আল কুরআন : আল- আম্বিয়া : ৪৪ থেকে ৬৪
বরং আমরাই তাদের এবং তাদের পূর্ব পুরুষদের ভোগবিলাসের উপকরণ দিয়েছি, তাছাড়া তাদের বয়সকালও হয়েছিল দীর্ঘ। তারা কি দেখেনা, আমরা তাদের দেশকে চারদিক থেকে সংকু...
বিস্তারিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
আবু আইয়ুব রা. বলেন, আমি যখনি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পিছনে নামায পড়েছি, তাকে নামায শেষ করে এই দোয়া পড়তে শুনেছি। (যার অর্থ:) হে...
বিস্তারিতআমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা
প্রাণের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ৭১ সা...
বিস্তারিতসংস্কার: নভেম্বর-ডিসেম্বর ২০২১
মহামারী। প্যানডেমিক। করোনা কাল। করোনায় কেড়ে নিল প্রায় দু'টি বছরের চেয়েও বেশি সময়। ২০২০ সালে করোনাকালের লকডাউনের কথা স্মৃতি হয়ে আজও সমাজের প্রতিটি মানুষের মধ্যে ভাসছে। ২০২১ সালে দ্বিতীয় ঢেউ দিয়ে করোনা আবারো স্মরণ করিয়ে দিয়ে গেল আমি যাইনি, আছি। এখন চলছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। করোনা যখন শুরু হয়, তখন থেকেই আমাদের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক-অভিভাবিকাবৃন্দের মধ্যে একটা হতাশা কাজ করছিল, কি হবে? আতঙ্ক, আশঙ্কা। জীবন বাঁচলে পড়াশোনা হবে। সেই সময় কেটে গেছে। অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে সংসদ টিভির মাধ্যমে, বাতায়ন কর্মসূচি হাতে নিয়ে, টেলিভিশনের মাধ্যমে পড়াশোনা চালিয়েছে আমাদের কোমলমতি সন্তানেরা। কালক্রমে সকলের হাতে চলে গেছে মোবাইল। এন্ড্রয়েড সেট। যে মোবাইল যে বয়সে কাউকে দেয়া যেত না, সেই মোবাইল সেই বয়সেই তাদের সকলের পড়াশোনার মাধ্যম হয়ে গেল। শুরু হলো মোবাইলের জগৎ। কম্পিউটার টেলিভিশন সবার নাগালের মধ্যেই চলে এলো। পড়াশোনার পজিটিভ দিকগুলো বাদ দিলে আসলেই বেজে গেল বারোটা; কারণ মোবাইলে শুধু বাতায়ন টিভি নয়, মোবাইলে শুধু সংসদ টিভি নয়, মোবাইলে মুক্ত আকাশ সংস্কৃতির সবকিছুই উঁকি দিয়ে থাকে। ভিডিও গেম থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি বিষয়ে কোমলমতি সন্তানেরা আসক্ত হয়ে পড়ে। ফলাফল কি দাঁড়ালো? অটো পাস। অ্যাসাইনমেন্ট নির্ভর পাস। এই এসাইনমেন্ট নির্ভর পরীক্ষায় সিলেবাস কমিয়ে দেয়া হলো। প্রশ্নের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হলো। প্রশ্নের মূল্যায়ন সংক্ষিপ্ত হলো। ছাত্র-ছাত্রীরা বুঝে গেল তারা আসলে আর মেধাবী হতে পারছে না; কিন্তু তাদের এই বুঝ প্রকাশ পেল না। যারা একটু বড়, তারা বুঝে গেছে, ধীরে ধীরে যারা বয়সের দিক থেকে কম বা ছোট, তারা ব্যাপারটিকে বুঝলোনা। তারা ব্যাপারটিকে তাদের উচ্ছন্নে যাওয়ার সুযোগ হিসেবে নিয়ে নিল। তারা আনন্দিত হতে থাকলো। 'আমাদের সিলেবাস কমিয়ে দেয়া হয়েছে'। তারা আনন্দিত হতে থাকলো। 'আমাদের হাতে এখন মোবাইল চলে এসেছে'। তারা আনন্দিত হতে থাকলো। তারা ভিডিও গেইম, ইউটিউব ইত্যাদিতে আসক্তি নিয়ে বেঁচে থাকার সুযোগ পেল। ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থা দাঁড়ালো- যা হচ্ছে তাই যথেষ্ট। এদিকে যত দুশ্চিন্তা অভিভাবকের। তার সন্তানের এইচএসসি পাস করা কি হবে? তার সন্তানের শেষ সেমিস্টার, পড়াশোনার রেজাল্ট টা কি হবে? তার সন্তানের এসএসসি পাশের কি হবে? তার সন্তানের সার্টিফিকেট যদি না হয় তাহলে চাকরিটা হচ্ছেনা! সার্টিফিকেট টা যদি না হয় তাহলে বিয়েটা হচ্ছে না। পাচ্ছেনা চাকরিটা! সার্টিফিকেটটা যদি না হয়, পরের ধাপে যেতে পারছেনা। এই হল মধ্যবিত্ত পরিবারের অভিভাবক দের অবস্থা। আর যারা টাকার উপর ঘুমায়, তাদের সন্তানরা চলে গেল বাইরে। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর বাইরে গিয়ে তারা পড়াশোনার সুযোগ নিয়ে নিল। কারণ পৃথিবীর সব জায়গায় স্বাস্থ্য বিধি মেনেই পড়াশোনা চলে, একমাত্র এ দেশের মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেই পড়াশোনার সুযোগ আর পায়নি। স্কুল-কলেজ, মাদরাসার টিউশন ফি যেভাবে ছিল সেভাবেই আছে। স্কুলের বেতন দিতে হবে সময় মতো। পড়াশোনা নেই, মানসিক চাপে শিক্ষার্থীরা। তাহলে কি হচ্ছে? নতুন একটি প্রজন্মের জন্ম হচ্ছে। এই যুব প্রজন্ম, তরুণ প্রজন্ম যাদেরকে আল্লাহ রহম করেছেন, তারা রক্ষা পেয়েছে, অথবা রক্ষা পাচ্ছে, অথবা রক্ষা পাবে; কিন্তু দেশ, রাষ্ট্র, সমাজ কি পেল? পরিবারগুলোই বা কি পেল? একটি প্রজন্মের শূন্যতাই কি অপেক্ষা করছে তাহলে? প্রতিটি স্তরের ছাত্র-ছাত্রীরা সীমিত মেধা নিয়ে জীবন তরী পার করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। অভিভাবক-অভিভাবিকা তাদেরকে ধরে রাখার চেষ্টা করছে। তাদের মানসিক অবস্থা সঠিক পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে, কিন্তু এই চেষ্টা অপ্রতুল। সমাজ জীবনে, পারিবারিক জীবনে, একটি মানুষ আয়-রোজগার করে স্বাধীনভাবে সংসার চালাতো। করোনাকাল সেই স্বাধীনতাকে ধ্বংস করে দিল। অনেকের চাকরি চলে গেল। অনেকের কর্মদক্ষতা সীমিত হয়ে গেল। অনেকের কর্মক্ষেত্র সংকীর্ণ হয়ে গেল। অনেকের বেতন কমে গেল। সামাজিক স্ট্যাটাস রক্ষা করতে গিয়ে অনেকেই বিপদে পড়ে গেল। অনেকে ছিটকে পড়ল প্রকৃত শিক্ষা থেকে। অনেক অভিভাবক-অভিভাবিকা বাধ্য হয়ে তাদের সন্তানদেরকে এসএসসি অথবা এইচএসসি পড়াশোনা বাদ দিয়ে, তার সহযোগিতার জন্য, সংসারে আয় রোজগারের জন্য, কোন কাজে তাদের সন্তানদেরকে লাগিয়ে দিল। এইতো হচ্ছে এ দেশের চিরাচরিত অভ্যাস গুলোর একটি। সন্তানরা দেশকে কি দিবে? যে সন্তান মেধায় পরিপক্কতা পেল না, যে সন্তান বার্ষিক পরীক্ষায় অংক, ইংরেজী, বাংলা সাহিত্যের মত বিষয়ে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পেল না, তারা কোন ধরনের ইঞ্জিনিয়ার হবে? এরা কি পরিপক্ক ভাবে পরের ক্লাসে যাচ্ছে? সেই ক্লাসের অবস্থা কি? তাহলে আমরা কি মেধাশূন্যতার দিকে ধাবিত হচ্ছি? এমনি হাজার প্রশ্ন হাজার মানুষের মনে। আমাদের সন্তানরা আমাদের সম্পদ। এই সন্তানদেরকে শিক্ষিত করে তোলা প্রতিটি মানুষের, প্রতিটি পরিবারের, সমাজের প্রত্যেকটি দায়িত্বশীলের এবং রাষ্ট্রের; কিন্তু আমরা আমাদের এই সন্তানদেরকে সুশিক্ষিত করতে পারছি না। আমাদের এই সন্তানদের সঠিক মেধা বিকশিত হওয়ার পথ করে দিতে পারছি না, কারণ করোনাকাল, মহা করোনাকাল, প্যানডেমিক এর অবস্থায় আমরা বার বার পিছিয়ে পড়ছি। আমাদের সন্তানরা পিছিয়ে পড়ছে। আমাদের সন্তানরা মেধাবী তো হচ্ছেই না, বরং তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ঝিমিয়ে পড়ছে। তাদের দুর্বার গতিতে যেখানে খেলাধুলা করার কথা ছিল, সে থেকে তারা চুপসে গেছে। টেলিভিশনের খেলা দেখে তাদের কারো কারো সময় কাটে, তারা খেলতে যেতে পারছে না, সীমিত সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী খেলাধুলার সুযোগ পেলেও সিংহভাগ ছাত্র-ছাত্রীর স্বাস্থ্য সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়েছে এবং পড়ছে, কি হবে আমাদের? আমরা সৃষ্টিকর্তা মহান রবের দিকে প্রত্যাবর্তিত হচ্ছি না। আমাদের দেশ, আমাদের রাষ্ট্র আমাদের সমাজপতিরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন; কিন্তু সেই চেষ্টা এর সফলতা কতটা তা নির্ভর করছে তাদের আন্তরিকতার উপর। কে কতটা আন্তরিক, সেটা পরিমাপের কোন বাটখারা আমাদের হাতে নেই। এই করোনাকালেও কেউ কেউ ব্যবসা করে যাচ্ছে। সমাজ কোথায় গেল, ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন কোথায় গেল, সেটা নিয়ে ভাবার ফুরসত তাদের নেই। তাদের দরকার টাকা। বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাত এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যবসাগুলো যাদের আছে তারাই এখনকার বিজনেস এর সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি নিয়ে বসে আছে। টেকনোলজির বাজারের তারাও ব্যবসা করে যাচ্ছে। চিরাচরিত যেই ব্যবসাগুলো ছিল, তারা অনেকেই মুখ থুবরে পড়ে আছে। কি হবে আমাদের এ দেশের? আসুন আমরা আবার প্রত্যাবর্তিত হই আল্লাহর দিকে, যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, যিনি আমাদেরকে হিদায়াত দান করেছেন, যিনি আমাদেরকে তাকদীর লিখে দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে, করোনাকালের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে উত্তরণের সুযোগ করে দিন। আমিন।
প্রাণের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভ করেছিলাম। উদিত হয়েছিল বাংলাদেশের সূর্য। বিগত প্রায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলাম। মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমা-ার বলেছিলেন ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা’। আমরা স্বাধীনতা পেলাম, সদ্য-ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট সরকারের শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার স্বাধীনতা। আ
১.রমজান আসে রমজান যায়। বিশ্ব মুসলিমের মুক্তির বারতা নিয়ে প্রতি বছর রমজান আসে প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে। কিন্তু কম সংখ্যকই এই রমজানের মুক্তির বারতা গ্রহণ করতে পারে। খুব কম সংখ্যকই এই সুয়োগ কাজে লাগায়। শয়তানের কুটচালে বন্দী হয়ে মানুষ নামী শয়তানগুলো এই রমজানের স্রষ্টার সাথে নানা ধরনের হঠকারিতার আশ্রয় নেয়। আমাদের বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক না কেনো? রমজান আসতে দু’মাস কিংবা দেড় মাস বাকী। এরি মধ্যে মজুদদাররা নব নব পন্থায় তাদের অসাধু ব্যবসায়িক হিসেব কষতে শুরু করেছেন। রমজানে দ্রবমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে। তাই তারা রমজানের দু’মাস আগে থেকেই বাজার গরম করে ফেলে। এবারও তাই হলো। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হুহু করে বাড়িয়ে দিল। যে চাল গত রমজানে মানুষ ৪৫/৪৬ টাকা করে খেয়েছে, সে চাল ব্যবসায়ীদের কারসাজীতে ৫৯/৬০ টাকা করে কিনতে হবে কেন? ফলন ভালো, আমদানী-রপ্তানী ভালো, তাহলে কি কারণে চালের দাম ১০/১৫ টাকা বেশী হবে এক বছরের মাথায়।?
মানুষ আল্লাহর সেরা জীব। আশরাফুল মাখলুকাত। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি জীন ও ইনসানকে আমার ইবাদত করার জন্যেই শুধূমাত্র সৃষ্টি করেছি’। মানুষের আদি সৃষ্টি মাটি হতে আর জীন জাতির সৃষ্টি আগুন হতে। এই বিশ্বে যত প্রাণী বা সৃষ্টি রয়েছে তার মধ্যে মানুষ ও জীন জাতির বিবেক রয়েছে। আর তাই এদেরকে সৃষ্টি করা
আজ ১৪ এপ্রিল। বাংলা সনের প্রথম দিন। পহেলা বৈশাখ। পৃথিবীর কোন বাংলা ভাষাভাষি সমাজে কিছু ঘটুক বা না ঘটুক বাংলাদেশে কিন্তু আজ ঘটবে মহাযজ্ঞ। এই দিনের জন্যে চৈত্রের আগমনের সাথে সাথেই শুরু হয় এই মহা আয়োজন। এই মহাযজ্ঞের প্রস্তুতি। শতকরা ৮৫ ভাগ মুসলিমের দেশে হিন্দুয়ানী কায়দায়, হিন্দু ধর্মীয় আচার-আচরণ নির্ভর কিছু অনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে, হিন্দু ধর্মীয় আক্বিদাহ বিশ্বাসকে উপজীব্য করে আজ পালিত হবে পহেলা বৈশাখ। ১৯৮৫ সালে যশোরে শুরু হয়েছিল নববর্ষ উপলক্ষে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা। তখন এই শোভাযাত্রার উদ্দেশ্য ছিল একরকম। কালক্রমে এখন তা মঙ্গল শোভাযাত্রা। একজন সুশীলের বক্তব্য অনুযায়ী প্রথমেই মঙ্গল শোভাযাত্রা তাদের মাথায় ছিল, কিন্তু কেউ আবার “ভুল বুঝবে” তাই তারা প্রথমে এ নামটি দেয়নি। ১৯৮৯ সালে এ শোভাযাত্রা ঢাকার চারুকলায় আমদানি করা হয়।