আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯
আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...
বিস্তারিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...
বিস্তারিতবাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...
বিস্তারিত
ছবি : সংগৃহীত
সংস্কার, ০১ অক্টোবর ২০২৫: আজ ০১ অক্টোবর, বুধবার উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামী চিন্তাবিদ, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, সাবেক সংসদ সদস্য, ইসলামী আন্দোলনের সিপাহসালার, নবুওতি ধারার আন্দোলনের দিক-নির্দেশক ও ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম রহ -এর ৩৮তম ওফাতবার্ষিকী। ১৯৮৭ সালের এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন।
মওলানার শতাধিক মৌলিক ও অনুবাদ গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- পরিবার ও পারিবারিক জীবন, ইসলামে অর্থনীতি, ইসলামে জিহাদ, সুন্নাত ও বিদআত, আল কোরআনের আলোকে উন্নত জীবনের আদর্শ, আল কোরআনে শিরক ও তাওহীদ, আল কোরআনে রাষ্ট্র ও সরকার, হাদীস সঙ্কলনের ইতিহাস, ইসলামে হালাল হারামের বিধান, যাকাত বিধান, আহকামুল কোরআন।
মরহুমের বর্ণাঢ্য জীবনী :
১৯১৮ সালের ২ মার্চ, পিরোজপুরের কাউখালিস্থ শিয়ালকাঠি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম রহ.। ১৯৩৮ সালে শর্ষিণা আলীয়া মাদ্রাসা হতে আলিম ও ১৯৪০ সালে কোলকাতা আলীয়া মাদ্রাসা থেকে ফাযিল পাশ করেন তিনি। ১৯৪২ সালে উক্ত মাদ্রাসা হতে তিনি প্রথম শ্রেণিতে টাইটেল পাশ করেন। তিনি ১৯৪৩-৪৫ সালে কোলকাতা আলীয়া মাদ্রাসায় কুরআন ও হাদীস সম্পর্কে গবেষণার কাজ সম্পাদন করেন।
কর্মজীবনে মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম রহ. ১৯৪৫-৪৭ সালে বরিশালের রঘুনাথপুর (নাজিরপুর) হাই মাদ্রাসায় হেড মওলানার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৪৭-৪৮ সালে কেউন্দিয়া (কাউখালী) হাই মাদ্রাসায় হেড মওলানার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৮-৪৯ সালে পাকিস্তানের আদর্শ প্রস্তাব আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
মওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম রহ. ১৯৪৯-৫০ সালে বরিশাল থেকে সাপ্তাহিক ‘তানজীম’ পত্রিকা সম্পাদনা করেন। ১৯৫৬ সালে সাপ্তাহিক জাহানে নও প্রকাশনা ও পরিচালনা করেন তিনি। এছাড়াও তিনি ১৯৫৯-৬০ সালে দৈনিক নাজাতের জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজনৈতিক জীবনে তিনি ১৯৫৫ থেকে ১৯৬৮ পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে আইডিএল প্রতিষ্ঠা করেন। সৌদি আরব আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত প্রথম বিশ্ব ইসলামী শিক্ষা সম্মেলনে যোগদান করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন গবেষণাকর্ম পুরষ্কার লাভ করেন। ১৯৭৭ মক্কায় রাবেতা আল আলম আল ইসলামীর সম্মেলনে যোগদান করেন। ১৯৭৮ সালে কুয়ালালামপুর প্রথম দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় ইসলামী দাওয়াত সম্মেলনে যোগদান। ১৯৭৮ সালে করাচীতে অনুষ্ঠিত রাবেতার প্রথম এশীয় ইসলামী সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বদান করেন। ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করেন এবং সংসদে আইডিএল পার্লামেন্টারি গ্রুপের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮০ কলম্বোতে অনুষ্ঠিত আন্তঃপার্লামেন্টারি সম্মেলনে যোগদান করেন। ১৯৮৪ সালের ৩০ নভেম্বর ইসলামী ঐক্য আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও এ মহান মনীষীর রয়েছে সাফল্যগাঁথা বর্ণাঢ্য জীবনী।
আজকের কর্মসূচি: মওলানা আবদুর রহীম রহ-এর ৩৮তম ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে, ইসলামী ঐক্য আন্দোলন, জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া ও ইসলামী ছাত্রশক্তি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৭টায় আজিমপুরে কবর যিয়ারত। এ দিনই বাদ মাগরিব মরহুমের নিজ বাসভবনে পারিবারিকভাবে দোয়ার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। মরহুম মওলানার স্মরণে আগামী ১০ অক্টোবর (শুক্রবার) রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলের তৃতীয় তলায় দিনব্যাপী এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও সারাদেশে তাঁর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
সংস্কার/ইএমই
ভোলা জেলার চরফ্যাসনের কৃতী সন্তান, ওসমানগঞ্জ ইউনিয়ন এর ঐতিহ্যবাহী দায়রা মৌলভী বাড়ীর গর্বিত জামাতা, ইসলামী আন্দোলন এর অন্যতম পথিকৃত, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, ডক্টর আ.জ.ম ওবায়দুল্লাহ
এম. এইচ. খান। মঞ্জুর হোসেন খান। আমি তখন আন্তর্জাতিক একটি ত্রাণসংস্থায় কাজ করছি। ১৯৯৫ সালের জানুয়ারী থেকে ওই অফিসে মূলত আমার কাজ। তার আগে আরো প্রায় দু’মাস ওই অফিসের কাজ করেছি পরীক্ষামূলক। যা ছিল ১৯৯৪ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর। শুরুতে আমাদের অফিস ছিল বারিধারায়। এরপর অফিস স্থানান্তরিত হল উত্তরার সোনার গাঁ জনপথের ২০ নাম্বার বাড়ীতে। ৯৫ এর শেষ দিকে এম. এইচ. খান সাহেব আমাদের অফিসের কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট ডিপার্টমেন্টে এলেন এডভাইজার হিসেবে। তিনি এডভাইজার হলেও আমরা তাকে ওই ডিপার্টমেন্টের প্রধানের মতই জানতাম। পরবর্তীতে এই বিভাগের দু’জন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এলেন। একজন আ: রাজ্জাক, অন্যজন আ: রহীম। আমরা বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের জন্যে মহাপরিচালক ড. আহমদ মাহের এর নেতৃত্বে বৈঠকে বসতাম।
আমার এই ছোট্ট জীবনে আমি যে ক’জন মানুষ দেখেছি তাদের মধ্যে যাঁকে আমি সবচেয়ে শ্রদ্ধা করতাম এবং এখনও করেযাব তিনি হচ্ছেন আমার নানা। তিনি ছিলেন আমার কাছে এক অবিস্মরণীয় চরিত্র। যাঁর নাম মঞ্জুর হোসেন খান। তিনি ছিলেন একাধারে ধার্মিক, পরিশ্রমী, হৃদয়বান, বুদ্ধিমান, দয়ালু, ক্ষমাশীল বড় মাপের মনের মানুষ। তার নেশাই ছিল অন্যকে সাহায্য করা। মসজিদ, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান যেখানে যেভাবে দরকার তার সাহায্যের হাত সেখানে সময়মত পৌঁছে যেত। অত্যন্ত কর্মঠ ব্যক্তি ছিলেন তিনি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন প্রতিদিন মসজিদে গিয়ে। তিনি বাচ্চাদের সাহচর্য পছন্দ করতেন। তিনি বাচ্চাদের সাথে খেলতেন। মজার মজার গল্প করতেন। হাসি-ঠাট্টা করতেন তাদের সাথে। শুধু তারাই এটা অনুধাবন করতে পারবে যারা আমার নানার কাছাকাছি এসেছে। তিনি সবসময় চেষ্টা করেছেন কেউ যেন তাঁর ব্যবহারে কষ্ট না পায়। নানা আমাকে আমার পড়াশোনার ব্যাপারে অনেক সাহায্য করতেন। আমার পরীক্ষার আগে নানার কাছে যেতাম বিশেষ করে ইংরেজী, অঙ্ক ও ভূগোল পরীক্ষার আগে। এত সুন্দর সহজ ও সাবলীল ভাবে নানা আমাকে বুঝিয়ে দিতেন যার কোন তুলনা নেই। তিনি নিজে একজন ভাল ছাত্র ছিলেন সেই সাথে ভাল শিক্ষকও বটে।রণীয় চরিত্র। যাঁর নাম মঞ্জুর হোসেন