আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯
আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...
বিস্তারিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...
বিস্তারিতবাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...
বিস্তারিতশাহেদ
নুর
ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন বাংলাদেশ সফর ইস্যুতে দেয়া
এক ভিডিও বার্তায় কলকাতার বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন বাংলাদেশ
সরকার ও জনগণের উদ্দেশ্যে
বলেন, ‘অনুগ্রহ করে, আপনারা ব্যবহৃত
হবেন না।’ সোমবার নিজ
ফেইসবুক প্রোফাইলে ‘জরুরী ভিডিও বার্তা’ শিরোনামে এই ভিডিওটি তিনি
আপলোড করেন। ভিডিও বার্তার শুরুতে কবীর সুমন বলেন,
‘এই ভিডিও বার্তাটি আমি তৈরি করছি
এবং ফেইসবুকে এটি দেবো প্রধানত
আমার প্রিয় প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের শ্রদ্ধেয়
সরকার, তাদের সকল মাননীয় সদস্য,
তাদের সকল মাননীয় অনুগামী
অনুসারী এবং বাংলাদেশের আমাদের
প্রিয় জনগণের উদ্দেশ্যে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন,
‘বন্ধুরা, এই তিয়াত্তর বছর
বয়সে পুরনো দিনের কথা খুব বেশি
মনে পরে, আগে এতটা
পরতো না। এখন আমার
মনে পরছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কথা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি ছিলাম
যুবক। সে সময় লক্ষ
লক্ষ বাংলাদেশের শরণার্থী চলে এসেছিলেন আমাদের
পশ্চিমবঙ্গে। কি অবস্থা যে
সে সময় হয়েছিলো, তার
একটু পরিচয় পেতে আপনার অনুগ্রহ
করে ইন্টারনেটে অ্যামেরিকান কবি এলেন জিন্সবার্গের
লেখা ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’
কবিতাটি পড়লে খুব ভালো
হয়। ওনি এসছিলেন সে
সময়। স্বচোক্ষে দেখেছিলেন বাংলাদেশের শরণার্থীদের। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের
একটি মানুষেরও মুখ কিন্তু আমি
ভারাক্রান্ত দেখিনি। মনে রাখবেন, আমাদের
গোটা উপমহাদেশের সাধারণ মানুষের জীবন কিন্তু ভারাক্রান্ত।
তারা কেউ ধনী নন।
তাদের আর্থিক ভার বয়ে বেড়াতে
হয়। তার-ই মধ্যে
আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ
মানুষরা তাদের সামান্য সম্বল কিন্তু ভাগ করে নিয়েছিলেন
বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের
সঙ্গে।
‘অনেক
সময়ই লোকে বরং তামাশা
করে হেসে বলতো, এবারে
বেশ ভালো ইলিশ পাওয়া
যাবে। বাঙ্গালী একটু উদার পরায়ণ।
আমি কোনদিন কোন মুখ দেখি
নি, যেটা ভারাক্রান্ত। কেন
আমাদের শেয়ার করতে হবে, বাংলাদেশের
শরণার্থীদের সঙ্গে? এমন কথা কোনদিন
শুনি নি। এটা আমার
বিশেষ গর্ব।’
ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে তিনি
বলেন, ‘আজ খবর পাচ্ছি
যে, ভারতের সম্মানীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি বাংলাদেশে যাচ্ছেন,
যাবেন। হয়তো কিছু দিন
থাকবেনও। ঠিক ওই সময়,
যখন পশ্চিমবঙ্গে ভোট হচ্ছে, সে
সময় একটি বিশেষ ধর্ম
সম্প্রদায়ের দেবালয়ে গিয়ে পুজো দেবার
জন্য। এই ধর্ম সম্প্রদায়
কিন্তু এখানেও থাকেন। আমি এখন পর্যন্ত
কোন কাগজে দেখি নি যে,
তিনি হঠাৎ বিশেষ কোন
দেবালয়ে চলে গেলেন, গিয়ে
সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করছেন।’
তিনি
আরও বলেন, ‘পলিটিক্স একটা অদ্ভুত খেলা।
আমিও ভোটে দাঁড়িয়েছি। ভোট
চলে ভোটের নিয়মে, মানুষের নিয়মে না। আমার শুধু
চিন্তা হচ্ছে এই ভেবে যে,
যে পার্টিটি আজকে ভারতের কর্তৃত্বে,
সে পার্টির নীতি হলো বিভাজন,
ধর্মীয় বিভাজন- মনে রাখবেন এটা।
আর আমাদের ভারত কিন্তু সেক্যুলার
দেশ। এখানে ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলী
খান, যিনি পাঁচ ওয়াক্ত
নামাজ পড়া মুসলমান। রোজা
রাখা মুসলমান। তিনি কিন্তু হরি
ওম তাতসাত বলে গান করেন,
পাহাড়ী ঠুংরি। তাতে মুসলমান বা
হিন্দু কারোরই কোন আপত্তি হয়
না। ’ ভারতের বর্তমান সরকার কর্তৃক বাংলা ভাষাকে ক্লাসিকাল ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি
না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এই প্রখ্যাত
গীতিকার বলেন, এই যে বর্তমান
ভারত সরকার, যাদের সম্মানীয় প্রধানমন্ত্রী যাবেন বাংলাদেশে বা যাচ্ছেন বা
গিয়ে থাকছেন হয়তো। সে সরকার কিন্তু
বাংলা ভাষাকে ক্লাসিকাল ভাষার মর্যাদা দিতে চায় নি,
দেয় নি। প্রতিবেশি উড়িশ্যর
ভাষা ক্লাসিকাল ভাষার মর্যাদা পেয়েছে। খুব ভালো, কিন্তু
বাংলা পায় নি। অর্থাৎ
সৈয়দ আলাওল কেউ না, মুকুন্দরাম
কেউ না, বড়ু চন্ডীদাস
কেউ না, চন্ডীদাস কেউ
না, এরা কেউ না। শ্রী
কৃষ্ণ কীর্তন কিচ্ছু না, পদ্মাবতী কিচ্ছু
না।’ ‘মাননীয় বন্ধুরা এটা মনে রাখবেন,
যে ব্যক্তিটি যাচ্ছেন, নিশ্চয়ই খুব সম্মানীয় তিনি।
কিন্তু তার দল ভারতকে
একটা সেক্যুলার দেশ হিসেবে স্বীকারই
করে না। এই জায়গাটা
মনে রাখবেন। তারা বাংলা ভাষাকে
স্বীকার করে না। তাদের
নথিতে রয়েছে, বাংলা ভাষায় যারা কথা বলে
তারা বাংলাদেশের লোক। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে
কেউ ভারতের লোক না। এই
জায়গা থেকে তারা দেখছেন।
’
‘তিনি
যে যাচ্ছেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন, যেতেই পারেন। কি আশ্চার্য! এটা
তো কোন ব্যাপার না।
কিন্তু যে সময় যাচ্ছেন,
সে সময় তার একটি
বিশেষ বক্তৃতা প্রাণপণে প্রচার করা হবে চারদিকে,
যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও থাকবে। আমাদের তখন ভোট। ওই
সম্প্রদায়ের মানুষ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গেও থাকেন। সংখ্যায় তারা বেশ ভারী।
যে কোরে হোক, যাকে
বলে সুয়িং আনা ভোটে। তারা
জানেন, তারা হেরে যাচ্ছেন।
পশ্চিম বঙ্গের মানুষ সেক্যুলার। ধর্মান্ধতার রাজনীতি এখানে কোনদিন হালে পানি পায়
নি, পাবেও না। তবে সেটা
জানেন। জেনে শুনে তারা
প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশের স্মরণ
নিচ্ছেন, যাতে তিনি ওখান
থেকে একটা বক্তৃতা করতে
পারেন এখানকার নির্বাচনী শিষ্টাচার মেনে। অর্থাৎ এখানে কিছু করা হলো
না, অন্য জায়গা থেকে
করা হলো; এখানে মানুষ
শুনলো।’
উদ্বেগ
প্রকাশ করে তিনি বলেন,
‘ধরে নেয়া যাক, আমার
এই ভিডিও ভাষণটির কারণে আমার ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট
বন্ধ হয়ে যাবে, তাতে
আমার কিছু আসে যায়
না। সত্যকে আপনি যেভাবেই চান
চাপা দিয়ে রাখা যাবে
না।’
বাংলাদেশ ও বেগম সুফিয়া কামালকে নিয়ে গাওয়া গানের কথা উল্লেখ করে এই গায়ক বলেন, ‘মাননীয় বন্ধুরা, আমি সেই জায়গা থেকে বলছি এবং বলছি কবীর সুমন হিসেবে। আমি সেই লোকটা, যে পশ্চিমবঙ্গের জন্য একটি গান লিখে নি। পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে গান তৈরি করে নি। গান তৈরি করেছি বাংলাদেশকে নিয়ে। যার শেষ স্তবকে আছে, স্মৃতিতে এখনও শুনি বঙ্গবন্ধুর আহ্বান, পুবের আকাশ ছুঁয়ে শান্তিতে ভোরের আজান। আমি সেই গীতিকার, সুরকার, গায়ক ও বাদক। মনে রাখবেন, আমি সেই কবির সুমন, যেই লোকটা কিনা বাংলাদেশের-আমরা সবাই যাকে খালাম্মা বলি, সেই বেগম সুফিয়া কামলাকে নিয়ে গান লিখে, সুর করে, গেয়ে, বাজিয়ে ঘুরে বেরিয়েছি।’
বাংলাদেশের মানুষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জনপ্রিয় এই সঙ্গীতশিল্পী বলেন, আমি সেই সম্প্রতি-ভালোবাসার জায়গা থেকে এই ভিডিও বার্তাটি পাঠাচ্ছি, অনুগ্রহ করে, আপনারা ব্যবহৃত হবেন না। পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশের বন্ধু। এ ব্যাপারে অন্য কোন বিবেচনা আনবেন না। এইটুকু মনে রাখবেন, যে সম্মানীয় ব্যক্তিটি যাচ্ছেন, তার সরকার এবং দল বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতিই জানান নি ক’দিন আগে। আরও অনেক ভাষা স্বীকৃতি পেয়েছে, বাংলা কিন্তু পায় নি। এটা মনে রেখে কি আপনারা একটি আপত্তি করতে পারেন না? সবশেষে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রশংসা করে তাঁর উদ্দেশ্যে কবীর সুমন বলেন, ‘আপনার ভাষা, আপনার দেশের ভাষা, বঙ্গবন্ধুর ভাষা, আপনার পরিবারবর্গের ভাষা, আপনাদের সকলের ভাষা, আপনার দেশবাসীর ভাষা ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পায় নি। যে সরকার এই স্বীকৃতি দেয় নি, সেই সরকারের প্রধান যাচ্ছেন আপনাদের দেশে।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা তিনি ২৮ জুন, ১৯৪০ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শুরুতে তিনি তার গ্রামের মহাজন ফকিরের স্কুল নামে একটি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৪৪ সালে লামাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটসে যোগদান করেন এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। ১৯৫৭ সালে মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিএ এবং এমএ সম্পন্ন করেন। স্নাতকের পর কর্মজীবনের শুরুতেই মুহাম্মদ ইউনূস ব্যুরো অব ইকোনমিক্স - এ গবেষণা সহকারী হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরিচিতি বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন হচ্ছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ । ২০২৪ সালে বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এটি গঠিত হয় এবং এটি কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তীতে অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ২০২৪ সালের ১ জুলাই সংগঠনটি সৃষ্টি হয় এবং সৃষ্টির পরপরই আন্দোলন সফল করার জন্য ৮ জুলাই সংগঠনটি ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করে, যার মধ্যে ২৩ জন সমন্বয়ক ও ৪২ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। আন্দোলনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার পর ৩ আগস্টে সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক দল গঠন করে, যার মধ্যে ৪৯ জন সমন্বয়ক ও ১০৯ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে একাধিক সমন্বয়ককে এই সংগঠনের নেতৃত্বে দেখা গেছে। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত রশিদ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সারজিস আলম,
স্নায়ুযুদ্ধ কী ও কেন? স্নায়ুযুদ্ধ হচ্ছে যার আরবী হচ্ছে ; ‘আল গাযউল ফিকরী’ বা বুদ্ধি ও কৌশলের যুদ্ধ। পরিভাষায় বলা যায়-স্নায়ুযুদ্ধ এমন যুদ্ধ যাতে সৈন্যবাহিনী ও অস্ত্র-শস্ত্রের প্রয়োজন হয় না। কোনো ধরনের রক্তপাত হয় না । অর্থাৎ এমন প্লান ও পরিকল্পিত কাজ যা মানবজীবনে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও চারিত্রিক জীবনে প্রভাব ফেলে। এ কাজে ইসলামের শত্রুরা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রগুলোতে মুসলিমদেরকে তাদের দীন থেকে দূরে সরিয়ে রাখে, মুসলিমদের ঐক্য বিনষ্ট করে, তাদের সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করে এবং তাদের শক্তিকে দুর্বল করে তাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে, চাই সেটি সরাসরি হোক কিংবা গোপনীয়ভাবে হোক; রাজনৈতিকভাবে হোক কিংবা অরাজনৈতিকভাবে হোক; সেটি মিলেটারি দিয়ে হোক কিংবা মিলেটারি ছাড়া হোক। বর্তমান মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেয়া স্নায়ুযুদ্ধ।
ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মানুষ কিছু আনন্দ এবং স্মৃতিকে আপন করে নেয়। আর এ আপন করে নেয়ার বিভিন্ন স্তর এবং সময়ের পথ ধরে সংস্কৃতির বিকাশ। প্রতিটি জাতি ও সভ্যতা সংস্কৃতির মাধ্যমে খুঁজে পায় তার নিজস্ব অনুভূতি এবং স্বকীয় বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশী ও বাঙালী জাতি হিসেবে, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আমাদের এমন একটি উৎসব হল পহেলা বৈশাখ। স্বাগতম, সুস্বাগতম বাংলা নববর্ষ। আমরা সবাই প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল ১ বৈশাখের এই দিনটি পালন করে থাকি। কিন্তু আমরা সবাই কি জানি বা কেউ জানার চেষ্টাও করেছি-কি এই পহেলা বৈশাখের ইতিহাস।