অনুসরন করুন :
আল-কুরআন

আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯

আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...

বিস্তারিত
আল-হাদীস

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...

বিস্তারিত
সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...

বিস্তারিত

স্মরণীয় বরণীয় আগস্ট ২০২৪

সৈয়দ আমীর আলীর  ইন্তেকাল

৩ আগস্টঃ সৈয়দ আমীর আলী বাঙ্গালী মুসলমানদের মধ্যে সর্বপ্রথম এম এ পাশ করেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সৈয়দ আমীর আলীর শিক্ষা ও কর্মজীবনের বিশাল গৌরবদীপ্ত অধ্যায় বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। রাজ্যহারা, মসনদহারা, পথহারা মুসলমানদের মধ্যে যখন চেতনা চাই, নেতা চাই, এ রকম ফরিয়াদ উচ্চারিত হচ্ছিল তখন আমীর আলী মুসলিম সমাজের এই দাবী মিটানোর লক্ষ্যে ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দে “সেন্টার ফর ন্যাশনাল মোহামেডান এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। ইসলামের সোনালী পাতায় তার নাম স্ময়ণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ৭৯ বছর বয়সে ১৯২৯ সালে ৩ আগস্ট ইন্তেকাল করেন।

বিখ্যাত চিকিৎসক  ডাঃ নওয়াব আলীর ইন্তেকাল

৪ আগস্টঃ চিকিৎসা পেশায় বাঙ্গালী মুসলমানদের পুরোধা ডাঃ নওয়াব আলী ৪ আগস্ট ১৯৭৭ সালে ঢাকায়  ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৯২৭ সালে চাঁদপুর জেলার মতলব থানায় এক সস্ম্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৭ সালে তিনি কলকাতা মুসলিম মেডিকেল কলেজ থেকে মুষ্টিমেয় মুসলমানদের মধ্যে এম বি বি এস পাস করে তৎকালীন বাঙ্গালী মুসলমানদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি করেন। ১৯৪৪ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের এডিনবরায় অবস্থিত রয়েল কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স এন্ড সার্জন্স থেকে এম আর সি পি লাভ করেন। দেশ বিভাগের পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রফেসর অব মেডিসিন এবং অধ্যক্ষের পদ অলংকৃত করেন। তিনি চাঁদপুর জেলার মতলবে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আঞ্চলিক উদরাময়        হাসপাতাল এর পথিকৃত হিসিবে ইতিহাসে ভাস্বর হয়ে আছেন। তিনি অনেক মূল্যবান গবেঘণা গ্রন্থ লিখে গেছেন। ১৯৬২ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের      চিকিৎসা পেশার ইতিহাসে ডাঃ নওয়াব আলী একজন কিংবদন্তি পুরুষ হিসেবে অমর হয়ে আছেন।

কবি সিকান্দার আবু  জাফরের মৃত্যু

৫ আগস্টঃ বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক সিকান্দার আবু জাফর ১৯৭৫ সালে ৫ আগস্ট ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। পাকিস্তান আমলে মৌলিক সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে দেশের সাহিত্য সভায় তিনি অমর হয়ে আছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ কালের সাড়া জাগানো গণসঙ্গীত “আমাদের সংগ্রাম চলবেই তারই রচনা। ১৯১৯ সালে সাতক্ষীরা জেলার এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মলাভ করেন। ১৯৩৬ সালে তিনি মেট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি ‘ইত্তেফাকের সহযোগী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরও ১৯৫০ সাল পযর্ন্ত কলকাতায় কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরে আসেন। তিনি ১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষের সময় নিগৃহীত নাগরিকদের অধিকার আদায়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলা একাডেমির পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।

ড.সৈয়দ আলী আশরাফ রাহ. এর ইন্তেকাল 

৭ আগস্টঃ প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ সৈয়দ আলী আশরাফের মৃত্যু এই দিনে। বিশ^ব্যাপী শিক্ষার ইসলামীকরণ আন্দোলনের   পথিকৃত বিশ^বিখ্যাত শিক্ষাবিদ, কবি, সমালোচক, সূফী ও ইংরেজী সাহিত্যের খ্যাতিমান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আলী  আশরাফ বর্তমান মাগুরা জেলার আলোকদিয়ার সূফী ঘরানার বিখ্যাত সৈরদ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিখ্যাত সাধক শাহ আলী বাগদাদী রাহ. এর বংশধর। মরহুম সৈরদ আলী আশরাফ বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় দারুল ইহসানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ  ঠাকুরের মৃত্যু

৭ আগস্টঃ বাংলা ১২৬৮ সালে ২৫ বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পরলোক গমন করেন ৭ আগস্ট ১৯৪১ বাংলা ১৩৪৮ এর ২২ শ্রাবণ। কতকাতার জোড়া সাকোর ঠাকুর রাড়ীতে তার জন্ম। সাহিত্যে তিনি একমাত্র নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত বাংলা ভাষার কবি। তিনি ভারতে জাতীয় কংগ্রেসের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তিনি মূলত রোমান্টিক কবি। অসংখ্য গান, কবিতা, ছড়া ও উপন্যাস লিখে গেছেন। বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ করণে তার ভূমিকা অসামান্য।

মওলানা আকরাম খাঁর মৃত্যু

১৪ আগস্টঃ প্রখ্যাত সাংবাদিক চিন্তাবিদ ও রাজনীতিক মওলানা আকরাম খাঁ ১৯৬৮ সালে এই দিনে ইন্তেকাল করেন।      মাওলানা আকরাম খাঁর ১৯৬৯ সালে চব্বিশ পরগনা জেলার হাকিমপুর গ্রামে সম্ম্রান্ত আলেম ও মুজাহিদ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলহাজ¦ মাওলানা আব্দুল বারী সীমান্তের মুজাহিদ আন্দোলনে যোগ দিয়ে বৃটিশ সা¤্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে গাজী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

শেখ মুজিবুর রহমানের ইন্তেকাল

১৫ঃ আগস্টঃ সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু দিবস। ১৯৭৫ সালে এই দিনে ধানমন্ডি ৩২ নংবাড়িতে সপরিবারে সৃশংসভাবে তিনি নিহত হন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের শিকার হয়ে তিনি সপরিবারে এই  নৃশংস হ্যত্যার মুখোমুখি হন। তার অবদান অসামান্য। তিনি জীবনে বহু জেল, জুলুম নির্যাতন বরণ করেছেন। এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য সর্বোপরি স্বাধীনতার ডাক দিয়ে তিনি বাংলাদেশ নামক নতুন রাষ্ট্রের সূচনা করেন। যার ফলে ১৯৭১ লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ইন্তেকাল

২৭ আগস্টঃ এই দিনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইন্তেকাল করেন। মুসলিম পুণর্জাগরণের এ কবি বাংলা সাহিত্য, কাব্য, সঙ্গীত, সমাজ ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব। তার স্বতন্ত্রধর্মী অবদানের জন্য মুসলমানরা তাকে কোন দিন ভুলবে না। বিংশ শতাব্দীর সমাজ বান্তবতায় কবি মানবতা ও স্বাধীনতার জয়গান গেয়ে বৃটিশ শাসকদের রোষানলে পতিত হন এবং কয়েকবার কারা বরণকরেন। তিনি ১৮৯৯ সালে বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশেকবিকে কবরস্থ করা হয়।

সম্পর্কিত খবর

স্মরণীয় বরণীয়, সেপ্টেম্বর ২০২৪

জেনারেল আতাউল গণী ওসমানী ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর পিতার কর্মস্থল সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ওসমানীর মাতা ও পিতা যথাক্রমে জাবেদা খাতুন ও খান বাহাদুর মফিজুর রহমান। স্কুলে বাল্য শিক্ষা লাভের পর গভর্নমেন্ট হাইস্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে ওসমানী ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর তিনি ১৯৩৪ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৩৮ সালে তিনি মাস্টার্স ডিগ্রীর প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ওসমানী নিজ মেধা বলে ১৯৩৯ সালে ক্যাডেট হিসেবে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।

স্মরণীয় বরণীর, এপ্রিল ২০১৯ : মৌলভী মুজিবুর রহমানের ইন্তেকাল

মৌলভী মুজিবুর রহমানের ইন্তেকাল ২৬ এপ্রিলঃ বিশিষ্ট সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও সমাজসেবক মৌলভী মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালের ২৬ এপ্রিল ইন্তেকাল করেন। চব্বিশ পরগণা জেলার বশিরহাটের নেহালপুরে ১৮৭৩ সালের ২২ জানুয়ারী তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এন্ট্রাস পাস করে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে এফএ পর্যন্ত অধ্যায়ন শেষে সরকারী চাকুরী ও কিছুদিন ব্যবসা করার পর সাংবাদিকতায় নিয়োজিত হন। কলকাতার সাপ্তাহিক ইসলাম রবিতে ক’বছর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

স্মরণীয় বরণীয়, এপ্রিল ২০১৯ : ওয়াজেদ আলীর ইন্তেকাল

২৪ এপ্রিলঃ বিশিষ্ট সমাজসেবী, দানবীর বিদ্যুৎসাহী টাঙ্গাইলের ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ১৩৪৩ বাংলা সালের ১২ বৈশাখ ইন্তেকাল করেন। ১২৭৬ বাংলা সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মাতৃভাষা বাংলা ছাড়াও আরবী, ফারসী, উর্দু ও ইংরেজীতে তিনি প্রগাঢ় জ্ঞান লাভ করেন। তিনি তদানিন্তন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার কংগ্রেস ও খেলাফত কমিটির সভাপতি নিযুক্ত হন। পরাধীন ভারতকে ইংরেজ শাসনমুক্ত করার প্রত্যয়ে গান্ধী সূচীত অসহযোগ আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে গিয়ে তিনি ১৯২১ সালে

স্মরণীয় বরণীয়, এপ্রিল ২০১৯ : শামসুন নাহার মাহমুদের ইন্তেকাল

নারী সমাজকে যিনি জ্ঞানের আলো, জাগরণের মন্ত্র এবং উজ্জীবনের উৎসাহ দিয়ে অন্ধকার থেকে আলোয় আনার কান্ডারী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি হলেন বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ। এ মনীষী ১৯৬৪ সালে ১০ এপ্রিল ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। ১৯০৮ সালে ফেনী জেলার গুথুমা গ্রামের এক ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের