অনুসরন করুন :
আল-কুরআন

আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯

আল কুরআন (আল— হজ্ব : ৩০ থেকে ৩৯) ৩০. এগুলো (হজ্বের বিধান)। এ ছাড়া যে, আল্লাহ এবং পবিত্র (স্থান ও অনুষ্ঠান) সমূহের প্রতি সম্মান দেখাবে, তার প্রভ...

বিস্তারিত
আল-হাদীস

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

সাঈদ ইবনু আবদুর রহমান মাখযূমী রা. আব্বাদ ইবনু তামীম তৎপিতৃব্য আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...

বিস্তারিত
সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরক...

বিস্তারিত

ইবাদতে মনোযোগী হবার উপায়

আল্লাহর ইবাদতে মনোযোগ ঠিক রাখার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো সহযোগী হতে পারে, যেমন:

১। ইবাদতে ভিন্নতা আনাঃ অর্থাৎ ব্যক্তি বিভিন্ন প্রকারের ইবাদত করবেন: যেমন- নামায পড়া, কুরআন তিলাওয়াত করা, যিকর করা, দান করা, পিতামাতার আনুগত্য করা, আত্মীয়স্বজনের সাথে সম্পর্ক রাখা, রোগী দেখতে যাওয়া, মৃতব্যক্তির জানাযা, দাফন-কাফনে অংশগ্রহণ করা ইত্যাদি। আল্লাহ্‌র রহমত ও অনুগ্রহে অনেক ধরনের ইবাদত রয়েছে।

২। আমল করার সময় ধৈর্যের সাথে নিয়ত ঠিক রাখাঃ

ইবনুল কাইয়্যেম (রাহ.) ‘উদ্দাতুস সাবেরীন’ পুস্তকে (৬৫-৬৬ পৃ.) বলেন: “কর্মকালীন সময় ধৈর্য: বান্দা আমলে কোন ঘাটতি করা কিংবা অবহেলা করার প্রণোদনাগুলোর বিপরীতে ধৈর্যকে চলমান রাখবে। নিয়তকে ধরে রাখা ও মাবুদের সামনে নিজের অন্তরকে উপস্থিত রাখার ক্ষেত্রেও ধৈর্যকে অব্যাহত রাখবে। মাবুদের নির্দেশ পালন করার সময় মাবুদকে ভুলে যাবে না। উদ্দেশ্য এটা নয় যে, নির্দেশিত কর্মটি পালন করা। বরং উদ্দেশ্য হচ্ছে- নির্দেশিত কর্মটি পালনকালে নির্দেশকারীকে ভুলে না যাওয়া। বরং নির্দেশকারীর স্মরণকে উপস্থিত রেখে নির্দেশটি পালন করবে।

এটাই হল আল্লাহ্‌র খালিস বান্দাদের ইবাদত। ইবাদতের পরিপূর্ণ হক আদায় করার জন্য ধৈর্যের প্রয়োজন; ঠিকমত রুকনগুলো আদায় করা, ওয়াজিবগুলো আদায় করা, সুন্নতগুলো আদায় করা, মাবুদের (উপাস্যের) স্মরণকে অব্যাহত রাখা। তাঁর ইবাদত পালনকালে তাঁর থেকে অন্যমুখী না হওয়া। অন্তর দিয়ে আল্লাহ্‌র সাথে থাকতে গিয়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো তাঁর ইবাদত পালনে বিকল হবে না। যেমনিভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর ইবাদত পালন তাকে অন্তর দিয়ে মাবুদের সামনে উপস্থিত থাকা থেকে বিরত রাখবে না।”

৩। দোয়াতে যত্মবান হওয়াঃ

আল্লাহ্‌র সঙ্গিত্ব লাভের সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে— দোয়া এবং আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে বান্দার জন্য সাহায্য।

৪। আমলটি ছেড়ে না দেয়াঃ

কারণ শয়তানের ফন্দিগুলোর মধ্যে অন্যতম হল মনোযোগ না থাকার কারণে মানুষকে আমল থেকেই বিমুখ করা। তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা ও আমল চালিয়ে যাওয়া।

৫। ইবাদতের জন্য পূর্বপ্রস্তুতি নেয়া এবং মনোযোগ নষ্ট হওয়ার উপকরণগুলো থেকে দূরে থাকাঃ

আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “কেউ যেন খাবার উপস্থিত রেখে নামায না পড়ে এবং পেশাব-পায়খানা আটকে রেখে নামায না পড়ে।” (সুনান আবু দাউদ) ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

0 | দেখেছেন : 241 |

সম্পর্কিত খবর

বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলো। নিঃসন্দেহে এই সরকার একটি বিপ্লবোত্তর সরকার, অথবা আরও এগিয়ে বললে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বিপ্লবী সরকার। প্রধান উপদেষ্টাসহ এই সরকারে ২১ জন উপদেষ্টা রয়েছেন। প্রথমত উপদেষ্টা নির্বাচন দেখে স্বাভাবিক ভাবেই এটা চিন্তা করা যায় যে, এটি একটি নিরপেক্ষ সরকার হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও যে কথাটি সত্য তা হচ্ছে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ অনেকেই নেই। ছাত্র—জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলাফল হিসেবে এই সরকারে দু’জন ছাত্র নেতাকে উপদেষ্টা নির্বাচন করা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে একটি ভালো দিক।

আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা

প্রাণের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভ করেছিলাম। উদিত হয়েছিল বাংলাদেশের সূর্য। বিগত প্রায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলাম। মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমা-ার বলেছিলেন ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা’। আমরা স্বাধীনতা পেলাম, সদ্য-ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট সরকারের শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার স্বাধীনতা। আ

রমজান আসে রমজান যায়

১.রমজান আসে রমজান যায়। বিশ্ব মুসলিমের মুক্তির বারতা নিয়ে প্রতি বছর রমজান আসে প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে। কিন্তু কম সংখ্যকই এই রমজানের মুক্তির বারতা গ্রহণ করতে পারে। খুব কম সংখ্যকই এই সুয়োগ কাজে লাগায়। শয়তানের কুটচালে বন্দী হয়ে মানুষ নামী শয়তানগুলো এই রমজানের স্রষ্টার সাথে নানা ধরনের হঠকারিতার আশ্রয় নেয়। আমাদের বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক না কেনো? রমজান আসতে দু’মাস কিংবা দেড় মাস বাকী। এরি মধ্যে মজুদদাররা নব নব পন্থায় তাদের অসাধু ব্যবসায়িক হিসেব কষতে শুরু করেছেন। রমজানে দ্রবমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে। তাই তারা রমজানের দু’মাস আগে থেকেই বাজার গরম করে ফেলে। এবারও তাই হলো। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হুহু করে বাড়িয়ে দিল। যে চাল গত রমজানে মানুষ ৪৫/৪৬ টাকা করে খেয়েছে, সে চাল ব্যবসায়ীদের কারসাজীতে ৫৯/৬০ টাকা করে কিনতে হবে কেন? ফলন ভালো, আমদানী-রপ্তানী ভালো, তাহলে কি কারণে চালের দাম ১০/১৫ টাকা বেশী হবে এক বছরের মাথায়।?

মানুষ আল্লাহর সেরা জীব

মানুষ আল্লাহর সেরা জীব। আশরাফুল মাখলুকাত। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি জীন ও ইনসানকে আমার ইবাদত করার জন্যেই শুধূমাত্র সৃষ্টি করেছি’। মানুষের আদি সৃষ্টি মাটি হতে আর জীন জাতির সৃষ্টি আগুন হতে। এই বিশ্বে যত প্রাণী বা সৃষ্টি রয়েছে তার মধ্যে মানুষ ও জীন জাতির বিবেক রয়েছে। আর তাই এদেরকে সৃষ্টি করা