অনুসরন করুন :

আল-কুরআন

সূরা : আল-আম্বিয়া : ১৯ থেকে ৩১ আয়াত

আল-কুরআন (আল-আম্বিয়া : ১৯ থেকে ৩১ ) ১৯. মহাকাশ এবং পৃথিবীতে যারাই আছে সবাই তাঁর। তাঁর কাছে যারা রয়েছে তারা তাঁর ইবাদতের ব্যাপারে অহংকার করে না এবং ক্লান্তিও বোধ করে না। ২০. তারা তাঁর তসবিহ করে, রাতদিন। কোনো প্রকার বিরাম ও  শৈথিল্য তাদের নেই। ২১. ওরা মাটি দিয়ে যেসব ইলাহ্ (দেবতা) বানিয়েছে, সেগুলো কি মৃতকে জীবিত করতে পারে?।

বিস্তারিত
সূরা: ত্বহা, (আয়াত নং : ৮৭ থেকে ৯৭ )

৮৭. তারা বললো: ‘আমরা তোমার প্রতি দেয়া ওয়াদা স্বেচ্ছায় ভঙ্গ করিনি। বরং আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল কওমের অলংকারের বোঝা। তখন আমরা সেগুলো অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করি। একইভাবে সামেরিও নিক্ষেপ করে।’

বিস্তারিত
(সূরা : ত্বহা, আয়াত নং- ৯৮ থেকে ১১৪)

৯৮. নিশ্চয়ই তোমাদের ইলাহ একমাত্র আল্লাহ্ যিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ্ নেই। সব বিষয়ে তাঁর জ্ঞান পরিব্যাপ্ত। ৯৯. এভাবেই আমরা তোমাকে অতীত সংবাদের বিবরণ দিচ্ছি, আর এই উদ্দেশ্যে আমরা তোমাকে দিয়েছি একটি যিকির (কুরআন)। ১০০. যে এ গ্রন্থ থেকে মুখ ফেরাবে, সে কিয়ামতের দিন বহন করবে এক বিশাল বোঝা। ১০১. চিরদিন তারা তাতেই থাকবে, কিয়ামত কালের এই বোঝা তাদের জন্যে হবে কতো যে নিকৃষ্ট বোঝা! ১০২. যেদিন শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে এবং যেদিন আমরা অপরাধীদের দৃষ্টিহীন করে হাশর করবো, ১০৩. সেদিন তারা নিজেরা-নিজেরা চুপিসারে বলাললি করবে; ‘তোমরা তো (পৃথিবীতে) মাত্র দশদিন অবস্থান করেছিলে’।

বিস্তারিত
সূরা: (ত্বহা , আয়াত নং, ১১৫ থেকে ১২৮)

১১৫. ইতোপূর্বে আমরা আদমকে একটি নির্দেশ দিয়েছিলাম, কিন্তু সে ভুলে গিয়েছিল। আমরা তাকে পাইনি মজবুত সংকল্পের অধিকারী। ১১৬. আমরা যখন ফেরেশতাদের বলেছিলাম, তোমরা সাজদা করো আদমকে, তখন তারা সাজদা করলো, কিন্তু করেনি শুধু ইবলিস। সে অস্বীকার করলো। ১১৭. তখন আমরা বলেছিলাম, হে আদম! নিশ্চয়ই এ (ইবলিস) তোমার এবং তোমার স্ত্রীর শত্রু। সে যেনো তোমাদের জান্নাত থেকে বের করে না দেয়। দিলে তোমরা দুর্ভোগে পড়বে। ১১৮. তোমার জন্যে নিয়ম করে দেয়া হলো, তুমি জান্নাতে ক্ষুধার্তও হবেনা বিবস্ত্রও হবেনা। ১১৯. তুমি সেখানে পিপাসার্তও হবে না, রোদেও পুড়বেনা।

বিস্তারিত
সূরা: (ত্ব-হা , আয়াত নং: ১২৯ থেকে ১৩৫)

১২৯. তোমার প্রভুর পূর্ব বাণী এবং সময় নির্দিষ্ট করা না থাকলে তাদেরকে দ্রুত শাস্তি দেয়া অবশ্যক হয়ে যেতো। ১৩০. সুতরাং তারা যা বলে, সে সম্পর্কে তুমি সবর অবলম্বন করো এবং তোমার প্রভুর হামদসহ তসবিহ করো সূর্যোদয়ের আগে আর সূর্যোস্তের আগে। এছাড়া রাত্রিকালে তাঁর তসবিহ করো আর দিনের দুই প্রান্তে। আশা করা যায় এর ফলে তুমি হয়ে যাবে সন্তুষ্ট।

বিস্তারিত
সূরা: আম্বিয়া: ০৫ থেকে ১৮,

০৫. বরং (রাসূল) তাদের বলে: এগুলো হলো অলীক কল্পনা। হয় সে এগুলো উদ্ভাবন করে নিয়েছে, নয়তো সে একজন কবি। সুতরাং সে আমাদের কাছে কোন নিদর্শন নিয়ে আসুক, যেভাবে নিদর্শনসহ প্রেরিত হয়েছিল পূর্বের রাসূলরা।

বিস্তারিত
(আল-কাহাফ: ৩৭-৪৮)

৩৭. তার কথার প্রসঙ্গে তার সাথি তাকে বললো; ‘তুমি কি তোমার সেই মহান স্রষ্টার প্রতি কুফুরি করলে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, তারপর নোতফা (শুক্রানু) থেকে, তার পরে মানুষের আকৃতি দিয়ে পূর্ণাঙ্গ করে দিয়েছেন? ৩৮. (তুমি যাই বলোনা কেন) সেই মহান আল্লাহই কিন্তু আমার প্রভু। আমি আমার প্রভুর সাথে কাউকেও শরিক করি না। ৩৯. তুমি যখন তোমার বাগানে প্রবেশ করেছিলে, তখন কেন বললে না, ‘আল্লাহ যা চেয়েছেন তাই হয়েছে। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো কোনো ক্ষমতা নেই’? তুমি যদি ধনে জনে আমাকে তোমার চাইতে কম মনে করো, ৪০. তবে হয়তো আমার প্রভু তোমার বাগানের চাইতে উত্তম কিছু আমাকে দান করবেন এবং তোমার বাগান আসমান থেকে আগুন পাঠিয়ে জ্বালিয়ে দেবেন, যার ফলে বাগানটি উদ্ভিদ শূন্য মাঠে পরিণত হবে। ৪১. অথবা তোমার বাগানের পানি ভূ-গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে এবং ‘তুমি আর কখনো পানির সন্ধান লাভ করতে সক্ষম হবেনা’।

বিস্তারিত
সূরা : আল-কাহাফ, ১৭-২৫ আয়াত

১৮. তুমি ধারণা করবে তারা জাগ্রত, অথচ তারা ঘুমন্ত। আমরা তাদের পাশে পরিবর্তন করতাম ডান দিকে এবং বাম দিকে আর তাদের কুকুরটি ছিলো সামনের পা দু’টি গুহা দ্বারের দিকে প্রসারিত করে। তাদের দিকে তাকিয়ে দেখলে তুমি পেছন ফিরে পালাবে এবং তাদের ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়বে। ১৯. এভাবেই, আমরা তাদের জাগিয়ে তুলেছিলাম যেনো তারা পরস্পরের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের একজন জিজ্ঞেস করেছিল, তোমরা এখানে কতোদিন অবস্থান করেছো? বাকিরা বললো: “আমরা এখানে একদিন বা আধা দিন অবস্থান করেছি”। তারা বললো: তোমাদের প্রভুই অধিক জানেন তোমরা কতদিন অবস্থান করছো? এখন তোমাদের একজনকে তোমাদের এই মুদ্রা নিয়ে শহরে পাঠাও, সে দেখুক কোন খাবার উত্তম এবং তা থেকে কিছু খাবার নিয়ে আসুক তোমাদের জন্যে। আর সে যেনো সতর্কতা অবলম্বন করে এবং কিছুতেই যেনো তোমাদের সম্পর্কে কাউকেও কিছু জানতে না দেয়।

বিস্তারিত
সূরা: (আন নাহল - আয়াত ৪৮-৬২)

৪৮. তারা কি দেখেনা, আল্লাহ যা কিছু সৃষ্টি করেছেন সেগুলোর ছায়া ডানে এবং বামে ঢলে পড়ে আল্লাহর প্রতি সাজদাবনত হয় ? ৪৯. মহাকাশে যা কিছু আছে এবং পৃথিবীতে যতো জীবজন্তু আছে সবাই আল্লাহর জন্যে সাজদাবনত হয়, আর ফেরেশতারাও তাঁকে সাজদা করে এবং তারা অহংকার করেন। ৫০. তারা তাদের উপর থেকে তাদের প্রভুর ভয়ে ভীত থাকে এবং তারা কেবল তাই করে যা তাদের নির্দেশ দেয়া হয়। ৫১. আল্লাহ বলেছেন; ‘তোমরা দুই ইলাহ্ গ্রহণ করোনা। তিনি তো একমাত্র ইলাহ্। তাই তোমরা কেবল আমাকেই ভয় করো’। ৫২. মহাকাশ এবং পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তাঁর। আর অবিচ্ছিন্ন আনুগত্য পাওয়ার মালিক কেবল তিনিই। তোমরা কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকেও ভয় করবে?

বিস্তারিত
আল কুরআন : আল- আম্বিয়া : ৪৪ থেকে ৬৪

বরং আমরাই তাদের এবং তাদের পূর্ব পুরুষদের ভোগবিলাসের উপকরণ দিয়েছি, তাছাড়া তাদের বয়সকালও হয়েছিল দীর্ঘ। তারা কি দেখেনা, আমরা তাদের দেশকে চারদিক থেকে সংকুচিত করে আনছি, তবু কি তারা বিজয়ী হবে? হে নবী! তাদের বলুন: “আমি তোমাদের সতর্ক করছি অহীর সাহায্যে”। কিন্তু বধির লোকেরা কোনো ডাকই শুনেনা, যাতে তাদের সতর্ক করা হয়। আপনার প্রভুর কিছু আযাবও যদি তাদের স্পর্শ করে, তারা বলে উঠবে: হায়, আমাদের ধ্বংস, আমরা অবশ্যি যালিম ছিলাম।

বিস্তারিত
আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯

আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভুর কাছে সেটা হবে তার জন্য উত্তম। আর তোমাদের জন্যে হালাল করে দেয়া হলো গবাদি পশু সেগুলো ছাড়া, যেগুলোর বিষয়ে আগেই তোমাদের তিলাওয়াত করা (বিবরণ দেয়া) হয়েছে। সুতরাং তোমরা মূর্তি পূজার নোংরামি বজর্ন করো এবং বর্জন করো মিথ্যা কথা। ৩১. আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠ হয়ে এবং তাঁর সাথে কোনো শরিক না করে। যে কেউ আল্লাহর সাথে শিরক করবে, সে যেনো আকাশ থেকে ছিটকে পড়ে গেল আর পাখি তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেলো, কিংবা প্রবল বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে নিক্ষেপ করলো এক নিরুদ্দেশ স্থানে। ৩২. এগুলো (আল্লাহর নিদর্শনা), আর যারাই আল্লাহর নিদর্শনাবলির প্রতি সম্মান দেখাবে, সেটা হবে অন্তরের তাকওয়ার প্রকাশ। ৩৩. এগুলো (এসব পশুর) মধ্যে তোমাদের জন্যে রয়েছে উপকার একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে, তারপর তাদের কুরবানীর স্থান আমার প্রাচীন ঘরের কাছে। ৩৪. আমরা প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কুরবানী একটি নিয়ম করে দিয়েছি, আল্লাহ তাদেরকে জীবিকা হিসেবে যেসব চারপায়ী জানোয়ার দিয়েছেন, সেগুলোর উপর যেনো তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। তোমাদের ইলাহ তো একমাত্র ইলাহ। সুতরাং তোমরা কেবল তাঁরই প্রতি আত্মসর্মপণ করো। আর হে নবী, সুসংবাদ দাও বিনয়ীদের, ৩৫. যাদের কলব কেঁপে উঠে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হলে, যারা সবর অবলম্বন করে বিপদ মসিবতে, সালাত কায়েম করে এবং আমাদের দেয়া জীবিকা থেকে খরচ করে। (আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে)। ৩৬. আর উটকে আমরা বানিয়েছি আল্লাহর একটি নিদর্শন তোমাদের জন্যে। আর তাতে রয়েছে তোমাদের জন্য কল্যাণ। সুতরাং সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো অবস্থায় তোমরা তাদের উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো। যখন তারা কাত হয়ে পড়ে যাবে, তখন তোমরা তা থেকে খাও এবং তা থেকে খেতে দাও ধৈর্যশীল অভাবীদের ও প্রার্থী অভাবীদের। এভাবেই আমরা সেগুলো করে দিয়েছি তোমাদের অধীন, যাতে করে তোমরা শোকর আদায় করো। ৩৭. আল্লাহর কাছে পৌঁছায়া না তার (কুরবানী) গোশত এবং রক্ত, বরঞ্চ পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই আল্লাহ সেগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন, যেনো তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করতে পারো। তিনি তোমাদের যে হিদায়াত দান করেছেন তার ভিত্তিতে। সুসংবাদ দাও কল্যাণকামীদের। ৩৮. আল্লাহ মুমিনদের রক্ষা করেন। আল্লাহ কোনো বিশ^াসঘাতক অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না। ৩৯. অনুমতি দেয়া হলো (প্রতিরোধের) যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে, কারণ তাদের প্রতি যুলুম করা হয়েছে। অবশ্যি তাদের সাহায্য করতে আল্লাহ সক্ষম। (ক্রমশ:)

বিস্তারিত