আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯
আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...
বিস্তারিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...
বিস্তারিতবাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...
বিস্তারিতশামীমা
আকতার
"তোমরা
নামাজ কায়েম কর, যাকাত প্রদান
কর, এবং রুকুকারীদের সাথে
রুকু কর"। (বাক্বারা: ৪৩)
যাকাত
আরবী শব্দ। যাকাত শব্দের আভিধানিক অর্থ প্রবৃদ্ধি, পবিত্রতা,
পরিচ্ছন্নতা ও পরিশুদ্ধি। ইসলামের
পাঁচটি স্তম্ভে একটি হলো যাকাত।
আল কুরআনে নামাজের নির্দেশ যেমন ৮২ বার
রয়েছে, অনুরূপ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যাকাতের
নির্দেশনাও রয়েছে। পবিত্র কুরআনে যাকাত শব্দটির উল্লেখ আছে ৩২ বার।
এর দ্বারা জাকাতের গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়। রমজানের
সঙ্গে যাকাতের সম্পর্ক সুনিবিড়। কারণ, পবিত্র রমজান মাসেই যাকাত প্রদান করা হয়।
অনেকে
যাকাতের অর্থে শাড়ি, লুঙ্গি ইত্যাদি ক্রয় করে তা
বন্টন করে থাকেন। এভাবে
যাকাত দিলে যাকাতের প্রকৃত
উদ্দেশ্য ব্যহত হয়। অর্থাৎ এভাবে
যাকাত বন্টন করলে যাকাত গ্রহণকারীর
তেমন কোনো উপকার হয়না।
তাই যাকাত বন্টনের উত্তম পন্থা হলোঃ যাকাত যাদেরকে
প্রদান করা যায়, তাদের
একজনকেই বা একটি পরিবারকেই
যাকাতের সম্পূর্ণ অর্থ দিয়ে স্বাবলম্বী
করে দেয়া। অনেকে যাকাতের অর্থে স্বল্প মূল্যের বা নিম্নমানের শাড়ি
এবং লুঙ্গি কিনে তা প্রদান
করে থাকেন। এটা একদমই উচিত
নয়। এভাবে যাকাত প্রদান করা ঠিক নয়।
মাইকিং করে, ব্যানার টাঙিয়ে
তারা এসব নিম্নমানের শাড়ি
ও লুঙ্গি বিতরণ করে থাকে। এভাবে
ঢাক-ঢোল পিটিয়ে যাকাত
প্রদান করা ঠিক নয়।
এর ফলে অনেক দুর্ঘটনাও
ঘটে। যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে
অনেকে আহত হয়, আবার
অনেক মানুষ মারাও যায়। গত বছর
রমজান মাসে এমন এক
মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে
অনেক মানুষ নিহত ও আহত
হয়েছিল। আহত এবং নিহত
মানুষদের দায়ভার যাকাত প্রদানকারীরা গ্রহণ করেন না। নিয়ম
হচ্ছে যাকাত গ্রহণকালে কেউ আহত কিংবা
নিহত হলে তার সমস্ত
দায়ভার যাকাতদাতা গ্রহণ করবে। যাকাতদাতার কর্র্তব্য হচ্ছে আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার
ব্যবস্থা করা এবং নিহত
ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা। কাপড়ের দোকানে
যাকাতের জন্য আলাদাভাবে কমদামি
ও নিম্নমানের কাপড় রাখা থাকে।
যাকাত প্রদানের জন্য এসব নিম্নমানের
কাপড় বিশেষভাবে তৈরি করা হয়।
বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
যাকাতের
জন্য কেন আলাদাভাবে নিম্ন
মানের কাপড় তৈরি করা
হবে? কেন সেগুলো বিক্রি
করা হবে? আর কেনই
বা সেসব নিম্ন মানের
কাপড় দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা
হবে?
প্রত্যেক সম্পদশালী বা ধনী মুসলমানের যাকাত প্রদান করা উচিত। যাকাত দানে যাকাতদাতার সম্পদ কমে না বরং বৃদ্ধি পায় এবং তার অন্তর কৃপণতার কলুষতা থেকে পবিত্রতা লাভ করে। তাই যাদের উপর যাকাত ফরজ, তাদের সবার যাকাত প্রদান করা উচিত। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো সবাই যাকাত দেয় না। সবাই সঠিকভাবে এবং সঠিক নিয়মে যাকাত প্রদান করলে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমে যেত। তাই যাদের উপর যাকাত ফরজ, তাদের প্রত্যেকের যাকাত প্রদান করা উচিত। তবে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, নিম্ন মানের শাড়ি ও লুঙ্গি দিয়ে নয়, যাকাত প্রদান করতে হবে সঠিকভাবে এবং সঠিক নিয়মে। ইসলামে যাকাত প্রদানের যে নির্দেশনা বা নিয়ম আছে, ঠিক সেইভাবে যাকাত প্রদান করতে হবে। যাকাতের নামে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নিম্ন মানের শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করে আর দরিদ্র মানুষদেরকে হত্যা করা নয়। যাকাতের নামে আর কোনো প্রহসন নয়। যাকাত দিন সঠিকভাবে এবং সঠিক নিয়মে।
নিয়ত পরিশুদ্ধ রাখা কেন অনিবার্য ভাবে প্রয়োজন? ‘সাইয়িদুনা উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘সমস্ত কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। ব্যক্তি তাই পাবে, যা সে নিয়ত করবে। অতএব, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সন্তুষ্টির) জন্য হিজরত করেছে, তার হিজরত (বাস্তবিকই) আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য হয়েছে। আর যে ব্যক্তির হিজরতের (উদ্দেশ্য) ছিল, দুনিয়া উপার্জন বা কোনো নারীকে বিয়ে করা তার হিজরত সে উদ্দেশ্যেই গণ্য হবে।’ (সে আখিরাতে কোনো সাওয়াব পাবে না।) (সূরা মুমিনুন: ১১৫)
লা মাযহাবির পক্ষ থেকে আর একটা প্রশ্ন করা হয়, ইমামগণ সাধারণ মানুষ; তারা তো নবী না। আর সবাই একমত যে নবী ছাড়া প্রতিটি মানুষ যত বড়ই ইমাম হোক সবাই সঠিক করতে পারে আবার ভুল করতে পারে। তাই আমি এমন একজন মানুষকে কিভাবে মানবো যে সঠিক করতে পারে আবার ভুল করতে পারে। ইমামকে মানা ওয়াজিব করে দেওয়া মানে একটা ভুল কাজ
যাবতীয় কল্যাণ, সর্বপ্রকার জ্ঞান-গরিমা, প্রজ্ঞা ও রহস্যের আধার হল আল কুরআন। একে অনুসরণ করেই দুনিয়া ও আখিরাতে পাওয়া যায় সুখের সন্ধান, মেলে সঠিক পথের দিশা। আল কুরআন মহান আল্লাহর বাণীর অপূর্ব সমাহার বিস্ময়কর এক গ্রন্থের নাম। আল কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ সংরক্ষিত এক সংবিধান। আল্লাহ তা‘আলা জিবরাঈল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে সুদীর্ঘ ২৩ বছরে মানব জাতির হিদায়াত হিসেবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর যে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন তার নাম আল কুরআন। এই কুরআন যেমন সমগ্র মানব জাতির মানসিক সংশয়, সন্দেহ, অস্পষ্টতা, কুপ্রবৃত্তি, লোভ-লালসা নামক নানা রকম রোগ-ব্যাধি নিরাময়ের অব্যর্থ মহৌষধ ঠিক তেমনি দৈহিক রোগ-ব্যাধি, বেদনা, কষ্ট-ক্লেশ এবং জীবন চলার পথের সকল অন্ধকার বিদূরিত করার এক অনবদ্য নির্দেশিকা। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, ‘আমি কুরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের প্রতিষেধক এবং মুমিনদের জন্য রহমত।’ (বনী ইসরাঈল : ৮২) এই কুরআন হল, সত্য-মিথ্যা এবং বৈধ-অবৈধের সীমা-রেখা
যাবতীয় প্রশংসা কেবলই আল্লাহ তা‘আলার যিনি সমগ্র জগতের মালিক ও রব। আর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালামের ওপর, যিনি সমস্ত নবীগণের সরদার ও সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী। আরও বর্ষিত হোক তার পরিবার-পরিজন ও সমগ্র সাথী-সঙ্গীদের ওপর। মনে রাখতে হবে, অহংকার ও বড়াই মানবাত্মার জন্য খুবই ক্ষতিকর ও মারাত্মক ব্যাধি, যা একজন মানুষের নৈতিক চরিত্রকে শুধু কলুষিতই করে না বরং তা একজন মানুষকে হেদায়াত ও সত্যের পথ থেকে দূরে সরিয়ে ভ্রষ্টতা ও গোমরাহির পথের দিকে নিয়ে যায়। যখন কোনো মানুষের অন্তরে অহংকার ও বড়াইর অনুপ্রবেশ ঘটে, তখন তা তার জ্ঞান, বুদ্ধি ও ইরাদার ওপর প্রাধান্য বিস্তার করে এবং তাকে নানাবিধ প্রলোভন ও প্ররোচনার মাধ্যমে খুব শক্ত হস্তে টেনে নিয়ে যায় ও বাধ্য করে সত্যকে অস্বীকার ও বাস্তবতাকে প্রত্যাখ্যান করতে। আর একজন অহংকারী সবসময় চেষ্টা করে হকের