অনুসরন করুন :
আল-কুরআন

আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯

আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...

বিস্তারিত
আল-হাদীস

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...

বিস্তারিত
সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...

বিস্তারিত

কিডনি ঠিক আছে কিনা জানা যাবে ঘরেই করা সহজ পরীক্ষায়

ছবি :  ইন্টারনেট 

সংস্কার ১৬ নভেম্বর ২০২৫: আপনি কি জানেন আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো কিডনী যা,দেখতে শান্ত,কথা না বলা এই দুই ছোট্ট অঙ্গ কিন্তু শরীরের নেপথ্যের নায়ক। কিডনি চুপচাপ নিজের কাজ করে যায়, আর সমস্যায় পড়লেও খুব একটা শব্দ করে না। তবুও শরীরের বর্জ্য ফেলা,পানি নিয়ন্ত্রণ,রক্তচাপ সামলানো সবকিছুরই বড় দায়িত্ব এদের ওপরই। কিন্তু বিপদ হলো,অনেক সময় কিডনি নষ্ট হতে শুরু করলেও শরীর কোনো স্পষ্ট সংকেত দেয় না। তখন আমরা ভাবি,এতো একটু ক্লান্তি ঘুম কম হয়েছে। অথচ ভেতরে ভেতরে কিডনি যেন অনুনয় করছে,একটু পরীক্ষা করে দেখো তো,ঠিক আছি কিনা! তাই কিডনির আসল অবস্থা জানতে দেরি না করা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। মাত্র একটি সহজ রক্তপরীক্ষাই জানাতে পারে কিডনির ভেতরের খবর: কিডনির স্বাস্থ্যের মূল ধারণা পাওয়া যায় মাত্র তিনটি সাধারণ ব্লাড টেস্ট দিয়ে,যেগুলো যেকোনো ল্যাবেই করা যায়।

 ১) সিরাম ক্রিয়েটিনিন (Serum Creatinine)ভাবুন আপনার শরীর একটি ব্যস্ত শহরের মত এখানে কাজ হচ্ছে,বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। সেই বর্জ্যের এক ধরনের নাম হলো ক্রিয়েটিনিন,যা বের করে দেওয়া কিডনির দায়িত্ব।

যা জানা জরুরিঃ স্বাভাবিক মান সাধারণত ০.৬১.৩ mg/dL, এর বেশি হলে বুঝবেন কিডনির ফিল্টার করার ক্ষমতা কমেছে, এটি কিডনির সমস্যা শুরু হওয়ার সবচেয়ে আগের সতর্ক সংকেত।

 ২) eGFR (Estimated Glomerular Filtration Rate:এটিকে কিডনির পারফরমেন্স রিপোর্ট বলা যায়, অর্থাৎ শতকরা কত ভাগ কাজ করছে তা বোঝায়। সংখ্যা অনুযায়ী ধারণাঃ ৯০৬০: সামান্য সমস্যা,জীবন স্বাভাবিক, ৬০৩০: কিডনি প্রায় অর্ধেক কাজ করছে, ৩০১৫: বড় সতর্ক সংকেত, ১৫ এর নিচে: ডায়ালাইসিস/ট্রান্সপ্লান্ট ভাবতে হয়, একটি সংখ্যাই জানিয়ে দেয় কিডনি কোন স্টেজে আছে।

৩) Blood Urea Nitrogen (BUN)

এটা শরীরের আরেক ধরনের বর্জ্য,যেটা কিডনি পরিষ্কার করে। মান বেড়ে গেলে বুঝতে হয় শরীরের বর্জ্য অপসারণ ভালোভাবে হচ্ছে না।

এবার ইউরিন টেস্ট - শরীরের গোপন তথ্যদাতা

ইউরিনে লুকানো থাকে কিডনির নানান ইঙ্গিত। রুটিন পরীক্ষা করলে জানা যায় - অতিরিক্ত প্রোটিন আছে কি না (কিডনি লিক করছে), রক্ত যাচ্ছে কি না, কোনো ইনফেকশন আছে কি না, শর্করা আছে কি না; এগুলো দেখে ডাক্তার খুব সহজেই সমস্যা শনাক্ত করতে পারেন।

কিডনির অবস্থা জানার তিন ধাপ: 

ধাপ ১: ব্লাড টেস্ট:  Creatinine, eGFR, BUN, ধাপ ২: রুটিন ইউরিন পরীক্ষা, Urine R/E, ধাপ ৩: রিপোর্ট নেফ্রোলজিস্টকে দেখানো, প্রয়োজন হলে তিনি আরও নির্দেশ দেবেন, সব মিলিয়ে বিষয়টা খুবই সহজ।

কিডনিকে খুশি রাখতে সহজ কিছু অভ্যাস: নিয়মিত পানি পান করুন (অতিরিক্ত বা কম নয়), লবণ কম খান কিডনির বড় শত্রু, ব্যথার ওষুধ (painkiller) অকারণে খাবেন না, ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখুন, প্রতিদিন হাঁটুন শরীর ভালো থাকে,কিডনি আরাম পায়।

শেষ কথা

আপনার কিডনি হয়তো খুব নিরব, কিন্তু কখনোই আপনাকে অগ্রাহ্য করে না। একটি সাধারণ রক্তপরীক্ষা আর একটি ইউরিন টেস্টই জানিয়ে দিতে পারে আপনার কিডনির প্রকৃত অবস্থা। পরীক্ষা করতে ভয় নেই; বরং পরীক্ষা না করাই আসল ঝুঁকি। এই আর্টিকেলটি স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে লেখা। কোনো শারীরিক সমস্যায় অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সংস্কার/ইএফহ

সম্পর্কিত খবর

কিডনি বা পিত্তথলির পাথর কেনো হয়, কী ভাবে এ প্রবণতা আটকানো যায়

কিডনি হোক বা পিত্তথলি, দৈনন্দিন ভুলেই পাথর হয়, কী ভাবে এমন প্রবণতা আটকানো সম্ভব? কিডনিতে এক বার পাথর হলে, আবার তা হতে পারে। পিত্তথলিতেও পাথর হতে পারে দৈনন্দিন জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ না আনলেই। কী ভাবে সেই ঝুঁকি এড়াবেন?

মাথায় এরাকনয়েড সিস্ট

আমাদের ব্রেনে বিভিন্ন রকমের পানি ভর্তি থলি বা সিস্ট হতে পারে। এর মধ্যে কিছু সিস্ট আছে যেগুলো খুব বেশি সমস্যা করে না। এরাকনয়েড সিস্ট সেরকমই একটি সিস্ট। তবে খুব বড় হয়ে গেলে এটি সমস্যা তৈরী করতে পারে। ছেলেদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়।

অটোফাজির মাধ্যমে ক্যান্সার চিকিৎসার সম্ভাবনা

জাপানের বিখ্যাত বিজ্ঞানী প্রফেসর ইয়শিনরি অসুমি অটোফাজি (Fasting) এর উপর গবেষণা করে ২০১৬ সালে মেডিসিনে নোবেল পুরুস্কার পান। তার গবেষণায় অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবপ্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক ড. জাহাঙ্গীর মো. আলম তার সাথে গবেষণা করার আগ্রহ জানিয়ে চিঠি লেখেন। ড. আলমের চিঠি পেয়ে প্রফেসর ইয়শিনরি তার গবেষণা টিমে যোগদানের জন্য তাকে পত্র পাঠান। ড. আলম ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রফেসরখেন। ড. আলমের চিঠি পেয়ে প্রফেসর ইয়শিনরি তার গবেষণা টিমে যোগদানের জন্য তাকে পত্র পাঠান।

যকৃতে চর্বি বা ফ্যাটি লিভার ডিজিজ

মেটাবলিক ডিসফাংশন-অ্যাসোসিয়েটেড ফ্যাটি লিভার ডিজিজ