অনুসরন করুন :
আল-কুরআন

আল কুরআন : আল- আম্বিয়া : ৪৪ থেকে ৬৪

বরং আমরাই তাদের এবং তাদের পূর্ব পুরুষদের ভোগবিলাসের উপকরণ দিয়েছি, তাছাড়া তাদের বয়সকালও হয়েছিল দীর্ঘ। তারা কি দেখেনা, আমরা তাদের দেশকে চারদিক থেকে সংকু...

বিস্তারিত
আল-হাদীস

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

আবু আইয়ুব রা. বলেন, আমি যখনি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পিছনে নামায পড়েছি, তাকে নামায শেষ করে এই দোয়া পড়তে শুনেছি। (যার অর্থ:) হে...

বিস্তারিত
সম্পাদকীয়

আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা

প্রাণের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ৭১ সা...

বিস্তারিত

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, (হে রাসুল!) "আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে যথার্থই ভালবেসে থাকো, তাহলে আমাকে অনুসরণ করো, তবেই আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন।" (আল-ইমরান : ৩১) এটি হচ্ছে মহান আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে মহানবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ভালোবাসা বহিঃপ্রকাশের ঘোষণা। অন্যদিকে হিজরী সনের রবিউল আউয়াল মাস এলে মুসলিম সমাজে, বিশেষ করে বাংলাদেশ, তথা পাক-ভারত উপমহাদেশে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম দিন উপলক্ষে নানা ধরনের আয়োজন চলতে থাকে। শুরু হয় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবীর আয়োজন। পাশাপাশি দেয়াল লিখন, পোস্টারিং, লিফলেট বিতরণ, ফেস্টুন টানানো, ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মদিন উপলক্ষে শ্রদ্ধা সম্মান। কারণ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মদিন হচ্ছে আমাদের কারো কারো মতে শ্রেষ্ঠ ঈদের দিন। এতেও সমস্যা নেই। আমরা সকলেই জানি, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রবিউল আউয়াল মাসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, আবার এই মাসেই আল্লাহর ডাকে সারা দিয়ে ইন্তেকাল করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইন্তেকাল করে থাকলেও মুমিন-মুসলিম এর দেয়া সালাম তাকে ফেরেশতাদের মাধ্যমে সরাসরি আল্লাহ শোনানোর ব্যবস্থা করেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যদি কেউ সম্মানের সাথে আমার উপর একবার দরূদ পড়ে, তাহলে আল্লাহ তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন।" যদিও রবিউল আউয়াল মাসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহ জাগতিক কর্মকা- থেকে সরাসরি বিদায় নেন, তা সত্ত্বেও এই মাসেই তার জন্ম দিনকে শ্রেষ্ঠ ঈদ ঘোষণা দিয়ে, আমরা সবাই কিছুটা বাড়া-বাড়ীর দিকেই নিয়ে যাচ্ছি। রাসূল সা. কে ভালোবাসার মধ্যেই একজন মুসলিমের ঈমানের পূর্ণতা নিহিত। মহানবী সাবলেছেন, তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার কাছে তার পিতা-মাতা, সন্তানাদি এবং অন্য সবকিছুর চেয়ে আমি প্রিয় হিসেবে গণ্য হই।" রবিউল আউয়াল মাসে, মিলাদুন্নবীর এই মাসে অনেকে ঘরে ঘরে নবীর জন্মদিন পালন করে মিলাদ দেয়ার মাধ্যমে, আবার আমাদের বড় একটি অংশ সিরাতুন্নবী অর্থাৎ নবী জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা ইত্যাদিতে মশগুল হয়। প্রকৃতপক্ষে মিলাদুন্নবী এর শাব্দিক অর্থ দিয়ে যদি ধরা হয়, তাহলে নবীর জন্মদিন। ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম হয়েছিল, সেদিন ছিল সোমবার, কিন্তু প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল কি সোমবার হয় ? তাহলে এই দিনটির তাৎপর্য কী সেই রকমই ? বিষয়টা তেমন নয়। তারপরও আবেগ ইত্যাদির কারণে আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মদিন উপলক্ষে কয়েক দিন, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে একদিনকে সামনে নিয়ে, অনেক আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করি। প্রকৃতপক্ষে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে আনুষ্ঠানিকতার শেষ নেই। শেষ হতে পারে না। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মাঝে নেই। তিনি আমাদের জন্য দু'টি সম্পদ রেখে গেছেন, কুরআন এবং তার বাণী হাদীস সমগ্র। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যদি তোমরা এই দুটিকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করো, তাহলে তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না (আল হাদীস) তাই মহাগ্রন্থ আল-কুরআন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সহীহ হাদীস সমূহ এর মাধ্যমে আমরা যে বার্তা পাই, সেগুলো অনুসরণ করা, সেগুলো প্রতিপালন করা, সেগুলো অনুসারে জীবন পরিচালনা করা-এটাই ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় কর্তব্য। কিন্তু আমরা তা থেকে অনেক ক্ষেত্রে যোজন যোজন দূরে সরে গেছি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনের কিছু কিছু অংশ আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবন গাঁথার সাথে আনার চেষ্টা করছি, আর সিংহভাগ সুন্নত, মহানবীর দেখানো পথ পরিহার করে আমরা প্রতিদিন চলছি। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্ম নিয়েছিলেন রবিউল আউয়াল মাসে, তাকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র রবিউল আউয়াল এর একটি দিনেই আনুষ্ঠানিকতা থাকবে, আলোচনা-পর্যালোচনা থাকবে, স্লোগান দেয়া থাকবে, মিছিল-মিটিং থাকবে, এটা হতে পারে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থাকবে সারাটি বছর, প্রত্যেকটি মাস, প্রতিটি সপ্তাহ, প্রতিটি দিন, প্রতিটি রাত, আমাদের চলার পথের অনুসরণীয় একজন মডেল হিসেবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সকলকে সবকিছুই শিখিয়ে গেছেন। কাজের বিষয়গুলোতে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, সেগুলোর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দেখা গেছে তার গুরুত্বপূর্ণ সহীহ হাদীসগুলো সব সময় একজন মুসলিমকে সৎ পথে ধাবিত করার চেষ্টা করেছে। ইবাদত, সামাজিক কাজ, অর্থনৈতিক লেনদেন, রাজনৈতিক আচার-আচরণ, রাষ্ট্রপরিচালনার বিষয়, পারস্পরিক শত্রুতা-বন্ধুত্বযুদ্ধ-বিগ্রহ, বেচাকেনা, ব্যবসা-বাণিজ্যকোন কিছুই মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাদ রাখেন নি। তিনি মদীনায় একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে, সেখানে এই সকল বিষয় বাস্তবায়ন করে, একটি আদর্শ রাষ্ট্রের মডেল তৈরি করে, দেখিয়ে গেছেন যে, আল-কুরআন এবং সুন্নাহ অনুসারে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, পরিচালিত হতে পারে, টিকে থাকতে পারে। অথচ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে একটি দিনের আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে বন্দি করে রাখার যে পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের সমাজের অনেকেই এগিয়ে যাচ্ছেন, তাতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, বাকি দিনগুলোতে আমাদের কাছে মনে হয় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তেমনটা গুরুত্ববহ কোন ব্যক্তি নন। (নাউজু-বিল্লাহ) তাই আসুন আমরা সবাই মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনপঞ্জির প্রত্যেকটি বিষয়কে গুরুত্ব সহকারে আমাদের জীবনে পরিস্ফুট করার চেষ্টা করি, তাঁর জীবনের প্রতিটি কথা কাজকে আমাদের জীবনের প্রতিটি কথা কাজের সাথে মিলিয়ে নেই, তাহলেই মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম দিন, অথবা তার জীবন গাঁথা থেকে আমাদের অনেক কিছু অর্জিত হবে। আল্লাহ আমাদেরকে কবুল করুন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমাদের শাফায়াতকারী হিসেবে কবুল করুন। আমীন।  

0 | দেখেছেন : 42 |

সম্পর্কিত খবর

আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা

প্রাণের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভ করেছিলাম। উদিত হয়েছিল বাংলাদেশের সূর্য। বিগত প্রায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলাম। মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমা-ার বলেছিলেন ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা’। আমরা স্বাধীনতা পেলাম, সদ্য-ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট সরকারের শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার স্বাধীনতা। আ

রমজান আসে রমজান যায়

১.রমজান আসে রমজান যায়। বিশ্ব মুসলিমের মুক্তির বারতা নিয়ে প্রতি বছর রমজান আসে প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে। কিন্তু কম সংখ্যকই এই রমজানের মুক্তির বারতা গ্রহণ করতে পারে। খুব কম সংখ্যকই এই সুয়োগ কাজে লাগায়। শয়তানের কুটচালে বন্দী হয়ে মানুষ নামী শয়তানগুলো এই রমজানের স্রষ্টার সাথে নানা ধরনের হঠকারিতার আশ্রয় নেয়। আমাদের বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক না কেনো? রমজান আসতে দু’মাস কিংবা দেড় মাস বাকী। এরি মধ্যে মজুদদাররা নব নব পন্থায় তাদের অসাধু ব্যবসায়িক হিসেব কষতে শুরু করেছেন। রমজানে দ্রবমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে। তাই তারা রমজানের দু’মাস আগে থেকেই বাজার গরম করে ফেলে। এবারও তাই হলো। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হুহু করে বাড়িয়ে দিল। যে চাল গত রমজানে মানুষ ৪৫/৪৬ টাকা করে খেয়েছে, সে চাল ব্যবসায়ীদের কারসাজীতে ৫৯/৬০ টাকা করে কিনতে হবে কেন? ফলন ভালো, আমদানী-রপ্তানী ভালো, তাহলে কি কারণে চালের দাম ১০/১৫ টাকা বেশী হবে এক বছরের মাথায়।?

মানুষ আল্লাহর সেরা জীব

মানুষ আল্লাহর সেরা জীব। আশরাফুল মাখলুকাত। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি জীন ও ইনসানকে আমার ইবাদত করার জন্যেই শুধূমাত্র সৃষ্টি করেছি’। মানুষের আদি সৃষ্টি মাটি হতে আর জীন জাতির সৃষ্টি আগুন হতে। এই বিশ্বে যত প্রাণী বা সৃষ্টি রয়েছে তার মধ্যে মানুষ ও জীন জাতির বিবেক রয়েছে। আর তাই এদেরকে সৃষ্টি করা

আজ ১৪ এপ্রিল

আজ ১৪ এপ্রিল। বাংলা সনের প্রথম দিন। পহেলা বৈশাখ। পৃথিবীর কোন বাংলা ভাষাভাষি সমাজে কিছু ঘটুক বা না ঘটুক বাংলাদেশে কিন্তু আজ ঘটবে মহাযজ্ঞ। এই দিনের জন্যে চৈত্রের আগমনের সাথে সাথেই শুরু হয় এই মহা আয়োজন। এই মহাযজ্ঞের প্রস্তুতি। শতকরা ৮৫ ভাগ মুসলিমের দেশে হিন্দুয়ানী কায়দায়, হিন্দু ধর্মীয় আচার-আচরণ নির্ভর কিছু অনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে, হিন্দু ধর্মীয় আক্বিদাহ বিশ্বাসকে উপজীব্য করে আজ পালিত হবে পহেলা বৈশাখ। ১৯৮৫ সালে যশোরে শুরু হয়েছিল নববর্ষ উপলক্ষে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা। তখন এই শোভাযাত্রার উদ্দেশ্য ছিল একরকম। কালক্রমে এখন তা মঙ্গল শোভাযাত্রা। একজন সুশীলের বক্তব্য অনুযায়ী প্রথমেই মঙ্গল শোভাযাত্রা তাদের মাথায় ছিল, কিন্তু কেউ আবার “ভুল বুঝবে” তাই তারা প্রথমে এ নামটি দেয়নি। ১৯৮৯ সালে এ শোভাযাত্রা ঢাকার চারুকলায় আমদানি করা হয়।