সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়(সংস্কার: নভেম্বর-ডিসেম্বর 2021)মহামারী। প্যানডেমিক। করোনা কাল। করোনায় কেড়ে নিল প্রায় দু'টি বছরের চেয়েও বেশি সময়। ২০২০ সালে করোনাকালের লকডাউনের কথা স্মৃতি হয়ে আজও সমাজের প্রতিটি মানুষের মধ্যে.......

বিস্তারিত পড়ুন

আল-কুরআন

নভেম্বর-ডিসেম্বর2021(আয়াত নং: ১৯ থেকে ৩১)১৯. মহাকাশ এবং পৃথিবীতে যারাই আছে সবাই তাঁর। তাঁর কাছে যারা রয়েছে তারা তাঁর ইবাদতের ব্যাপারে অহংকার করে না এবং ক্লান্তিও বোধ করে না।২০. তারা তাঁর তসবিহ করে, রা.......

বিস্তারিত পড়ুন

আল-হাদীস

ওমর ইবনু খাত্তাব রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা যদি আল্লাহ তায়ালার উপর এমনভাবে তাওয়াক্কুল করতে আরম্ভ কর যেমন তাওয়াক্কুলের হক রয়েছে তবে তোমাদেরকে.......

বিস্তারিত পড়ুন

আমার বাংলা ভাষা লেখার ও শেখার ইতিকথা

এহ্সান উল্লাহ্

ভালো বাংলা শেখার এবং লেখার প্রতি গভীর আগ্রহ বা টান মূলত: আমি লাভ করি আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক নওগাঁ কো-অপারেটিভ হাই মাদরাসা (বর্তমান বি. এস. সি. সরকারি মহিলা কলেজ) এর বাংলা শিক্ষক মরহুম হেড প-িত জনাব ছমির উদ্দিন সাহেব এর কাছে। ইনি নর্মাল পাশ ছিলেন। বৃটিশ আমলে নর্মাল স্কুল ছিল রংপুরে। স্যারের পৈত্রিক নিবাস রাজশাহীতে। থাকতেন কে. ডি. হাই স্কুলের মুসলিম বডিং এ. আর একটি হিন্দু বর্ডিংও ছিল। স্যারের পৈত্রিক নিবাস রাজশাহীতে। তিনি কে. ডি. হাই স্কুলে হেড মাওলানা নোয়াখালী নিবাসী মরহুম এছাহাক সাহেবর বাসায় যেতেন। যাই হোক-মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি।  মূলত: আমার বাংলা ভাষা শেখার মুল উৎস হেড প-িত সাহেব। তারপর ঐ মাদরাসারই ইংরেজী শিক্ষক মরহুম জনাব মোজাম্মেল হক  সাহেব বি.এ এবং ঐ মাদরাসারই মেধাবী ছাত্র কফিল ভাই। এদের ¯েœহানুকুল্যে বাংলা শেখার ও লেখার প্রভুত উৎসাহ ও প্রেরণা পাই। এ ছাড়া  রাজশাহী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. এনামুল হক সাহেব রচিত বাংলা রচনা গ্রন্থটি হতে আমি আরো প্রেরণা লাভ করি। এখানে প্রাসংঙ্গিকতার প্রয়োজনে উল্লেখ করা দরকার-শ্রদ্ধেয় হেড প-িত ছমির উদ্দিন সাহেবের মত এত ভালো বাংলা জাননেওয়ালা শিক্ষক নওগাঁতে আর দ্বিতীয় কেউ ছিল না। টেস্ট পরিক্ষায় বাংলা সেকেন্ড পেপারে তার কাছে ৭২ নম্বর পাই। যা দুঃসাধ্য এবং দুস্প্রাপ্য ছিল। কিন্তু অতীব দু:খের বিষয় বাংলায় এম. এ. পাশ আমার ভাগ্যে জোটেনি। কারণ বি. এ. পাশ করার পর আমার মরহুম শ্রদ্ধেয় পিতা বলেছিলেন ‘তোর আরো ছোট ভাই আছে তাদেরকে এডুকেশন দিতে হবে। এখন তুই চাকরী-বাকরী কর’। বলতে ভুলে গিয়েছি বি.এ ফাইনাল পরীক্ষায় আমি বাংলায় ৬৪ নম্বর পাই। আমার বাবা আমাকে বাংলা ভাষা শেখার জন্য প্রভূত উৎসাহ প্রদান করতেন। তিনি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। গুরু ট্রেনিং (জি. টি. বর্তমানে পিটিআই) পাশ ছিলেন। যা হোক শিক্ষার ও শেখার কোন শেষ নেই। শুধু শেখার ও পড়ার আগ্রহটাই বড় কথা। কলেজে যখন আই. এ পড়ি তখন বেঙ্গলী লিটারেচার আমার অন্যতম বিষয় ছিল। বাংলার সুদক্ষ এবং অভিজ্ঞ অধ্যাপক জনাব সাদেক আলী সাহেব বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ও রবীন্দ্রনাথের ‘মানসী’ কাব্য গ্রন্থের নির্বাচিত কবিতা খুব প্রাঞ্জল ও সুললিত ভাষার লেকচার দিয়ে পড়াতেন এবং বুঝাতেন। আমি মনযোগ সহকারে শুনতাম এবং খাতায় নোট করে নিতাম। এমন কি হুবহু মনেও রাখতাম। এই ভাবে বাংলা ভাষা শেখার ও লেখার আগ্রহ জন্মে। আসলে পড়ার ও লেখার এবং শেখার ইচ্ছা ও চর্চা করার ঐকান্তিকতা মূল কথা। আর জ্ঞান চর্চা ও অর্জনের সবচেয়ে বড় পাঠশালা হলো উম্মুক্ত ও বিরাট বিশ^ প্রকৃতি। এই বিশ^ প্রকৃতির খোলা পাদপৃষ্ঠে দাঁড়িয়ে যে শিক্ষা অর্জন করা যায় তা স্কুল ও কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি হতে ডিগ্রী লাভের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।  আর একটি কথা বলা আবশ্যক। হয়তো এই লেখার সাথে সামঞ্জস্য হবে না; তবুও লেখার সৌষ্ঠব বর্দ্ধনের খাতিরে উল্লেখ করি-নারীর ঠোঁট যতই সুন্দর হোক সে ঠোঁটে যদি হাসি না থাকে তা হলে সে ঠোঁটের কোন মূল্য নেই। ঠিক তেমনি লেখার বিষয় বস্তু, ভাব, ভাষা, শব্দ-চয়ন যদি সুন্দর না হয় তা হলে সেই লেখা নারীর হাস্যহীন ঠোঁটের মতই অসুন্দর ও মূল্যহীন।