আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯
আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...
বিস্তারিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...
বিস্তারিতবাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...
বিস্তারিত
ছবি : সংগৃহীত
সংস্কার ০১ ডিসেম্বর ২০২৫: রাজপথের দাবিনির্ভর আন্দোলন থামবে না এমন অঙ্গীকার জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ঘোষণা করেছেন যে ৮ দল যে পাঁচ দফা দাবি সামনে এনেছে,তা আদায় না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। তার মতে,ইসলামি দলগুলোর যে সমন্বিত ঐক্য এখন গড়ে উঠেছে,সেটিই ভবিষ্যতে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত পৌঁছে দেবে এবং প্রয়োজন দেখা দিলে আবারো ৫ আগস্টের মতো গণজাগরণ তৈরি হবে।
সোমবার ১ ডিসেম্বর ২০২৫ বিকেলে খুলনার শিববাড়ী মোড়ে আন্দোলনরত ৮ দলের আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান স্পষ্টভাবে জানান তাদের লক্ষ্য কেবল ৮ দলের জয় নয়,বরং বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বিজয় নিশ্চিত করা। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ,ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা,প্রকৃত স্বাধীনতা ও শোষণমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের জন্য তারা আন্দোলন চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। তিনি অভিযোগ করেন,৫ আগস্টের আন্দোলনের পর একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী আবারও জনগণের ওপর কর্তৃত্ব দেখাতে শুরু করেছে,যা উদ্বেগজনক। তিনি আরও তুলে ধরেন যে চাঁদাবাজি,দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা এখনো থামেনি এবং ক্ষমতার বাইরে থেকেও অনেকেই ক্ষমতার প্রভাব দেখাচ্ছে। তবে ইসলামি দলগুলোর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মতো অপবাদ নেই, এ দাবি করেন তিনি। সাম্প্রতিক তিন নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারা জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন,এবার কারও পক্ষে তাদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হতে হবে,কারণ তাদের হাতেই দেশ তুলে দিতে চান তিনি।
শিক্ষাব্যবস্থার বৈষম্য প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন,দেশের শিক্ষা দুই ধারায় চলছে মাদ্রাসা এবং সাধারণ শিক্ষা। তিনি দাবি করেন, মাদ্রাসায় সহিংসতা বা নৈতিক অধঃপতন নেই;বরং সেখানে জ্ঞানচর্চার পরিবেশ বজায় আছে। বিপরীতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নানাবিধ সহিংসতা,মাদকাসক্তি এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ড সমাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তার বক্তব্যে দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাবকেই দেশের অব্যাহত সংকটের কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়।
ডা. শফিকুর রহমান জানান,বিভিন্ন স্থানে তাদের ব্যানার–পোস্টার ছেঁড়া হলেও জনগণের ভালোবাসাই তাদের প্রকৃত শক্তি। অন্য দলগুলোর নেতারাও সমাবেশে বক্তব্য দেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীরসাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম বলেন,তিনি নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত,তবে প্রতিপক্ষের ভিত্তি নড়ে গেছে বলেই তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। সেন্টার দখল বা সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় ফেরার সুযোগ আর মিলবে না বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক তার বক্তব্যে বলেন,জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশ দুই ধারায় বিভক্ত ৭২-এর বাকশালপন্থি শক্তি এবং ২০২৪ সালের বিপ্লবপন্থি জনগোষ্ঠী। তিনি ‘জুলাই সনদ’ আইনি বৈধ করতে গণভোট আয়োজনের দাবি জানান। জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট করতে হবে - এমন আহ্বান জানান তিনি। ব্যর্থ হলে ইন্টারিম সরকারের ওপর ইতিহাস দায় চাপিয়ে দেবে বলেও সতর্ক করেন।
তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া চান। খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন অভিযোগ করেন,ফ্যাসিস্ট সরকার দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। তার মতে, ৮ দল ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি থাকবে না।
নেজামী ইসলামী পার্টির মহাসচিব মুফতি মুসা বিন ইজহার বলেন,খুলনা হচ্ছে সংস্কারের পক্ষে এক শহর,যারা শরীয়াহবিরোধী অবস্থানে থাকবে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। ইসলামী সংসদ গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানীর ভাষ্যে,দেশের প্রকৃত সংবিধান কোরআনের আলোকে হওয়া উচিত এবং যেকোনো ষড়যন্ত্রই তারা প্রতিহত করবে।
জাগপার সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান বলেন,খুলনায় ইসলামী নেতাদের প্রবেশ ঠেকানোর হুমকি দিলেও প্রচণ্ড জনসমাগম প্রমাণ করেছে ইসলামী শক্তি কতটা ঐক্যবদ্ধ। তিনি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা এবং গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বলার আহ্বান জানান। বিডিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন বলেন,দেশদ্রোহী ও বিদেশি স্বার্থের দালালদের বিরুদ্ধে জনগণ ঐক্যবদ্ধ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম। বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতারা বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,যার মধ্যে ছিলেন আল্লামা মামুনুল হক,মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন,মুফতি মুসা বিন ইজহার,মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী,ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান,অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন, মাওলানা আব্দুল আউয়াল,হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ,সাবেক এমপি ডা. হামিদুর রহমান আজাদ এবং জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেনসহ আরও অনেকে। সমাবেশের বক্তারা সম্মিলিতভাবে জনগণের ঐক্য ও দাবি আদায়ের সংগ্রামকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন।
সংস্কার/ইএফহ
দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলায় একসঙ্গে থাকার পর, প্রায় দুই দশকের শরিকানা সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ লেবার পার্টি, এমন ঘোষণা এসেছে তাদের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভা থেকে। ২০০৬ সাল থেকে বিএনপির ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে সমমনা জোট, এরপর ১৮ দল এবং পরে ২০ দলীয় জোটে থেকে দলটি নিয়মিত
দেবিদ্বারের মানুষের উদ্দেশে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা তুলে ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন ভোট যার পছন্দ, তাকে দিন; তবে রাজনৈতিক মত নিয়ে নিজের পরিবারের ভেতরে কোনো বিরোধ সৃষ্টি করবেন না। তার যুক্তি, ঘরোয়া বিবাদ ক্রমে সহিংসতার পথে নিয়ে যেতে
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আজ ২৯ নভেম্বর ২০২৫ জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আন্দোলনের আমীর ড. মওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদীর সভাপতির ভাষণ প্রদান করেন। ভাষণে তিনি বলেন, জাতীয় জীবনে সংকট ও সম্ভবনার
বেসরকারী শিক্ষকদের সংগঠন জমিয়াতুল মোদার্রেছীন এর সভাপতি আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দিন বলেছেন, আগামী নির্বাচনে দেশে সমৃদ্ধশালী ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন সরকার দরকার। যাতে ইসলাম সমৃদ্ধ হয়। ইসলাম দুর্বল হলে মাদ্রাসা শিক্ষাও দুর্বল হবে। তাই আমাদের অনুকুলের একটি সরকার দরকার।