আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯
আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...
বিস্তারিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...
বিস্তারিতবাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...
বিস্তারিতজেনারেল আতাউল গণী ওসমানীর
জন্ম
১ সেপ্টেম্বরঃ জেনারেল
আতাউল গণী ওসমানী ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর পিতার কর্মস্থল সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।
ওসমানীর মাতা ও পিতা যথাক্রমে জাবেদা খাতুন ও খান বাহাদুর মফিজুর রহমান। স্কুলে বাল্য
শিক্ষা লাভের পর গভর্নমেন্ট হাইস্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে ওসমানী ম্যাট্রিক পাস করেন।
এরপর তিনি ১৯৩৪ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৩৮ সালে তিনি মাস্টার্স
ডিগ্রীর প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ওসমানী নিজ মেধা বলে ১৯৩৯ সালে
ক্যাডেট হিসেবে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি পিএইচডি
ডিগ্রী লাভ করেন। চট্টগ্রাম সেনানিবাসের প্রতিষ্ঠাতা ওসমানী ১৯৫১—৫৫ এর ভিতর বিভিন্ন সময়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম,
যশোর সহ এ অঞ্চলের সেনানিবাস সমূহের স্টেশন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইস্ট
বেঙ্গল রেজিমেন্টের মার্চপাস্ট সঙ্গীতে কবি নজরুল ইসলামের জনপ্রিয় সঙ্গীত ‘চল চল’ কে অনুমোদন নিয়ে চালু করেন। ১৯৭১ সালে
বাংলাদেশকে পাকিস্তানের শোষণ থেকে মুক্ত করার মানসে সংগ্রাম শুরু হয়। জেনারেল ওসমানীর
বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সেনাবাহিনী দীর্ঘ ন’মাস যুদ্ধ করে অবশেষে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পন করতে বাধ্য করে এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ১৯৮৪
সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী জেনারেল ওসমানী লন্ডনের সেন্টপল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ
করেন। ২০ ফেব্রুয়ারী সামরিক মর্যাদায় তার ইচ্ছানুযায়ী তাকে শাহ—জালালের মাজার প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়।
নারীন্দা পীর সাহেব
নজর ইমামের ইন্তেকাল
২ সেপ্টেম্বরঃ বিশিষ্ট
ইসলামী চিন্তাবিদ, বুজুর্গ, নারীন্দার পীর সাহেব মাওলানা শাহ সৈয়দ নজর ইমাম মোহাম্মদ
রাহ. ২০০২ সালের ২ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
নারীন্দার পীর সৈয়দ নজর ইমাম ১৯২৭ সালে ভারতের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে বোম্বে
শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মরহুমের পূর্ব পুরুষ সউদী আরব থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশে ভারতে
এসেছিলেন। মরহুমের পিতা আব্দুর রহমান বরকত রাহ. পাক ভারত উপমহাদেশের বিশিষ্ট ইসলামী
চিন্তাবিদ ও অলিয়ে কামেল ছিলেন। ১৯৪৭ সালের পর সৈয়দ ইমাম তার পূর্ব পুরুষগণের সাথে
ঢাকার কলুটোলায় আগমন করেন। পরে নারীন্দায় খানকা তৈরী করে ধর্মপ্রচার শুরু করেন। তিনি
মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
আল—বেরুনীর জন্ম
৩ সেপ্টেম্বরঃ দশম শতাব্দীর
ক্রান্তিলগ্নে এবং একাদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে যেসব মনীষীর অবদানে পৃথিবীর জ্ঞান—বিজ্ঞান ও সভ্যতা কয়েক ধাপ এগিয়ে গিয়েছিল,
আল বেরুনী তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। জ্যোতির্বিজ্ঞান,
পদার্থ বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান, রসায়ন, জীবতত্ত্ব, ভূ—তত্ত্ব, উদ্ভিদ তত্ত্ব, গণিত, দর্শন,
ন্যায় শাস্ত্র, দিনপঞ্জির তালিকা ও ইতিহাস, সভ্যতার ইতিহাস, ধর্মতত্ত্ব প্রভৃতিতে
তার ছিল অগাধ পান্ডিত্য। তিনিই সর্বপ্রথম প্রাচ্যের জ্ঞান—বিজ্ঞানের প্রতি মুসলিম মনীষীদের দৃষ্টি
আকর্ষণ করেন। আল—বেরুনী ৯৭৩ খৃষ্টাব্দের ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার খাওয়ারিজমের শহরতলীতে
জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম আবু রাইহান মুহাম্মদ ইবনু আহমদ আল বেরুনী। আর এ বিশ্ব
বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক, বহুগ্রন্থ প্রণেতা এবং বিজ্ঞানী আবু রাইহান মুহাম্মদ
ইবনু আহমদ আল বেরুনী ১০৪৮ সালের ১২ ডিসেম্বর রোজ শুক্রবার ৭৫ বছর বয়সে আল্লাহর সান্নিধ্যে
চলে যান।
আবুল মনসুর আহমদের জন্ম
১৩ সেপ্টেম্বরঃ উপমহাদেশের
বিশিষ্ট সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ মরহুম আবুল মনসুর আহমদ ১৮৯৮ সালের
৩ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। মরহুম আবুল মনসুর আহমদ চল্লিশ দশকের শেষের দিকে যখন তৎকালীন
পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয় তখন তিনি এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট
ছিলেন। তিনি যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার লিখেছিলেন যা যুক্তফ্রন্টকে ক্ষমতায়
নিয়ে আসে এবং তিনি ঐ সময় শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন। তার
লেখা ২১ দফা—ই ১৯৬৯ সালের ১১ দফা
আন্দোলনের ঐতিহাসিক পটভূমি তৈরী করে যা পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালে এক দফা তথা স্বাধীনতা
আন্দোলনে রূপ নেয়। তিনি তার জনপ্রিয় লেখনীর মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক ধারণা প্রচার
করেন। পঞ্চাশ দশকের শেষের দিকে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য ও শিক্ষামন্ত্রী এবং
পরে প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দীর মন্ত্রীসভায় ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন
করেন।
মাও. এবিএম ইকবাল হুসাইনের ইন্তেকাল
১৪ সেপ্টেম্বর: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ আবুল বাশার মুহাম্মদ ইকবাল হুসাইন ২০০০ সালের এই দিনে আমাদের ছেড়ে পরম করুণাময়ের দরবারে পাড়ি জমান। ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণকারী বরিশালের এই কৃতিসন্তান তার স্বল্প পরিসরের জীবনে আদর্শ মুসলিম কর্ম বীরের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সরকারী মাদরাস—ই আলীয়া ঢাকা হতে হাদীস ও আরবী সাহিত্যে কামিল, কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এবং দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎকালীন ইনস্টিটিউট অব হায়ার ইসলামিক লার্নিং এর ইসলামিক স্টাডিজ এন্ড দাওয়াহ বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৯৪ এ আল মুনতাদা আলু ইসলামী বাংলাদেশ শাখায় একজন দায়ী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও তিনি অতি অল্পদিনেই আপন যোগ্যতা ও কর্মকুশলতায় উক্ত সংস্থার শিক্ষা ও দাওয়াহ বিভাগের পরিচালক নিযুক্ত হন। রিয়াদস্থ বাংলাদেশ ভিত্তিক 'সংস্কার' সামাজিক সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা বিষয়ক সংস্থার পরিচালনা কমিটি ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম ছিলেন। ঢাকা থেকে প্রকাশিত ব্যতিক্রমধর্মী মাসিক পত্রিকা 'সংস্কার' প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা অবস্মিরণীয়। মৃত্যুর তিনদিন পূর্বেও তিনি সংস্কারের জন্য লিখে যান। আল মুনতাদা আল ইসলামী থেকে তার অনুবাদ গ্রন্থ 'আল ফিকহুল আকবর, প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালে। এছাড়ও তিনি আল—মুনতাদা আল ইসলামীতে কর্মরত ইমাম, মুয়াজ্জিন, সদস্য নীতি নির্ধারকসহ গাজীপুরে প্রতিষ্ঠিত অত্যাচার—অনাচার জুলুম— প্রতিরোধকারী প্রতিষ্ঠান 'আল ইনসাফ সোসাইটির' সভাপতি ছিলেন। ব্যক্তি হিসেবে সাদাসিধে, সদালাপী, এ ক্ষণজন্মা পুরুষ বাল্যকালেই বাতজ্বরে আক্রান্ত হন এবং অবশেষে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০০ এর রাত ১.২০ টার সময় হৃদরোগের প্রকোপে এ নশ্বর পৃথিবী ত্যাগ করে মহান প্রভুর সান্নিধ্যে চলে যান।
স্মরণীয় বরণীয় আগস্ট ২০২৪
মৌলভী মুজিবুর রহমানের ইন্তেকাল ২৬ এপ্রিলঃ বিশিষ্ট সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও সমাজসেবক মৌলভী মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালের ২৬ এপ্রিল ইন্তেকাল করেন। চব্বিশ পরগণা জেলার বশিরহাটের নেহালপুরে ১৮৭৩ সালের ২২ জানুয়ারী তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এন্ট্রাস পাস করে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে এফএ পর্যন্ত অধ্যায়ন শেষে সরকারী চাকুরী ও কিছুদিন ব্যবসা করার পর সাংবাদিকতায় নিয়োজিত হন। কলকাতার সাপ্তাহিক ইসলাম রবিতে ক’বছর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
২৪ এপ্রিলঃ বিশিষ্ট সমাজসেবী, দানবীর বিদ্যুৎসাহী টাঙ্গাইলের ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ১৩৪৩ বাংলা সালের ১২ বৈশাখ ইন্তেকাল করেন। ১২৭৬ বাংলা সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মাতৃভাষা বাংলা ছাড়াও আরবী, ফারসী, উর্দু ও ইংরেজীতে তিনি প্রগাঢ় জ্ঞান লাভ করেন। তিনি তদানিন্তন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার কংগ্রেস ও খেলাফত কমিটির সভাপতি নিযুক্ত হন। পরাধীন ভারতকে ইংরেজ শাসনমুক্ত করার প্রত্যয়ে গান্ধী সূচীত অসহযোগ আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে গিয়ে তিনি ১৯২১ সালে
নারী সমাজকে যিনি জ্ঞানের আলো, জাগরণের মন্ত্র এবং উজ্জীবনের উৎসাহ দিয়ে অন্ধকার থেকে আলোয় আনার কান্ডারী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি হলেন বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ। এ মনীষী ১৯৬৪ সালে ১০ এপ্রিল ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। ১৯০৮ সালে ফেনী জেলার গুথুমা গ্রামের এক ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের