সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়(সংস্কার: নভেম্বর-ডিসেম্বর 2021)মহামারী। প্যানডেমিক। করোনা কাল। করোনায় কেড়ে নিল প্রায় দু'টি বছরের চেয়েও বেশি সময়। ২০২০ সালে করোনাকালের লকডাউনের কথা স্মৃতি হয়ে আজও সমাজের প্রতিটি মানুষের মধ্যে.......

বিস্তারিত পড়ুন

আল-কুরআন

নভেম্বর-ডিসেম্বর2021(আয়াত নং: ১৯ থেকে ৩১)১৯. মহাকাশ এবং পৃথিবীতে যারাই আছে সবাই তাঁর। তাঁর কাছে যারা রয়েছে তারা তাঁর ইবাদতের ব্যাপারে অহংকার করে না এবং ক্লান্তিও বোধ করে না।২০. তারা তাঁর তসবিহ করে, রা.......

বিস্তারিত পড়ুন

আল-হাদীস

ওমর ইবনু খাত্তাব রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা যদি আল্লাহ তায়ালার উপর এমনভাবে তাওয়াক্কুল করতে আরম্ভ কর যেমন তাওয়াক্কুলের হক রয়েছে তবে তোমাদেরকে.......

বিস্তারিত পড়ুন

বাড়ছে নারী কর্মী

ব্যাংক খাতে আবার নারীসহ সব ধরনের কর্মী নিয়োগ শুরু হয়েছে। এ জন্য প্রায় প্রতিটি ব্যাংক নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। দেশে যখন করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয়, তখন থেকে পরিবার, শিশু ও নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে অনেক নারী কর্মী ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দেন। তবে করোনার ভয় কাটতে থাকায় আবার ব্যাংকগুলোতে শুরু হয়েছে নারী কর্মী নিয়োগ। অবশ্য নারী কর্মীই নন, সব ধরনের কর্মীই আবার নিয়োগ দিতে শুরু করেছে ব্যাংকগুলো। সম্প্রতি ছয় মাসের বেশি সময়ে প্রায় প্রতিটি ব্যাংক নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এর ফলে ব্যাংকে কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে পুরুষের তুলনায় নারী কর্মীর সংখ্যা দিন দিন কমছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা কর্মচারীদের তথ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত লিঙ্গ সমতাবিষয়ক একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোতে মোট নারী কর্মীর আট দশমিক ৩৮ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের বেশি। আর ৩০ বছরের কম বয়সী নারী কর্মীর হার ২২ দশমিক ১১ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদেশি ব্যাংকগুলোতে দিন দিন নারী কর্মী কমছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে যেখানে বিদেশি ব্যাংকগুলোতে নারী কর্মী ছিল এক হাজার ৯৪ জন, সেখানে ২০২০ সালের জুনে তা কমে ৯৭৮ জন এবং ডিসেম্বরে ৯৪৮ জনে নেমে আসে। আর এ বছরের জুনে আরো কমে হয় ৯৪০ জন। তবে সার্বিকভাবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতে নারী কর্মী ছিল ২৮ হাজার ৪৮০ জন, যা ২০২০ সালের জুনে কমে ২৮ হাজার ৭৮ জন হয়। ওই বছরের ডিসেম্বরে নারী কর্মী কিছুটা বেড়ে হয় ২৮ হাজার ৩৭৮ জন, যা এ বছরের জুনে আরো বেড়ে হয় ২৯ হাজার ৫১৩ জন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন মাসের শেষে ব্যাংকগুলোতে মোট কর্মীসংখ্যা ছিল এক লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪। এর মধ্যে নারী কর্মী ২৯ হাজার ৫১৩ এবং পুরুষ কর্মী এক লাখ ৫৭ হাজার ২৭১ জন। গত জুন শেষে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে নারী কর্মী ছিল আট হাজার ২৩ জন এবং পুরুষ কর্মী ছিল ৪২ হাজার ৫৪৪ জন। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোতে নারী কর্মী এক হাজার ৮২৮ জন ও পুরুষ কর্মী ১১ হাজার ৪৭৭ জন ছিল। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোতে নারী কর্মীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৭২২ জন এবং পুরুষ কর্মী এক লাখ ৩৯৫ জন। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোতে নারী কর্মী ৯৪০ জন এবং পুরুষ কর্মী এক হাজার ৮৫৫ জন। বিদেশি ব্যাংকগুলোতেই নারী কর্মীর হার সর্বোচ্চ, প্রায় ২৫ শতাংশ। বর্তমানে সরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোপুরি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে। আর বেসরকারি ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলো নিজেদের নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ দিয়ে থাকে। বিভিন্ন ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ২০২০ সালে নিয়োগ একরকম বন্ধ ছিল। চলতি ২০২১ সালে আবার নিয়োগ শুরু হয়।