আল কুরআন : আল- আম্বিয়া : ৪৪ থেকে ৬৪
বরং আমরাই তাদের এবং তাদের পূর্ব পুরুষদের ভোগবিলাসের উপকরণ দিয়েছি, তাছাড়া তাদের বয়সকালও হয়েছিল দীর্ঘ। তারা কি দেখেনা, আমরা তাদের দেশকে চারদিক থেকে সংকু...
বিস্তারিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
আবু আইয়ুব রা. বলেন, আমি যখনি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পিছনে নামায পড়েছি, তাকে নামায শেষ করে এই দোয়া পড়তে শুনেছি। (যার অর্থ:) হে...
বিস্তারিতআমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা
প্রাণের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ৭১ সা...
বিস্তারিতইসলামের
চতুর্থ রুকন বা ভিত্তি
হচ্ছে হজ। এই হজ
সম্পর্কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার
প্রসিদ্ধ হাদীসে বলেছেন, "ইসলামকে পাঁচটি স্তম্ভের উপর তৈরি করা
হয়েছে, আল্লাহ তা'য়ালা এক
ও অদ্বিতীয় এ বিষয়ে এবং
মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর
প্রেরিত রাসূল এ বিষয়ে সাক্ষ্য
দেয়া, নামায আদায় করা, যাকাত
আদায় করা, হজ করা
এবং রমজান মাসে রোজা রাখা।"
(বুখারী ও মুসলিম) একজন
মুসলিম এর ওপর হজ
করা ফরজ হয় যখন
তার এতোটুকু সম্পদ থাকে, যা দিয়ে সৌদি
আরবের মক্কা মুকাররমায় অবস্থিত বাইতুল্লাহ বা আল্লাহর ঘর
পর্যন্ত যাওয়া ও আসার খরচ
সংকুলান করার ক্ষমতা থাকে।
এ
ক্ষেত্রে হজ পালনের জন্য
বয়স একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়। হজ ফরজ হওয়ার
বিষয়ে পূর্বশর্ত যেমন আর্থিক সঙ্গতি,
পাশাপাশি একজন উন্মাদ বা
পাগলের উপর হজ ফরয
হয় না। একজন নাবালেগ
মুসলিমের উপর হজ ফরয
হয় না। একজন কাফের,
মুরতাদ বা নাস্তিক এর
উপর হজ ফরয হয়
না। তাহলে একজন মুসলিম, চাই
সে নারী হোক বা
পুরুষ হোক, সে বালেগ
হলেই, আর্থিক সঙ্গতি থাকলে, তার ওপর হজ
করা ফরজ। অনেক সময়
ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়ে
হজে যাওয়া হয়। এটা তার
উপর ফরজ হজ নয়।
তাকে হজের কাজে অভ্যস্ত
করে তোলার জন্য অথবা কোন
নফল হিসেবে হজ আদায় করার
জন্য নিয়ে যাওয়াটা বৈধ।
আমাদের দেশে হজ ফরয
হলেও একটা বড় ধরনের
সমস্যা সবসময়ই লেগে থাকে। প্রচলিত
সামাজিক রীতিনীতির মতোই হয়ে গেছে
যে, হজ করতে যেতে
হবে বৃদ্ধ বয়সে। যখন কোন মুসলিম,
ধনী ব্যক্তি তাঁর জীবনের সব
কাজ শেষ করে ফেলেছেন
বলে মনে করবেন, তার
ছেলেমেয়েদের কে বিয়ে-শাদী
করাবেন বা দিবেন, তার
বয়স বাড়তে বাড়তে ৬০-৭০ এ
পৌঁছে গেছে, তখনি যেনো তার
জন্য হজ করাটা উপযুক্ত
সময়। এই বিষয়টি হচ্ছে
প্রচলিত বড় ভুলগুলোর একটি।
কারণ হজ ইসলামের একটি
ভিত্তিই শুধু নয় বরং
এটি একজন মুসলিম নর-নারীর ক্ষেত্রে আর্থিক ইবাদতের মধ্যে গণ্য। একই সাথে শারীরিক
ভাবে উপস্থিত হয়ে হজ আদায়
করতে হয় বলে এটি
শারীরিক ইবাদতের মধ্যেও গণ্য। অনেকে হজ করার কথা
বললে, বিশেষ করে গ্রামে-গঞ্জে
এ কথাটি অনেকের মুখেই শোনা যায় যে,
এত তাড়াতাড়ি হজ করলে হজ
কি রাখা যাবে? এর
মানে হচ্ছে যখন সে যৌবন
কালে হজ করবে, হজ
থেকে ফেরার পর, তার সগিরা
বা কবিরা গুনাহ করার আশা-আকাঙ্খা
করতে পারে, বেশি বেশি ভুলে
নিমজ্জিত হয়ে যেতে পারে,
যার ফলে যৌবন কালে
হজ করাকে সে ভয় পায়।
অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
নির্দেশনা হচ্ছে যৌবন কালের ইবাদত
আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি
গ্রহণযোগ্য। কিয়ামত দিবসে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দিতে কোন
মানুষের পা নড়বে না।
সেই পাঁচটি প্রশ্নের মধ্যে একটি হচ্ছে "তার
যৌবন কাল কিভাবে সে
অতিবাহিত করেছে"। এই যৌবনকালে
যে ইবাদত বন্দেগী ইত্যাদি করা হয় সেগুলো
যথাযথভাবে করার চেষ্টা করা
হলে তা সম্ভব। যা
বৃদ্ধ বয়সে অসম্ভব হয়ে
পড়ে। এছাড়া বাস্তবিক ভাবে বিচার করতে
গেলে দেখা যাবে, আমাদের
দেশের যেসব হাজী বাইতুল্লাহ
শরীফে হজের নিয়তে যাচ্ছেন,
তারা হজ করতে গেলে
যেই আনুষ্ঠানিকতা রযেছে, যে পরিশ্রম রয়েছে,
যে স্থানগুলোতে যাওয়া-আসার ব্যাপার রয়েছে,
এসব সঠিকভাবে নিজের পক্ষ থেকে করতে
পারেন না। তখন অপারগ
ব্যক্তির মতই তার সকল
কাজ অথবা যে যে
কাজ গুলো অন্য কাউকে
দিয়ে করানো সম্ভব, সেগুলো কাউকে দিয়ে করিয়ে নিতে
হয়। এতে হজের যেই
প্রকৃত স্বাদ সেটি তার আস্বাদন
করা হয় না। শক্তি
এবং সামর্থ্য দু'টোই দরকার
হজ এর মত ইসলামের
গুরুত্বপূর্ণ এই ভিত্তিটি পালন
করার জন্য। আর এই কথাটি
ইতিমধ্যে যারা হজ করে
এসেছেন, তাদের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময়
করলে সকলের কাছেই সুস্পষ্ট হয়ে যাবে। কিছু
কিছু দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে, তারা বিয়ে-শাদী
পর্যন্ত হজ করার আগে
করে না। ইন্দোনেশিয়া কিংবা
মালয়েশিয়া এর মত মুসলিম
দেশগুলোতে এই বিষয়টি অপরাপর
আমাদের সবাই জানেন, যে
কোন একটি মেয়ে অথবা
কোন একটি ছেলের মধ্যে
বিয়ে-শাদী হবেনা যদি
তারা হজ না করে
থাকেন। অবশ্য এটি বাধ্যবাধকতার বিষয়
নয়। সামাজিকভাবে ধর্মীয় বিষয়টিকে তারা গ্রহণ করে
নিয়েছেন। তারপরও এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম
রয়েছে। কিন্তু পাক-ভারত উপমহাদেশে
হজের বিষয়টি এলে সামর্থ্য ও
শক্তি থাকা সত্ত্বেও যুব
শ্রেণীর হজ ফরজ হওয়া
মুসলিমরা, তাদের এই ভিত্তিটি পালন
করেন না। কোন কোন
অজুহাত দিয়ে এটাকে পিছানোর
চেষ্টা করেন। আমাদের মনে রাখতে হবে,
এই হজ নিয়ে আমি
যে বিলম্ব করছি, আমার কি এমন
নিশ্চয়তা আছে, যে আগামী
বছর বা তার পরের
বছর বা দশ বছর
পরে আমি হজ করতে
পারব। আমি যে কোন
মুহূর্তে মৃত্যু মুখে পতিত হতে
পারি। তাই এই হজ
নিয়ে এমনিভাবে কালক্ষেপণ না করে যথা
সময়ে হজ ফরজ হওয়ার
সাথে সাথে আদায় করা
উচিত। হজের ব্যাপারে আল্লাহ
তা'আলা পবিত্র কুরআন
কারীমে শক্ত ভাষায় বলেছেন,
"মানুষের উপর আল্লাহর পক্ষ
থেকে বাইতুল্লাহ এর হজ করার
যাদের সামর্থ্য রয়েছে তাদের উপর ফরজ। যেই
ব্যক্তি এই বিষয়টি অস্বীকার
করবে (তাদের জেনে রাখা উচিত)
নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা বিশ্ব
থেকে অমুখাপেক্ষী।" (আল ইমরান ৯৭)
অতএব হজের প্রসঙ্গ এলে
আমাদেরকে সঠিকভাবে, সঠিক সময়ে, হালাল
ভাবে অর্জিত পয়সা দিয়ে, যাদের
ওপর হজ ফরজ হয়েছে,
তাদের হজ আদায় করে
নেয়া উচিত। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিকভাবে তার হজ, বাইতুল্লাহ
এর জিয়ারত, কাবা শরিফের তাওয়ফ,
আরাফার ময়দানের উপস্থিতি, মুজদালিফায় রাত্রি যাপন এবং মিনায়
অবস্থান করে কুরবানী ও
পাথর নিক্ষেপ এর মাধ্যমে হজব্রত
পালন করার তাওফিক দিন।
আমীন।
প্রাণের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভ করেছিলাম। উদিত হয়েছিল বাংলাদেশের সূর্য। বিগত প্রায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলাম। মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমা-ার বলেছিলেন ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা’। আমরা স্বাধীনতা পেলাম, সদ্য-ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট সরকারের শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার স্বাধীনতা। আ
১.রমজান আসে রমজান যায়। বিশ্ব মুসলিমের মুক্তির বারতা নিয়ে প্রতি বছর রমজান আসে প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে। কিন্তু কম সংখ্যকই এই রমজানের মুক্তির বারতা গ্রহণ করতে পারে। খুব কম সংখ্যকই এই সুয়োগ কাজে লাগায়। শয়তানের কুটচালে বন্দী হয়ে মানুষ নামী শয়তানগুলো এই রমজানের স্রষ্টার সাথে নানা ধরনের হঠকারিতার আশ্রয় নেয়। আমাদের বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক না কেনো? রমজান আসতে দু’মাস কিংবা দেড় মাস বাকী। এরি মধ্যে মজুদদাররা নব নব পন্থায় তাদের অসাধু ব্যবসায়িক হিসেব কষতে শুরু করেছেন। রমজানে দ্রবমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে। তাই তারা রমজানের দু’মাস আগে থেকেই বাজার গরম করে ফেলে। এবারও তাই হলো। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হুহু করে বাড়িয়ে দিল। যে চাল গত রমজানে মানুষ ৪৫/৪৬ টাকা করে খেয়েছে, সে চাল ব্যবসায়ীদের কারসাজীতে ৫৯/৬০ টাকা করে কিনতে হবে কেন? ফলন ভালো, আমদানী-রপ্তানী ভালো, তাহলে কি কারণে চালের দাম ১০/১৫ টাকা বেশী হবে এক বছরের মাথায়।?
মানুষ আল্লাহর সেরা জীব। আশরাফুল মাখলুকাত। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি জীন ও ইনসানকে আমার ইবাদত করার জন্যেই শুধূমাত্র সৃষ্টি করেছি’। মানুষের আদি সৃষ্টি মাটি হতে আর জীন জাতির সৃষ্টি আগুন হতে। এই বিশ্বে যত প্রাণী বা সৃষ্টি রয়েছে তার মধ্যে মানুষ ও জীন জাতির বিবেক রয়েছে। আর তাই এদেরকে সৃষ্টি করা
আজ ১৪ এপ্রিল। বাংলা সনের প্রথম দিন। পহেলা বৈশাখ। পৃথিবীর কোন বাংলা ভাষাভাষি সমাজে কিছু ঘটুক বা না ঘটুক বাংলাদেশে কিন্তু আজ ঘটবে মহাযজ্ঞ। এই দিনের জন্যে চৈত্রের আগমনের সাথে সাথেই শুরু হয় এই মহা আয়োজন। এই মহাযজ্ঞের প্রস্তুতি। শতকরা ৮৫ ভাগ মুসলিমের দেশে হিন্দুয়ানী কায়দায়, হিন্দু ধর্মীয় আচার-আচরণ নির্ভর কিছু অনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে, হিন্দু ধর্মীয় আক্বিদাহ বিশ্বাসকে উপজীব্য করে আজ পালিত হবে পহেলা বৈশাখ। ১৯৮৫ সালে যশোরে শুরু হয়েছিল নববর্ষ উপলক্ষে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা। তখন এই শোভাযাত্রার উদ্দেশ্য ছিল একরকম। কালক্রমে এখন তা মঙ্গল শোভাযাত্রা। একজন সুশীলের বক্তব্য অনুযায়ী প্রথমেই মঙ্গল শোভাযাত্রা তাদের মাথায় ছিল, কিন্তু কেউ আবার “ভুল বুঝবে” তাই তারা প্রথমে এ নামটি দেয়নি। ১৯৮৯ সালে এ শোভাযাত্রা ঢাকার চারুকলায় আমদানি করা হয়।