আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯
আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...
বিস্তারিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...
বিস্তারিতবাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...
বিস্তারিতবাদল
সৈয়দ
১.
ওয়ান ইলেভেনের সময় একজন উর্ধতন
কর্মকর্তা গ্রেফতার হলেন। সাথে তাঁর স্ত্রী।
এ সময় তাঁদের সম্পদের
তদন্ত করা হচ্ছিলো। দায়িত্ব
প্রাপ্ত টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে ভদ্র মহিলাকে আমি
জিজ্ঞেস করলাম, এ বিপুল সম্পদ
জোগাড়ের উৎস সম্পর্কে আপনার
কিছু বলার আছে?
তিনি
উত্তর দিলেন, আমার হ্যাজবেন্ডকে জিজ্ঞেস
করুন। তাঁকে আপনারা জেলে দিন, ফাঁসি
দিন, কিন্তু আমাকে নিয়ে টানাটানি করছেন
কেন?
আমি
বললাম, কিন্তু আপনি তো তাঁর
সম্পদের সুবিধাভোগী! কথা শেষ হওয়ার
আগেই তিনি বললেন, আমি
তাঁকে বলিনি চুরি করে আমাকে
সম্পদ বানিয়ে দিতে। সে দিয়েছে, আমি
এনজয় করেছি। আমার কী দোষ?
তাঁকে শাস্তি দিন, আমাকে নয়।
তাঁর পাপের শাস্তি আমাকে কেন দেবেন?
২. আরেকজন।
বাড়ির সংখ্যা কুড়ির ওপর। জিজ্ঞেস করলাম,
ভাই, এত বাড়ি কেন
করলেন? কার জন্য? কয়টা
বাড়ি এক জীবনে লাগে?
উত্তর
দিলেন, স্যার, প্রথম বাড়িটি করার পর কেমন
নেশার মতো হয়ে গেলো।
কেন এত বাড়ি করলাম
নিজেও জানি না। এর
কিছুদিন পর জামিনে থাকা
অবস্থায় তাঁর মৃত্যুহয়। কয়েক
দিন পর তাঁর আইনজীবী
মৃত্যুর খবর দেওয়ার জন্য
অফিসে এলেন। তখন শুনলাম ভয়ংকর
এক কাহিনী। ভদ্র লোকের নাকি
দুই বিয়ে ছিলো। তাঁর
লাশ উঠানে ফেলে দুই পক্ষ
তীব্র ঝগড়ায় মাতলো সম্পত্তির বিলি বন্টন নিয়ে।
উভয় পক্ষের জিদ তাঁকে দাফন
করার আগেই এ বন্টন
নিশ্চিত করতে হবে। অনেকে
বুঝালেন যা হবে আইন
অনুযায়ী হবে। কে শোনে
কার কথা। উভয় পক্ষের
দাবী তাঁদের প্রাপ্যতা বেশি।
তাঁরা
ঝগড়া করছেন আর সম্পদ উপার্জনকারীর
লাশ উঠানে
পিঁপড়ায় খাচ্ছে!
৩.
অন্য আরেকজন। অতি পদস্থ কর্মকর্তা
ছিলেন?
আমার
সাথে দেখা এ শতকের
প্রথম দিকে। তখন তাঁর বয়স
প্রায় পঁচাশি। আমি একবার জিজ্ঞেস
করলাম, স্যার, কিছু মনে করবেন
না, এ বয়সে আপনার
কি এতো ঝামেলা করে
অফিসে অফিসে ঘুরার দরকার আছে? বাড়িতে আর
কেউ নেই?
তাঁর
চেহারা কুঁচকে গেলো, সেখানে কিলবিল করতে লাগলো হতাশা।
তিনি বললেন, আপনি আমার পুত্র
না, নাতির বয়সী। আপনাকে একটি কথা বলি,
চাকুরি জীবনে আমি প্রয়োজনের চাইতে
বেশী কামিয়েছিলাম। সেটিই আমার জন্য অভিশাপ
হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি মাত্র ছেলে।
পড়াশুনা করেনি। সারাদিন ঘুমায় আর সন্ধ্যা হলে
ক্লাবে গিয়ে মদ নিয়ে
বসে। মাঝরাতে পাঁড় মাতাল হয়ে
বাড়ি ফিরে, আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি-গালাজ করে।
ভোরের দিকে ঘুমায়। তারপর
সারাদিন বিছানায়। বিয়ে-শাদিও করাতে
পারি নাই। বলতে বলতে
তিনি কাছে ঝুঁকে বললেন,
ভাই, আমার ছেলে মানুষ
হয় নাই কেন জানেন?
আমি
তাঁর দিকে তাকিয়ে আছি।
তিনি বলতে লাগলেন, কারণ
সে জানে তাঁর বাবার
টাকা এক জন্মে খেয়ে
সে শেষ করতে পারবে
না। আমি যদি প্রয়োজনের
বেশী উপার্জন না করতাম তাহলে
এটা হতো না। সন্তান
'অমানুষ' হওয়ার মতো কষ্ট আর
কিছুতে নেই ভাই।
৪.
এবার একদম নিজের অভিজ্ঞতার
কথা বলি। একবার আমি
আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা, আমার উপার্জনে যদি
কোনো কালো দাগ থাকে
তুমি কি তার দায়ভার
নেবে?
আমার
স্ত্রী কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে
বললেন, আমি জানি আমার
উত্তরে তুমি মন খারাপ
করবে, তবু সত্য কথাটা
বলি।
তাহলো, পরিবার প্রধান হিসেবে আমাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তোমার, কিন্তু সে উপার্জনের দায়ভার ইহকালে বা পরকালে আমি বা অন্য কেউ কখনোই নেবে না। অতীতেও কেউ নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না। কেউ চাইলেও নিতে পারবে না। একই ভাবে আমি যে রোজগার করি তার দায়িত্ব তুমি নেবে না। ইউ মাস্ট ডাইজেস্ট দিস বিটার ট্রুথ।
একদম বুকে ধাক্কা দেওয়ার মতো সত্য কথা, তাই না? হ (সংগ্রহে ওবাইদুল্লাহ )
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা তিনি ২৮ জুন, ১৯৪০ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শুরুতে তিনি তার গ্রামের মহাজন ফকিরের স্কুল নামে একটি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৪৪ সালে লামাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটসে যোগদান করেন এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। ১৯৫৭ সালে মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিএ এবং এমএ সম্পন্ন করেন। স্নাতকের পর কর্মজীবনের শুরুতেই মুহাম্মদ ইউনূস ব্যুরো অব ইকোনমিক্স - এ গবেষণা সহকারী হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরিচিতি বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন হচ্ছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ । ২০২৪ সালে বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এটি গঠিত হয় এবং এটি কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তীতে অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ২০২৪ সালের ১ জুলাই সংগঠনটি সৃষ্টি হয় এবং সৃষ্টির পরপরই আন্দোলন সফল করার জন্য ৮ জুলাই সংগঠনটি ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করে, যার মধ্যে ২৩ জন সমন্বয়ক ও ৪২ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। আন্দোলনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার পর ৩ আগস্টে সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক দল গঠন করে, যার মধ্যে ৪৯ জন সমন্বয়ক ও ১০৯ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে একাধিক সমন্বয়ককে এই সংগঠনের নেতৃত্বে দেখা গেছে। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত রশিদ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সারজিস আলম,
স্নায়ুযুদ্ধ কী ও কেন? স্নায়ুযুদ্ধ হচ্ছে যার আরবী হচ্ছে ; ‘আল গাযউল ফিকরী’ বা বুদ্ধি ও কৌশলের যুদ্ধ। পরিভাষায় বলা যায়-স্নায়ুযুদ্ধ এমন যুদ্ধ যাতে সৈন্যবাহিনী ও অস্ত্র-শস্ত্রের প্রয়োজন হয় না। কোনো ধরনের রক্তপাত হয় না । অর্থাৎ এমন প্লান ও পরিকল্পিত কাজ যা মানবজীবনে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও চারিত্রিক জীবনে প্রভাব ফেলে। এ কাজে ইসলামের শত্রুরা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রগুলোতে মুসলিমদেরকে তাদের দীন থেকে দূরে সরিয়ে রাখে, মুসলিমদের ঐক্য বিনষ্ট করে, তাদের সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করে এবং তাদের শক্তিকে দুর্বল করে তাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে, চাই সেটি সরাসরি হোক কিংবা গোপনীয়ভাবে হোক; রাজনৈতিকভাবে হোক কিংবা অরাজনৈতিকভাবে হোক; সেটি মিলেটারি দিয়ে হোক কিংবা মিলেটারি ছাড়া হোক। বর্তমান মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেয়া স্নায়ুযুদ্ধ।
ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মানুষ কিছু আনন্দ এবং স্মৃতিকে আপন করে নেয়। আর এ আপন করে নেয়ার বিভিন্ন স্তর এবং সময়ের পথ ধরে সংস্কৃতির বিকাশ। প্রতিটি জাতি ও সভ্যতা সংস্কৃতির মাধ্যমে খুঁজে পায় তার নিজস্ব অনুভূতি এবং স্বকীয় বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশী ও বাঙালী জাতি হিসেবে, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আমাদের এমন একটি উৎসব হল পহেলা বৈশাখ। স্বাগতম, সুস্বাগতম বাংলা নববর্ষ। আমরা সবাই প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল ১ বৈশাখের এই দিনটি পালন করে থাকি। কিন্তু আমরা সবাই কি জানি বা কেউ জানার চেষ্টাও করেছি-কি এই পহেলা বৈশাখের ইতিহাস।