আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯
আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...
বিস্তারিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...
বিস্তারিতবাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...
বিস্তারিত
ছবি : ইন্টারনেট
ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী
সংস্কার ২৯ নভেম্বর ২০২৫: ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আজ ২৯ নভেম্বর ২০২৫ জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আন্দোলনের আমীর ড. মওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদীর সভাপতির ভাষণ প্রদান করেন। ভাষণে তিনি বলেন, জাতীয় জীবনে সংকট ও সম্ভবনার এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আমরা ‘ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন’ শিরোনামে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় মিলিত হয়েছি।
গেল বছর ২০২৪ সালের ৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্টের ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সাধারণ মানুষের মাঝে ইসলামী চিন্তা-চেতনার উজ্জীবন ঘটে এবং অনেকে ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে পড়ে। কারণ ছিল,ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধী আন্দোলন দিয়ে শুরু হলেও চুড়ান্ত পর্যায়ে সাধারণ মানুষ স্বৈরাচার থেকে মুক্তির জন্য ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সাধারণ ছাত্রদের পাশাপাশি মাদ্রাসা ছাত্ররাও তাতে ব্যাপক আকারে অংশ নেয়। এ আন্দোলনে যে ১৪০০ এর মতো লোক শহীদ এবং হাজার হাজার লোক আহত হয়,তাদের প্রায় সবার মনে ছিল শাহাদত বরণের তামান্না। দেশের ইতিহাসের সেই সংকটকালে অন্তর্বতীকালীন সরকারের ৮ উপদেষ্টার মধ্যে একজন ইসলামী ব্যক্তিত্বকে উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণায় দেশের তাওহীদি জনতা আনন্দে আকুল হয়ে ভাবতে থাকে,ইসলামী অনুশাসনের একটা পরিবেশ বুঝি দেশে তৈরি হয়েছে।
রাজনীতির মুক্ত আবহাওয়ায় তখন ইসলামের নামে পরিচিত দলগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর প্রায় দেড় বছর গত হলেও জনগণের কাঙ্খিত ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের কোনো আলোচনা কোথাও হচ্ছে বলে আমরা জানি না। ইসলামী দলগুলো থেকেও ইসলামী শাসন বা খেলাফত রাষ্ট্র ব্যবস্থা কিংবা বিচার ব্যবস্থায় শরীয়া আইন বলবৎ করার কার্যকর কোনো প্রস্তাবনা উপস্থাপিত হয়েছে কিনা জানার সুযোগ হয়নি।
ইসলামী রাষ্ট্র বা খেলাফত রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন আমাদের ঈমান ও আমলের সাথে জড়িত। কারণ ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার অধীনে শরীয়া আইন বলবৎ করা ছাড়া নিজের জীবনে ও সমাজে আল্লাহ ও রাসূলের আদেশ নিষেধ পুরোপুরি পরিপালন করা সম্ভব নয়। একইভাবে ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার ছত্রছায়া ছাড়া খাঁটি মুসলমান হিসেবে জীবন পরিচালনা করাও অসম্ভব।
আমরা নামাজ,রোজা,হজ,যাকাতের বিধান পালন করি। কেন করি? কারণ,এসব বিধান ফরজ। আল্লাহ ও রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ থেকে নির্দেশিত হুকুম। কিন্তু নামাজ রোজা হজ জাকাতের মতো আরো কিছু ফরজ বিধান আছে,যেগুলো আল্লাহ ও রাসূলের পক্ষ থেকে নির্দেশিত এবং কুরআন হাদিসে বর্ণিত। যেমন চুরি করলে হাত কাটার শাস্তি। জেনার শাস্তি হিসেবে পাথর নিক্ষেপে হত্যা বা বেত্রাঘাতের বিধান। হত্যার বদলে হত্যা কিংবা মদ্যপানে প্রকাশ্যে মাতলামির শাস্তি। কুরআন নির্দেশিত এই বিধানগুলোর নাম হুদুদ বা দণ্ডবিধি, যা আমরা পালন করি না। কারণ,শাস্তিগুলো শুনতে অনেক কঠিন, সেগুলো প্রমাণ করার প্রক্রিয়া আরো কঠিন। তাছাড়া এসব দণ্ডবিধির হুকুম পালন করতে হলে রাষ্ট্রক্ষমতা হাতে থাকতে হবে এবং জাতীয়ভাবে স্বীকৃত বিচার ব্যবস্থায় শরীয়া আইনে বিচার ফায়সালা হতে হবে। এর বাইরে এসব শাস্তি প্রয়োগ করার অনুমতি শরীয়ত কাউকে দেয় নি। কাজেই চূড়ান্ত পর্যালোচনায় দেখা যায়,নামাজ রোজা হজ জাকাতের মতোই ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাও ফরজ।
ফরজের পরপর একটি সুন্নাতের উপর আমল করার তাগাদা দেয়া হয়েছে আমাদের প্রত্যেককে। তা হল,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত। কী সেই সুন্নাত? সেই সুন্নাত হল,মদিনার ১০ বছরের জীবনে নবীজির রাষ্ট্র পরিচালনা এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের চার খলিফার ৩০ বছরের খেলাফত তথা রাষ্ট্র পরিচালনার সুন্নাত।
‘সৎ কাজের আদেশ দান এবং অসৎ কাজে নিষেধ’ মুসলমানদের জাতীয় দায়িত্ব। কুরআন মাজিদে বলা হয়েছে, এর জন্যই মুসলমানদের দুনিয়ায় প্রেরণ করা হয়েছে। হাদিস শরীফে এই দায়িত্ব পালনের তিনটি স্তর নির্দেশ করা হয়েছে। (১) হাতে বা শক্তি প্রয়োগে,(২) মুখে বা লেখায়,বক্তৃতায় প্রতিবাদের মাধ্যমে এবং (৩) তৃতীয় স্তরে মনেমনে ঘৃণা পোষণ এবং অপছন্দ করার মাধ্যমে।
প্রথম দায়িত্বটি পালন করতে হলে রাষ্ট্রীয় বা প্রশাসনিক ক্ষমতা হাতে থাকতে হবে। ‘ইস্তাতাআত’ এর এই সরল তরজমা বুঝতে ভুল করার কারণে উগ্রবাদের উৎপত্তি হয়। তাতে সমাজের জন্য,দ্বীন ও ঈমানের জন্য,এমনকি নিজেদের জন্য বিপত্তি ডেকে আনে। এই অজুহাতে দ্বীনি অনুশাসনের বিরোধীরা বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ পায়। আমার পরিষ্কার কথা,সশস্ত্র জিহাদের বিষয়টি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিষয়। দেখুন,মক্কী জীবনে মুসলমানরা দীর্ঘ ১৩ বছর অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ্য করেছেন। তারপরও তাদেরকে সশস্ত্র প্রতিরোধের অনুমতি দেয়া হয় নি,বারবার বলা হয়েছে ধৈর্যের পরীক্ষা দেয়ার জন্য। মদীনায় নবীজির নেতৃত্বে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরই হুকুম আসে যুদ্ধের ময়দানে সশস্ত্র লড়াই জিহাদের।
‘সৎকাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ’ এর পরবর্তী ধাপ আলেম সমাজ,শিক্ষিত শ্রেণী ও ইসলামী দল বা সংগঠনগুলোর কাজ। কারণ কোনটি সৎ বা অসৎ কিংবা কোন পর্যায়ের বিষয় তা শিক্ষিত লোকদের পক্ষেই নির্ণয় করা সম্ভব,যা সাধারণ মানুষের আওতার বাইরে। তারাই সৎ এর পক্ষে এবং অসৎ পথের বিপক্ষে লিখবে,বলবে এবং প্রতিবাদ করবে। তৃতীয় স্তরে আছে সাধারণ জনগণ। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে অন্যায়কে ঘৃণা করা বা সংশোধন কামনা করা আর উপরের দুই স্তরকে সমর্থন দেওয়া।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের দায়িত্ব পালন করতে হলে রাজনৈতিক বা সামাজিক দল বা সংগঠনের প্রয়োজন। সাধারণ জনগণের পক্ষ হতে বা দলীয়ভাবে না হলে সে আওয়াজ যারা ক্ষমতায় আসীন;কিংবা ক্ষমতার কাছাকাছি আছে, তাদের কানে পৌঁছে না। আমরা যে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের ব্যানারে কাজ করছি এর যৌক্তিকতা ও দর্শন এখানেই নিহিত। ইসলামী রাজনীতির মূল স্পিরিট এখানেই। ‘অর্থাৎ সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ’ এর দায়িত্ব পালন। এই দায়িত্ব থেকে কোনো মুসলমান অব্যাহতি পেতে পারে না।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর এই দায়িত্ব পালন তথা ইসলামী রাজনীতির জন্য দেশে অনুকুল পরিবেশ তৈরি হলেও ইসলামী দলগুলো শুরু থেকে এমন সব বিষয় নিয়ে মেতে রয়েছেন,যেগুলো আদৌ কোনো ইসলামী বিষয় নয়। তাদের সমগ্র কার্যক্রম নির্বাচনমুখি কিংবা ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার প্রচেষ্টায় নিয়োজিত বলে মনে হয়। প্রশ্ন হল, এই নির্বাচন দিয়ে যদি অনেকগুলো সীটও পাওয়া যায় কিংবা পার্লামেন্টের অধিকাংশ আসনও যদি জিতে,তাতে কি ইসলাম কায়েম হবে? হবে না। কারণ তারা ইসলাম কায়েমের দাবি তুলে নির্বাচনে অংশ নেননি,ইসলামী রাষ্ট্র চাননি,চেয়েছেন কল্যাণ রাষ্ট্র। নির্বাচনের পরে কোন মুখে তারা ইসলামী রাষ্ট্রের কথা বলবেন। বললেও টিকবে না। কারণ,তখন আইন আদালতের খড়গ নামবে। সেনাবাহিনী কিংবা দৃশ্য-অদৃশ্য শক্তিগুলো বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। বিদেশি শক্তির চাপ তো অনিবার্য।
প্রশ্ন করবেন,তা হলে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন কি স্বপ্নই থেকে যাবে? এর জবাব স্পষ্ট। কোটা বিরোধী আন্দোলনের তোড়ে যেভাবে ফ্যাসিবাদ ভেসে গেছে সেভাবে জনগণের মাঝে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রবল জোয়ার সৃষ্টি করতে পারলে,জনগণের সেই শক্তিই সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করবে। মওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহিম রাহ. গণআন্দোলন,গণবিপ্লবের শ্লোগানে এ কথাটিই বুঝাতে চেয়েছিলেন তার সারা জীবনের সাধনায়। সমাজের চিন্তাশীল লোকেরা এখনো বলেন,মওলানা আবদুর রহিম যে ঐক্যের কথা বলেছিলেন তা মানা হলে বাংলাদেশের ইসলামী রাজনীতিতে এতো বিভাজন তৈরি হত না।
আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য,‘আমর বিল মারুফ ও নাহী আনিল মুনকার’ এর দ্বিতীয় ধাপে আমরা ইসলামী বা খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাব। একটি সর্বাত্মক ইসলামী বিপ্লব বা বিপ্লবের জন্য গণজোয়ার সৃষ্টি হওয়ার আগে সুযোগ থাকলেও ক্ষমতার অংশীজন হবো না। কারণ,তাতে ইসলাম বিরোধী শক্তিকেই শক্তি যোগানো হবে। আমাদের আন্দোলনের গতিশীল তৎপরতায় আর কিছু না হোক যারা ক্ষমতায় আছেন বা যাবেন তারা ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু করার সাহস করবেন না।
প্রচলিত গণতন্ত্র সম্বন্ধে আমাদের বক্তব্য হল,আমাদের কাছে গণতন্ত্রের দু'টি রূপ। একটি মতবাদ হিসেবে,যা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। আরেকটি রূপ হচ্ছে নির্বাচন-পদ্ধতি। আমাদের দেশে গণতন্ত্র বলতে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ভাবা হয়। যে কারণে অনেক ভুল বুঝাবুঝি ও বিভ্রান্তির উদ্ভব হয়েছে। কেউ কেউ ভোট দেওয়াকেও হারাম মনে করেন। অথচ ইসলামের দৃষ্টিতে নির্বাচন পদ্ধতি ও মতামত দেওয়াতে কোনো বাঁধা নেই। ইরান সাম্প্রতিক সময়ের সফল ইসলামী বিপ্লবী দেশ। অথচ ইরানে একটার পর একটা নির্বাচন কার্যক্রম বলবৎ আছে। আমরা নিজেদের মধ্যেও আমির নির্বাচন করে থাকি ভোট দিয়ে। কাজেই নির্বাচন পদ্ধতিকে চোখ বন্ধ করে হারাম ঘোষণা দেয়ার যৌক্তিকতা দেখি না। তবে শাসন ব্যবস্থা হিসেবে যদি গণতন্ত্রের কথা বলা হয়;জনমতকে মদ,জুয়া ও সুদ-ঘুষ বৈধ অবৈধ সাব্যস্ত করার মানদণ্ড ধরা হয়,তা হলে সেই গণতন্ত্রকে আমরা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কুফরি ও হারাম মনে করি।
আমাদের মতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত পার্লামেন্ট ইসলামী বিধিবিধানসমূহ জনস্বার্থ বিবেচনা করে কার্যকর করার পথ ও প্রক্রিয়া উদ্ভাবন ও নির্ণয় করবে,আইন রচনা করবে। ইসলামের কোনো বিধান রহিত করার ক্ষমতা পার্লামেন্টের থাকবে না। এটিই মজলিসে শূরায়ে ইসলামীর দায়িত্ব ও কর্মপরিধি।
আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচন সম্পর্কে আমাদের অবস্থান হল,যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো দলের কাছে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের কর্মসূচি নেই এবং এ মুহূর্তে নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না,সেহেতু কোনো নির্দিষ্ট দল বা জোটকে আমরা সমর্থন দেব না। তবে দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা চলমান পরিস্থিতির বাইরে থাকতে পারি না। তাহলে আমাদেরকে সমাজচ্যুত একটি শ্রেণি মনে করা হবে। আর কোনো অবস্থাতেই বৃহত্তর আল-জামায়াত তথা মুসলিম সমাজসত্তা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সুযোগ নেই। কাজেই এই নির্বাচনে স্থানীয়ভাবে কাকে ভোট দিলে জনস্বার্থ অধিক সংরক্ষিত হবে তা বিবেচনা করে আপনারা ভোট দেওয়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন।
গণআন্দোলন এবং ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে এ মুহূর্তে আমরা দুটি কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। একটি হল,পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে ইসলামী শিক্ষায় রূপান্তরের আন্দোলন। আরেকটি প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায় শরীয়া আইন চালু করার দাবি। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাকে ইসলামী শিক্ষায় রূপান্তরের ব্যাপারে আমার দীর্ঘ জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে বিগত দুই বছরে পত্রপত্রিকায় যা লেখালেখি করেছি,তা ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা: বর্তমান ও ভবিষ্যত’ নামে প্রকাশিত হয়েছে। দারুন্নাজাত সিদ্দিকীয়া আলিয়া মাদ্রাসার সম্মানিত প্রিন্সিপল মওলানা আবু বকর সিদ্দিক নিজ উদ্যোগে বইটি ছেপে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা তার এই খেদমত কবুল করুন।
প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায় শরীয়া আইনের প্রয়োগ-পদ্ধতি নিয়ে বায়তুশ শরফ ইসলামী গবেষণা কেন্দ্র ঢাকায় ২১ নভেম্বর ‘২৫ অনুষ্ঠিত সেমিনার হতে একটি সমৃদ্ধ স্মারক প্রকাশিত হয়েছে। আশাকরি আপনারা সংগ্রহ করবেন এবং আন্দোলনের ও জাতির ভবিষ্যতের পথ খুজে নেবেন।
আমরা দলকানা হতে চাই না। আপনি যে কোনো দল বা ঘরাণার হোন না কেন? যদি ইসলামী গণবিপ্লবের উল্লেখিত ধারণায় বিশ্বাসী হন এবং তার জন্য নিজস্ব মহলে কাজ করেন তাহলে মনে করব যে,আপনি আমাদের লোক। একদিন সময় মতো আপনি আমাদের সাথে মিলিত হবেন। আর যদি এই দাবিতে অপনি বা অন্যরা এগিয়ে যান, কথায় ও কাজে সততার প্রমাণ দেন,জনগণের মাঝে তাদের অতীত ও বর্তমানকে নিয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন রচনার সম্ভবনা তৈরি হয়,তাহলে আমরাও পেছনে সারিবদ্ধ হব। সমগ্র জাতি তখন তাদের পেছনে একত্রিত হবে। যেভাবে হেফাজতে ইসলামের শাপলা চত্বরের প্রথম ধাপে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। এই প্রত্যাশা ও স্বপ্ন নিয়ে আমরা ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করছি এবং এটিই আমাদের স্বপ্ন,লক্ষ্য ও কর্মপন্থা।
সংস্কার/ইএফহ
দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলায় একসঙ্গে থাকার পর, প্রায় দুই দশকের শরিকানা সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ লেবার পার্টি, এমন ঘোষণা এসেছে তাদের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভা থেকে। ২০০৬ সাল থেকে বিএনপির ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে সমমনা জোট, এরপর ১৮ দল এবং পরে ২০ দলীয় জোটে থেকে দলটি নিয়মিত
দেবিদ্বারের মানুষের উদ্দেশে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা তুলে ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন ভোট যার পছন্দ, তাকে দিন; তবে রাজনৈতিক মত নিয়ে নিজের পরিবারের ভেতরে কোনো বিরোধ সৃষ্টি করবেন না। তার যুক্তি, ঘরোয়া বিবাদ ক্রমে সহিংসতার পথে নিয়ে যেতে
রাজপথের দাবিনির্ভর আন্দোলন থামবে না এমন অঙ্গীকার জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ঘোষণা করেছেন যে ৮ দল যে পাঁচ দফা দাবি সামনে এনেছে,তা আদায় না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। তার মতে,ইসলামি দলগুলোর যে সমন্বিত ঐক্য এখন গড়ে উঠেছে,সেটিই ভবিষ্যতে
বেসরকারী শিক্ষকদের সংগঠন জমিয়াতুল মোদার্রেছীন এর সভাপতি আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দিন বলেছেন, আগামী নির্বাচনে দেশে সমৃদ্ধশালী ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন সরকার দরকার। যাতে ইসলাম সমৃদ্ধ হয়। ইসলাম দুর্বল হলে মাদ্রাসা শিক্ষাও দুর্বল হবে। তাই আমাদের অনুকুলের একটি সরকার দরকার।