আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯
আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...
বিস্তারিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...
বিস্তারিতবাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...
বিস্তারিতআনাস রা.
বলেন, আমি নবী কারীম
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইরশাদ
করতে শুনেছি যে, যখন কেয়ামতের
দিন হবে তখন আমাকে
সুপারিশ করার ইজাযত দেওয়া
হবে। আমি আরজ করব,
হে আমার রব! এরূপ
প্রত্যেক ব্যক্তিকে জান্নাতে দাখিল করে দিন যার
অন্তরে সরিষার দানা পরিমানও (ঈমান)
রয়েছে। (আল্লাহ তায়ালা আমার এই সুপারিশ
কবুল করবেন) আর ঐ সমস্ত
লোক জান্নাতে দাখিল করবেন। পুনরায় আমি আরজ করব,
এরূপ প্রত্যেক ব্যক্তিকে জান্নাতে দাখিল করে দিন যার
অন্তরে সামান্য পরিমাণও (ঈমান রয়েছে)।
(বুখারী)
আনাস
রা. বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ
করেছেন, ঈমানের স্বাদ সেই ব্যক্তি পাবে
যার মধ্যে তিনটি বস্তু পাওয়া যাবে। ১. তার অন্তরে
আল্লাহ তায়ালার ও তার রাসূলের
মহব্বত সবচেয়ে বেশী হয়। ২.
যে কোন ব্যক্তির সাথেই
মহব্বত হয় তা শুধুই
একমাত্র আল্লাহর জন্যই হয়। ৩. ঈমানের পর কুফরের দিকে ফিয়ে যাওয়া
তার নিকট এরূপ ঘূণিত
ও কষ্টদায়ক হয় যেরূপ আগুনে
নিক্ষেপ করলে হয়। (বুখারী)
মুআয
ইবনু জাবাল রা. হতে বর্ণিত
আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ
করেছেন, শয়তান মানুষের বাঘ, যেমন বকরীর
পালের জন্য বাঘ রয়েছে।
সে এমন বকরীকেই ধরে
যে পাল হতে দূরে
ও আলাদা থাকে। অতএব পাহাড়ী ঘাঁটিতে
আলাদা অবস্থান করা হতে বেঁচে
থাকা-একত্র হয়ে থাকা, সাধারণ
লোকের মধ্যে অবস্থান করা ও মসজিদে
থাকাকে মজবুত করে ধরে রাখে।
(মুসনাদ আহমাদ)
আবু
হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত
আছে যে, নবী কারীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ
করেছেন, যে ব্যক্তি মসজিদ
সমূহকে ঠিকানা হিসেবে নিয়েছে। অর্থাৎ অধিক পরিমাণে মসজিদে
আসা-যাওয়া করবে, অত:পর কোন
কাজে মশগুল হয়ে গিয়েছে অথবা
অসুস্থতার দরুন তা বন্ধ
হয়ে গেছে, তারপর পুনরায় পূর্বের ন্যায় ঠিকানা হিসেবে নেয় তখন আল্লাহ
তায়ালা তাকে দেখে এরূপ
খুশী হয়, যেরূপ ঘরের
লোকেরা তাদের কোন ঘরের লোকের
ফিরে আসা দ্বারা খুশী
হয়। (ইবনু খুযাইমাহ)
মুআয
ইবনু জাবাল রা. হতে বর্ণিত
আছে যে, নবী কারীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ
করেছেন, যে কোন ব্যক্তি
রাতে অযু অবস্থায় যিকির
করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে,
তারপর রাতে যে কোন
সময় তার চোখ খুলে
এবং সে আল্লাহ তায়ালার
নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের যে
কোন কল্যাণ কামনা করে আল্লাহ তায়ালা
তাকে অবশ্যই তা দান করবেন।
(আবু দাউদ)
সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম—কে এক পায়ের উপর আরেক পা তুলে মসজিদে চিত হয়ে শুয়ে থাকতে দেখেছেন। (সহীহ বুখারী ) —কে এক পায়ের উপর আরেক পা তুলে মসজিদে চিত হয়ে শুয়ে থাকতে দেখেছেন। (সহীহ বুখারী )হীহ বুখারী )
আবু আইয়ুব রা. বলেন, আমি যখনি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পিছনে নামায পড়েছি, তাকে নামায শেষ করে এই দোয়া পড়তে শুনেছি। (যার অর্থ:) হে আল্লাহ, আমার সমস্ত ভুল-ভ্রান্তি ও গুনাহ মাফ করে দিন, হে আল্লাহ, আমাকে উন্নতি দান করুন, আমার ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করে দিন এবং আমাকে উত্তম আমল ও উত্তম আখলাকের প্রতি হিদায়াত দান করুন, কারণ উত্তম আমল ও উত্তম আখলাকের প্রতি হিদায়াত আপনি ব্যতিত আর কেউ দিতে পারে না।
হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যারা অন্ধকারে মসজিদের দিকে যায় কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে (চারদিক) আলোকিত করে এমন নূর দ্বারা নূরান্বিত করবেন। (তাবারানী, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ) হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এক নামাযের পর আরেক নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকে সেই ঘোড়সওয়ারের ন্যয় যারা ঘোড়া তাকে নিয়ে দ্রুতগতিতে আল্লাহর রাস্তায় দৌড়ায়। নামাযের অপেক্ষাকারী (নফস ও শয়তানের বিরুদ্ধে) সবচেয়ে বড় আত্মরক্ষা ব্যুহে অবস্থান করে। (মুসনাদে আহমাদ, তাবারানী, তারগীব)
হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযূ করে এবং অযূকে পরিপূর্ণরূপে করে। অত:পর সে শুধু নামাযের উদ্দেশ্যে মসজিদে আসে আল্লাহ তায়ালা সেই বান্দার উপর এমন খুশী হন যে রূপ দূরে চলে যাওয়া কোন আত্মীয় হঠাৎ আগমন করলে ঘরের লোকে খুশী হয়। (ইবনু খুযাইমাহ)