আমার এই ছোট্ট জীবনে আমি যে ক’জন মানুষ দেখেছি তাদের মধ্যে যাঁকে আমি সবচেয়ে শ্রদ্ধা করতাম এবং এখনও করেযাব তিনি হচ্ছেন আমার নানা। তিনি ছিলেন আমার কাছে এক অবিস্মরণীয় চরিত্র। যাঁর নাম মঞ্জুর হোসেন খান। তিনি ছিলেন একাধারে ধার্মিক, পরিশ্রমী, হৃদয়বান, বুদ্ধিমান, দয়ালু, ক্ষমাশীল বড় মাপের মনের মানুষ। তার নেশাই ছিল অন্যকে সাহায্য করা। মসজিদ, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান যেখানে যেভাবে দরকার তার সাহায্যের হাত সেখানে সময়মত পৌঁছে যেত। অত্যন্ত কর্মঠ ব্যক্তি ছিলেন তিনি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন প্রতিদিন মসজিদে গিয়ে। তিনি বাচ্চাদের সাহচর্য পছন্দ করতেন। তিনি বাচ্চাদের সাথে খেলতেন। মজার মজার গল্প করতেন। হাসি-ঠাট্টা করতেন তাদের সাথে। শুধু তারাই এটা অনুধাবন করতে পারবে যারা আমার নানার কাছাকাছি এসেছে। তিনি সবসময় চেষ্টা করেছেন কেউ যেন তাঁর ব্যবহারে কষ্ট না পায়। নানা আমাকে আমার পড়াশোনার ব্যাপারে অনেক সাহায্য করতেন। আমার পরীক্ষার আগে নানার কাছে যেতাম বিশেষ করে ইংরেজী, অঙ্ক ও ভূগোল পরীক্ষার আগে। এত সুন্দর সহজ ও সাবলীল ভাবে নানা আমাকে বুঝিয়ে দিতেন যার কোন তুলনা নেই। তিনি নিজে একজন ভাল ছাত্র ছিলেন সেই সাথে ভাল শিক্ষকও বটে।রণীয় চরিত্র। যাঁর নাম মঞ্জুর হোসেন
বিস্তারিতএম. এইচ. খান। মঞ্জুর হোসেন খান। আমি তখন আন্তর্জাতিক একটি ত্রাণসংস্থায় কাজ করছি। ১৯৯৫ সালের জানুয়ারী থেকে ওই অফিসে মূলত আমার কাজ। তার আগে আরো প্রায় দু’মাস ওই অফিসের কাজ করেছি পরীক্ষামূলক। যা ছিল ১৯৯৪ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর। শুরুতে আমাদের অফিস ছিল বারিধারায়। এরপর অফিস স্থানান্তরিত হল উত্তরার সোনার গাঁ জনপথের ২০ নাম্বার বাড়ীতে। ৯৫ এর শেষ দিকে এম. এইচ. খান সাহেব আমাদের অফিসের কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট ডিপার্টমেন্টে এলেন এডভাইজার হিসেবে। তিনি এডভাইজার হলেও আমরা তাকে ওই ডিপার্টমেন্টের প্রধানের মতই জানতাম। পরবর্তীতে এই বিভাগের দু’জন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এলেন। একজন আ: রাজ্জাক, অন্যজন আ: রহীম। আমরা বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের জন্যে মহাপরিচালক ড. আহমদ মাহের এর নেতৃত্বে বৈঠকে বসতাম।
বিস্তারিত