অনুসরন করুন :
আল-কুরআন

আল কুরআন : আল- আম্বিয়া : ৪৪ থেকে ৬৪

বরং আমরাই তাদের এবং তাদের পূর্ব পুরুষদের ভোগবিলাসের উপকরণ দিয়েছি, তাছাড়া তাদের বয়সকালও হয়েছিল দীর্ঘ। তারা কি দেখেনা, আমরা তাদের দেশকে চারদিক থেকে সংকু...

বিস্তারিত
আল-হাদীস

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

আবু আইয়ুব রা. বলেন, আমি যখনি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পিছনে নামায পড়েছি, তাকে নামায শেষ করে এই দোয়া পড়তে শুনেছি। (যার অর্থ:) হে...

বিস্তারিত
সম্পাদকীয়

আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা

প্রাণের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ৭১ সা...

বিস্তারিত

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

আবু আইয়ুব রা. বলেন, আমি যখনি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পিছনে নামায পড়েছি, তাকে নামায শেষ করে এই দোয়া পড়তে শুনেছি। (যার অর্থ:) হে আল্লাহ, আমার সমস্ত ভুল-ভ্রান্তি ও গুনাহ মাফ করে দিন, হে আল্লাহ, আমাকে উন্নতি দান করুন, আমার ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করে দিন এবং আমাকে উত্তম আমল ও উত্তম আখলাকের প্রতি হিদায়াত দান করুন, কারণ উত্তম আমল ও উত্তম আখলাকের প্রতি হিদায়াত আপনি ব্যতিত আর কেউ দিতে পারে না। এবং খারাপ আমল ও খারাপ আখলাক আপনি ব্যতিত আর কেউ দূর করতে পারে না। (তাবারানী, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)

 

আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রা. বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা মুকাররমায় এক রাতে দাঁড়ালেন এবং তিনবার এই ইরশাদ করলেন, আয় আল্লাহ, আমি কি পৌঁছিয়ে দিয়েছি? হযরত ওমরা রা. যিনি (আল্লাহর তায়ালার দরবারে অত্যাধিক) কান্নাকাটি করতেন, তিনি উঠে আরজ করলেন, জি¦ হ্যা। (আমি আল্লাহ তায়ালাকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, আপনি পৌঁছিয়ে দিয়েছেন।) আপনি লোকদেরকে ইসলামের ব্যাপারে যথেষ্ট উৎসাহ দিয়েছেন এবং যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন ও নসীহত করেছেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন, ঈমান অবশ্যই এই পরিমাণ বিজয় লাভ করবে যে, কুফরকে তার ঠিকানায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আর নি:সন্দেহে তোমরা ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে সমুদ্র সফরও করবে এবং লোকদের উপর অবশ্যই এমন যামানা আসবে যে লোকজন ‘কুরআন শিক্ষা করবেতার তেলাওয়াত করবে, আর বলবে যে, আমরা পড়ে বুঝে নিয়েছি, এখন আমাদের অপেক্ষা উত্তমকে আছে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, তাদের মধ্যে কি কোন কল্যাণ থাকতে পারে? অর্থাৎ তাদের মধ্যে সামান্যতমও কল্যাণ নেই, অথচ তাদের দাবী যে, আমাদের অপেক্ষা উত্তম কে আছে? সাহাবারা আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ তারা কারা? তিনি ইরশাদ করলেন, তারা তোমাদের মধ্য হতে থাকবে। অর্থাৎ এই উম্মতের মধ্যেই হবে এবং তারাই দোযখের ইন্ধন। (তাবারানী, মাজমায়ে যাওয়াদে)

 আলী ইবন হুজর রা. ইবনু বুরাইদা তার পিতা বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফুরূপে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (আলীকে লক্ষ্য করে) বলেছিলেন: ‘হে আলী! দৃষ্টির পর দৃষ্টি দিবে না। প্রথম দৃষ্টি তোমার (ক্ষমাযোগ্য) কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টি তোমার (ক্ষমাযোগ্য) নয়। (আবু দাউদ)

 মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল আলা সানআনী রা. উসামা ইবনু যাইদ উসাঈদ ইবনু যাইদ, ইবনু আমর, ইবনু নুফায়ল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি আমার পর লোকদের মাঝে পুরুষদের জন্য মেয়েদের চেয়েও ক্ষতিকর আর কোন ফিতনা ছেড়ে যাচ্ছি না।  (সহীহা বুখারী)

সুওয়াইদ রা. হুমায়দ ইবনু আবদুর রহমান রা. থেকে বর্ণিত যে, তিনি মদীনায় মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে খুতবায় বলতে শুনেছেন যে, হে মদীনাবাসী! তোমাদের আলিমগণ কোথায়? আমি তো রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কৃত্রিম কেশগুচ্ছ ব্যবহার করা নিষেধ করতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, বনী ইসরাঈল গোত্রের নারীরা যখন এ ধরনের কৃত্রিম কেশ গুচ্ছ ব্যবহার করতে শুরু করেছে তখন তারা ধ্বংস হয়েছে। (মুসলিম) 

0 | দেখেছেন : 12 |

সম্পর্কিত খবর

আল হাদীস

হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যারা অন্ধকারে মসজিদের দিকে যায় কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে (চারদিক) আলোকিত করে এমন নূর দ্বারা নূরান্বিত করবেন। (তাবারানী, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ) হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এক নামাযের পর আরেক নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকে সেই ঘোড়সওয়ারের ন্যয় যারা ঘোড়া তাকে নিয়ে দ্রুতগতিতে আল্লাহর রাস্তায় দৌড়ায়। নামাযের অপেক্ষাকারী (নফস ও শয়তানের বিরুদ্ধে) সবচেয়ে বড় আত্মরক্ষা ব্যুহে অবস্থান করে। (মুসনাদে আহমাদ, তাবারানী, তারগীব)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন

হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযূ করে এবং অযূকে পরিপূর্ণরূপে করে। অত:পর সে শুধু নামাযের উদ্দেশ্যে মসজিদে আসে আল্লাহ তায়ালা সেই বান্দার উপর এমন খুশী হন যে রূপ দূরে চলে যাওয়া কোন আত্মীয় হঠাৎ আগমন করলে ঘরের লোকে খুশী হয়। (ইবনু খুযাইমাহ)

রাসূলুল্লাহ সা, বলেছেন

হযরত আবু যার রা. হতে বর্ণিত আছে যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির উপর অবশ্য কর্তব্য যে, তার শরীরের প্রত্যেকটি জোড়ের সুস্থতার শোকর স্বরূপ প্রত্যহ সকালে একটি করে সদকা করে। প্রতিবার সুবহানাল্লাহ বলা সদকা, প্রতিবার আলহামদুলিল্লাহ বলা সদকা, প্রতিবার লা-ইলাহা ইল­াল­াহু বলা সদকা, প্রতিবার আল্লাহু আকবার বলা সদকা, ভালো কাজের হুকুম করা সদকা, অন্যায় কাজ হতে বাধা প্রদান করা সদকা এবং প্রত্যেক জোড়ের শোকর আদায়ের জন্য চাশতের সময় দুই রাকাত (নামায) পড়া যথেষ্ট হয়ে যাবে। (মুসলিম)

রাসূল সা. ইশরাদ করেছেন,

আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, মুয়াযযিনের গুনাহ ঐ স্থান পর্যন্ত মাফ করে দেওয়া হয় যে স্থান পর্যন্ত তার আযানের আওয়াজ পৌঁছায়। (অর্থাৎ যদি এত দূর পর্যন্ত জায়গা তার গুনাহ দ্বারা ভরে যায় তবুও সমুদয় গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়) প্রাণী ও নিষ্প্রাণ যারা মুয়াযযিনের আওয়াজ শুনতে পায় তারা সকলেই কেয়ামতের দিন তার পক্ষে সাক্ষ্য দান করবে।