অনুসরন করুন :
আল-কুরআন

আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯

আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...

বিস্তারিত
আল-হাদীস

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...

বিস্তারিত
সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...

বিস্তারিত

বাংলা নববর্ষ ও আমাদের করণীয়

মুসলমানগণ  কিভাবে এ উৎসব পালন করবে ও র্বতমানে কিভাবে পালতি হয়।  নবর্বষ, বর্ষবরণ, পহলো বৈশাখ এ শব্দগুলো বাংলা নতুন বছরের আগমন এবং এ উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব-অনুষ্ঠানাদিকে ইঙ্গিত করে। এই উৎসবকে প্রচার মাধ্যমসমূহে বাঙালি জাতির ঐতিহ্য হিসেবে প্রচার করা হয়ে থাকে। তাই জাতির একটি ঐতিহ্য হিসেবে এই উৎসবকে এবং এর সাথে সম্পৃক্ত কর্মকান্ডকে সর্মথন যোগানোর একটা বাধ্যবাধকতা অনুভূত হয় সবার মনেই। এ যে বাঙালি জাতির উৎসব! তবে বাংলাদেশে বসবাসরত বাঙালি জাতির শতকরা ৮৭ ভাগ লোক আবার মুসলিমও বটে, তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে নবর্বষ উদযাপন  এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানাদি যেমন: রবীন্দ্র সংগীত ‘‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’’ এর মাধ্যমে বর্ষবরণ, বৈশাখী মেলা, রমনার বটমূলে পান্তা-ইলিশের ভোজ, জীবজন্তু ও রাক্ষস-খোক্কসের প্রতিকৃতি নিয়ে গণমিছিল-এবং নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, হাসি-ঠাট্টা ও আনন্দ উপভোগ, সাজগোজ করে নারীদের অবাধ বিচরণ ও সৌর্ন্দযের প্রর্দশনী, সহপাঠীদের একে অপরের দেহে চিত্রাঙ্কন-এ সব কিছু কতটা ইসলাম সম্মত? ৮৭ ভাগ মুসলিম যে আল্লাহতে বিশ্বাসী, সেই আল্লাহ কি মুসলিমের এই সকল আচরণে খুশি হন, না ক্রোধান্বতি হন?

ইসলাম র্ধমে উৎসবের

রূপরেখা

আমরা অনেকে উপলব্ধি না করলেও, উৎসব সাধারণত একটি জাতির ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে সম্পৃক্ত হয়। উৎসবের খোঁজ করলে পাওয়া যাবে তাতে রয়েছে উৎসব পালনকারী জাতির ধর্মীয় নীতি প্রবাহিত ধর্মীয় বিশ্বাস, ধর্মীয় অনুভূতি, ধর্মীয় সংস্কার ও ধর্মীয় ধ্যান-ধারণার ছোঁয়া। উদাহরণ স্বরূপ খৃস্টান সম্প্রদায়ের বড় দিন তাদের বিশ্বাস মতে স্রষ্টার পুত্রের জন্ম দিন। মধ্যযুগে ইউরোপীয় দেশগুলোতে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার  অনুযায়ী নবর্বষ পালিত হতো ২৫শে র্মাচ এবং তা চল ছিল। ঐ দিন খৃস্টীয় মতবাদ অনুযায়ী মাতা মেরীর নিকট এ মর্মে ঐশী বাণী প্রচারিত হয় যে, মেরী ইশ্বরের পুত্র জন্ম দিতে যাচ্ছেন। পরর্বতীতে ১৫৮২ সালে গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডারের সূচনার পর রোমক ক্যাথলকি দেশগুলো পহেলা  জানুয়ারী নবর্বষ উদযাপন করা আরম্ভ করে। এ দিনটি একটি ধর্মীয় উৎসব হিসেবেই পালিত হতো। এ জন্যই ইসলামের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সা. মুসলিমদের উৎসবকে নির্ধারণ করছেনে। রাসুল সা. বলেন প্রত্যেক জাতির নিজস্ব উৎসব রয়েছে আর এটা আমাদের ঈদ’ (বুখারী: ৯৫২ মুসলিম: ৮৯২)

এ ধরনের কুসংস্কারের কোন স্থান ইসলামে নেই। বরং মুসলিমের জীবনে প্রতিটি মুর্হূতই মূল্যবান হীরকখন্ড, হয় সে এই মুর্হূতকে আল্লাহর আনুগত্যে ব্যয় করে আখিরাতের পাথেয় সঞ্চয় করে জান্নাতের মালিক হবে, নতুবা আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়ে শাস্তির যোগ্য হয়ে উঠবে। এই দৃিষ্টকোণ থেকে বছরের প্রথম দিনের কোন বিশেষ তাৎর্পয নেই।

আমাদের করণীয়

ইসলামের দৃিষ্টকোণ থেকে বাংলা নববর্ষ সংক্রান্ত্র যাবতীয় অনুষ্ঠান সর্ম্পূণ নিষিদ্ধ এজন্য যে এতে কয়েক শ্রেণীর ইসলাম বিরোধিতা হচ্ছে:

১.শিরকপূর্ণ অনুষ্ঠান, চিন্তাধারা ও সংগীত, ২. নগ্নতা, অশ্লীলতা, ব্যভিচারর্পূণ অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকতে হবে, ৩. গান ও বাদ্যর্পূণ অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকতে হবে, ৪. সময় অপচয়কারী অনর্থক ও বাজে কথা এবং কাজ

এ অবস্থায় প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব হচ্ছে নিজে এগুলো থেকে সর্ম্পূণরূপে দূরে থাকা এবং বাঙালি মুসলিম সমাজ থেকে এই প্রথা উচ্ছেদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো নিজ নিজ সাধ্য ও অবস্থান অনুযায়ী। এ প্রসঙ্গে আমাদের করণীয় সর্ম্পকে কিছু দিক নির্দেশনা দেয়া যেতে পারে: এ বিষয়ে দেশের শাসকগোষ্ঠীর দায়িত্ব হবে আইন প্রয়োগের দ্বারা নববর্ষের বিজাতীয় যাবতীয় অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।

যেসব ব্যক্তি নিজ নিজ ক্ষেত্রে কিছুটা ক্ষমতার অধিকারী, তাদের র্কতব্য হবে অধীনস্থদেরকে এ কাজ থেকে বিরত রাখা। যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এই নির্দেশ জারি করতে পারেন যে, তার প্রতিষ্ঠানে নবর্বষকে উপলক্ষ্য করে কোন ধরনের অনুষ্ঠান পালন করা যাবে  না। নবর্বষ উপলক্ষে কেউ বিশেষ পোশাক পরিধান করতে পারবে না কিংবা শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারবে না। মসজিদের ইমামগণ এ বিষয়ে মুসল­ীদেরকে সচেতন করবেন ও বিরত থাকার উপদেশ দিবেন। পরিবারের প্রধান এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন যে তার পুত্র, কণ্যা, স্ত্রী কিংবা অধীনস্থ অন্য কেউ যেন নবর্বষের কোন অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়।

এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকে তার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, সহপাঠী, সহকর্মী ও পরিবারের মানুষকে উপদেশ দিবেন এবং নববর্ষ পালনের সাথে কোনভাবে সম্পৃক্ত হওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন।

পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে যে, “আর তোমরা তোমাদের রবের ক্ষমা ও সেই জান্নাতের দিকে দ্রুত ধাবিত হও, যার পরিধি আসমান ও জমিন ব্যাপী, যা প্রস্তুত করা হয়েছে আল্লাহ ভীরুদের জন্য।”(আলে-ইমরান:১৩৩)

এ বিষয়ে দেশের শাসকগোষ্ঠীর দায়িত্ব হবে যে কোন ধর্মের নিষিদ্ধ বিষয় নবর্বষের অনুষ্ঠানে না রাখা বা যার যার ধর্মীয় বিধান ঠিক রেখে আলাদা ভাবে পালনের ব্যবস্থা করা। মুসলমানদের উচিত ইসলাম বিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকা। এক. বর্তমানকালে মঙ্গল শোভা যাত্রা বা এই রকম যে সব আয়োজন নবর্বষ উপলক্ষে করা হয়, অধিকাংশই ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যায় অপচয় ও হিসেবে গণ্য। আর পবিত্র কুরআনে স্পষ্টভাবে অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই বলা হয়েছে। কুরআন মাজিদে বর্ণীত হয়েছে আর কিছুতেই অপব্যয় করবে না। যারা অপব্যয় করে তারা শয়তানের ভাই এবং শয়তান তার প্রতিপালকের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ। (১৭: ২৬-২৭)

দুই. নতুন দিন বা নতুন বছরকে স্বাগত জানানো অর্থ হচ্ছে সূর্যকে স্বাগত জানানো।

ইসলামে সূর্যকে স্বাগত জানানো, র্সূযের আহবান বিষয়টি প্রকারান্তর সূর্যপূজারই শামিল এবং এই বিষয়টি ইসলামে সর্ম্পূণ হারাম।

তিন. নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশাগত বিচরণ ও নারীকে জড়িয়ে নানা রকম অশ্লীলতা সৃষ্টি হয় এই সব উৎসব-আয়োজনগুলোতে এবং চরমভাবে লঙ্ঘিত হয় ইসলামের র্পদার বিধান। অথচ ইসলাম পর্দার বিধানকে ফরজ ঘোষণা করেছে।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর আনুগত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার তাওফীক দান করুন। আমীন।হ

মো. ফরিদ হোসেন

দারুণ নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসা

ডেমরা, ঢাকা।

0 | দেখেছেন : 69 |

সম্পর্কিত খবর

দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের করণীয়

বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এদের অনেকেই চাহিদার উপর ভিত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে না, তাই এরা দুর্নীতির মতো বাজে কাজে নিজেকে জড়িযে ফেলে এবং নিজে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে সমাজকে ধ্বংস করে। প্রতিকার সরূপ যুব সমাজই দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করার ক্ষেত্রে উদ্দীপনামূলক ভূমিকা রাখতে পারে। একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল যুব সমাজের ভাবমূর্তির ওপর সমগ্র জাতির নীতি-নৈতিকতার ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। দেশের সব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনার দায়িত্ব প্রাজ্ঞ প্রবীণদের ওপর থাকে। তাঁদের অভিজ্ঞতা, সততা, দক্ষতা এবং ন্যায়নিষ্ঠার