অনুসরন করুন :
আল-কুরআন

আল কুরআন : আল- আম্বিয়া : ৪৪ থেকে ৬৪

বরং আমরাই তাদের এবং তাদের পূর্ব পুরুষদের ভোগবিলাসের উপকরণ দিয়েছি, তাছাড়া তাদের বয়সকালও হয়েছিল দীর্ঘ। তারা কি দেখেনা, আমরা তাদের দেশকে চারদিক থেকে সংকু...

বিস্তারিত
আল-হাদীস

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

আবু আইয়ুব রা. বলেন, আমি যখনি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পিছনে নামায পড়েছি, তাকে নামায শেষ করে এই দোয়া পড়তে শুনেছি। (যার অর্থ:) হে...

বিস্তারিত
সম্পাদকীয়

আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা

প্রাণের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ৭১ সা...

বিস্তারিত

সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব কুরআন মাজীদ

এইচ. এম. মুশফিকুর রহমান


যাবতীয় কল্যাণ, সর্বপ্রকার জ্ঞান-গরিমা, প্রজ্ঞা ও রহস্যের আধার হল আল কুরআন। একে অনুসরণ করেই দুনিয়া ও আখিরাতে পাওয়া যায় সুখের সন্ধান, মেলে সঠিক পথের দিশাআল কুরআন মহান আল্লাহর বাণীর অপূর্ব সমাহার বিস্ময়কর এক গ্রন্থের নাম। আল কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ সংরক্ষিত এক সংবিধান। আল্লাহ তাআলা জিবরাঈল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে সুদীর্ঘ ২৩ বছরে মানব জাতির হিদায়াত হিসেবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর যে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন তার নাম আল কুরআন। এই কুরআন যেমন সমগ্র মানব জাতির মানসিক সংশয়, সন্দেহ, অস্পষ্টতা, কুপ্রবৃত্তি, লোভ-লালসা নামক নানা রকম রোগ-ব্যাধি নিরাময়ের অব্যর্থ মহৌষধ ঠিক তেমনি  দৈহিক রোগ-ব্যাধি, বেদনা, কষ্ট-ক্লেশ এবং জীবন চলার পথের সকল অন্ধকার বিদূরিত করার এক অনবদ্য  নির্দেশিকা। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি কুরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের প্রতিষেধক এবং মুমিনদের জন্য রহমত।’ (বনী ইসরাঈল : ৮২)

এই কুরআন হল, সত্য-মিথ্যা এবং বৈধ-অবৈধের সীমা-রেখা নির্ধারণের এক সুউচ্চ মাইল ফলক, সুখ সমৃদ্ধ জীবনের বিশ্বস্ত ঠিকানা এবং পশ্চাদপদতা, দুর্ভাগ্য ও হতাশার গ্লানি থেকে মুক্তির অনুপম গাইড লাইন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

অবশ্যই তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে আলো ও সুস্পষ্ট গ্রন্থ এসেছে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাদেরকে শান্তির পথ দেখান, যারা তাঁর সস্তুষ্টির অনুসরণ করে এবং তাঁর অনুমতিতে তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করেন। আর তাদেরকে সরল পথের দিকে হিদায়াত দেন(মায়িদাহ: ১৫-১৬)


কুরআন যাবতীয় বিকৃতি থেকে মুক্ত। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমের সংরক্ষণ এর দায়িত্ব নিয়েছেন। কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয় আমি উপদেশ বাণী তথা কুরআন নাযিল করেছি এবং নি:সন্দেহে এর হিফাযতকারী আমি নিজেই।’ (আল-হিজর : ৯)


মানব জীবনের  ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবন কীভাবে পরিচালিত হবে, তার প্রতিটি বিষয় কুরআনে বর্ণনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন,

আমি তোমার নিকট কিতাবটি নাযিল করেছি। এটি এমন যে তা সবকিছুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, আর এটা হিদায়াত, রহমত ও মুসলিমদের জন্য সুসংবাদ স্বরূপ।’ (আন-নাহল : ৮৯)

কুরআন বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে নাযিল করা হয়েছে। যারা এ কুরআন পড়বে, তা অনুযায়ী আমল করবে তারা আল্লাহর রহমতপ্রাপ্ত হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি কুরআন নাযিল করি যা মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত, কিন্তু তা যালিমদের ক্ষতিই বাড়িয়ে দেয়।’ (বনি ইসরাঈল : ৮২)


কুরআন  মাজীদ সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের  উৎস। যুগে যুগে বিজ্ঞানের যে সব বিষয় আবিষ্কার হয়েছে, তার সাথে কুরআনের কোন বৈপরীত্ব নেই। কুরআন যে নির্দেশনা দিয়েছে তা নির্ভুল ও বাস্তবভাবে প্রমাণীত হয়েছে।  কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ইয়া-সীন। বিজ্ঞানময় কুরআনের শপথ।’ (ইয়াছিন : ১-২)


কুরআন রমাদান মাসে অবতীর্ণ হয়েছে। কুরআনে বলা  হয়েছে, ‘রমাদান এমন মাস যাতে নাযিল হয়েছে মহাগ্রন্থ আল কুরআন। যা বিশ্ব মানবতার জন্য হিদায়াত ও সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা এবং হক ও বাতিলের মধ্যকার পার্থক্য বিধানকারী।’(আল-বাকারাহ : ১৮৫)


কুরআনের মত কোন কিতাব মানুষ বা কারো পক্ষে বানানো সম্ভব নয়। প্রায় চৌদ্দশত বছর আগের চ্যালেঞ্জ এ পর্যন্ত কেউ মুকাবেলা করতে সক্ষম হয়নি। আর কিয়ামাত পর্যন্ত তা সম্ভবও হবে নাএ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বল, যদি মানব ও জ্বিন জাতি সবাই মিলে একত্রিত হয় যে, তারা এ কুরআন এর অনুরূপ কিছু আনয়ন করবে, তারা এ কুরআনের অনুরূপ কিছুই আনয়ন করতে পারবে না, যদিও তারা একে অপরের সাহায্যকারী হয়।’(বনি ইসরাঈল : ৮৮)

প্রত্যেক মুসলমানই দাবি করে তারা কুরআন বিশ্বাস করে এবং ভালোবাসে। কিন্তু কুরআনের সঙ্গে তাদের আচরণ দেখলে যে কেউ বলতে বাধ্য হবে, নিশ্চয়ই এরা কুরআনকে পরিত্যাগ করেছে। কুরআন এসেছে মানুষের জীবনকে বদলানোর জন্য। বদলে যাও বদলে দাওএটি কুরআনের শ্লোগান। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ কোনো জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করে।’(রা, ১৩:১১)

আমাদের অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, আমরা কুরআনের শিক্ষা ও আদর্শ থেকে অনেক অনেক দূরে অবস্থান করছি। অনেক মানুষ আদৌ কুরআন পড়তে জানে না। অনেকে পড়তে জেনেও একটি বারের জন্য কুরআন খুলে পড়তে বসার তাদের সুযোগ হয় না। অনেকে নামাযে যতটুকু পড়ে ততটুকুই। নামাযের বাইরে মোটেও পড়ে না। কেউ আবার বিপদে না পড়লে কুরআনের ধারে কাছেও যায় না। অনেকে কুরআন পড়ে কিন্তু তার অর্থ বোঝার চেষ্টা করে না, কুরআন নিয়ে গবেষণা করে না। অনেকে কুরআন পড়ে কিন্তু আমল  নেই। আরও ভয়ানক কথা হচ্ছে, আমাদের সমাজে এমন কতিপয় শিক্ষিত-মূর্খ লোকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়, যারা কুরআনের অনেক আয়াতকে অস্বীকার করতেও কুণ্ঠিত হয় না। এরা বলে, কুরআনের আইন বর্তমান যুগের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এটাই হল, সুস্পষ্ট কুফুরী এবং ইসলাম বিদ্বেষীদের পথ। অনেকে কুরআন বাদ দিয়ে অন্য জ্ঞান চর্চায় জীবনের সম্পূর্ণ সময় ব্যয় করে। এ সকল মানুষদের জন্য আফসোস।

যারা কুরআন শিক্ষা করতে চান বা দিতে চান, তাদের জন্য আল্লাহ তাআলা কুরআন শিক্ষা করা সহজ করে দিয়েছেন। বুঝমান যে কোন বয়সের মানুষ তা শিখতে পারবে। কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে,

আর আমি তো কুরআন শেখার জন্য সহজ করে দিয়েছি। অতএব কোন উপদেশ গ্রহণকারী আছে কি’? (আলক্বামার : ১৭)

আল্লাহ তাআলা বান্দাদেরকে কুরআন নিয়ে গবেষণা করার নির্দেশ প্রদান করে বলেছেন, যারা তা করে না তারা অন্ধ এবং বদ্ধ হৃদয়ের অধিকারী। তিনি বলেন, “তারা কি কুরআন নিয়ে গভীরভাবে গবেষণা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ?” (মুহাম্মাদ : ২৪)


এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে, কুরআনের সম্মান কত  বেশী!  কুরআন পাঠ করা, মুখস্ত করা, কুরআন নিয়ে গবেষণা করা, কুরআনের অর্থ ও মর্মবাণী উপলব্ধি করার চেষ্টা করা, একে নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করার মর্যাদা কত উন্নত!

আবদুল­াহ ইবনু মাসউদ রা. বলেন, “ক্বারী তথা কুরআন প্রেমিক মানুষের তো এমন হওয়া উচিৎ, গভীর রাতে মানুষ যখন ঘুমের ঘোরে ডুবে থাকে তখন সে কুরআন তিলাওয়াত করে। দিনের বেলায় সবাই যখন খাবার-দাবারে লিপ্ত থাকে তখন সে কুরআন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সবাই যখন হাঁসি-তামাশায় মত্ত থাকে তখন সে আল্লাহর দরবারে চোখের পানিতে বুক ভাষায়। মানুষ যখন নির্বিঘেœ সবার সাথে মিশে তখন সে পরহেযগারিতা অবলম্বন করে এবং ভালো মানুষ ছাড়া খারাপ মানুষের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকে। মানুষ যখন অন্যের দোষ চর্চা এবং অনর্থক আলাপচারিতায় সময় কাটায় তখন সে নীরবতার ভূমিকা পালন করে। মানুষ যখন দাম্ভিক এবং অহঙ্কারপূর্ণ আচরণ করে তখন সে অতি নম্র ও ভদ্র স্বভাবের পরিচয় দেয়। অন্যেরা যখন আনন্দ-উল­াসে মেতে থাকে তখন সে বিভোর থাকে পরকালের চিন্তায়।


কুরআন প্রেমিক মানুষেরা কুরআনের প্রচারপ্রসার ও উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়। কেননা এটি  সেই জ্ঞান যা অর্জন করাকে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকল মুসলিম নর ও নারীর জন্য ফরয (আবশ্যক) বলেছেন। তিনি জ্ঞানের ক্ষেত্রে সাধনাকারীদের আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্ত, এ পথে প্রচেষ্টারত থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীকে শহীদ, পরিশুদ্ধ জ্ঞানী ব্যক্তিদের আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাঁর নিকট সুপারিশকারী এবং তাঁদের কলমের কালিকে শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র বলেছেন।


কুরআন শ্রবণকারী আল্লাহকে ভয় করেন।

কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছেআল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম বাণী, সাদৃশ্যপূর্ণ একটি কিতাব (আল-কুরআন), যা বারবার আবৃত্তি করা হয়। যারা তাদের রবকে ভয় করে, তাদের গা এতে শিহরিত হয়, তারপর তাদের দেহ ও মন আল্লাহর স্মরণে বিনম্র হয়ে যায়।’(আয-যুমার : ২৩)


কুরআনের মধ্যে এমন এক প্রভাব নিহিত আছে যা তার পাঠক কিংবা শ্রোতাকে প্রভাবিত না করে ছাড়ে না। হৃদয়কে করে উত্তাল, চোখকে করে অশ্রসজল। যে ঈমান গ্রহণে আগ্রহী সে কুরআন শুনামাত্রই তার আনুগত্যের শির নত হয়ে যায়। এমনকি, যে কুফরী ও হঠকারিতায় নিমজ্জিত সে-ও যদি এ কুরআন শোনে তবে তার ওপরও কুরআন প্রভাব ফেলে, কিন্তু সে এটিকে যাদু মনে করে উড়িয়ে দেয়। লোকদেরকে তা শুনতে ও পড়তে বারণ করে। তবু সে এ কুরআনকে চ্যালেঞ্জ করতে সাহস পায় না। মহান আল্লাহর কুরআনের প্রতিটি আয়াতে ও প্রতিটি অক্ষরে রূহানিয়াত, নূরানিয়াতের বিশেষ প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া নিহীত রয়েছে। যা তিলাওয়াত করলেই হাসিল হয়। শুধু বুঝে পড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।

পৃথিবীর মানুষের পঠন পাঠন ও আমলে নেয়ার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব কুরআন মাজীদ। কুরআনুল কারীমের সাথে সম্পর্ক তৈরীর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক তৈরী করা। এ কিতাব পাঠের অর্থ হচ্ছে আল্লাহর ফরমান পাঠ করা। এ কিতাবের উপর আমল করার অর্থ হচ্ছে আল্লাহর হুকুম তামীল করা। এ কিতাবের সাথে থাকার অর্থ হচ্ছে আল্লাহর সাথে থাকা। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক  তৈরী করা তো সৌভাগ্যের বিষয়। আল্লাহর  যে কোন প্রিয় জিনিষের সাথে সম্পর্ক স্থাপন তা রক্ষণাবেক্ষণ এবং আল্লাহর  হুকুম তামীলকারী অবশ্যই আল্লাহর ভালোবাসা, অনুগ্রহ, দয়া ও ক্ষমা লাভে ধন্য হয়ে থাকে। সুতরাং কুরআন মাজীদ হচ্ছে বিশ্ববাসীর জন্য সৌভাগ্য অর্জনের সেরা মাধ্যম। মহান আল্লাহর সাথে সরাসরি সম্পর্ক উন্নয়নের টেকসই ও নির্ভযোগ্য মাধ্যম। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সহীহভাবে কুরআন তিলাওয়াত, শ্রবণ ও এর অনুসরণের তাওফিক দিন। (লেখক : প্রাবন্ধিক, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক)

0 | দেখেছেন : 476 |

সম্পর্কিত খবর

পরিশুদ্ধ নিয়ত

নিয়ত পরিশুদ্ধ রাখা কেন অনিবার্য ভাবে প্রয়োজন? ‘সাইয়িদুনা উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘সমস্ত কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। ব্যক্তি তাই পাবে, যা সে নিয়ত করবে। অতএব, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সন্তুষ্টির) জন্য হিজরত করেছে, তার হিজরত (বাস্তবিকই) আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য হয়েছে। আর যে ব্যক্তির হিজরতের (উদ্দেশ্য) ছিল, দুনিয়া উপার্জন বা কোনো নারীকে বিয়ে করা তার হিজরত সে উদ্দেশ্যেই গণ্য হবে।’ (সে আখিরাতে কোনো সাওয়াব পাবে না।) (সূরা মুমিনুন: ১১৫)

ইসলাম ও মাযহাব নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি ও তা নিরসন

লা মাযহাবির পক্ষ থেকে আর একটা প্রশ্ন করা হয়, ইমামগণ সাধারণ মানুষ; তারা তো নবী না। আর সবাই একমত যে নবী ছাড়া প্রতিটি মানুষ যত বড়ই ইমাম হোক সবাই সঠিক করতে পারে আবার ভুল করতে পারে। তাই আমি এমন একজন মানুষকে কিভাবে মানবো যে সঠিক করতে পারে আবার ভুল করতে পারে। ইমামকে মানা ওয়াজিব করে দেওয়া মানে একটা ভুল কাজ

অহংকার ও আত্মতৃপ্তি

যাবতীয় প্রশংসা কেবলই আল্লাহ তা‘আলার যিনি সমগ্র জগতের মালিক ও রব। আর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল­ামের ওপর, যিনি সমস্ত নবীগণের সরদার ও সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী। আরও বর্ষিত হোক তার পরিবার-পরিজন ও সমগ্র সাথী-সঙ্গীদের ওপর। মনে রাখতে হবে, অহংকার ও বড়াই মানবাত্মার জন্য খুবই ক্ষতিকর ও মারাত্মক ব্যাধি, যা একজন মানুষের নৈতিক চরিত্রকে শুধু কলুষিতই করে না বরং তা একজন মানুষকে হেদায়াত ও সত্যের পথ থেকে দূরে সরিয়ে ভ্রষ্টতা ও গোমরাহির পথের দিকে নিয়ে যায়। যখন কোনো মানুষের অন্তরে অহংকার ও বড়াইর অনুপ্রবেশ ঘটে, তখন তা তার জ্ঞান, বুদ্ধি ও ইরাদার ওপর প্রাধান্য বিস্তার করে এবং তাকে নানাবিধ প্রলোভন ও প্ররোচনার মাধ্যমে খুব শক্ত হস্তে টেনে নিয়ে যায় ও বাধ্য করে সত্যকে অস্বীকার ও বাস্তবতাকে প্রত্যাখ্যান করতে। আর একজন অহংকারী সবসময় চেষ্টা করে হকের

মুসলিম উম্মাহর বিপর্যয়ের কারণ

বর্তমান মুসলিম উম্মাহর এরূপ পরিণতির সম্মূখীন হওয়ার মৌলিক পাঁচটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। (১) আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে আরোপিত বিধান পারস্পরিক ঐক্য সংহতির কথা ভুলে গিয়ে সতধা বিচ্ছিন্ন হওয়া। (২) আল্লাহ তা’আলার অলৌকিকত্বের উপর নির্ভরশীল হওয়া। (৩) নিজেদেরকে নিষ্ক্রয় রেখে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করার প্রবণতা। (৪) ইসলামি শিক্ষা না থাকা। (৫) জিহাদে অনিহা প্রদর্শন।