অনুসরন করুন :
আল-কুরআন

আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯

আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...

বিস্তারিত
আল-হাদীস

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...

বিস্তারিত
সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...

বিস্তারিত

গ্লোবাল ডায়াবেটিস নিয়ে নতুন উদ্বেগ : উচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

ফাইল ফটো 

সংস্কার ০২ ডিসেম্বর ২০২৫: বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা এখন প্রকৃত অর্থেই বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকির বড় সতর্কবার্তা দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) প্রকাশিত সর্বশেষ অ্যাটলাসে উঠে এসেছে, পৃথিবীর প্রতি ৯ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন এই রোগে ভুগছেন। ২০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৮৯ মিলিয়ন, যার মধ্যে ২৫২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এখনো নিজেদের রোগ সম্পর্কে জানেন না। ফলে লক্ষাধিক মানুষ অজান্তেই গুরুতর জটিলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।

গবেষণা বলছে, বিশ্বে যেসব দেশে ডায়াবেটিস রোগী সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে, সেই তালিকার শুরুতে রয়েছে চীন, ভারত ও পাকিস্তান। তাদের পরেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ, মিশর, ইরান, ফিলিপাইন এবং সউদী আরব; যেসব দেশে রোগীর বিস্তৃতি ক্রমেই স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং জাতীয় অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রবণতা দীর্ঘমেয়াদে আরও ভয়াবহ সংকট তৈরি করতে পারে। আইডিএফের ২০২৫ সালের আগস্টে প্রকাশিত মূল্যায়নে উল্লেখ করা হয়, গত বছরে ডায়াবেটিসে বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩৪ লাখ মানুষ। অর্থাৎ প্রতি ৯ সেকেন্ডে একজন করে মানুষ এই রোগে মারা যাচ্ছেন। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো গত ১৭ বছরে ডায়াবেটিসজনিত ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ ট্রিলিয়ন ডলার, যার বৃদ্ধির হার ৩৩৮ শতাংশ। এ বিশাল আর্থিক চাপ সবচেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে, যেখানে প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা ও প্রাথমিক শনাক্তকরণ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়ে পৌঁছাতে পারে প্রায় ৮৫৩ মিলিয়নে, যার প্রায় ৮১ শতাংশই থাকবে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। বিশেষত দ্রুত নগরায়ন, বদলে যাওয়া খাদ্যাভ্যাস, স্থূলতা বৃদ্ধি, শারীরিক অনিয়মিত জীবনধারা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের হার ক্রমেই বাড়ছে - যা জীবনযাত্রা সংক্রান্ত অসুস্থতার অন্যতম বড় উদাহরণ।

ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে এখনই শক্তিশালী প্রতিরোধমূলক উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি প্রাথমিক শনাক্তকরণ, সচেতনতা বৃদ্ধি, নিয়মিত স্ক্রিনিং এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলছে, এসব পদক্ষেপ দ্রুত না নিলে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস সংকট সামলানো আরও কঠিন হয়ে পড়বে। (গালফ নিউজ)

সংস্কার/ইএফহ

সম্পর্কিত খবর

হাসপাতালে ভেন্টিলেশন কাদের জন্য এতে কী জানা যায়

হঠাৎ হাসপাতালে কোনো রোগীকে ভেন্টিলেশনে নেওয়ার কথা জানলে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিন্তু বাস্তবে ভেন্টিলেটর এমন একটি চিকিৎসা-সহায়ক যন্ত্র, যা বিপদে পড়া রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সহজ ভাষায় বোঝার জন্য বিষয়টি ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হলো। ভেন্টিলেশন কী, কেন দিতে হয় এবং

কিডনি ঠিক আছে কিনা জানা যাবে ঘরেই করা সহজ পরীক্ষায়

আপনি কি জানেন আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো কিডনী যা,দেখতে শান্ত,কথা না বলা এই দুই ছোট্ট অঙ্গ কিন্তু শরীরের নেপথ্যের নায়ক। কিডনি চুপচাপ নিজের কাজ করে যায়, আর সমস্যায় পড়লেও খুব একটা শব্দ করে না। তবুও শরীরের বর্জ্য ফেলা,পানি নিয়ন্ত্রণ,রক্তচাপ সামলানো সবকিছুরই বড় দায়িত্ব

কিডনি বা পিত্তথলির পাথর কেনো হয়, কী ভাবে এ প্রবণতা আটকানো যায়

কিডনি হোক বা পিত্তথলি, দৈনন্দিন ভুলেই পাথর হয়, কী ভাবে এমন প্রবণতা আটকানো সম্ভব? কিডনিতে এক বার পাথর হলে, আবার তা হতে পারে। পিত্তথলিতেও পাথর হতে পারে দৈনন্দিন জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ না আনলেই। কী ভাবে সেই ঝুঁকি এড়াবেন?

মাথায় এরাকনয়েড সিস্ট

আমাদের ব্রেনে বিভিন্ন রকমের পানি ভর্তি থলি বা সিস্ট হতে পারে। এর মধ্যে কিছু সিস্ট আছে যেগুলো খুব বেশি সমস্যা করে না। এরাকনয়েড সিস্ট সেরকমই একটি সিস্ট। তবে খুব বড় হয়ে গেলে এটি সমস্যা তৈরী করতে পারে। ছেলেদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়।