আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯
আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...
বিস্তারিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...
বিস্তারিতবাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...
বিস্তারিত
ছবি : ইন্টারনেট
সংস্কার ১৯ নভেম্বর ২০২৫: দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের সামনে অদ্ভুত এক জটিলতা দীর্ঘদিন ধরে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের ভুলের কারণে, যা এখন রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারে বড় সংকট তৈরি করেছে। প্রায় সতেরো বছর আগে নেওয়া একটি ভুল সিদ্ধান্ত আজ আধুনিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণকে থামিয়ে দিয়েছে এবং এর ফলে সরকারের বিপুল রাজস্ব হারানোর অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) যে ভুলটি করেছিল, তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ড বিশ্বব্যাপী ‘গোল্ডেন স্পেকট্রাম’ নামে পরিচিত এই ফ্রিকোয়েন্সি বিস্তৃত কাভারেজ নিশ্চিত করতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। অথচ ২০০৭ সালে এটি কোনো নিলাম ছাড়াই, মাত্র ৯ কোটি টাকার সাধারণ লাইসেন্সের আওতায়, একটি ছোট ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) ‘অলওয়েজ অন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ লিমিটেড’ (এওএনবি)-এর কাছে বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে সময় ভবিষ্যতে মোবাইল ব্রডব্যান্ড ও উচ্চগতির নেটওয়ার্কে এই ব্যান্ডের কৌশলগত গুরুত্ব সম্পর্কে অনেকেই জানতেন না। পরবর্তীতে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে যখন বিটিআরসি এই ১২ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম ফেরত চাইতে গেলে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। কারণ, এই বিস্তৃত ব্যান্ড এখন আধুনিক মোবাইল সেবার জন্য নির্ধারিত ৪৫ মেগাহার্টজ ব্লকের অংশ। বরাদ্দ বাতিলের ফলে সৃষ্ট ক্ষতির কথা বলে এওএনবি ক্ষতিপূরণ দাবি করে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা যা নিয়ে আইনি বিরোধ এখনো চলমান।
বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, এত বছর ধরে স্পেকট্রামটি অব্যবহৃত ও অবরুদ্ধ থাকায় সম্ভাব্য নিলাম রাজস্ব থেকেই রাষ্ট্র বঞ্চিত হয়েছে প্রায় ১২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। শুধু তাই নয়, নিম্ন ব্যান্ডের অভাবে ৪জি ও ৫জি নেটওয়ার্ক তৈরির অগ্রগতি ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। অপারেটররা জানায়, আংশিক স্পেকট্রাম বরাদ্দে কেউই নিলামে অংশ নিতে রাজি নয়; ফলে পুরো ৪৫ মেগাহার্টজ ব্যান্ডই এখন অচল হয়ে পড়ে আছে। প্রধান উপদেষ্টার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি–বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, ২০০৭ সালে এওএনবি–কে ফ্রিকোয়েন্সি দেওয়া আসলে ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ ছিল। আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর সুপারিশের ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বিটিআরসি বরাদ্দ বাতিল করে। কিন্তু ২০১৫ সালে এওএনবি রিট করেন, এবং ২০২৩ সালে আদালত বিটিআরসির সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেন। দুর্বল যুক্তির কারণে উচ্চ আদালতে হেরে গিয়ে বিটিআরসি ২০২৫ সালের ৩১ আগস্ট আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল পায়, এবং এখন বিষয়টি বিচারাধীন। অন্যদিকে, এওএনবি–এর এমডি রিয়াজ শাহিদ দাবি করেন, বিটিআরসি বরাদ্দ বাতিলের আগে তারা উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছিলেন এবং আইটিইউ এর নীতিমালা অনুযায়ী বরাদ্দ বজায় রাখা বা ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত ছিল। ২০২০ সালে তারা ৮০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করলেও হাইকোর্টের রায়ের পর সেই অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮০০ কোটিতে। মামলাটি চলমান থাকায় তিনি ক্ষতিপূরণের নির্দিষ্ট অঙ্ক নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি নন।
আইটিইউ ২০১০ সাল থেকে ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডকে আন্তর্জাতিক মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন (আইএমটি) হিসেবে বিবেচনায় নেয়, ২০১২ সালে সুপারিশ দেয় এবং ২০১৫ সালে ৬৯৪–৭৯০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডকে মোবাইল ব্রডব্যান্ডের বৈশ্বিক কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করে। অথচ বিটিআরসির বরাদ্দপত্রে দেখা যায়, এওএনবি–কে দেওয়া এই ব্যান্ড ছিল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, এবং তাতে উল্লেখ ছিল এটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলে বরাদ্দ বাতিল করা হবে। ২০০৭ সালে কোনো নিলাম ছাড়াই ও সাধারণ আইএসপি লাইসেন্সে বরাদ্দ হওয়া এই ব্যান্ড নিয়ে শুরু থেকেই অস্পষ্টতা ছিল। ২০১০ সালে বিটিআরসি বুঝতে পারে এটি ছিল বড় ভুল, এবং ফেরত নিতে চাইলে এওএনবি তা প্রত্যাখ্যান করে। পরে ২০১৪ সালে বরাদ্দ বাতিল হয় এবং ২০১৫ সালে রিটের মাধ্যমে আইনি লড়াই শুরু হয়। ২০২৩ সালের রায়ে কোম্পানির পক্ষে সিদ্ধান্ত আসায় এখন আপিল বিভাগে চূড়ান্ত রায় অপেক্ষায়।
২০১৫ সালের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে এওএনবি কখনো কার্যকর নেটওয়ার্ক নির্মাণই করেনি এবং তাদের যন্ত্রপাতি প্রায় দুই দশক আগের অচল সরঞ্জাম। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পৃথিবীর কোথাও সাধারণ কোনো আইএসপি - কে ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ড দেওয়া হয় না, কারণ এটি মূলত এলটিই, এনবি-আইওটি ও ৫জি নেটওয়ার্কের জন্য নির্ধারিত। বাংলাদেশে তাই আজ এক ব্যতিক্রম নিজস্ব ভুলে তৈরি করা অচলাবস্থার কারণে অত্যন্ত মূল্যবান ব্যান্ড অব্যবহৃত। ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে টেলিকম বিশেষজ্ঞরা জানান, এটি মোবাইল নেটওয়ার্ক কাভারেজ লেয়ারের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে। এর সিগন্যাল দূরবর্তী এলাকাতেও পৌঁছায় এবং ঘরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। ফলে কম সংখ্যক টাওয়ারেই বিস্তৃত কাভারেজ প্রদানে সক্ষম। বর্তমানে দেশ ১৮০০, ২১০০ ও ২৩০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের ওপর নির্ভর করে; এগুলোতে কাভারেজ ঘাটতি থাকায় নেটওয়ার্ক মান একরূপ রাখা যাচ্ছে না এবং গ্রামীণ এলাকাগুলো অধিক ক্ষতিগ্রস্ত। ৭০০ মেগাহার্টজ না থাকায় অপারেটরদের দ্বিগুণ টাওয়ার বসাতে হচ্ছে, যা ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং সেবা বৈষম্য বাড়াচ্ছে।
শেষ পর্যন্ত বিষয়টি এখন দেশের আদালতের রায়ের অপেক্ষায় - যে রায়ই আসুক, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাষ্ট্রীয় এই মূল্যবান সম্পদ রক্ষায় এবং আধুনিক নেটওয়ার্ক গড়তে এখনই জরুরি উদ্যোগ প্রয়োজন।
সংস্কার/ইএফহ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার যেকোনো চেষ্টা প্রতিহত করতে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় শ্যুটার শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হিসেবে সামনে এসেছে একটি হাতঘড়ি ও পোশাকের মিল। ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান দ্য ডিসেন্টের দাবি, খুব কাছ থেকে হাদিকে গুলি করা ব্যক্তি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফয়সাল
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান, জামানত জমা, প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর যোগ্যতা, রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়ন, মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশসহ বিভিন্ন বিষয়ে একটি বিস্তারিত পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
অবসর গ্রহণের আগে আগামী ১৪ ডিসেম্বর বিদায়ী অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি আগামী ২৭ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৪ ডিসেম্বর রোববার বিকেল ৩টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে দেশের জেলা আদালতগুলোতে