অনুসরন করুন :
আল-কুরআন

আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯

আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...

বিস্তারিত
আল-হাদীস

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...

বিস্তারিত
সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...

বিস্তারিত

হাসপাতালে ভেন্টিলেশন কাদের জন্য এতে কী জানা যায়

ফাইল ফটো

সংস্কার ০২ ডিসেম্বর ২০২৫: হঠাৎ হাসপাতালে কোনো রোগীকে ভেন্টিলেশনে নেওয়ার কথা জানলে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিন্তু বাস্তবে ভেন্টিলেটর এমন একটি চিকিৎসা-সহায়ক যন্ত্র, যা বিপদে পড়া রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সহজ ভাষায় বোঝার জন্য বিষয়টি ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হলো। ভেন্টিলেশন কী, কেন দিতে হয় এবং এটি কীভাবে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখে।

ভেন্টিলেশন কীভাবে কাজ করে

ভেন্টিলেশন হলো এমন একটি চিকিৎসা প্রক্রিয়া যেখানে একটি মেশিন রোগীর ফুসফুসে বাতাস প্রবেশ ও নির্গমনে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় রোগী পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাচ্ছে এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড সঠিকভাবে বের হচ্ছে।  ভেন্টিলেটর মেশিন কখনো রোগীর হয়ে পুরোপুরি শ্বাস নেয়, আবার কখনো তার নিজের শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতাকে বাড়তি সহায়তা দেয় রোগীর অবস্থার ওপর ভিত্তি করে।

কোন পরিস্থিতিতে ভেন্টিলেশন প্রয়োজন হয়

১) শ্বাস নিতে ব্যর্থতা বা তীব্র শ্বাসকষ্ট: হাঁপানি, নিউমোনিয়া, সিওপিডি, গুরুতর কোভিড-১৯ বা হঠাৎ ফুসফুসে জটিলতার মতো অবস্থায় রোগী নিজে যথেষ্ট শ্বাস নিতে পারেন না।

২) রক্তে অক্সিজেন কমে গেলে: হাইপোক্সিয়া হলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই জরুরি অবস্থায় ভেন্টিলেটর অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

৩) বড় ধরনের অপারেশনের সময়: অচেতন অবস্থায় রোগী নিজে শ্বাস নিতে না পারায় অপারেশনের সময় সাময়িকভাবে ভেন্টিলেটর ব্যবহার করা হয়।

৪) দুর্ঘটনা, স্ট্রোক বা মাথায় আঘাতের পর : মস্তিষ্ক শ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে। এ অংশে সমস্যা হলে স্বাভাবিক শ্বাসে ব্যাঘাত ঘটে, তখন ভেন্টিলেশন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

৫) সেপসিস বা মারাত্মক সংক্রমণ: সারা শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়লে শ্বাস-প্রশ্বাস দুর্বল হয়ে যায়, ভেন্টিলেটর রোগীকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।

ভেন্টিলেশন মানেই কি রোগীর অবস্থা খুব গুরুতর

এ ধারণা সব সময় ঠিক নয়। অনেক ক্ষেত্রেই ভেন্টিলেটর অল্প সময়ের জন্য সহায়তা দেয়; নিউমোনিয়ায় ২-৩ দিন, অপারেশনের পর কয়েক ঘণ্টা, কোনো দুর্ঘটনার পরে কিছু সময়, এই সময়টুকু মেশিন শ্বাসের ভার সামলে নেয়, যাতে রোগীর শরীর সুস্থ হওয়ার সুযোগ পায়।

ভেন্টিলেটর কি ব্যথা বা অস্বস্তি দেয়

মুখ দিয়ে শ্বাসনালীতে টিউব প্রবেশ করানোর কারণে অস্বস্তি হতে পারে। এজন্য রোগীকে সাধারণত; সেডেশন, ব্যথানাশক,  দিয়ে আরামদায়ক রাখা হয়, যাতে টিউবের কারণে অস্বস্তি অনুভূত না হয়।

ভেন্টিলেশন থেকে রোগীকে কীভাবে নামানো হয়

যখন ডাক্তাররা নিশ্চিত হন যে, রোগী নিজে শ্বাস নিতে পারছে, অক্সিজেন লেভেল স্বাভাবিক, ফুসফুস কার্যকর, তখন ধীরে ধীরে ভেন্টিলেটরের সহায়তা কমানো হয়। এই ধাপকে বলা হয় উইনিং। শেষে টিউব খুলে দেওয়া হয়।

শেষ কথা

সংকটময় মুহূর্তে ভেন্টিলেটর রোগীর হয়ে শ্বাস নেওয়ার কাজটি সাময়িকভাবে করে দেয়, যাতে শরীর আবার নিজ শক্তিতে ফিরতে পারে। এটিকে শেষ ধাপের চিকিৎসা ভেবে আতঙ্কিত হওয়ার পরিবর্তে বুঝতে হবে ভেন্টিলেশন অনেক সময়ই স্রষ্টার কৃপায় রোগীকে নতুনভাবে বাঁচার সুযোগ করে দেয়।

সংস্কার/ইএফহ

সম্পর্কিত খবর

গ্লোবাল ডায়াবেটিস নিয়ে নতুন উদ্বেগ : উচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা এখন প্রকৃত অর্থেই বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকির বড় সতর্কবার্তা দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) প্রকাশিত সর্বশেষ অ্যাটলাসে উঠে এসেছে, পৃথিবীর প্রতি ৯ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন এই রোগে ভুগছেন। ২০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী জনগোষ্ঠীর

কিডনি ঠিক আছে কিনা জানা যাবে ঘরেই করা সহজ পরীক্ষায়

আপনি কি জানেন আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো কিডনী যা,দেখতে শান্ত,কথা না বলা এই দুই ছোট্ট অঙ্গ কিন্তু শরীরের নেপথ্যের নায়ক। কিডনি চুপচাপ নিজের কাজ করে যায়, আর সমস্যায় পড়লেও খুব একটা শব্দ করে না। তবুও শরীরের বর্জ্য ফেলা,পানি নিয়ন্ত্রণ,রক্তচাপ সামলানো সবকিছুরই বড় দায়িত্ব

কিডনি বা পিত্তথলির পাথর কেনো হয়, কী ভাবে এ প্রবণতা আটকানো যায়

কিডনি হোক বা পিত্তথলি, দৈনন্দিন ভুলেই পাথর হয়, কী ভাবে এমন প্রবণতা আটকানো সম্ভব? কিডনিতে এক বার পাথর হলে, আবার তা হতে পারে। পিত্তথলিতেও পাথর হতে পারে দৈনন্দিন জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ না আনলেই। কী ভাবে সেই ঝুঁকি এড়াবেন?

মাথায় এরাকনয়েড সিস্ট

আমাদের ব্রেনে বিভিন্ন রকমের পানি ভর্তি থলি বা সিস্ট হতে পারে। এর মধ্যে কিছু সিস্ট আছে যেগুলো খুব বেশি সমস্যা করে না। এরাকনয়েড সিস্ট সেরকমই একটি সিস্ট। তবে খুব বড় হয়ে গেলে এটি সমস্যা তৈরী করতে পারে। ছেলেদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়।