আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯
আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...
বিস্তারিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...
বিস্তারিতবাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...
বিস্তারিতওকাবা ইবনু আমের রা.
বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ
করেছেন, যে ব্যক্তি গুনাহ
করে অত:পর নেক
আমল করতে থাকে। তার
দৃষ্টান্ত ঐ ব্যক্তির মতো
যার শরীরে একটি আঁটসাঁট লৌহবর্ম
থাকে, যা দ্বারা শ্বসরুদ্ধ করে রাখে। অত:পর সে কোন
নেক আমল করে যার
কারণে ঐ লৌহবর্মের একটি
আংটা খুলে যায়। অত:পর দ্বিতীয় কোন
নেক আমল করে যার
কারণে দ্বিতীয় আংটা খুলে যায়।
(এমনিভাবে নেক আমল করতে
থাকে আর কড়াসমূহ খুলতে
থাকে) এমনকি সম্পূর্ণ বর্ম খুলে জমিনের
উপর এসে পড়বে। (মুসনাদে
আহমাদ)
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস রা.
বলেন, যখন কোন কাওমের
মধ্যে প্রকাশ্যে গনীমতের মালে খেয়ানত করা
হয়, তখন তাদের অন্তরে
শত্রুর ভয়ভীতি ঢেলে দেওয়া হয়।
যখন কোন কাওমের মধ্যে
যেনা ব্যভিচার ব্যাপক হয়ে যায়, তখন
তাদের মধ্যে মৃত্যু ব্যাপক হয়ে যায়। যখন
কোন কাওম ওজনে কমবেশী
করে তখন তাদের রিযিক
উঠিয়ে নেওয়া হয়। অর্থাৎ তাদের
রিযিকের বরকত খতম করে
দেওয়া হয়। যখন কোন
কাওম বিচার কার্যে জুলুম করে, তখন তাদের
মধ্যে খুন-খারাবী বেড়ে
যায়, যখন কোন কাওম
অঙ্গিকার ভঙ্গ করে তখন
তাদের উপর শত্রু চাপিয়ে
দেওয়া হয়। মুয়াত্তা
ইমাম মালেক)
আনাস রা. বলেন,
একজন মহিলা মসজিদ থেকে ময়লা তুলে
ফেলে দিতো। তার ইন্তেকাল হয়ে
গেলে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তার
দাফনের সংবাদ দেওয়া হয় নাই। নবী
কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ
করলেন, যখন তোমাদের কারো
ইন্তেকাল হয়ে যায় তখন
আমাকে তার সংবাদ দাও।
তিনি সেই মহিলার জানাযার
নামায পড়লেন এবং ইরশাদ করলেন,
আমি তাকে জান্নাতে দেখেছি,
কারণ সে মসজিদ থেকে
ময়লা তুলে ফেলে দিত।
(তাবারানী, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)
আনাস রা. বর্ণনা করেন
যে, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরজার
নিকট বসে পরস্পর এইভাবে
আলোচনা করছিলাম যে, একজন একটি
আয়াত এবং অপরজন অন্য
একটি আয়াতকে নিজের কথার সপক্ষে দলীল
হিসেবে পেশ করছিল (এইভাবে
ঝগড়ার রূপ ধারণ করল)
ইতিমধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসলেন।
তার চেহারা মোবারক (রাগের দরুন) এরূপ রক্তবর্ণ হয়েছে
যেন, তার চেহারা মোবারকের
উপর ডালিমের দানা নিংড়াইয়া দেওয়া
হয়েছে। তিনি ইরশাদ করেছেন,
হে লোকেরা, তোমাদেরকে তার আদেশ করা
হয়েছে? আমার এই দুনিয়া
হতে চলে যাওয়ার পর
ঝগড়ার দরুন তোমরা একে
অপরের গর্দান মেরে কাফের হয়ে
যেও না। (কারণ এই
আমল কুফর পর্যন্ত পৌঁছিয়ে
দেয়। (তারাবানী, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)
সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম—কে এক পায়ের উপর আরেক পা তুলে মসজিদে চিত হয়ে শুয়ে থাকতে দেখেছেন। (সহীহ বুখারী ) —কে এক পায়ের উপর আরেক পা তুলে মসজিদে চিত হয়ে শুয়ে থাকতে দেখেছেন। (সহীহ বুখারী )হীহ বুখারী )
আবু আইয়ুব রা. বলেন, আমি যখনি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পিছনে নামায পড়েছি, তাকে নামায শেষ করে এই দোয়া পড়তে শুনেছি। (যার অর্থ:) হে আল্লাহ, আমার সমস্ত ভুল-ভ্রান্তি ও গুনাহ মাফ করে দিন, হে আল্লাহ, আমাকে উন্নতি দান করুন, আমার ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করে দিন এবং আমাকে উত্তম আমল ও উত্তম আখলাকের প্রতি হিদায়াত দান করুন, কারণ উত্তম আমল ও উত্তম আখলাকের প্রতি হিদায়াত আপনি ব্যতিত আর কেউ দিতে পারে না।
হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যারা অন্ধকারে মসজিদের দিকে যায় কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে (চারদিক) আলোকিত করে এমন নূর দ্বারা নূরান্বিত করবেন। (তাবারানী, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ) হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এক নামাযের পর আরেক নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকে সেই ঘোড়সওয়ারের ন্যয় যারা ঘোড়া তাকে নিয়ে দ্রুতগতিতে আল্লাহর রাস্তায় দৌড়ায়। নামাযের অপেক্ষাকারী (নফস ও শয়তানের বিরুদ্ধে) সবচেয়ে বড় আত্মরক্ষা ব্যুহে অবস্থান করে। (মুসনাদে আহমাদ, তাবারানী, তারগীব)
হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযূ করে এবং অযূকে পরিপূর্ণরূপে করে। অত:পর সে শুধু নামাযের উদ্দেশ্যে মসজিদে আসে আল্লাহ তায়ালা সেই বান্দার উপর এমন খুশী হন যে রূপ দূরে চলে যাওয়া কোন আত্মীয় হঠাৎ আগমন করলে ঘরের লোকে খুশী হয়। (ইবনু খুযাইমাহ)