অনুসরন করুন :
আল-কুরআন

আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯

আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...

বিস্তারিত
আল-হাদীস

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...

বিস্তারিত
সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...

বিস্তারিত

আল হাদীস

হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যারা অন্ধকারে মসজিদের দিকে যায় কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে (চারদিক) আলোকিত করে এমন নূর দ্বারা নূরান্বিত করবেন। (তাবারানী, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)

হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এক নামাযের পর আরেক নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকে সেই ঘোড়সওয়ারের ন্যয় যারা ঘোড়া তাকে নিয়ে দ্রুতগতিতে আল্লাহর রাস্তায় দৌড়ায়। নামাযের অপেক্ষাকারী (নফস শয়তানের বিরুদ্ধে) সবচেয়ে বড় আত্মরক্ষা ব্যুহে অবস্থান করে। (মুসনাদে আহমাদ, তাবারানী, তারগীব)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনু ওমর রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম লোক তারা যারা নামাযে আপন কাঁধকে নরম রাখে। আর সেই কদম সর্বাদিক সওয়াব দানকারী যা মানুষ কাতারের খালি জায়গা পূরণের জন্য উঠায়। (বাযযার, ইবনু হিব্বান, তাবারানী, তারগীব)  

হযরত ওমর ইবনু খাত্তাব রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই ইরশাদ করতে শুনেছি যে, আল্লাহ তায়ালা জামাতের সাথে নামায পড়ার উপর খুশী হন। (মুসনাদে আহমাদ, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)

হযরত উবাই ইবনু কা রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল্মা ইরশাদ করেছেন, কোন এক ব্যক্তি অপর একজনের সাথে মিলে জামাতে নামায আদায় করা তারা একা নামায পড়া অপেক্ষা উত্তম এবং তিনজনের জামাতে নামায পড়া দুইজনের জামাতের পড়া অপেক্ষা উত্তম। এমনিভাবে জামাতের মধ্যে যত লোকজন বেশী হয় তত আল্লাহ তায়ালার নিকট অধিক প্রিয় হয়। (আবু দাউদ)

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, জামাতের সাথে নামাযের সওয়াব পঁচিশ নামাযের সমান হয়। যখন কেউ মাঠে ময়দানে নামায পড়ে এবং তার রুকু, সেজদা পরিপূর্ণ ভাবে আদায় করে। অর্থাৎ তসবীহ গুলিকে ধীর স্থির ভাবে পড়ে তখন সেই নামাযের সওয়াব পঞ্চাশ নামাযের সমান হয়ে যায়। (আবু দাউদ)

হযরত আয়েশা রা. বলেন, যখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওযা সাল্লাম অসুস্থ হলেন এবং তাঁর কষ্ট বেড়ে গেল, তখন তিনি তাঁর অন্যান্য বিবিগণের নিকট হতে অনুমতি নিলেন যেন তাঁর অসুস্থতার খেদমত আমার ঘরে করা হয়। বিবিগন তাঁকে এই ব্যাপারে অনুমতি দিলেন। (অতঃপর যখন নামাযের সময় হল তখন) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (মসজিদে যাওয়ার জন্য) দুই ব্যক্তির উপর ভর করে এই ভাবে বের হলেন যে, (দুর্বলতার দরুন) তাঁর পা মোবারক মাটির উপর হেঁচড়াচ্ছিল (বুখারী)  (ক্রমশ;)

0 | দেখেছেন : 234 |

সম্পর্কিত খবর

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম—কে এক পায়ের উপর আরেক পা তুলে মসজিদে চিত হয়ে শুয়ে থাকতে দেখেছেন। (সহীহ বুখারী ) —কে এক পায়ের উপর আরেক পা তুলে মসজিদে চিত হয়ে শুয়ে থাকতে দেখেছেন। (সহীহ বুখারী )হীহ বুখারী )

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

আবু আইয়ুব রা. বলেন, আমি যখনি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পিছনে নামায পড়েছি, তাকে নামায শেষ করে এই দোয়া পড়তে শুনেছি। (যার অর্থ:) হে আল্লাহ, আমার সমস্ত ভুল-ভ্রান্তি ও গুনাহ মাফ করে দিন, হে আল্লাহ, আমাকে উন্নতি দান করুন, আমার ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করে দিন এবং আমাকে উত্তম আমল ও উত্তম আখলাকের প্রতি হিদায়াত দান করুন, কারণ উত্তম আমল ও উত্তম আখলাকের প্রতি হিদায়াত আপনি ব্যতিত আর কেউ দিতে পারে না।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন

হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযূ করে এবং অযূকে পরিপূর্ণরূপে করে। অত:পর সে শুধু নামাযের উদ্দেশ্যে মসজিদে আসে আল্লাহ তায়ালা সেই বান্দার উপর এমন খুশী হন যে রূপ দূরে চলে যাওয়া কোন আত্মীয় হঠাৎ আগমন করলে ঘরের লোকে খুশী হয়। (ইবনু খুযাইমাহ)

রাসূলুল্লাহ সা, বলেছেন

হযরত আবু যার রা. হতে বর্ণিত আছে যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির উপর অবশ্য কর্তব্য যে, তার শরীরের প্রত্যেকটি জোড়ের সুস্থতার শোকর স্বরূপ প্রত্যহ সকালে একটি করে সদকা করে। প্রতিবার সুবহানাল্লাহ বলা সদকা, প্রতিবার আলহামদুলিল্লাহ বলা সদকা, প্রতিবার লা-ইলাহা ইল­াল­াহু বলা সদকা, প্রতিবার আল্লাহু আকবার বলা সদকা, ভালো কাজের হুকুম করা সদকা, অন্যায় কাজ হতে বাধা প্রদান করা সদকা এবং প্রত্যেক জোড়ের শোকর আদায়ের জন্য চাশতের সময় দুই রাকাত (নামায) পড়া যথেষ্ট হয়ে যাবে। (মুসলিম)