এমন কিছু চালু করবে যা এতে নেই সেটি প্রত্যাখ্যাত।

দুই. এ দিবস পালনের মধ্যে কাফেরদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ, তারা যে বিষয়কে মর্যাদা দেয় সেটাকে মর্যাদা প্রদান, তাদের উৎসবের প্রতি সম্মান দেখানো এবং ধর্মীয় বিষয়ে তাদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করার অর্থ পাওয়া যায়। হাদিসে এসেছে- “যে ব্যক্তি বিজাতিদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করবে সে তাদের দলভুক্ত।

তিন. এ দিবস পালনের মধ্যে অনেক ক্ষতিকর ও গর্হিত বিষয় রয়েছে। যেমন- খেলতামাশা করা, গান করা, বাঁশী বাজানো, গিটার বাজানো, বেপর্দা হওয়া, বেহায়াপনা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, গায়রে মাহরমা পুরুষের সামনে নারীদের প্রদর্শনী ইত্যাদি হারাম কাজ এবং ব্যভিচারের উপকরণ ও সূচনাগুলো এ উৎসবে ঘটে থাকে। এটাকে জায়েয করার যুক্তি হিসেবে চিত্ত বিনোদনের যে কারণ দর্শানো হয় বা রক্ষণশীল থাকার দাবী করা হয় সেটা অমূলক। যে ব্যক্তি নিজের কল্যাণ চায় তার উচিত গুনাহর কাজ ও উপকরণ থেকে দূরে থাকা।

তিনি আরও বলেন: অতএব, যদি বিক্রেতা জানতে পারে যে, ক্রেতা এ উপঢৌকন ও গোলাপ ফুল কিনে এ দিবস উদযাপন করবে, কাউকে উপহার দিবে অথবা এ দিবসগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে তাহলে ক্রেতার কাছে এগুলো বিক্রি করা নাজায়েয; যাতে করে বিক্রেতা এই বিদআত সম্পাদনকারী ব্যক্তির সাহায্যকারী হিসেবে সাব্যস্ত না হয়। আল্লাহই ভাল জানেন।  (সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব)

 

0 | দেখেছেন : 79 |

সম্পর্কিত খবর

অন্তর্বতীকালীন সরকার : উপদেষ্টাদের পরিচয়

ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা তিনি ২৮ জুন, ১৯৪০ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শুরুতে তিনি তার গ্রামের মহাজন ফকিরের স্কুল নামে একটি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৪৪ সালে লামাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটসে যোগদান করেন এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। ১৯৫৭ সালে মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিএ এবং এমএ সম্পন্ন করেন। স্নাতকের পর কর্মজীবনের শুরুতেই মুহাম্মদ ইউনূস ব্যুরো অব ইকোনমিক্স - এ গবেষণা সহকারী হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরিচিতি বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন হচ্ছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ । ২০২৪ সালে বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এটি গঠিত হয় এবং এটি কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তীতে অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ২০২৪ সালের ১ জুলাই সংগঠনটি সৃষ্টি হয় এবং সৃষ্টির পরপরই আন্দোলন সফল করার জন্য ৮ জুলাই সংগঠনটি ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করে, যার মধ্যে ২৩ জন সমন্বয়ক ও ৪২ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। আন্দোলনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার পর ৩ আগস্টে সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক দল গঠন করে, যার মধ্যে ৪৯ জন সমন্বয়ক ও ১০৯ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে একাধিক সমন্বয়ককে এই সংগঠনের নেতৃত্বে দেখা গেছে। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত রশিদ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সারজিস আলম,

স্নায়ুযুদ্ধের শিকার মুসলিম বিশ্ব :কারণ ও করণীয়

স্নায়ুযুদ্ধ কী ও কেন? স্নায়ুযুদ্ধ হচ্ছে যার আরবী হচ্ছে ; ‘আল গাযউল ফিকরী’ বা বুদ্ধি ও কৌশলের যুদ্ধ। পরিভাষায় বলা যায়-স্নায়ুযুদ্ধ এমন যুদ্ধ যাতে সৈন্যবাহিনী ও অস্ত্র-শস্ত্রের প্রয়োজন হয় না। কোনো ধরনের রক্তপাত হয় না । অর্থাৎ এমন প্লান ও পরিকল্পিত কাজ যা মানবজীবনে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও চারিত্রিক জীবনে প্রভাব ফেলে। এ কাজে ইসলামের শত্রুরা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রগুলোতে মুসলিমদেরকে তাদের দীন থেকে দূরে সরিয়ে রাখে, মুসলিমদের ঐক্য বিনষ্ট করে, তাদের সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করে এবং তাদের শক্তিকে দুর্বল করে তাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে, চাই সেটি সরাসরি হোক কিংবা গোপনীয়ভাবে হোক; রাজনৈতিকভাবে হোক কিংবা অরাজনৈতিকভাবে হোক; সেটি মিলেটারি দিয়ে হোক কিংবা মিলেটারি ছাড়া হোক। বর্তমান মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেয়া স্নায়ুযুদ্ধ।

বাংলা নববর্ষের শুরুর কথা

ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মানুষ কিছু আনন্দ এবং স্মৃতিকে আপন করে নেয়। আর এ আপন করে নেয়ার বিভিন্ন স্তর এবং সময়ের পথ ধরে সংস্কৃতির বিকাশ। প্রতিটি জাতি ও সভ্যতা সংস্কৃতির মাধ্যমে খুঁজে পায় তার নিজস্ব অনুভূতি এবং স্বকীয় বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশী ও বাঙালী জাতি হিসেবে, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আমাদের এমন একটি উৎসব হল পহেলা বৈশাখ। স্বাগতম, সুস্বাগতম বাংলা নববর্ষ। আমরা সবাই প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল ১ বৈশাখের এই দিনটি পালন করে থাকি। কিন্তু আমরা সবাই কি জানি বা কেউ জানার চেষ্টাও করেছি-কি এই পহেলা বৈশাখের ইতিহাস।