অনুসরন করুন :
আল-কুরআন

আল কুরআন : আল- আম্বিয়া : ৪৪ থেকে ৬৪

বরং আমরাই তাদের এবং তাদের পূর্ব পুরুষদের ভোগবিলাসের উপকরণ দিয়েছি, তাছাড়া তাদের বয়সকালও হয়েছিল দীর্ঘ। তারা কি দেখেনা, আমরা তাদের দেশকে চারদিক থেকে সংকু...

বিস্তারিত
আল-হাদীস

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

আবু আইয়ুব রা. বলেন, আমি যখনি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পিছনে নামায পড়েছি, তাকে নামায শেষ করে এই দোয়া পড়তে শুনেছি। (যার অর্থ:) হে...

বিস্তারিত
সম্পাদকীয়

আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা

প্রাণের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ৭১ সা...

বিস্তারিত

বিশ্ব শ্রমিক দিবস ১ মে

করোনা মহামারীর ভয়াল থাবা চলছে। এই ভয়াবহতার প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গেল। এই মহামারী আমাদের অনেক কিছুই নিয়েছে, বিশ্বকে শেখানোর চেষ্টা করেছে নিয়মানুবর্তিতা। বিশ্বকে শেখানোর চেষ্টা করেছে ধর্মীয় রীতিনীতি। অবাধ যৌনতা থেকে ফিরিয়ে রাখার চেষ্টাও করেছে। অশ্লীলতা বেহায়াপনা থেকেও মানুষকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছে। মানুষের চরিত্রকে ধুয়ে-মুছে মানবীয় করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কতটা পেরেছে সেটা ভাববার বিষয়।

এবারের ঈদ-উল-ফিতর আমাদের সামনে থেকে চলে গেল করোনার আচর খেয়ে। ঈদ আসে রহমতের বারতা নিয়ে, বরকতের বারতা নিয়ে, মন ভরা হাসি-আনন্দ-উৎসব নিয়ে। কিন্তু এবারের ঈদ ছিল ব্যতিক্রম। এবারের ঈদের নামাজ আদায় করা হয়েছিল স্বাস্থ্য বিধি রক্ষা করে। সেই আগের মত কোলাকুলি-করমর্দন এই ঈদে তেমনটা লক্ষ্য করা যায়নি। করোনা আমাদের দেখিয়েছে নতুন করে কিভাবে বাঁচতে হবে তার পথ। করোনা আমাদের লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করে দিয়েছে। ঘুরেফিরে আমরা যদি সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালার নিয়মের প্রতি ধাবিত হই, নিজেদেরকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে নিতে চাই তাহলে অনেক কিছুই সম্ভব। আর মৃত্যুর মিছিল, সেতো করোনা মহামারী কালেও ছিল অন্য সময়ও ছিল। আমরা যেভাবেই চেষ্টা করি না কেন, মৃত্যু থেকে রেহাই পাব না। প্রতিটি প্রাণীরই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মৃত্যু একই। যদিও এর কারণ ভিন্ন ভিন্ন। সেসব কারণ এর সাথে যুক্ত হয়েছে মহামারী করোনা। এবারে ঈদ-উল-ফিতর আমাদের আরেকটি নাড়া দিয়ে গেল ঈমান শক্তিশালী করার জন্য। আরো উদ্যম নিয়ে, শক্তি নিয়ে আল্লাহর পথে ফিরে আসার জন্য। করোনা মহামারীর এই ঢেউ পার্শ্ববর্তী ভারতে আঘাত হেনেছে প্রচন্ডভাবে। আমরা লক্ষ্য করেছি আমাদের দেশের কিছু লোক সোশ্যাল মিডিয়াতে বলে বেড়াচ্ছেন, কারো উপর আল্লাহর গজব আছে বলেই তাদের উপর এইভাবে করোনা চেপে বসেছে। এতে আমাদের আনন্দিত হবার কিছু নেই। বরং আমাদের শিক্ষা নেয়ার অনেক কিছুই আছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত মানুষের হাহাকার, মৃত্যু মুখে ঢলে পড়া মানুষের সৎকার কিংবা দাফন-কাফন, অথবা ব্যর্থ হয়ে শত শত লাশ নদীর পানিতে ভাসিয়ে দেয়া, সবকিছুই যেন আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে-তোমরা সাবধান হও। কিন্তু আমরা সাবধান হতে পারিনি। পাশের দেশের ঝড়-বাতাসের ঝাপটা নিয়ে আমরা আক্রান্ত হতে চলেছি। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর মানুষের দায়-দায়িত্ব নিয়ে এখানে প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন ওঠে সীমান্তরক্ষীদের দায়িত্ব কর্তব্য নিয়ে। প্রশ্ন ওঠে সংশ্লিষ্ট এলাকার সাথে জড়িত দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বের ব্যাপারেও। আমরা সবাই এই করোনাকে সীমান্তে রুখে দিতে পারিনি। সীমান্ত পেরিয়ে দেশের অভ্যন্তরে যেসব ট্রাক মালামাল বা পণ্য সামগ্রী নিয়ে এসেছে, দেখা গেছে তাদের ড্রাইভার, হেলপার এবং অন্যান্যরা স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বাংলাদেশিদের সাথে মেলামেশা করছেন। দেখা গেছে চোরাকারবারীদের হাতে হাত মিলিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যারা এসেছে তাদের সাথে মিশে গিয়ে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে কথাবার্তা, আদর-আপ্যায়ন, চলাফেরা করার বিষয়টিও। ফলে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে হুহু করে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে লকডাউন দেয়ার আগ পর্যন্ত অথবা লকডাউন এর মধ্যেও ফাঁকে ফাঁকে বেরিয়ে যারা পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে, দক্ষিণাঞ্চল, উত্তরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে, তাদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। বেড়ে গেছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তার সাথে বেড়ে গেছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। এই গ্রামগঞ্জে আক্রান্ত রোগীর সাথে এম্বুলেন্সে অথবা গাড়ি করে ঢাকায় এসেছে অনেকেই। একজন রোগীর সাথে চার, পাঁচ বা ছয় জন বা তার চেয়ে বেশি-কম লোক এসেছে ঢাকায়। স্বাস্থ্য বিধি মানার ব্যাপারে তাদেরও ছিলনা সচেতনতা। বিশেষ করে হাসপাতালগুলোতে রোগী নিয়ে আসার পর সুস্থ মানুষের সাথে উঠা-বসা, খাবার-দাবার, চাল-চলন অথবা স্বাস্থ্য বিধি না মেনে আচার-আচরণ করোনা প্রভাবকে আরো বেশি করে চাপিয়ে দিয়েছে। এখন বাংলাদেশে করোনার থাবা বিগত দিনগুলোর চেয়ে সর্বোচ্চ প্রতিদিন রেকর্ড ভাঙ্গার পালা চলছে। মহান আল্লাহ যদি আমাদের দেশের সচেতন-অসচেতন, ধনী-গরীব সকল মানুষের দিকে চোখ তুলে তাকান। যদি রহম করেন এবং মহামারী করোনার দিয়ে শাস্তি না দেন, এই প্রত্যাশা।

করোনার ভয়াল থাবায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সেক্টর হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। অনলাইন ক্লাস, ভার্চুয়াল মিডিয়াতে ক্লাস করে ছাত্রছাত্রীদের তেমন কোনো উপকার হচ্ছে না। অনলাইনে সংযুক্ত থাকার ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশন ফি ইত্যাদি রেগুলারাইজ করার চেষ্টা করেছে। অনলাইনের পরীক্ষা পদ্ধতি, পড়াশোনার পদ্ধতি, তেমন ফলপ্রসূ নয়। অভিভাবকরাও সেই দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়নি। যার ফলে প্রায় দুই বছরে ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা শূন্যের কোঠায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের এই প্রজন্মকে কি করে মেধার জগতে ফিরিয়ে আনা যাবে সেটা এখন সবচেয়ে জটিল চিন্তার বিষয়। আর এই কাজটি করা সম্ভব না হলেশিক্ষা জাতির মেরুদন্ডবলে আমরা যে কথা বলেছি সেটি আর হচ্ছে না। অর্থাৎ জাতির মেরুদন্ড করোনা মহামারীর ফলে ভেঙে গেল। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি মেধাভিত্তিক প্রজন্ম হিসেবে তৈরি করার জন্য দেশের বুদ্ধিজীবী, সমাজ বিজ্ঞানী এবং চিন্তক সকলকেই এগিয়ে এসে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। একটি সুন্দর বাংলাদেশ, একটি সুন্দর পৃথিবী বিনির্মাণে এই প্রজন্মের মেধায় যে শূন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে, তা থেকে সচেতনতাই আমাদেরকে বেশি উদ্ধার করবে। সতর্কতামূলক বক্তব্য দিয়ে, সচেতনতামূলক ভিডিও দিয়ে, আমাদের ছাত্র-ছাত্রী, শিশু-কিশোর সকলকে উজ্জীবিত রাখা দরকার। অনলাইন গেইমের প্রতি আসক্তি না বাড়িয়ে, তাদেরকে রুচিপূর্ণ এমন কিছু দেয়া দরকার যা দেখে তারা শিক্ষিত হবে, চরিত্রবান হবে, আদর্শ মানুষ হবে, আদর্শ দেশ প্রেমিক হবে, আদর্শ নাগরিক হবে।  শিক্ষার সিলেবাস কমিয়ে দেয়া হয়েছে। তাহলে কি মেধাও কমিয়ে দেয়া হলো। শিক্ষা পদ্ধতির বিকল্প বের করা দরকার ছিল। অনলাইনে শিক্ষা যে সফল কিছু বাংলাদেশের পেক্ষাপটে নয়, তা প্রমাণিত হয়ে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনলাইনে ক্লাস চলছে, হয়তো তাদের অনেকগুলো পদ্ধতি আমরা আমাদের দেশে চালিয়ে নিতে পারতাম। কিন্তু আমাদের করার যেন কিছুই নেই। এই জুন মাসকে সামনে রেখে বাজেট প্রণীত হচ্ছে। ইয়া বড় হাতির মতো এক বিশাল বাজেট নিয়ে বাংলাদেশের জনগণ আরেকটি বছর পাড়ি দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিয়ে আমরা প্রতিটি দিন হুমকির মধ্যে রয়েছি, সেখানে এত বিশাল বাজেট নিয়ে এগুনোর আগে আমাদের চিন্তা করা উচিত। আমাদের ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বড় করা বাজেট দিয়ে ব্যক্তির পকেট ভারী করার চেষ্টা যাতে না করা হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা একান্ত কর্তব্য। দেশের মানুষের অর্থে বিশাল বাজেট নিয়ে সেই অর্থ যাতে বিদেশের ব্যাংকে পাচার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। এই দেশের মানুষের রক্ত ঝরা, ঘাম ঝরা উপার্জিত অর্থ দিয়ে ব্যক্তি বিশেষ কয়েকজন যাতে সাদ্দাদের বেহেশত না বানাতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। আমাদের বাজেট যেন হয় বাংলাদেশী জনগণের স্বার্থে। কোন দল, কোন ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠীর স্বার্থে যদি এই বাজেট হয়, তাহলে তা হবে আমানতের সবচেয়ে বড় খেয়ানত। সবকিছুতেই ছাপ রেখে চলেছে করোনাভাইরাস। ১৬ কোটি মানুষের জন্য টীকা সংগ্রহ করার যে ইচ্ছে, আর সেই জন্য বিশাল বাজেট প্রণয়ন করে ব্যক্তি বিশেষদেরকে তোষণ পোষণের জন্য যদি এই বাজেট তৈরি করা হয়, তা হবে এদেশের মানুষের সাথে সবচেয়ে বড় রকম অসদাচরণ। বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট সকলেই খেয়াল রেখে চললে, অনেক কথাই পরে আর উঠবে না। আর যদি না দেখার ভান করে চলা হয়, তাহলে জাতি অবক্ষয়ের অতল গভীরে পৌঁছে যাওয়ার একটি রাস্তা তৈরি হবে। সবকিছুর উপরে করোনা ভাইরাস আমাদেরকে শাসাচ্ছে কিন্তু আমরা বহাল তবিয়তেই সুদী কারবার করছি, ঘুষের বাণিজ্য করছিদুর্নীতিতে ডুবে আছি, অশ্লীলতায় ছেয়ে আছি, এমন কোন অপরাধ নেই যা আমরা করছি না। মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, প্রার্থনা করি আল্লাহ তুমি আমাদের এদেশের লোকদেরকে, বিশ্বের মানবতাকে, করোনা মহামারী থেকে রক্ষা করো। আমিন।

0 | দেখেছেন : 46 |

সম্পর্কিত খবর

আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা

প্রাণের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভ করেছিলাম। উদিত হয়েছিল বাংলাদেশের সূর্য। বিগত প্রায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলাম। মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমা-ার বলেছিলেন ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা’। আমরা স্বাধীনতা পেলাম, সদ্য-ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট সরকারের শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার স্বাধীনতা। আ

রমজান আসে রমজান যায়

১.রমজান আসে রমজান যায়। বিশ্ব মুসলিমের মুক্তির বারতা নিয়ে প্রতি বছর রমজান আসে প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে। কিন্তু কম সংখ্যকই এই রমজানের মুক্তির বারতা গ্রহণ করতে পারে। খুব কম সংখ্যকই এই সুয়োগ কাজে লাগায়। শয়তানের কুটচালে বন্দী হয়ে মানুষ নামী শয়তানগুলো এই রমজানের স্রষ্টার সাথে নানা ধরনের হঠকারিতার আশ্রয় নেয়। আমাদের বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক না কেনো? রমজান আসতে দু’মাস কিংবা দেড় মাস বাকী। এরি মধ্যে মজুদদাররা নব নব পন্থায় তাদের অসাধু ব্যবসায়িক হিসেব কষতে শুরু করেছেন। রমজানে দ্রবমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে। তাই তারা রমজানের দু’মাস আগে থেকেই বাজার গরম করে ফেলে। এবারও তাই হলো। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হুহু করে বাড়িয়ে দিল। যে চাল গত রমজানে মানুষ ৪৫/৪৬ টাকা করে খেয়েছে, সে চাল ব্যবসায়ীদের কারসাজীতে ৫৯/৬০ টাকা করে কিনতে হবে কেন? ফলন ভালো, আমদানী-রপ্তানী ভালো, তাহলে কি কারণে চালের দাম ১০/১৫ টাকা বেশী হবে এক বছরের মাথায়।?

মানুষ আল্লাহর সেরা জীব

মানুষ আল্লাহর সেরা জীব। আশরাফুল মাখলুকাত। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি জীন ও ইনসানকে আমার ইবাদত করার জন্যেই শুধূমাত্র সৃষ্টি করেছি’। মানুষের আদি সৃষ্টি মাটি হতে আর জীন জাতির সৃষ্টি আগুন হতে। এই বিশ্বে যত প্রাণী বা সৃষ্টি রয়েছে তার মধ্যে মানুষ ও জীন জাতির বিবেক রয়েছে। আর তাই এদেরকে সৃষ্টি করা

আজ ১৪ এপ্রিল

আজ ১৪ এপ্রিল। বাংলা সনের প্রথম দিন। পহেলা বৈশাখ। পৃথিবীর কোন বাংলা ভাষাভাষি সমাজে কিছু ঘটুক বা না ঘটুক বাংলাদেশে কিন্তু আজ ঘটবে মহাযজ্ঞ। এই দিনের জন্যে চৈত্রের আগমনের সাথে সাথেই শুরু হয় এই মহা আয়োজন। এই মহাযজ্ঞের প্রস্তুতি। শতকরা ৮৫ ভাগ মুসলিমের দেশে হিন্দুয়ানী কায়দায়, হিন্দু ধর্মীয় আচার-আচরণ নির্ভর কিছু অনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে, হিন্দু ধর্মীয় আক্বিদাহ বিশ্বাসকে উপজীব্য করে আজ পালিত হবে পহেলা বৈশাখ। ১৯৮৫ সালে যশোরে শুরু হয়েছিল নববর্ষ উপলক্ষে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা। তখন এই শোভাযাত্রার উদ্দেশ্য ছিল একরকম। কালক্রমে এখন তা মঙ্গল শোভাযাত্রা। একজন সুশীলের বক্তব্য অনুযায়ী প্রথমেই মঙ্গল শোভাযাত্রা তাদের মাথায় ছিল, কিন্তু কেউ আবার “ভুল বুঝবে” তাই তারা প্রথমে এ নামটি দেয়নি। ১৯৮৯ সালে এ শোভাযাত্রা ঢাকার চারুকলায় আমদানি করা হয়।